Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

গলাচিপায় আবুল হোসেনকে গণসংবর্ধনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৩৫জন দেখেছেন

Image

গলাচিপা, পটুয়াখালী প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর গলাচিপায় সাবেক রাস্ট্রপতির সামরিক সচিব এবং বিজিবি’র মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবুল হোসেনকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় পৌরমঞ্চে গলাচিপা উপজেলার সর্বস্তরের জনতা তাঁকে এ সংবর্ধনা দেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাধারণ জনতার উদ্দেশ্যে আবুল হোসেন বলেন, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। সমগ্র বিশ^কে তাক লাগিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করতে শেখ হাসিনার সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের প্রতন্ত অঞ্চলে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত ও তথ্য প্রযুক্তিসম্পন্ন এক স্মার্ট বাংলাদেশ। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল চৌধুরী, পানপট্টি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম, উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. নুরুল ইসলাম ধলা, পানপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মেলকার, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক মু. মামুন আজাদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন, পটুয়াখালী জেলা বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মু. মামুন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মু. তারিকুর রহমান জাফর প্রমুখ।

এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক সেনা কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানূষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

গলাচিপায় বকনা বাছুর বিতরণ

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




রাণীশংকৈলে বিষ খাওয়ার পর গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার মীরডাঙ্গীএলাকার একটি আমবাগানে শুক্রবার ১০ মে  কীটনাশক খেয়ে আম গাছের ডালে গলায় ফাঁস দিয়ে সকিন রাম (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।  মৃত সকিন রাম উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের রাঘবপুর গ্রামের শ্রী মংলু রামের ছেলে। রাণীশংকৈল থানার ওসি সোহেল রানা এ ঘটনা নিশ্চিত করেন। 

পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে সকিন রায় তাদের বাড়ির পাশে মরিচ ক্ষেতে কাজ করছিলেন।পরে তিনি নেকমরদ যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে
মীরডাঙ্গী এলাকায় অধ্যাপক সফিকুল ইসলামের আমবাগানে এসে এ ঘটনা ঘটায়। জুম্মার নামাজের সময় তার ভাই মীরডাঙ্গী এলাকায় সকিনকে খোজাখুজি করে। এক পর্যায়ে আমবাগানে চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন আমবাগানে গিয়ে সকিনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে ওসি সোহেল রানা আরো জানান মৃতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।এনিয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

আরও খবর



মহান মে দিবস, বঙ্গবন্ধু ও শ্রমিক অধিকার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ॥১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, যা বিশ্ব পরিমন্ডলে ‘মহান মে দিবস’ বা শ্রমিক দিবস হিসেবে গুরুত্বসহকারে পালন করা হয়। বিশ্বের শ্রমজীবী-কর্মজীবী, পেশাজীবী, মেহনতি মানুষের ঐক্য, সংহতি, সংগ্রাম, সাফল্য ও বিজয়ের দিন মহান মে দিবস। মে দিবস এলেই আমাদের সামনে ভেসে ওঠে ঘর্মাক্ত মেহনতি-শ্রমজীবী মানুষের প্রতিচ্ছবি। আর এই শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের প্রশ্নটিও সাথে সাথে উঠে আসে এই ঐতিহাসিক দিনে। এই দিবসের তাৎপর্য অনেক, এর পেছনে রয়েছে একটি রক্তস্নাত ইতিহাস। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে আট ঘণ্টা শ্রম দিবস, মজুরী বৃদ্ধি, কাজের উন্নতর পরিবেশ ও শ্রমের ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলনে আত্মহুতি দান করেছিলেন শ্রমিকরা, ১ মে তারিখে বিভিন্ন দাবিতে ধর্মঘট সমাবেশে পুলিশের গুলি বর্ষণে ৬ জন শ্রমিক প্রাণ হারায়। এর প্রতিবাদে পরদিন হে মার্কেটে শ্রমিকরা মিলিত হলে কারখানার মালিকরা সেখানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং এতে ৪ শ্রমিক নিহত হয়। শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলন করার দায়ে অগস্ট স্পাইস নামে এক শ্রমিক নেতাকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যালিষ্ট কংগ্রেসে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষিত হয় এবং তখন থেকে অনেক দেশে দিনটি শ্রমিক শ্রেণী কর্তৃক উদযাপিত হয়ে আসছে।

রাশিয়া এবং পরবর্তীতে আরো কয়েকটি দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংগঠিত হবার পর মে দিবস এক বিশেষ তাৎপর্য অর্জন করে। জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শাখা হিসেবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল লেবার অরগানাইজেশন বা আইএলও) প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার সমূহ স্বীকৃতি লাভ করে। আইএলও কতগুলো নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠা করে এবং সকল দেশের শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের তা মেনে চলার আহ্বান জানায় এবং এভাবে শ্রমিক ও মালিকদের অধিকার সংরক্ষণ করার চেষ্টা করে। বাংলাদেশ আইএলও কর্তৃক প্রণীত নীতিমালায় স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। বাংলাদেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে মে দিবস পালিত হয়ে আসছে।
রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, বিরোধীদলীয় নেতা এবং সংশ্লিষ্ট শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বাণী দিয়ে থাকেন। মে দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্যে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র বা প্রবন্ধ কিংবা বিশেষ নিবন্ধন প্রকাশ করে। মাথায় রঙ-বেরঙের কাপড় বেধে নানা রঙের ফেস্টুনসহ শ্রমিকরা মিছিল শোভাযাত্রা বের করে, বেতার ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠানাদির ব্যবস্থা করে। বাংলাদেশে বিভিন্ন পেশাজীবী, শ্রমজীবী এবং সামাজিক -সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো নানা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকে। দেশের সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এই সকল সভা-সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের খবর গুরুত্বসহকারে প্রচার করে থাকে। বাংলাদেশ মে দিবস পালনের ক্ষেত্রে মোটেও পিছিয়ে নেই। এ দেশে ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৩৮ সালে নারায়ণগঞ্জে প্রথম মে দিবস পালিত হয়। তারপর পাকিস্তান আমলেও মে দিবস যথেষ্ট উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে হাজার হাজার শ্রমিক অংশগ্রহণ করে এবং দেশ মাতৃকার জন্যে শহীদ হয়।

১৯৭২ সালে ১ মে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১ মে-কে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা সহ রাষ্ট্রপতি আদেশ ২৭(ক) ধারা মোতাবেক এদেশের সকল ব্যাংক, বীমা, শিল্প- কলকারখানা, রেল, নৌ-পরিবহনসহ  বৈদেশিক বাণিজ্যের সিংহভাগ রাষ্ট্রায়ত্ব ঘোষণা করেন। ফলে এর সুফলও ঐ সকল শিল্প কলকারখানায় কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীগণ ভোগ করতে থাকেন। সরকার নীট মুনাফার ৫% শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে সমহারে বন্টনের ঘোষণা দেয়, ফলে বেশ কিছু শিল্পে উৎপাদন ও মুনাফা যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের পর জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ১৯৭৭সালে প্রথম পাকিস্তানী অবাঙালিদের রেখে যাওয়া কিছু কিছু শিল্প কলকারখানা ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়া শুরু করেন, পরবর্তীতে জেনারেল এরশাদ ও বেগম খালেদা জিয়ার সরকার কম-বেশী সবাই ব্যক্তি মালিকানায় মিল কলকারখানা হস্তান্তর করেন। আটের দশকের শেষের দিকে পূর্ব-ইউরোপে সমাজতন্ত্রের পতনের পর তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো অতিদ্রুত সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক কর্মসূচী পরিত্যাগ করে বাজার অর্থনীতি তথা মুক্তবাজার অর্থনীতি রাষ্ট্রীয় পলিসি হিসেবে ঘোষণা করেন।

এই সব কারণে একদিকে যেমন শোষণ- নির্যাতন বেড়েছে অপর দিকে ব্যক্তির লুটপাটে পানির দামে ক্রয়কৃত চালু মিল কলকারখানাগুলো একে একে বন্ধ হয়ে গেছে। দেশ আজ আমদানি নির্ভর একটি সিন্ডিকেট চক্রের হাতে জিম্মি । বাংলাদেশে আজ শ্রমিকদের অবস্থা খুবই নাজুক । নারী-পুরুষের মুজুরী  বৈষম্যতো আছেই, এছাড়াও প্রায় সকল সেক্টরে ৮ ঘন্টার বেশী শ্রম দিতে হয়। হোটেল- রেস্তোরায় ও পরিবহন সেক্টরে ভোর ৬ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত শ্রমিক খাটানো হয়, তারপরও নেই কোন নিয়োগপত্র, নেই কোন মজুরী কাঠামো, নেই কোন উৎসব ভাতা কিংবা চিকিৎসাভাতা, এই সব সেক্টরে অধিকাংশ শিশু শ্রমিক নিয়োজিত আছে। দেশের তৈরী পোশাকশিল্প , চাউলের কল, চাতাল, চিংড়ী ঘের ও কৃষি কাজে হাজার হাজার নারী ও পুরুষ শ্রমিক কর্মরত আছে। এখানেও তাদের নেই কোন মজুরী কাঠামো বা নির্ধারিত শ্রম ঘন্টা অথবা কর্মের উপযুক্ত পরিবেশ, এমনকি শ্রমিকদের নেই নিজের জীবনের নূন্যতম নিরাপত্তা, অথচ তাঁরাই নিজের শ্রম দিয়ে, ঘাম দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা চালু রেখেছেন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে শ্রমিক হত্যাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ১,৫০০ শ্রমিক নিহত এবং দুইসহস্রাধিক শ্রমিক আহত হয়ে পঙ্গুবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। বাহ্যিকভাবে এটি দুর্ঘটনা। একটি ভবন ধসে লোক হতাহত হয়েছেন।

আসলে এটা কি শুধুই দুর্ঘটনা? কথিত দুর্ঘটনার আগের দিন ভবনটিতে ভয়াবহ ফাটল দেখা যায়। লোকজন ভবন ছেড়ে চলে যায়। পরের দিন ভবনে অবস্থিত কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দুর্ঘটনার আশংকায় খোলেনি। সেখানে গার্মেন্টস শিল্পে কাজ করার জন্যে প্রায় ৪ হাজার শ্রমিককে চাকরির ভয়ভীতি দেখিয়ে ঐ ভবনের ভেতরে নেয়া হয়। তারপর এই দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভবনটি বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করে সিলগালা করে বন্ধ করতে অসুবিধা কোথায় ছিল? ভবনটি নির্মাণে রাজউকের কোন অনুমোদন ছিল না। ভবন মালিক পৌরসভা থেকে ছয় তলা করার অনুমোদন নিয়ে, সেখানে নয় তলা ভবন তৈরী করলো কিভাবে? এই ভবন ধসের বিষয়টি মানবসৃষ্ট, কাজেই এই বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি নিছক দুর্ঘটনা নয়, ইহা হত্যাকান্ড। ফলে ভবন মালিক সোহেল রানাসহ দায়ী সব পোশাক শিল্পের মালিকদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে শ্রমিক হত্যার জন্য দায়ী পোশাক শিল্পের মালিকদের বাঁচানোর যে চেষ্টা অতীতে বিজিএমইএ করে এসেছে, তা থেকে তারা সরে আসবে বলে আশা করছি। দেশের তৈরী পোশাকশিল্প খাতকে বাঁচানোর স্বার্থেই এটা করতে হবে।কর্মস্থলে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রানা প্লাজা হতাহত শ্রমিকদের অনেকেই আজও তাদের ক্ষতিপূরণ পায়নি।

এমনকি নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা শত চেষ্টা করেও খোঁজ কিংবা নিহত শ্রমিকের লাশও পায়নি। এই ভবন ধসের ঘটনার অভিজ্ঞতা নিয়ে অনুরূপ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি অন্যান্য কারখানায় না ঘটে সেরকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি।

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম-আন্দোলনে বাংলাদেশের শ্রমিকদের আত্মত্যাগ ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে। বাংলাদেশের শ্রমক্ষেত্রে যত আইন, নীতি, বিধি-বিধান ও নীতিমালা রয়েছে তা মূলত দেশের শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা তথা শ্রমক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা  ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমিজীবী মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশী। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে শ্রমিকদের একাগ্রতা ও শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক সুসম্পর্ক অপরিহার্য। টেকসই উন্নয়ন ও শিল্প-বাণিজ্য খাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও তাদের ন্যায্য অধিকারসমূহ নিশ্চিত করতে হবে।


আরও খবর



ঢাকাসহ দেশের ১৬ জেলায় ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১২৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঢাকাসহ দেশের ১৬ জেলার ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে ।

বুধবার (৮ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবিরের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তিভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।


আরও খবর



ভোট কেন্দ্রের রেজাল্টসিটে কোন রকম ঘষামাজা করবেন না: জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (১০ মে) ডিগ্রি কলেজ হলরুমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন,যে কোন নির্বাচনকে ছোট করে দেখা যাবেনা। মনে করেন একটি ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন হচ্ছে সেটিও কিন্তু একটি নির্বাচন। তিনি আরো বলেন,রেজাল্টসিটে কোন রকম ঘষামাজা করবেন না। রেজাল্টসিটে স্বাক্ষর করার ৫৯ মিনিট পূর্বে ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করবেন। ভোট একবার গণনা করবেন ২য় বার করতে গেলে কেয়ামত পর্যন্ত গণনা করতে হতে পারে। সরল বিশ্বাসে যে কোন কাজ করা যাবেনা কারণ জিতলে প্রার্থীর ক্রেডিট, হারলে প্রিজাইডিং অফিসারের দোষ।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ও রিটার্নিং অফিসার সোলেমান আলী’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক, জেলা নির্বাচন অফিসার মঞ্জুরুল হাসান।  ইউএনও রকিবুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান আসাদ,ওসি সোহেল রানা, নির্বাচন কর্মকর্তা আনাম আহাম্মেদ প্রমুখ। 

উল্লেখ্য উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে এ নির্বাচনে  ৬৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার,  সহকারী  প্রিজাইডিং অফিসার ৫৫২ এবং  পোলিং এজেন্ট ১০১০ জন দায়িত্ব পালন করবেন।

আরও খবর



কৃষকদের জলবায়ু-সহিষ্ণু করে তুলতে একসাথে কাজ করবে আইফার্মার ও উইনরক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আইফার্মার লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে গত ০৮ মে আইফার্মার লিমিটেড ও উইনরক ইন্টারন্যাশনালের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের অর্থায়নে পরিচালিত বি-পিইএমএস অগ্রযাত্রা ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রকল্পে নিবিড়ভাবে কাজ করার লক্ষ্যে দুই পক্ষ এ চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই অংশীদারিত্ব ক্লাইমেট-স্মার্ট চাষাবাদ অনুশীলনে তথ্য, কৃষি উপকরণ ও বিশেষায়িত আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে কৃষি ও অ্যাকুয়াকালচার এই দুই ক্ষেত্রেই কৃষকদের জন্য সমৃদ্ধ নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে।

আইফার্মার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ফাহাদ ইফাজ ও উইনরক ইন্টারন্যাশনালের বি-পিইএমএস অগ্রযাত্রা ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক নাসির চৌধুরী এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন – উইনরকের ক্লাইমেট চেঞ্জ সিনিয়র টেকনিক্যাল লিড জাকিয়া নাজনিন, লাইভলিহুডস অ্যান্ড স্কিলস ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট লায়েল মো. জহিরুল ইসলাম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড নলেজ ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট নুসরাত খান, আইফার্মারের ভিপি অব ফিল্ড অপারেশন ফরহাদ জুলফিকার  রাফেল ও হেড অব ফার্মার ফাইন্যান্সিং অপারেশনস কল্লোল কুমার রায়। দুই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য  কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর দেব কুমার নাথ, ইমপ্যাক্ট অ্যানালিস্ট মোহাম্মদ আদিব শরীফ এবং মার্কেটিং ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল অ্যাক্টিভেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মায়েশা বিনতে মাহবুব।

১১টি জেলার কৃষি ও মৎস্যজীবী পরিবারকে আরও বেশি জলবায়ু-সহিষ্ণু করে তুলতে সহায়তা করার ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন ও মানব পাচারের ওপর প্রভাব নিয়ে কাজ করাই উইনরক ইন্টারন্যাশনালের বি-পিইএমএস অগ্রযাত্রা ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রকল্পের লক্ষ্য। নীতি ও কাঠামোগত ফলাফলগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারের সাথেও কাজ করবে প্রকল্পটি। আইফার্মারের সাথে এই অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণের ৫টি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জেলায় জলবায়ু-সহিষ্ণু কৃষি ও অ্যাকুয়াকালচারকে এগিয়ে নিয়ে  যাওয়া।

সমন্বিত কৃষি-অর্থায়ন, কৃষি উপকরণের ক্ষেত্রে পরামর্শ ও জলবায়ু-সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতে বীমার ওপর গুরুত্বারোপ করে আইফার্মারের প্রধান নির্বাহী ফাহাদ ইফাজ বলেন, “উইনরক ইন্টারন্যাশনালের সাথে এই অংশীদারিত্ব ক্লাইমেট-স্মার্ট কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত আমাদের লক্ষ্যপূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”এ বিষয়ে বি-পিইএমএস অগ্রযাত্রা ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক নাসির চৌধুরী বলেন,“এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা আরও বেশি জলবায়ু-সহিষ্ণু করে তোলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপ্রবণ মানুষদের সাথে গভীরভাবে কাজ করার সুযোগ পাবো।”

প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে এমন সব স্থানে স্থাপন করা হবে আইফার্মার সেন্টার; যেখান থেকে কৃষকরা প্রয়োজনীয় সবরকম সহযোগিতা পাবেন। এই সহযোগিতা জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ কৃষক জনগোষ্ঠীর মাঝে আনুষ্ঠানিক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ুগত অনিশ্চিত পরিস্থিতির ক্ষেত্রে সহিষ্ণুতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর