Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবাজার বিপণিবিতানের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের কোনো আরোহী বেঁচে নেই ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে রাশিয়া সুনামগঞ্জের ২৮৫ কৃষি উদ্যোক্তা পেলেন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ‘প্লাটিনাম’ গ্রেডে লিড সার্টিফিকেট পেলো নিপা গ্রুপের ২ সহ প্রতিষ্ঠান

গলাচিপায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই চিকিৎসককে লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৭৮জন দেখেছেন

Image

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর গলাচিপায় ডাক্তারি চিকিৎসার সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়ার অপরাধে দুই চিকিৎসককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১টার দিকে পৌর শহরের থানা মসজিদ সড়কের নিউ ডেন্টালের সত্ত্বাধিকারী সমীর বিশ্বাসকে (৪২) পঞ্চাশ হাজার ও গাজী মেডিকেল হলের সত্ত্বাধিকারী মো. জসীম উদ্দিনকে (৫৫) পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রাকিব হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তরিকুল ইসলাম ও উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শুভংকর দেবনাথ। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৫২ ধারায় সমীর বিশ্বাস ও জসীম উদ্দিন এদের প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার করে মোট এক লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



বিশ্বকবির ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখের এই দিনে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

বাঙালির আত্মিক মুক্তি ও সার্বিক স্বনির্ভরতার প্রতীক, বাংলাভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের নায়ক তিনি। তার লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অনেক কবিতা ও গান ছিল সীমাহীন প্রেরণা উৎস।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে তার গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। কবির গান-কবিতা, বাণী এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস যোগায়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শুধু নয়, চিরকালই কবির রচনাগুলো প্রাণের সঞ্চার করে। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ নোবেল বিজয়ী এই বাঙালি কবিকে স্মরণ করবেন তার অগণিত ভক্তরা। শুধু দুই বাংলার বাঙালিই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষাভাষী কবির জন্মবার্ষিকীর দিবসটি পালন করবে হৃদয় উৎসারিত আবেগ ও শ্রদ্ধায়।

বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার পতিসরে, কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে। এ উপলক্ষে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

কবি গুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বেলা ১১টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ছায়ানটের রবীন্দ্র-উৎসব ২৫ ও ২৬ বৈশাখ (৮ ও ৯ মে) ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। দুইদিনব্যাপী এই উৎসবে পরিবেশিত হবে একক ও সম্মেলক গান, নৃত্য, পাঠ-আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিল্পী ছাড়াও আমন্ত্রিত শিল্পী ও দল অংশ নেবেন। ছায়ানট মিলনায়তনে আয়োজিত এই উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস ফের অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। মেগাসিটি ঢাকাও দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। তবে কয়েক দিনের তীব্র গরমের মধ্যে ঢাকার বাতাস ফের অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৩০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। আগের দিন রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে ৯২ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ২০ নম্বরে ছিল শহরটি। তার আগের দিন শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ১২১ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় দশম অবস্থানে ছিল ঢাকা। এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৭৯ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। এ ছাড়া ১৬২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের শহর চিয়াং মাই, ১৬০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীনের রাজধানী বেইজিং এবং চতুর্থ অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কোর ১৫৫। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



সরগরম তানোরের নির্বাচনী মাঠ, এগিয়ে ময়না

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:তীব্র তাপদহে প্রার্থীদের দিনরাত প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার নির্বাচনী মাঠ। আগামী ৮ মে বুধবার প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে তানোর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ। তবে সকাল ১১ টা থেকে বিকেল তিন টা পর্যন্ত প্রচন্ড তাপদহের কারনে প্রার্থীরা প্রচারণা তেমন ভাবে করছেন না। কিন্তু শেষ বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীন প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলেও ভোটারদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ নেই বললেই চলে। কারন ভোটে ক্ষমতা সীন দলের একাধিক  নেতারাই প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপি ও জামায়াত ভোটে অংশগ্রহণ না করার কারনেই তেমন একটা আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আবার তীব্র গরম ও বোরো ধান কাটা মাড়ায় চলছে ভরদমে।
জানা গেছে, গত নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করে প্রথমবারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করার কারনে ক্ষমতা সীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে উন্মুক্ত করে দেন ভোটের মাঠ ।। এরই প্রেক্ষিতে এবারে দলীয় প্রতীক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।  আগামী ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপে তানোর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি  লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে নিয়ে ভোট করছেন। ময়না বিগত ২০১১ সালে উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে উপজেলা বাসীকে তাক লাগিয়ে দেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনগণের মাঝে নির্বিঘ্নে সেবা প্রদান করার কারনে ২০১৬ সালে পুনরায় কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে ২০১৯ সালে তার রাজনৈতিক ও সামাজিক দক্ষতার কারনে দলীয় প্রতীক নৌকা প্রতীক পেয়ে প্রথম বারের মত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

দলীয় নেতাকর্মী জানান, লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত সৈনিক। বিগত স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে কখনো নৌকার বিরুদ্ধে বা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নি। যার কারনে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। 

বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তালন্দ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, আমি তালন্দ ইউনিয়নের দায়িত্বে আছি। ইউপির প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ করেছি। দলমত নির্বিশেষে সবাই কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিতে মরিয়া হয়ে আছেন। সবার মাঝে ময়নার আলাদা গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। আসা করছি ময়নার কাপ পিরিচ প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবে।
সিনিয়র একাধিক নেতারা জানান, তানোরে আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের মুলেই আব্দুল্লাহ আল মামুন। সে সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিগত ২০০৯ সালে প্রথম উপজেলা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দল থেকে ওই সময়ের উপজেলা সভাপতি গোলাম রাব্বানী কে চেয়ারম্যান পদে  মনোনায়ন দেয়া হয়। কিন্তু তাকে পরাজিত করতে আব্দুল্লাহ আল মামুন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে রাব্বানীর পরাজয় নিশ্চিত করেন। এভাবেই মামুন দলে ভাঙ্গন সৃষ্টি করেছেন। এখন পদ পদবি হারিয়ে এবার উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। অথচ মামুন কে তানোরের মাটিতে দেখায় যায় না। যারা গত জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করেছিলেন তারাও ভুল বুঝতে পেরে ময়নার কাপ পিরিচ কে সমর্থন জানিয়ে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। তাহলে বুঝতে হবে মামুনের গ্রহণ যোগ্য তা কতটুকু। 

কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, আমি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কারন আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে ভোটের মাঠে জোরালো ভূমিকা পালন করছেন। মুলত একারনেই আশা করা যায় বিজয়ের ব্যাপারে। তবে কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে উপজেলার আপামর জনতা কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয় করবেন।আব্দুল্লাহ আল মামুন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তিনিও বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। 

এছাড়াও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তার মধ্যে একজন সোহেল রানা। তার বাড়ি তানোর পৌরসভার হরিদেবপুর গ্রামে। সে পৌর মেয়র ইমরুল হকের ছোট ভাই। রানা বিগত ২০১৯ সালে চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট করে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি এবারের নির্বাচনে তালা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কলমা ইউপির সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তানভীর রেজা। তার বাড়ি কলমা ইউপির আজিজপুর গ্রামে। তিনি প্রথম বারের মত চমশা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

এদিকে মহিলা  ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি সোনিয়া সরদার। সে গত ২০১৯ সালে কলস প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারো তিনি কলস প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী যুব মহিলা লীগ সভাপতি সাগরী ভৌমিক। তিনি ফ্যান প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। নাসিমা নামের আরেক জন সেলাই মেশিন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

আরও খবর



সিরাজগঞ্জে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৩জন দেখেছেন

Image
রাকিবুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারীপক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনা সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
রবিবার (১৯ মে) সকালে এস.এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি)  সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভা শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস। 

মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস তিনি বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা,নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার,নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়। একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।এসময়ে উপস্থিত ছিলেন,কামরুন নাহার,  ফেরদৌসী আখতার,পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি। 

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,বেসরকারি চ্যানেল ২৪ এর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক হীরক গুণ,এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না,প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক যমুনা প্রবাহ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার নওশাদ আহমেদ,দৈনিক বিপ্লবী সময়  পাবনা জেলা প্রতিনিধি সাবেক বার্তা সম্পাদক এম.এ ছালাম, দীপ্ত টিভি পাবনা  জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম, দৈনিক বিবৃতি পাবনা নির্বাহী সম্পাদক কাজী বাবলাসহ সিরাজগঞ্জ ও পাবনা গণমাধ্যম কর্মী বৃন্দ ।

আরও খবর



মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮১জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে :২১ মে দ্বিতীয় ধাপে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহন। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠছে প্রচার প্রচারনা। ৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে কে হচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান তা নিয়ে চলছে চু্লচেরা বিশ্লেষন। শেষ মুহুর্তে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেযারম্যান প্রার্থী প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।  

প্রচন্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে তারা ছুঁটছেন গ্রাম-গ্রামান্তরে, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। 
নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসব প্রার্থীগণ ভোট প্রার্থণা করছেন।সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা উঠোন বৈঠকসহ প্রচার প্রচারনায় কাজ করে যাচ্ছেন।তফসিল অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে এই  উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে।গত ২ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহণ করছেন ৭ জন। তাদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান (আনারস) কর্মী-সমর্থক নিয়ে ভোটের মাঠে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জীবনের শেষ সময়ে জনগনের সমর্থন চেয়ে বক্তব্য রাখছেন।প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম হান্নান হেলিকপ্টার মার্কা নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন বেশ আগে থেকেই।তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা নন। 

জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কবিরুজ্জামান কবির শালিক মার্কা নিয়ে নিয়ে নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়েছেন। নির্বাচনে  উপজেলায়  নতুন হিসেবে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।  তারপক্ষে স্থানীয় অনেক দাপুটে লোক কাজ করছেন। তবে কতদুর আগাতে পারবে তা নিয়ে অনেকই সন্ধিহান।উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছা. বেবী নাজনীন কাপ-পিরিচ মার্কা নিয়ে ভোটের মাঠে ব্যাপক সময় দিচ্ছেন। উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি থাকলেও চেয়ারম্যান নির্বাচনে কতটা সাফল্য আনতে পারবেন তা নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে। বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহেল কাফী দোয়াত কলম, দীঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর সাদিক ঘোড়া এবং যুবলীগ নেতা কাজী আনিসুর রহমান তৈমুর মোটর সাইকেল মার্কা নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ভোট প্রার্থণা করছেন। তবে তাদের তেমন জোরে শোরে ভোটরে মাঠে তেমন দেখা যাচ্ছেনা।গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন চেয়ারম্যান পদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম তারা এবং শেখ ফরিদুজ্জামান।বর্তমানে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন ৭ প্রার্থী।নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীরা ততই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। নাওয়া-খাওয়া, ঘুম ও প্রচন্ড খরা উপেক্ষা করে প্রার্থীরা ছুঁটছেন হাট-বাজারে, চায়ের দোকানে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, ভোটারদের ঘরে ঘরে।এরই মধ্যে পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে গোটা উপজেলা।দুপুর দুইটা বাজতেই শুরু হয়ে যাচ্ছে মাইকে প্রচারণা। নানান ধরনের সুরে, প্রার্থীদের প্রতীক ও নামে বানানো হয়েছে গান। সেই গান বাজিয়ে ভোট চাওয়া হচ্ছে। 

উল্লেখ্য যে এই উপজেলায় মোট ৮ টি ইউনিয়ন রয়েছে।ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৮২ হাজার।এলাকার ভোটারদের অভিমতে দুই প্রার্থীর মধ্যে মূল লড়াইটা হবে আশা করা যাচ্ছে। তারা হলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো: কবিরজ্জামান কবির  শালিক পাখি মার্কা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. আব্দুল মান্নান আনারস মার্কা তাদের পক্ষে ব্যপক জনমত দেখা যাচ্ছে। তবে কে হচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান তা নিশ্চিত বলা যাচ্ছেনা।

আরও খবর