ক্রীড়া প্রতিবেদক:ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা আর থাকছে না এই ম্যাচের পর। ব্যবধান কতটা বেশি সেই পার্থক্য তো দেখাই গেল দুই দলের। এই ম্যাচ নিয়ে কতশত বিজ্ঞাপন আইসিসির, কত রকম প্রচারণা। সব গোল্লায় গেল।
এ নিয়ে বিশ্বকাপে আটবারের দেখায় একবারও জিততে পারেনি পাকিস্তান। এরপরও কী ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচকে হাই-ভোল্টেজ বলা যায়? এমন প্রশ্ন থেকেই যায়।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের দেওয়া ১৯২ রানের লক্ষ্য অয়ানায়াসে টপকে গেল ভারত। যেখানে ৪২.৫ ওভারে ওই কটা রান তুলতে সব উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান, সেখানে ভারত লক্ষ্য টপকাতে খেলেছে মাত্র ১৯.৩ ওভার।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭৯ রানের ভেতর শুভমান গিল (১৬) ও বিরাট কোহলির (১৬) উইকেট হারায় ভারত। তৃতীয় ওভারে শাহীন আফ্রিদির শিকার হয়ে শুভমান ফিরেন সাজঘরে। এরপর ১০ম ওভারের শেষ বলে বিরাটকে ফেরান হাসান আলী। ৭৯ রানে দুই উইকেট হারালেও খেই হারাননি অধিনায়ক।
মাত্র ৩৬ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়ে দলকে নিয়ে যান শক্ত অবস্থানে। শেষ পর্যন্ত রোহিত ৬৩ বলে সমান ৬টি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে ৮৬ রান করে শাহীন আফ্রিদির বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেও ততোক্ষণে ভারতের স্কোর ঠেকে ১৫৬ রানে।
বাকি পথ পাড়ি দিতে আর কশট হয়নি ভারতের। কেএল রাহুলকে নিয়ে শ্রেয়াস আইয়ার অর্ধশত পূর্ণ করে মাঠ ছাড়েন ৭ উইকেটের জয় নিয়ে। শ্রেয়াস ৫৩ ও আইয়ার অপরাজিত থেকেছেন ১৯ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের শুরটা ভালো হলেও মিডল-অর্ডারের ব্যর্থতায় ১৯২ রান তুলতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন অধিনায়ক বাবর আজম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯ রান আসে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে। ওপেনার ইমাম উল হক করেন ৩৬ ও আবদুল্লাহ শফিক করেন ২০ রান।
ভারতের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, হার্দিক পান্ডিয়া, কুলদীপ যাদব এবং রবীন্দ্র জাদেজা।