Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

গণতান্ত্রিক নির্বাচন রাজপথে শক্তি দেখিয়ে হবে না: সিইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৩৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে তাদের শক্তি দেখালে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ জন্য তিনি সব দলকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন সিইসি।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের বক্তব্যগুলো যদি গণমাধ্যমের মাধ্যমে তাদের (রাজনৈতিক দল) কাছে যায়, তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আছে তারাও একটু চিন্তা করবেন। রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে সুন্দর নির্বাচন হবে, এটা বিশ্বাস করি না। এখন সব দলই বলতে চাচ্ছে, রাজপথে দেখা হবে, রাজপথে শক্তি পরীক্ষা হবে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সিইসি হিসেবে আমি বলব রাজপথে শক্তি দেখিয়ে সত্যিকারের যে গণতান্ত্রিক নির্বাচন সেটা হবে না। আপনাদের নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচনের মাঠে নীতি বিধি অনুসারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।’

সিইসি বলেন, ‘আমি যেটার ওপর জোর দেব- সেটা হচ্ছে নির্বাচনে কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া গণতান্ত্রিক নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ পুলিশ দিয়ে আমি ব্যালেন্স তৈরি করব না। দলগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালেন্স তৈরি করবে। যদি তারা ভারসাম্য তৈরি না করেন তাহলে পুলিশ, মিলিটারি দিয়ে সব সময় নির্বাচনটাকে সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্যভাবে, আস্থাভাজন উঠিয়ে আনা সম্ভব হবে না।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘তিনজন সিনিয়র নেতা কয়েকদিন আগেও বলেছেন- আমি নাম বলব না, বড় দলের। তারা বলেছেন- রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ডায়ালগ অপরিহার্য। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি মোটাদাগে কিছু মতৈক্য না থাকে, একটা সুন্দর নির্বাচন তুলে দিতে পারবে না।’   

সিইসি বলেন, ‘অবশ্যই দলগুলোর সহায়তা লাগবে, একটা সমঝোতা লাগবে এবং সুন্দর নির্বাচন আয়োজনে একটা অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে এবং পদ্ধতিটা স্বচ্ছ হবে, তাহলেই নির্বাচনটা গ্রহণযোগ্য হবে।’


আরও খবর



ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৬ দিন বন্ধ সংবাদপত্র

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৬ দিনের ছুটি পেলেন সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরে। প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রতিবছর ২৯ রমজান থেকে ঈদে তিন দিনের ছুটি ভোগ করেন সংবাদকর্মীরা।

রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে এই ছুটি চার দিনে পরিণত হয়। সে হিসাবে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছুটি হওয়ার কথা। কিন্তু এবার ঈদের ছুটির এক দিন পর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় ফের সরকার নির্ধারিত ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম। এ জন্য ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

শনিবার (৬ এপ্রিল) নোয়াবের বৈঠক শেষে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। ফলে ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল টানা ৬ দিন ছুটি পাবেন সংবাদকর্মীরা।

জানা যায়, ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার বিষয়ে নোয়াবের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। তাছাড়া এদিন পত্রিকা প্রকাশ হলেও সংবাদপত্র বিপণন সংস্থা সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমুখী সমিতি তা বিপণনে অপারগতা জানিয়েছে। অন্যদিকে ঈদের ছুটির এক দিন পরই পহেলা বৈশাখের ছুটি থাকায় সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নও (ডিইউজে) নোয়াবের কাছে ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে।

এ বিষয়ে ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ঈদের ছুটি চিরাচরিত। একইভাবে পহেলা বৈশাখের ছুটিও। কিন্তু এবার ঈদের ছুটির এক দিন পরই পহেলা বৈশাখ। তাই সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা যাতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পান, সেই আবেদন আমরা নোয়াবের কাছে জানিয়েছি। এতে কর্মীদের কর্মস্পৃহা আরও বাড়বে। তা ছাড়া গণমাধ্যমে ছুটিও এমনিতে অনেক কম। আশা করছি, নোয়াব সংবাদকর্মীদের প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট হবে। তিনি জানান, ঈদের ছুটি ৬ দিন হলে এটি অনন্য রেকর্ড হবে। স্বাধীনতার পর আর কখনও সংবাদমাধ্যম ৬ দিন বন্ধ থাকেনি।

জানতে চাইলে নোয়াবের কোষাধ্যক্ষ মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, এবার ঈদের ছুটির মাঝে এক দিনের ব্যবধানে যেহেতু পহেলা বৈশাখ পড়েছে, তাই মাঝের এক দিন বিশেষ ছুটি দেওয়া যায় কিনা– তা নিয়ে নোয়াবে আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে বিয়ের ধুম

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:ঈদের ছুটিতে সৈয়দপুরে বিয়ের ধুম পড়েছে।এই ঈদে আত্মীয়স্বজনকে কাছে পাওয়ার সুযোগে দেড় শতাধিক বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা যায়।শহরের কমিউনিটি সেন্টার ও সংশ্লিষ্টজন বলছেন, রমজান মাসে মুসলিম পরিবারে বিয়ের বিধান নেই। কিন্তু ঈদের পরদিন শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার সৈয়দপুর উপজেলায় প্রায় শতাধিক বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবছরে এই ঈদে আত্মীয়স্বজন ও চাকরিজীবীরা এলাকায় অবস্থান করায় অনেকে বিয়ের জন্য এ সময়টিকে বেছে নিয়েছেন বলে জানান তারা। 

ঈদের ছুটিতে বিয়ের একাধিক অনুষ্ঠান থাকায় বেশি ঝামেলায় পড়েছেন ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরা। সৈয়দপুর শহরের পুরোনো মুন্সিপাড়ার ফকিরা ডেকোরেটরের মালিক সনু আহমেদ বলেন, ‘আমাদের এক দিনে তিন-চারটির বেশি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয়।  কিন্তু ঈদের পরদিন শুক্র, শনিবার ও রবিবার ১০টি বিয়ের আসর ও প্যান্ডেল সাজানোর অর্ডার পেয়েছি।

সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের হামুরহাট গ্রামের শাহাজাদা হোসেন বলেন, ‘মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে তিন দিন ঘুরেও ডেকোরেটর সামগ্রী ভাড়া পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় নিজেই কম দামে কাপড় কিনেছি। পরে সেটা দিয়ে কোনো রকমে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করেছি।’শহরের ইসলামবাগ এলাকার মাইক্রো বাসচালক কবির হোসেন বলেন, ‘আগামী বুধবার পর্যন্ত বিয়ের ভাড়া রিজার্ভ করা রয়েছে। যার বেশির ভাগ শহরের মধ্যে। একই দিনে তিন-চারটি বিয়ের আগাম ভাড়াও নেওয়া হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, শহরের ভাড়ার পাশাপাশি দিনাজপুর, রংপুরের ভাড়া রয়েছে। তবে ঈদের এ সময়ে বিনোদন কেন্দ্রের ভাড়ার চাহিদার জন্য বিয়ের অনুষ্ঠানের দ্বিগুণ মূল্যে ভাড়া নিতে হচ্ছে।’সৈয়দপুরের হোটেল মালিক মমিনুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘গত তিন দিনে তার হোটেলে অন্তত ৫০ জোড়া হবু বর-কনে পরিবারের মধ্যে দেখা ও আলোচনা হয়েছে। এর ফলে হোটেলে বেচাকেনা বেড়ে গেছে অনেক গুণ।’ 

সৈয়দপুর শহরের বিয়ে নিবন্ধনকারী (কাজি) সাইদুল ইসলাম জানান, আগে ধান কাটা শেষে বিয়ের মৌসুম শুরু হলেও লোকজন এখন সরকারি ছুটিতে ছেলেমেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নেয়। গত তিন দিনে ১০ টি বিয়ে নিবন্ধন করেছেন বলে জানান তিনি। 

নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ সিদ্দিকুল আলম বলেন, ‘ঈদের পর দিন থেকে ১৪ এপ্রিল রবিবার পর্যন্ত ৪০টির বেশি বিয়ের দাওয়াত পেয়েছি। একই দিনে একাধিক অনুষ্ঠান থাকায় দাওয়াত রক্ষা করাও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনপ্রতিনিধি হয়েছি তাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করছি।’

আরও খবর



ঈদের আগে স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়ল প্রায় ২ হাজার টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বর্ণের দাম ঈদের আগে বেড়ে ইতিহাস গড়েছে । ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকায়।

শনিবার (৬ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়ে যাওয়য় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৪ হাজার ৭৭০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৯৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত ২১ মার্চ সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা। যা ২২ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছিল।

চলতি বছর এ নিয়ে ৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

এদিকে, বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। প্রতিবেদন লেখার সময় স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম অবস্থান করছে ২ হাজার ৩২৯ দশমিক ২০ ডলারে। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম একদিনে ৩৮ দশমিক ৫০ ডলার বা ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে বিশ্ববাজারে কেনাবেচা চলছে।


আরও খবর



মান্দায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা: মামলা দায়ের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:নওগাঁর মান্দায় তুচ্ছ ঘটনায় এক সন্তানের জনক সাদেকুল ইসলাম ওরফে ছোটন (২৬) নামে এক যুবকের পিটিয়ে  হত্যার ঘটনায় অবশেষে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাক সোমবার (১৫ এপ্রিল) অভিযুক্ত সাগর হোসেনকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত কয়েক জনের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের বাদলঘাটা গ্রামে ঘটেছে।

নিহত সাদেকুল ইসলাম ছোটন বাদলঘাটা গ্রামের চা বিক্রেতা আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। রোববার রাত আড়াইটার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন তিনি । হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত সাগর হোসেন (৩০) একই গ্রামের হযরতুল্যাহ মন্ডলের ছেলে। ঘটনার পর থেকে সাগরের পরিবারের  সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন।স্থানীয়রা জানান,নিহতের বাবা একজন চা বিক্রেতা।তিনি চা বিক্রি করেই জীবন-যাপন করেন। তিনি গ্রামের একজন অসহায় মানুষ। এ কারণে প্রতিবেশি আশরাফ আলী’র ছেলে জামাল উদ্দিন নামে এক আ’লীগ নেতা তাকে দোকানঘর করার জন্য কিছু জমি দেয়। তার দেওয়া জমিতে দোকানঘর তৈরি করে চা- ব্যবসা করে আসছিলেন। আশরাফ আলীর ছেলে জামাল উদ্দিন গংদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে অভিযুক্ত সাগর গত (১১ এপ্রিল) শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাকের দোকান উচ্ছেদের জন্য ভাংচুর শুরু করেন। ওইসময় দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন নিহত ছোটন। এরই এক পর্যায়ে নিহত ছোটনের শরীরে একটি বাঁশের কাবাড়ি’র সজোরে আঘাত লাগে।  ওইসময় তিরি প্রতিবাদ করলে তার মাথায় কাঠের বাটাম (লাঠি) দিয়ে সজোরে আঘাত করে অভিযুক্ত সাগর । এতে ঘটনা স্থলেই মাটিতে লুটে পড়েন নিহত সাদেকুল ইসলাম ছোটন। পরবর্তীতে তাকে আরো একাধিক আঘাত করা হয় বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাৎক্ষণিকভাবে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে স্থানান্তর করার জন্য পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে রামেকে নেওয়ার পর তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মর্ডান ক্লিনিকে ভর্তি করিয়ে দেন। ঘটনার ৩ দিনপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন,এঘটনায় নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাক বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত সাগরকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



বিমানবন্দর এলাকায় নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন, দুর্ঘটনার আশংকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৬৭জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী)প্রতিনিধি:সৈয়দপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই রানওয়ের ৪০০ গজ উত্তরে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন। নুর ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি ওই ভবন নির্মাণ করলেও আইনি কোন পদক্ষেপই নিচ্ছেন না এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।  বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইল এলাকার মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি না থাকলেও শুধুমাত্র পৌর কর্তৃপক্ষের নকশা অনুমোদন নেয়ার কথা বলে নির্মাণ কাজ চলছে বহুতল ভবনের। এ নিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত বিমান কর্তৃপক্ষ। 

বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্ষা মৌসুমে বা আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটলে যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তায় বিপদসীমার অনেক নিচে দিয়ে ৪৫ ডিগ্রী এ্যাঙ্গেলে উড়ন্ত বিমান অবতরণ করা হয় বিমানবন্দরে। ওই সময় ঘন মেঘের কারণে বিমান পাইলট সামনের কোন উঁচু স্থাপনা বা টাওয়ার ভালোভাবে দেখতে পান না। যার ফলে পাইলট বারবার বিমান বন্দর টাওয়ারের কাছে জানতে চান অবতরণ বিমানের সামনে কোন বহুতল ভবন, টাওয়ার বা গাছপালা আছে কিনা। থাকলে সেখানে আঘাত লেগে বিমান ক্রাশের সম্ভাবনা থাকে শতভাগ। এ কারণে শুধুমাত্র বিমান ক্রাশের ভয়েই বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে কোন প্রকার বহুতল ভবন বা টাওয়ার স্থাপনে অনুমতি দেয়া হয় না। বিমান ও যাত্রীদের নিরপত্তায় ওই নির্দেশনা দেয়া না হলেও সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উত্তর পার্শে সহ কয়েক স্হানে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিমানবন্দর রানওযের উত্তর পার্শে ৪০০ ফিট্ এর মধ্যে নুর ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি সিভিল অ্যাভিয়েশন এর আইনকে তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেছেছেন। বিমান কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও পোরসভার নকশা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন কারো অনুমতির দরকার নাই।ভবনটি নির্মানের জন্য উপর মহলের নির্দেশ রয়েছে। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা  সৈয়দপুরে দালানকোঠা বা বহুতল ভবন  নির্মাণ হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইল এলাকা বাদ দিয়ে নির্মাণের জোর তাগিদ দেয়া হলেও তা মানছেন না নুর ইসলাম নামের ওই ব্যাক্তি সহ অনেকেই। 

জানা,গেছে,সৈয়দপুর বিমানবন্দরের পূর্বপাশে সেনাসিবাস, উত্তর ও পশ্চিম পাশে পৌর এলাকা এবং দক্ষিণ পাশে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন। বিধি অনুযায়ী ২৫ নটিকেল মাইল এলাকা বাদ দিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য সৈয়দপুর পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে সিভিল এ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। ওই চিঠির জবাবে সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আখতার হোসেন বাদল ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুসা উদ্দিন বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণের নকশা পাশ করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন বলে জানা যায় । এছাড়াও যদি কোন ভবনের কারণে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে বা সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ওইসব বহুতল ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তারা। কিন্তু তারা মারা যাওয়ার পর তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতির কোন কাজই হচ্ছেনা। বর্তমান পৌর পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ কোন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ার কারনে বিমান উঠানামায় আতংকের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা যায়।সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক শুপ্লব কুমার ঘোষ জানান,বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি আঞ্চলিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত রয়েছে । বর্তমানে এ বিমানবন্দরে প্রতিদিন বাংলাদেশ বিমান,ও ইউএস-বাংলার বিমান চলাচল করছে। যাত্রীসেবাও দেওয়া হচ্ছে শতভাগ। কিন্তু বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে উঁচু ভবন থাকায় আতঙ্কে রয়েছে বিমানের পাইলটরা। তিনি বলেন নুর ইসলাম নামের ওই ব্যাক্তিকে রানওয়ে সংলগ্ন ভবন নির্মাণের কোন প্রকার অনুমতি দেয়া হয় নি। অবতরণে আতঙ্কিত ভবনগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পৌর কর্তৃপক্ষ ও সিভিল এ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্শন করেন তিনি । 

সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি বলেন, নিরাপদে বিমান চলাচলের স্বার্থে রানওয়ে সংলগ্ন বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য কোন নকশা পাস করা হয় নি। যারা রানওয়ের আশপাশ এলাকার বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন তারা এক প্রকার গায়ের জোরেই করছেন। রানওয়ের আশপাশ এলাকার সকল অবৈধ বহুতল ভবন গুড়িয়ে দিতে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।


আরও খবর