Logo
আজঃ বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ ভালো হচ্ছে: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ ভালো হচ্ছে, কোনো অনিয়মের তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। এ সময় মার্কিন নতুন ভিসা নীতির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না বলেও জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার সিসিটিভিতে আড়াই ঘণ্টা ভোট মনিটরিংয়ের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখছি শৃঙ্খলার সঙ্গেই ভোট হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যারা আছেন এবং নির্বাচন কমিশন থেকে পর্যবেক্ষক হিসেবে যাদের পাঠানো হয়েছে তাদের কাছ থেকে আমরা যে রিপোর্ট পেয়েছি তাতে এই যে আড়াই ঘণ্টা যাবৎ ভোট হচ্ছে ভালোভাবেই ভোট হচ্ছে। খারাপ কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি।

ইভিএম ও সিসিটিভি ক্যামেরা কাজ না করার বিষয় জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ইভিএম যেহেতু একটি মেশিন মাঝে মাঝে এটা অকার্যকর হয়ে পড়ে। এটা হতেই পারে। সঙ্গে সঙ্গে সেটা ঠিক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৫-১০ মিনিট পরে আবার সবাই ভোট দিতে পারছে।

তিনি আরও বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে কিছু কেন্দ্রে ক্যামেরা আছে কিন্তু ইন্টারনেট না থাকার কারণে আমরা ঢাকা থেকে দেখতে পাচ্ছি না। তবে সেগুলোতে রেকর্ডিং হচ্ছে। ভিডিও ফুটেজ আমাদের হার্ডডিস্কে থাকছে।

অনেক কেন্দ্রেই মেয়র প্রার্থী জায়েদার পোলিং এজেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, ‘এ বিষয়ে তো উনি কোনো অভিযোগ করেননি। না থাকলে সেটা তো তার অভিযোগ করা উচিত ছিল। তাদের সঙ্গে আমরা যখন মিটিং করেছি তখন বলেছি, নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন হন, আমাদের নম্বরগুলো দেওয়া আছে, আমাদের কাছে জানাবেন, আমরা পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় ওই কেন্দ্রে এজেন্ট বসার ব্যবস্থা করে দেব।

মার্কিন ভিসা সংক্রান্ত নতুন নিয়ম বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। এটা আন্তঃরাষ্ট্রীয় ব্যাপার। আমাদের দায়িত্ব হলো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা। আমরা তার সবই করব। ওই বিষয়টা কমিশনের অংশ না। সে বিষয়ে কোনো রাষ্ট্র বা সরকারের সঙ্গে যে আন্ডারস্ট্যান্ডমেন্ট আছে, সেটা তারা বলতে পারবেন।

এর আগে নির্বাচন কমিশনে কন্ট্রোল রুমে সকাল ৮টা থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোট মনিটরিং শুরু করেন ইসি মো. আলমগীর, ইসি রাশেদা সুলতানা ও ইসি আহসান হাবিব। এরপরে ৯টার দিকে তাদের সঙ্গে যোগ দেন ইসি আনিসুর রহমান। সাড়ে ৯টার দিকে আসেন সিইসি।


আরও খবর



আগাম জামিন অনির্দিষ্টকালের জন্য দেওয়া উচিত নয়: আপিল বিভাগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৯৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অনির্দিষ্টকালের জন্য কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে আগাম জামিনে থাকতে দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ। রমনা থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির দুই নেতার জামিন প্রশ্নে এক আদেশে এমন অভিমত দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

গত ৬ মার্চ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চের ওই আদেশ শনিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, এই সব রায়ের নীতি অনুসারে ব্যক্তি/ব্যক্তিদের অনির্দিষ্টকালের জন্য আগাম জামিনে থাকতে দেওয়া উচিত নয়। পুলিশ রিপোর্ট পর্যন্ত বিবাদীদের আগাম জামিন দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগ আপিল বিভাগের রায়ের নীতি বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মাঝেমধ্যে যথাযথ তদন্তের স্বার্থে কোনো মামলার প্রতিবেদন দিতে বেশি সময় নিতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে, অভিযুক্ত পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না করা পর্যন্ত আগাম জামিনের সুবিধা উপভোগ করার অধিকারী নয়।

আপিল বিভাগের আগের দেওয়া কয়েকটি রায়ের রেফারেন্স দিয়ে এসব কথা বলেন আদালত। ‘রাষ্ট্র বনাম মো. কবির বিশ্বাস’, ‘রাষ্ট্র বনাম অধ্যাপক ড. মোরশেদ হাসান খান এবং অন্যান্য, ‘রাষ্ট্র বনাম আবদুল ওয়াহাদ শাহ চৌধুরী’ মামলার রায় এ আদেশে উদ্বৃত করা হয়।


আরও খবর



গার্মেন্টস মালিকের নামে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে ফাইয়াজুল হক সাজু নামে এক গার্মেন্টস মালিকের নামে মিথ্যা চাদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ ওঠেছে এক  মৎসজীবীলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ৩ এপ্রিল সোমবার দুপুরে শহরের মুন্সিপাড়ায় ওই ব্যবসায়ীর বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সৈয়দপুর রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক গ্রুপ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো: শাহীন হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়,  ফাইয়াজুল হক সাজু একজন তরুন উদ্যোক্তা ও স্বনামধন্য ব্যবাসায়ী। তিনি সৈয়দপুর রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আর এস ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্বাধিকারী। সাজু দেশ বিদেশে সুনামের সাথে ব্যবসা করছেন। তার গার্মেন্টসে প্রায় চারশ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। অথচ সাজুর প্রতিবেশী জেলা মৎসজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জুয়েল সরকার  গায়ের জোরে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে  সাজুদের জমি দখল করে রেখেছে। এনিয়ে একাধিকবার শালিশি বৈঠক হলেও জুয়েল কুট কৌশলে ও অনৈতিক প্রভাবে দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে। সম্প্রতি গোপনে নকশা অনুমোদন করিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। একারণে সাজুর পরিবার অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হন। 
তিনি বলেন,  আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন জুয়েলকে। এতে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে নিজেদের ঘরের আসবাবপত্র ভাঙ্চুর করে চাঁদাবাজি, লুট ও মারপিট করার মিথ্যে অভিযোগে সাজুর পরিবারের লোকজনের নামে মামলা দায়ের করে তাদের হয়রানি করছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। এমনকি মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে অপবাদ ছড়িয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। তানাহলে সাংগঠনিকভাবে বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে হুশিয়ারি দেওয়া হয়। 
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সভাপতি আখতার খান,  সদস্য ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর শেখ মোহন, এলাকাবাসী ইলিয়াস আলী, ভুক্তভোগী ফাইয়াজুল হক সাজু ও তার মা সৈয়দা জড়িনা বেগম।

এ ব্যাপারে জেলা মৎসজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জুয়েল সরকার বলেন, আমার বাবার  কেনা জমিতে বাড়ি করছি। প্রতিবেশী  ফাইয়াজুল হক সাজু আমার বাড়ির এক শতক জমি নিজের বলে দাবি করেন। এ জন্য আমার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন তিনি। চাঁদা না দেওয়ায় গত ৯ মার্চ সাজুর নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তারা আমার বৃদ্ধ মা-বাবাকে হত্যার হুমকি দেয়। তাই আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।

আরও খবর



বিশ্ববাসীকে বাঙালি জাতি আলোর পথ দেখায়: মেয়র তাপস

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ রাতের বেলা ১২টা ১ মিনিটে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। আমরাই একমাত্র জাতি যারা নতুন সূর্যোদয়কে বরণের মাধ্যমে বর্ষবরণ করে থাকি।বলেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সুতরাং বাঙালি জাতি বিশ্ববাসীকে আলোর পথ দেখায়। বাঙালি জাতি আলোর দিশারী।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে নগর ভবন প্রাঙ্গণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

নতুন বর্ষকে বরণের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রচনা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, জাতির পিতার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববাসীকে আলোর পথ দেখাতে চায়। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে তিনি এ দেশকে একটি উন্নত বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। তার সে অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা সবাই এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. আওলাদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এস ডি রুবেল এবং করপোরেশনের সংগীত শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।


আরও খবর



গাংনীতে কসাই সিন্ডিকেট ভাংতে এবার সমিতি গঠন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃএবার সোচ্ছার হয়েছে সাধারণ জনতা। কসাইদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মেহেরপুরের মহল্লায় মহল্লায় গড়ে উঠেছে সমিতি। দৈনিক সাপ্তাহিক অথবা মাসিক কিস্তিতে চাঁদা উত্তোলন করে তা দিয়ে গরু কিনছেন সমিতির লোকজন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরু জবাই করে গোস্ত ভাগাভাগি করবেন তারা। এতে যেমন সাশ্রয়ী হবেন সাধারণ লোকজন তেমনি চাপ পড়বে কসাইদের উপর। সমিতির বিষয়টি ভালভাবে দেখছেন সচেতন মহল ও স্বয়ং হাটমালিক।

জানা গেছে, রমজান মাসের আগ থেকেই ছিল দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি। ক্রেতা সাধারণের সুবিধার্থে সরকার গোমাংসের দাম ৬৮০ টাকা নির্ধারণ করলেও কসাই সিন্ডিকেট তা প্রত্যাক্ষাণ করে। বাজারে গো মাংসের দাম সাড়ে সাতশ’ টাকা কেজি। তবে ঈদের আগে ও পরে দাম আটশ টাকা থেকে ১০০০ টাকা নির্ধারণ করতে পারেন কসাইরা। কসাই সিন্ডিকেট ভাংতে মহল্লায় মহল্লায় সমিতি গঠন করে নিজেরাই গরু কিনে জবাই করার সিদ্ধান্ত নেন লোকজন। এতে সাশ্রয়ী দামে মাংস পাবেন তারা। তাছাড়া কসাইদের উপর বেশ চাপ পড়বে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

জেলার বৃহত্তম পশুহাট বামন্দীতে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন মহল্লা থেকে সমিতি গঠন করে লোকজন আসছেন গরু কিনতে। গাংনী ভিটাপাড়ার মকলেছুর রহমান জানান, কসাইরা নানা ভাবে জিম্মি করে ফেলেছে সাধারণ মানুষকে। চড়া দামে গোস্ত কিনতে হয়। তাছাড়া কসাইরা ইচ্ছেমত মাংস বিক্রি করে। সাশ্রয়ী দামে মাংস পেতে সমিতি গঠন করা হয়েছে। এতে যেমন পছন্দ মতো গোস্ত পাওয়া যাবে তেমনি অনেকটা সাশ্রয়ী হবে। তবে কসাইদের উপর অনেকটা চাপ পড়বে বলেও জানান তারা। একই কথা জানালেন গাংনীর মালসাদহ গ্রামের আফজাল হোসেন। তিনি আরো জানান, তারা ৩২ জন সাপ্তাহিক কিস্তিতে টাকা উত্তোলন করেছেন। এক লাখ ৮২ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছেন।

গরু কিনতে আসা কুষ্টিয়া সদরপুরের রাজ্জাক ও মাসুদ রানা জানান, কসাইদের কাছ থেকে তারা গোস্ত কেনেন না তিন বছর ধরে। প্রতিটি উৎসবে কসাইরা বেপরোয়াভাবে দাম হাঁকে গরুর গোস্তের। বাধ্য হয়ে ৩০ জনের একটি সমিতি গঠন করেছেন। সাপ্তাহিক চাঁদা তুলে গরু কিনতে আসেন। দেখে শুনে বুঝে পছন্দের পশুটি কিনেছেন। এতে অনেক সাশ্রয় বলে দাবী করেছেন তিনি। তবে সব ধরনের পশুর দাম একটু বেশি বলে জানালেন এই সমিতি প্রধান।

গরু বিক্রেতা গাড়াবাড়িয়ার আমিরুল ইসলাম জানান, তিনি তার নিজের বাড়ির গরু এনেছেন হাটে। কয়েকহাট আগে গরুর যা দাম ছিল এখন তার চেয়ে অনেক কম। আমদানী বেশি হওয়ায় দর পতন বলে জানালেন তিনি। তবে কসাই সিন্ডিকেট ভাংতে যে সমিতি গঠন করা হয়েছে এটাকে সাধুবাদ জানানে এই গরু বিক্রেতা। একই কথা জানালেন গরু ব্যবসায়ি কামারখালির আনোয়ার ও সহড়াবাড়িয়ার আশরাফুল।

জেলার ঐতিহ্যবাহী বামন্দী পশু হাটের ইজারদার সিরাজুল ইসলাম জানান, ঈদের আগেই জমে উঠেছে পশুহাট। বেচা বিক্রিও বেশ ভাল। এবার জনগন অনেকটা সচেতন। বিভিন্ন গ্রাম মহল্লা থেকে লোকজন আসছেন দলবদ্ধ ভাবে। এরা সমিতি করে গরু কিনছেন। পশু পালনকারীরাও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। বেচা বিক্রিও বেড়েছে। কসাইদের হাতে জিম্মী না হয়ে নিজেরাই গরু কিনে গোস্তের ব্যবস্থা করার বিষয়টি সাধুবাদ জানিয়েছেন এই হাট মালিক।


আরও খবর



নিপীড়নের শিকার হন এদেশে নিরপরাধ মানুষরাই: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আইনের শাসনহীন এদেশে নিরপরাধ মানুষরাই সরকারি নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর সরকার আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তবে এ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

শুক্রবার (২২ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য, শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেলসহ দলের ২২ নেতাকর্মীর জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোয় বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।

ফখরুল বলেন, ৭ জানুয়ারির আওয়ামী ডামি সরকার তাদের অনৈতিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে সারাদেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর যে জুলুম চালাচ্ছে, সেটির আরও একটি কু-নজির স্থাপিত হলো মাহমুদুল হক রুবেলসহ ২২ জন নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারের পাঠানোর মধ্য দিয়ে।

তিনি বলেন, রোজার প্রাক্কালে বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি, সুপেয় পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির লাগামহীন চড়ামূল্যে যখন মানুষ চোখে অন্ধকার দেখছে, তখন অবৈধ আওয়ামী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে নিত্য নতুন মিথ্যা মামলায় আটক এবং জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণের হিড়িক অব্যাহত রেখেছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ সংকট। ক্ষমতাসীনদের দৌরাত্ম্য ও দাপটে মানুষ চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাই সব অপকর্মকে আড়াল করতেই ডামি সরকার নতুন করে সরকারি জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে।

অপরাধ না করেও মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


আরও খবর