Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিপর্যয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক অপারেটর গ্রামীণফোনে নেটওয়ার্ক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এ বিপর্যয় দেখা যায়। নেটওয়ার্ক না থাকায় ফোনের কোনো সেবা নিতে পারছেন না গ্রাহকেরা।

এদিকে ফেসবুকে এ নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন অনেকে। বলছেন গ্রামীণফোন নিয়ে তাদের ভোগান্তির কথা। আবার কেউ ভিড় করছেন গ্রামীণফোন সেন্টারে।

বিজনেস পোস্টের ডেপুটি চিফ রিপোর্টার ফরহাদ হোসেন গ্রামীণফোনের একটি সেন্টারে তার ছবিসহ পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক হঠাৎ শাটডাউন। আমিসহ বহু গ্রাহক সেন্টারে ভিড় করছে।

ব্যবহারকারীরা বলছেন, কারো ফোনে শুধু লেখা আসছে, ‘নট রেজিস্ট্রার অন নেটওয়ার্ক’। কারো বা সিগন্যালের জায়গায় কিছুই লেখা আসছে না। কল, মেসেজ বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক ডাউন সম্পর্কে আমরাও জেনেছি। তবে ঠিক কী সমস্যা হয়েছে জানি না। এ বিষয়ে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।’

তবে গ্রামীণফোন এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, ফাইবার অপটিক ক্যাবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সাময়িকভাবে কল করতে অসুবিধা হওয়ায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। দ্রুত সমস্যা সমাধানে আমাদের টিম সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে কাজ করে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের এক কর্মকর্তা জানান, ‘আজ সকালে হঠাৎ করেই এই অভিযোগ আসে। পরে দেখা যায়, একই সময়ে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের চারটি ভিন্ন স্থানে ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়ার কারণে এই নেটওয়ার্ক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

এর আগে, মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। গ্রাহকসেবার মান নিম্নমানের একারণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। দীর্ঘ ছয়মাস পর তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।


আরও খবর



অধরা সাধ্যের ব্রয়লার মুরগিও

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;খাবারসহ অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধির পরও এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। আর প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে খরচ পড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। অথচ বাজারে এর দাম ৩০০ টাকা ছুঁইছুঁই। রোজার ঠিক আগ মুহূর্তে এমন দাম দেখে অনেকেরই ‘চক্ষু চড়ক গাছ’ হয়ে গেছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, গরুর পর এবার মুরগির মাংসকেও বিদায় জানাতে বাধ্য হবেন অনেক ক্রেতা।

রাজধানীর রায়েরবাজারে মুরগি কিনতে এসে বেসরকারি চাকরিজীবী মো. হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘ব্রয়লারের কেজি ২৭০-২৮০ টাকা হবে কখনো কল্পনাও করিনি। সুযোগ বুঝে রোজা শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে এক লাফে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। বাজারে যা খুশি চলছে। দেখার যেন কেউ নেই। দ্রব্যমূল্যের এ পাগলা দৌড় কে থামাবে। এত দামে মুরগি কেনা সম্ভব নয়। এখন গরুর মতো মুরগি খাওয়াও ছাড়তে হবে।’

রাজধানীর মালিবাগ বাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২৬৫ থেকে ২৭০ টাকা পর্যন্ত। মহাখালী, সেগুনবাগিচাসহ কদমতলী এলাকার কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৭৫ টাকায়। কোথাও কোথাও ২৮০ টাকাও নেওয়া হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কাপ্তানবাজারসহ রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোয় দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। পাইকাররা বলছেন, সরবরাহ কমেছে। তাই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের। খামার পর্যায়েও দাম বাড়ছে বলে জানান খামারিরা।

অথচ গত রবিবার ভোক্তা অধিদপ্তর জানিয়েছে, মুরগির খাবারসহ অন্যান্য সব ব্যয় বৃদ্ধির পরও এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন ব্যয় করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা এবং প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এ মুরগির বিক্রয়মূল্য সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হতে পারে। বাজারে মুরগির দাম কত হওয়া উচিত, তা আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোলট্রিশিল্পের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে মুরগির দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।

এদিকে প্রান্তিক খামারিরা বলছেন, পোল্ট্রি খাতে প্রতিটি পর্যায়ে অনিয়মের কারণে বাজারে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অব্যবস্থাপনা ও নজরদারির ঘাটতির সুযোগ নিয়ে কয়েকটি চক্র অল্প সময়ে বিপুল মুনাফার চেষ্টা করছে। এর আগেও একবার মুরগি ও ডিমের বাজারে এমনটা হয়েছে। এবার রমজান মাস শুরুকে কেন্দ্র করে আবারও তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, একদিনের বাচ্চার দাম বাড়তে বাড়তে ৬৫ টাকায় পৌঁছেছে। বাড়তি এ দামেও বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে না।

চট্টগ্রামের পটিয়া থানার প্রান্তিক খামারি মো. শহীদুল আলম ও জয়পুরহাটের খামারি মিজবাহ-উল-হক জানান, বাচ্চা ও মুরগির দাম মুঠোফোনের এসএমএসের মাধ্যমে হুটহাট বাড়ে-কমে। গতকালও এসএমএসে একদিনের বাচ্চার দর ৬২ থেকে ৬৭ টাকা জানানো হয়েছে। এ দামেও বাচ্চা মিলছে না। সিন্ডিকেটের বাইরের কারও বাচ্চা পেতে প্রতি পিসে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। যারা করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কন্ট্রাক্ট ফার্মিয়ে যুক্ত রয়েছেন, তারা কম দামে বাচ্চা পাচ্ছেন। অপরদিকে ভোক্তা অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকের পরই অজানা কারণে ফিডের (মুরগির খাবার) দাম হঠাৎ বাড়িয়ে দিয়েছে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।

বর্তমানে ব্রয়লারের একদিনের বাচ্চার দাম ৬২ থেকে ৬৭ টাকা। যদিও খামারিরা বলছেন, বাচ্চা সংকট দেখিয়ে ডিলাররা দাম আরও বেশি রাখছেন। অথচ জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেও বাচ্চার দাম ছিল মাত্র ৯ টাকা। ১৫ তারিখে দাম বেড়ে ১৫ থেকে ১৮ টাকা হয়। এরপর ২৫ তারিখে ৩০ টাকা, ২৬ তারিখে ৩৬ টাকা, ৩০ তারিখে হয় ৪০ টাকা। ২ ফেব্রুয়ারি ৩৯ থেকে ৪২ এবং ৫ ফেব্রুয়ারি ৫৩ থেকে ৫৫ টাকায় ওঠে। মার্চে আরও বাড়ে। অর্থাৎ প্রায় আড়াই মাসে দাম ৭ গুণেরও বেশি বেড়েছে। খামারিরা বলছেন, একটি বাচ্চার দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত হলে সেটা স্বাভাবিক।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, একদিনের বাচ্চার সম্পূর্ণ বাজার বড় করপোরেট কোম্পানিগুলোর হাতে। পাশাপাশি কন্ট্রাক্ট ফার্মিয়ের নামে তারা সিন্ডিকেট গড়ে তুলছেন। গায়েবি এসএমএসে (মুঠোফোন বার্তা) হুটহাট বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিন্ডিকেটের বাইরের খামারিরা বাচ্চা পাচ্ছেন না। পেলেও অতিরিক্ত দাম রাখা হচ্ছে। সব দিক থেকেই করপোরেট কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত মুনাফা করছে।

পোল্ট্রি খাতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কারসাজিকারী চক্র ১৮০ কোটি টাকা লোপাট করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এবারের হিসাব আরও বড় হবে। রোজা ঘিরে আবারও একটি চক্র কারসাজি করছে। এর আগেও ডিম নিয়ে বড় কোম্পানির কারসাজির তথ্য উঠে এলে সরকারি সংস্থা মামলাও করেছে। কিন্তু তার সুরাহা হয়নি। আমরা বহুবার এ তথ্য তুলে ধরছি। অথচ কারও যেন টনক নড়ছে না। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও যেন চোখ বুজে আছে। ২০১০ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ১ মাসের সময় নিয়েছিল পোল্ট্রি ফিড, মুরগির বাচ্চা, ডিম ও মুরগির ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের কৌশলপত্র তৈরির জন্য। কিন্তু তা এখনো হয়নি।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, কারসাজি করে বড় লোকসানে ফেলে ছোট খামারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যেগুলো অবশিষ্ট রয়েছে, সেগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বাজার দখল করে নিয়েছে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন তারা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করছে। সিন্ডিকেটের হাতে বাজার চলে গেলে এমনটাই হয়।

তিনি আরও বলেন, ডিম নিয়ে কারসাজির সময় আমরা দেখেছিলাম আমদানির ঘোষণায় দাম রাতারাতি কমে গিয়েছিল। এবার ডলার সংকটের কারণে মুরগি আমদানির সিদ্ধান্ত হয়তো নেওয়া যাবে না। এ কারণেই হয়তো মুরগির বাজারে কারসাজি চলছে।

কারসাজিকারীরা বাজারে নানা অনিয়ম ও মনিটরিংয়ে ঘাটতির সুযোগ নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রয়-বিক্রয়ে রসিদ ব্যবহার হচ্ছে না। বাজারে হাত বদলের সংখ্যা কমাতে হবে। বারবার ব্যবসায়ী সমিতির নাম উঠে আসছে। ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা করার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনটা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


আরও খবর



আওয়ামীলীগ নেতাকে সভাপতি করতে কৃষকদল নেতার প্রস্তাব হট্রগোল পন্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১৯জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌর সদর চাপড়া এতিম খানার মিটিংয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ব্যবসায়ী আবুল বাসার সুজন কে সভাপতি করার প্রস্তাব দেন পৌর কৃষকদলের সদস্য সচিব আফজাল হোসেন বলে নিশ্চত হওয়াা গেছে। তার এমন প্রস্তাবে কয়েকগ্রামের জনসাধারন হট্রগোল শুরু করে সভাপন্ড করে দেন।  গত সোমবার ইফতারের আগ মুহুর্ত্বে চাপড়া এতিম খানা চত্বরে ঘটে ঘটনাটি। এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। 

জানা গেছে, পৌর সদর এলাকার  চাপড়া এতিম খানায় প্রতি দুই বছর পর পর কয়েকগ্রাম বাসীকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। সেখান থেকে গ্রহনযোগ্য ধার্মিক ব্যক্তিকে সভাপতি ও সম্পাদক করা হয়। এভাবেই কমিটি গঠন হয়ে থাকে। গত সোমবার বিকেলের দিকে কমিটি গঠনের জন্য সভা আহবান করা হয়। সেই সভায় পৌরসভার কৃষকদলের আহবায়ক চাপড়া গ্রামের আফজাল হোসেন   ব্যবসায়ী আওয়ামীলীগ নেতা আবুল বাসার সুজনকে সভাপতি করার প্রস্তাব দেন। তার এমন প্রস্তাবে চাপড়া,ধানতৈড়সহ কয়েকগ্রামের বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে হট্রগোল ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বর্তমান সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সম্পাদক শিক্ষক  জিল্লুর রহমান সভা বাতিল করে দেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সম্পাদক চাপড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান জানান, চাপড়া, ধানতৈড়, মিরাপাড়া,আড়াদিঘিসহ কয়েক গ্রামের মানুষের একান্ত সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। প্রতি দুই বছর পরপর মিটিংয়ের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। সোমবারের মিটিং য়ের এক পর্যায়ে আফজাল আবুল বাসার সুজনকে সভাপতি করার প্রস্তাব দেন। এমন প্রস্তাবের সাথে সাথে লোকজন প্রচুর উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে মিটিং বাতিল করা হয়। 

স্থানীয়রা জানান, চাপড়া এতিম খানা কোন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান না। কারো একক কথায় কোন কিছু হয় না। কয়েকগ্রামের সামাজিক ভাবে গ্রহনযোগ ব্যাক্তিদের কমিটির সদস্য করা হয় এবং সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সভাপতি সম্পাদক নির্ধারন করা হয়। আবুল বাসার সুজন সম্মানী ব্যক্তি তিনি যদি সভাপতি হতে চান সরাসরি প্রস্তাব করতেন। সেটা না করে তার হাটের কর্মচারী কৃষকদলের নেতাকে দিয়ে প্রস্তাব করাচ্ছেন। মনে হয় সুজন বিষয়টি অবগত ছিল না। তাহলে তিনি আফজালকে দিয়ে এমন প্রস্তাব দেওয়াতেন না। হয় তো এরাই বেশি তেল মারা শুরু করেছেন এবং  মানি ব্যক্তির মান ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস ছাড়া কিছুই না।

কাকে সভাপতি করতে হবে,কাকে করলে প্রতিষ্ঠান ভালো চলবে সেটা মতামতের ভিত্তিতে করা হবে। আফজালের মত ছেলে সভাপতির প্রস্তাব দেয় কি ভাবে। সব জায়গায় রাজনীতি তেল বাজি চলে না। এতিম খানাতেও দলীয় প্রভাব বিস্তর করার চেষ্টায় মরিয়া। অবাক করার বিষয় আফজাল পৌরসভা কৃষকদলের সদস্য সচিব আর সে আওয়ামীগ নেতা সুজনকে সভাপতি করার প্রস্তাব দিচ্ছেন। এরচেয়ে হাস্যকর দলবাজি আর কি হতে পারে। আবার সুজন নামে ও মেয়রের ভোট করার জন্য চাপড়ায় জায়গা কিনে বাড়ি করেছেন।  তিনি কি দীর্ঘ দিনের স্থায়ী বাসিন্দা যে তাকে সভাপতি করতে হবে এমন বানা প্রশ্ন স্থানীয় সচেতন মহলের।

চাপড়া এতিম খানার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এতিম খানা দীর্ঘ  দিনের প্রতিষ্ঠান। এলাকার মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় পরিচালিত হয়ে আসছে। কারো একক মতামতে কিছুই হয়না। কয়েকগ্রামের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে পরিচালনা কমিটি গঠন হয়। গত সোমবার সুন্দর পরিবেশে মিটিং হচ্ছিল, আবুল বাসার সুজনের নাম প্রস্তাব  করার সাথে সাথে হট্রগোল পক্ষ বিপক্ষ শুরু হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে মিটিং বাতিল করা হয়েছে, এখনো দিন ধার্য হয়নি।

আরও খবর



টানা দুইদিন কমে বাড়ল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা দুইদিন দাম কমানোর পর দেশের বাজারে আবার বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে। 

এর আগে ভালো মানের স্বর্ণ প্রতি ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা ক‌মি‌য়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছিল বাজুস। সেই হিসেবে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হ‌য়ে‌ছিল ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা। গতকাল বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এ নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

এদিকে, গত মঙ্গলবার ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাজুস। অর্থাৎ দুই দিনে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা কমানো হয়। তবে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।


আরও খবর



আইপিএল নয়, দেশের খেলা আগে: বাংলাদেশ কোচ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: ওয়ানডে সিরিজ শেষে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরপর দুদল একটি টেস্টও খেলবে। এই সিরিজ দুটির মাঝে ভারতে আইপিএল শুরু হবে। যেই আসরে আবার বাংলাদেশের তিন তারকা সাকিব আল হাসান, লিটন দাস ও মোস্তাফিজুর রহমান খেলার সুযোগ পেয়েছেন। তবে ঘরের মাঠের সিরিজের মাঝে এই তিন ক্রিকেটারকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বিসিবির সঙ্গে সুর মেলালেন জাতীয় দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, দেশের হয়ে খেলাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

আগামী শুক্রবার আইপিএলের নতুন মৌসুম শুরু হবে।যেখানে সাকিব-লিটনকে দলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর পুরোনো ঠিকানা দিল্লি ক্যাপিট্যালস ধরে রেখেছে মোস্তাফিজকে। যদিও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বেশ আগেই বলেছিলেন, দেশের খেলা থাকলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জন্য ছাড়া হবে না কোনো ক্রিকেটারকে। নিলামের আগে আইপিএল কর্তৃপক্ষকেও বোর্ড থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশের খেলা কখন কোন সময়ে আছে। সেটা জেনেই তারা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়েছেন।

মোস্তাফিজ অবশ্য বিসিবির টেস্ট দলের চুক্তিতে নেই। লাল বলের ক্রিকেটে তার থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তিনি আইপিএল দলে যোগ দিতে পারবেন আগেই। আলোচনাটা মূলত সাকিব-লিটনের ছাড়পত্র নিয়ে।

এই প্রসঙ্গ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনেও উঠল। যেখানে প্রধান কোচের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বোর্ডের সিদ্ধান্তে তার কোনো ভূমিকা ছিল কি না।  প্রশ্নের জবাব অবশ্য সরাসরি না দিয়ে হাথুরু সমর্থন জানান বোর্ডের সিদ্ধান্তে।

হাথুরুসিংহে বলেন, ‘বোর্ডের সিদ্ধান্ত হলো, দেশের হয়ে আগে খেলতে হবে। তারা অনাপত্তিপত্র পাওয়ার আগে বোর্ড তাদেরকে এই বার্তাই দিয়েছে, এমনকি নিলামে তাদের নাম তোলার আগেও। সেটি আগের মতোই আছে।’

ক্রিকেট বিশ্বের বর্তমান বাস্তবতায় আইপিএল এখন পৌঁছে গেছে অনন্য উচ্চতায়। এটির প্রভাব এতটাই যে, বড় ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো আইপিএলের সময় সাধারণত কোনো সিরিজ রাখে না এখন। খেলা রাখলেও আইপিএলের জন্য ক্রিকেটারদের ছেড়ে দেয় তারা।

আইপিএলের চেয়ে দেশের হয়ে খেলাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। ‘হ্যাঁ… আইপিএল খেললে তাদের (ক্রিকেটারদের) স্কিলের উন্নতি হয়, এটা নিশ্চিত। এটা নিয়ে সন্দেহ নেই, কারণ এটা শীর্ষমানের টুর্নামেন্ট। তবে সব কিছুর আগে প্রাধান্য পাবে নিজ দেশের হয়ে খেলা।


আরও খবর



বাংলাদেশে বেড়েই চলেছে মুরগির দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক ;বাংলাদেশে বেড়েই চলেছে মুরগির দাম। বর্তমানে তা কেজিতে রেকর্ড ৩০০ টাকা ছুঁইছুঁই। তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রায় ১৫০ টাকা।

বাংলাদেশের বিভিন্ন বাজারে গত শুক্রবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর গতকাল সোমবার বেড়ে দাঁড়ায় ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা পর্যন্ত।

ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারজুড়ে দাম কমতে শুরু করেছে মুরগির। মার্চের মাঝামাঝি কলকাতার বেশ কিছু বাজারে মুরগির কাটা মাংসের দাম কেজিতে ২৬০-২৭০ টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) ছিল। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে রাজ্যেটির উত্তর থেকে দক্ষিণের জেলাগুলোতে এই দাম নিম্নমুখী।

ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন-এর তথ্যে বলা হয়েছে, গত ৭ দিনে কেজিতে ৪০-৪৫ টাকা কমেছে পোল্ট্রি মুরগির মাংস। বর্তমানে কলকাতায় গোটা মুরগির মাংসের দাম প্রতি কেজিতে ১৩০-১৩৮ টাকা, কাটা মাংস ২১০-২১৫ টাকা কেজি। হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গোটা মুরগির মাংস প্রতি কেজিতে ১২২-১২৮ টাকা, কাটা মুরগি ২০৫-২১০ টাকা কেজি।

গতকাল সোমবার থেকে রাজ্যটির পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে গোটা মুরগির মাংস প্রতি কেজিতে ১১৬-১২৩ টাকা আর কাটা ১৯৫-২০০ টাকা কেজি। বাঁকুড়া আর পুরুলিয়ায় গোটা মুরগির দাম কেজিতে ১১২-১১৯ টাকা আর কাটা মাংসের দর ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি।

অন্যদিকে দেশটির বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দেওয়া আজকের তথ্যানুযায়ী, আজ মঙ্গলবার কর্ণাটক রাজ্যে চামড়াসহ প্রতি কেজি মুরগির মাংস ভারতীয় মুদ্রায় ১৯০ টাকা। অন্যদিকে দিল্লিতে গোটা মুরগির দাম ১৩০ টাকা। আসামে দাম ১৬০ টাকা। বিহার রাজ্যেও গোটা মুরগির দাম কেজি প্রতি ১৩০ টাকা। গুজরাটেও একই দামে কেজি প্রতি গোটা মুরগি পাওয়া যাচ্ছে আজ।


আরও খবর