নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতি দেশের মানুষের এখনো আস্থা রয়েছে মন্তব্য করে দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা জনগণের পক্ষে থাকবো। জনগণ যা চায়, আমরা তাই করবো। আমরা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির ওপর অত্যাচার, নিপীড়ন ও জেল-জুলুম করা হয়েছে। বারবার জাতীয় পার্টিকে বিভক্ত করা হয়েছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি এখনো টিকে আছে। দেশের মানুষের এখনো জাতীয় পার্টির প্রতি আস্থা রয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন, আমরা কারও বি-টিম। আমরা সবসময় দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছি। আমরা কখনোই কারও বি-টিম হতে কাজ করি না। কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতেও কাজ করি না। জাতীয় পার্টির রাজনীতি কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে নয়।
তিনি বলেন, ‘ভোটাররা বলছেন, আমরা ভোট দিতে পারবো তো? আমরা ভোট দিলে সেই ভোট গণনা হবে তো? নাকি আওয়ামী লীগ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে? এটাই এখন বাস্তবতা। এটা বুঝতে এখন খুব জ্ঞানী হতে হয় না। গ্রামের কৃষক থেকে রিকশাওয়ালা পর্যন্ত এ প্রশ্ন করছেন। যারা গণতন্ত্রের নামে বড় বড় কথা বলছেন, যারা মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলছেন, তারাই ভোটের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা সৃষ্টি করেছেন। রাজনীতি নিয়ে মানুষের মধ্যে বিতৃষ্ণা সৃষ্টি হয়েছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা জনগণের পক্ষে থাকবো। জনগণ যা চায়, আমরা তাই করবো। আমরা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো।
জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রমাণ করেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায়ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি জিতলে আওয়ামী লীগ বলে কারচুপি হয়েছে। আবার আওয়ামী লীগ জিতলে বিএনপি বলে ভোটে কারচুপি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান ব্যবস্থায় দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হলে ভোটের পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুর্নীতি ও দুঃশাসনে মানুষ বিরক্ত। দেশের মানুষ এখনো জাতীয় পার্টির প্রতি আস্থা রেখেছে। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকার সভাপতিত্বে ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ও সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য দেন জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির রাখেন সুমন আশরাফ, আবু সাঈদ স্বপন, আমিনুল হক সাইদুল, এম এ আসাদুজ্জামান মবিন, আবুল হাসনাত আজাদ, নাসির উদ্দিন হাওলাদার (নাসিম), আনিসুর রহমান বাবু, মো. রনি।
আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এমপি, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. আব্দুস সালাম, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হুমায়ুন খান, এমএ রাজ্জাক খান, মাসুদুর রহমান মাসুম, গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদ আলম, সমরেশ মণ্ডল মানিক। জাতীয় ছাত্র সমাজ এর সভাপতি আল মামুন, হকার্স পার্টির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু। স্বেচ্ছাসেবক পার্টির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দ মনিরুজ্জামান, লোকমান ভূঁইয়া রাজু, জাহিদুল ইসলাম, এসএম কিবরিয়া, শাহজাহান মিয়া, আজিজুল হুদা চৌধুরী সমুন, মাহবুবুর রহমান কামাল, ফয়সাল আহমেদ ভূঁইয়া, জাহাঙ্গীর আলম পাপ্পু, ওমর ফারুক টিটু, আলমগীর কবির মেম্বর, ফজলুল হক মাস্টার, শাকিব হাসান জয়, শিপলু নোমান চৌধুরী, মোঃ ইকবাল, কনক আহমেদ, খলিলুর রহমান বাবু, আলতাফ, নুরুজ্জামান, নাদিম, পলাশ প্রমুখ।