মুক্তার হোসেন,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃআগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহীর গোদগাড়ী উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে জেলা নির্বাচন অফিসার শাহিনুর ইসলাম প্রামানিক প্রতীক বরাদ্দ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। গোদাগাড়ী উপজেলায় থেকে ৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রতীক পেয়েছেন কাপ-পিরিচ। গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম এর প্রতিক-আনারস। উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগকৃত দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল এর প্রতিক- দোয়াত কলম। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক সুনন্দন দাস এর প্রতিক- মোটরসাইকেল। রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক সাজেদুর রহমান খান মার্কনি এর প্রতিক- ঘোড়া। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন ৪ জন। গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেনের প্রতীক- চশমা। উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম সরকার এর প্রতীক- তালা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সালমান ফিরোজ ফয়সাল এর প্রতীক- টিয়া পাখি, আদিবাসী নেতা হুরেন মুর্মু এর প্রতিক- টিবয়েল।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দি¦তা করছেন ২ জন। উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খাতুন মিলি এর প্রতক-প্রজাপতি। উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রীমতি কৃষ্ণা দেবী এর প্রতিক- ফুটবল। প্রতীক পেয়েই গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি ৫টি বছর উপজেলার পরিষদ সুষ্ঠ ভাবে চালিয়ে সরকারের সকল উন্নয়ন করেছি। সকল মানুষের সুখে দু:খে পাশে ছিলাম এবং আগমীতে আবারও জয়ী হয়ে জনগণের জন্য যা যা করা দরকার সেসব সেবা করার কথা জানান। আনারস প্রতীকের প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম বলেন, আগামীকাল থেকে ভোট প্রার্থীনায় জনগণের দ্বারে দ্বারে যাবো। এবারের নির্বাচনে সকলেই স্বতন্ত্র প্রার্থী আশাকরি দলীয় কোন প্রভাব থাকবে না। এতে আমাদের মধ্যে হিংসা বিবাদ থাকবে না। আমরা মনে করে সাধারণ মানুষকে ভোটমুখি করতে পারবো।
কোন প্রভাবশালী যদি বাধা-বিঘœ করে আমাদের তরফ থেকে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে চাইনা। এক্ষেত্রে মিডিয়া ও প্রশাসন দেখবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন নির্বাচন সুষ্ঠ হবে আর নির্বাচিত হতে পারলে সুষ্ঠভাবে উপজেলা পরিষদ চালানো ও সরকারি বরাদ্দ বিগত দিনে যা হয়েছে তার চেয়ে সুষ্ঠ ভাবে আমি করবো বলে জানান। দোয়াত কালি প্রতীকের প্রার্থী বেলাল উদ্দীন সোহেল জয়ে শতভাগ আশা ব্যক্ত করে বলেন, আমি স্মার্ট উপজেলা পরিষদ গড়ে তুলবো। এছাড়াও শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে অধিক গুরত্ব দেওয়ার কথা জানান এই প্রার্থী। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক সাজেদুর খান মার্কনী বলেন, আমি সারা জীবন বিএনপি করে এসেছি এবং তা ভবিষ্যতেও করতে চাই। আমি জনগণের সেবার উদ্দেশ্যে ভোট করতে চাই।