Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

গাজায় শরণার্থী শিবিরে হামলা, নিহত ৭০

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ২২০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:গাজা উপত্যকার আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা রোববার রাতে জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

তিনি বলেন, ‘আল-মাগাজি ক্যাম্পের জনাকীর্ণ আবাসিক চত্বরে যা সংঘটিত হচ্ছে তা আসলে গণহত্যা।

আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি বর্বর এই হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে এবং হামলায় বেশ কয়েকটি বাড়িও ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলার পর সেখানকার মানুষ বেঁচে যাওয়া লোকদের খুঁজে বের করার চেষ্টায় ধ্বংসস্তূপের ভেতরে তল্লাশি করছে।

আল-মাগাজি ক্যাম্পে বিমান হামলাকে ‘ভয়াবহ গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছে হামাস। একইসঙ্গে এটিকে ‘নতুন যুদ্ধাপরাধ’ বলেও অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি।

অন্যদিকে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্রের কার্যালয় বলেছে, তারা হামলার রিপোর্ট খতিয়ে দেখছে।


আরও খবর



নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের চুক্তি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিটির লক্ষ্য হলো কৌশলগত পারস্পারিক সহযোগিতা ও নেটওয়ার্ক অবকাঠামো আধুনিকায়নের মাধ্যমে নেটওয়ার্কের মান বৃদ্ধি করা।  

এই চুক্তির ফলে গ্রাহকরা উচ্চমানসম্পন্ন নেটওয়ার্ক সেবার আওতায় আসবেন যা দেশের সেরা মোবাইল ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলালিংকের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে। বাংলালিংক গত চার বছর ধরে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবাপ্রদানকারী হিসেবে ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতে আসছে। 

চুক্তির অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে তাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও বিশেষ এলগরিদম ব্যবহার করে বাংলালিংকের ফোর-জি নেটওয়ার্ক কভারেজ ও সামগ্রিক সেবার মান বৃদ্ধি করবে। হুয়াওয়ের এই সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ফলে বাংলালিংক গ্রাহকরা উন্নত ডিজিটাল অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।

বাংলালিংকের সিইও এরিক অস ও হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ান প্রেসিডেন্ট  ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সম্প্রতি বাংলালিংক কর্পোরেট অফিসে এ চুক্তি স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের চিফ টেকনোলজি এন্ড ইনফরমেশন অফিসার  হুসেইন তুর্কের, বাংলালিংকের চিফ এথিক্স অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার মুনিরুজ্জামান শেখ, বাংলালিংকের প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ডিরেক্টর কে এম জাকারিয়া, হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সিবিএঞ্জির সিইও হু ইউ, হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ার সিটিও মা জিয়ান এবং হুয়াওয়ের একাউন্ট ডিরেক্টর।    

বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, “বাংলাদেশে ডিজিটাল সেবার বিস্তার ঘটানোর লক্ষ্যে  হুয়াওয়ে-এর সাথে আমাদের চলমান যৌথ কার্যক্রমটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই যৌথ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে উন্নত সংযোগ ও বর্ধিত গ্রাহকসেবা প্রদান ও টেকসই শক্তি ব্যবহার করে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা। আমরা বাংলালিংক-এর নেটওয়ার্ক কভারেজ দ্বিগুণ করেছি ও সেবাদানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। কৌশলগত উন্নতির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে হুয়াওয়ে-এর সাথে আমাদের চুক্তিটির প্রয়োজনীতা অপরিসীম।” 

হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ান প্রেসিডেন্ট  ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, “বাংলালিংক ইতোমধ্যে বাংলাদেশে সেরা মানের ডিজিটাল অভিজ্ঞতা প্রদানকারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে, চারবারের ওকলা  স্বীকৃতিই যার প্রমাণ। বাংলাদেশে হুয়াওয়ে গত ২৫ বছর ধরে শীর্ষ আইসিটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের উন্নতিতে অবদান রেখে যাচ্ছে। বাংলালিংক-এর এই অগ্রগতিতে সঙ্গী হতে পেরে আমরা আনন্দিত। গ্রাহকদের উন্নত অভিজ্ঞতা দিতে আমরা বাংলালিংক-এর সাথে কাজ করে যাব।  এই কৌশলগত অংশিদারীত্বের মাধ্যমে ও উন্নতি প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা গ্রাহকদের উন্নত ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারবো।”    

গ্রাহকদের উন্নত মানের উদ্ভাবনী সেবা দিতে বাংলালিংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হুয়াওয়ের সাথে এই যৌথ উদ্যোগ শক্তিশালী সংযোগ, সেরা মানের সেবা ও দ্রুতগতির ইন্টারনেটের সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেরই প্রচেষ্টা।


আরও খবর



কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বালু ডাঙ্গা জুয়া ও নেষা মুক্ত করার ঘোষণা দিলেন শান্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:দশদিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে নওগাঁ কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন সাবেক ছাত্র লীগ নেতা মোশাররফ হোসেন শান্ত এ সময় তাকে বালুডাঙ্গা চকগোবিন্দ এলাকাবাসী স্বাগত জানান। এর আগে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে মোশাররফ হোসেন শান্ত কে দেওয়া  আদালতের জামিনের কাগজপত্র নওগাঁ কারাগারে পৌঁছায়। 

জামিনে মুক্তি খবর পেয়ে ৫শতাধিক এলাকাবাসী জেল গেটের সামনে ফুলের মালা হাতে অপেক্ষায় থাকে মোশাররফ হোসেন শান্ত'র জন্য এ সময় তারা বলেন, শান্ত আমাদের গ্রামের ভালো ছেলে সে আমাদের জন্য সব সময় কাজ করে বিনিময় ছাড়া। বালু ডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ছোট বড় অনেক জুয়ার বোর্ড (ক্যাসিনো) বসে। শান্ত প্রথম থেকেই এ সব অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে কথা বলতো তাই এ-ই অবৈধ ব্যাবসার সাথে জড়িত সাজ্জাদ হোসেন ও ক্যাডার বাহিনী নিয়ে প্রতিনিয়িত হুমকি ধামকি দিত তার হুমকি ধামকি উপেক্ষা করে যখন বালুডাঙ্গা এলাকা থেকে জুয়ার বোর্ড ও মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে বলে তখন মিথ্যা হয়রানি মূলক শান্ত সহ আরো ১০/১২ জনের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করে।

মৌসুমি আক্তার (ছদ্মনাম) বলেন, শান্ত ভাইয়া পরোউপকারী একজন মানুষ তাকে বিপদে আপদে পাশে পাই তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে একই এলাকার মাস্তান সাজ্জাদ হোসেন আমরা তার বিচার চাই কেন এক জন ভালো মানুষকে হয়রানি করবে।

মোশাররফ হোসেন শান্ত বলেন, সাজ্জাদ বাহিনীর অত্যাচারে পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকা অতিষ্ট। দোকানদারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নিতো। আর চাঁদা না দিলে বিড়ম্বনায় পড়তো হতো দোকানীদের। সাজ্জাদ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় কাউকেই তোয়াক্কা করে না। আমি বাধাঁ দিতে গেলে আমাকে হুমকি ধমকি দেয় এবং বলে আমি যেন এ সবের ভিতর না জড়াই। আমি অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দেয়নি বা ভবিষ্যতে দিবো না তাই আমি প্রতিবাদ করলে গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকায় দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি ও হাসুয়া সহ বিভিন্ন অস্ত্র সজ্জিত হয়ে সাজ্জাদ হোসেন ও তার ছেলে হৃদয়ের ক্যাডার বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়, আমার দোকান ঘর ভাংচু করে। আমি তার হামলা প্রতিহত করার জন্য রাস্তায় বের হলে তারা পালিয়ে যায় ওরা আমার নামে মিথ্যা হয়রানি, মূলক মামলা করে আমাকে জেল খাটায়। আজকে আমি আবারও কথা দিচ্ছি এলাকাবাসীকে বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকায় কোন মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজি সহ সকল প্রকার অবৈধ কাজ কাউকে করতে দিব না। সে যত বড়ই মাস্তান হোক না কেন এই বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড চকগোবিন্দ এলাকা হবে মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজ মুক্ত। 

উল্লেখ্য, গত (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের দিনে বাসস্টান্ডে শান্ত ও সাজ্জাদ হোসেন এর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াকে  কেন্দ্র করে সাজ্জাদ হোসেন পরের দিন চাঁদাবাজি, হত্যা চেষ্টার মিথ্যা মামলা করে সেই মামলায় শান্ত সহ তিন জন কে আটক করে জেল হাজতে পেরন করেন পুলিশ।


আরও খবর



পৌর মেয়রের অপসারণ দাবীতে ১৪ কাউন্সিলর সহ হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:অনিয়ম, দূর্ণীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অদক্ষতার অভিযোগ তুলে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবীর  অপসারনের দাবীতে একাট্টা হয়েছেন প্যানেল মেয়র সহ পরিষদের ১৪ কাউন্সিলর। তারা গত ২৩ মার্চ স্হানীয় সরকার,  পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে, এরপর ৩১ মার্চ শহরের ওয়াবদা মোড়ে বেলা ১২ টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবী তুলে ধরে পৌরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন। 

এর আগে ২০ মার্চ  রংপুর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবরেও একই আবেদন করেছেন কাউন্সিলররা। স্ব স্ব কার্যালয়ে গিয়ে এই অভিযোগ জমা দিয়েছেন তারা।দুর্নীতিগ্রস্ত মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবির বিরুদ্ধে বারবার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কার্যকর ব্যবস্হা না নেয়ায় ২৮ এপ্রিল সকাল সারে ১১ টা থেকে বেলা সারে ১২ টা পর্যন্ত ১৪ কাউন্সিল সহ প্রায় ৮ শতাধিক নারী পুরুষদের নিয়ে শহর ব্যাপি বিশাল বিক্ষোভ করার পর স্হানীয় প্রেসক্লাব চত্বরে পথসভার আয়োজন করে। সেখানে মেয়রের সকল  দুর্নীতি কর্মকাণ্ড তুলে ধরে অপসারণ দাবী করেন। 

প্যানেল মেয়র শাহীন হোসেনের ওই বিক্ষোভ ও পথসভার আয়োজন করেন। এতে তিনি নিজে সভাপতিত্ব করে মেয়রের অপসারণ দাবীতে বক্তব্য রাখেন ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়দুর রহমান শাহীন, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার, ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল খালেক সাবু প্রমুখ। 
বক্তারা বলেন, মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি,২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় পর থেকেই বেহায়াপনা চালচলন করতে থাকে।২০২৩ সালে তার আপত্তিকর ভিডিও যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর চলতি বছরেও একাধিক অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হয় তার।
পৌরসভার উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও শহর উন্নয়নে কোন কাজই করেন নাই তিনি। নামে বেনামে তিনি প্রতিমানে ১৫ জনের বেতন উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে চলেছেন।প্রতিমাসে যে ৬/৭ টাকা টোল উত্তোলন করা হয়, সে টাকাটাও আত্মসাত করে আসছেন ৩ বছর থেকে মেয়রের সকল অশ্লীল কর্মকান্ড, ভিডিও ও দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে স্হানীয় সরকার মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবী করেন তারা।  

অন্যান্য কাউন্সিলরদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র-২ ও ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রুবিনা সাকিল, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ইয়াসমিন পারভীন, ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ইয়াসমিন সুলতানা, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জোবায়দুল ইসলাম মিন্টু, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মঞ্জুর আলম।

আরও খবর



হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক পর্বে তৃতীয় রুয়েট

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক (এপিএসি) পর্বে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ছাত্রদের একটি দল তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এপিএসি অ্যাওয়ার্ড সিরিমনিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত বছর শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এই প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক ট্র্যাক, ক্লাউড ট্র্যাক, কম্পিউটিং ট্র্যাক ও ইনোভেশন ট্র্যাক এই চারটি গ্রুপে অংশ নেয়ার সুযোগ ছিল। প্রতিটি ট্র্যাক থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীকে তাদের অধ্যয়ন ও পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

পরবর্তীতে তাঁদের মধ্য থেকে শীর্ষ বারোজন চারটি দলে ভাগ হয়ে এপিএসি পর্বে যোগ দেয়। রুয়েটের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি একটি দল যোগ দেয় নেটওয়ার্ক ট্র্যাকে, আরেকটি দল যোগ দেয় কম্পিউটিং ট্র্যাকে। এই ট্র্যাকে প্রতিযোগিতা করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আরও একটি দল। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি দল যোগ দেয় ক্লাউড ট্র্যাকে। এই চার দলের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্র্যাক গ্রুপে অংশগ্রহণকারী রুয়েটের তিনজনের দলটি এপিএসি পর্বের ১৪টি দেশের ৬৪০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীর্ষ তিনে জায়গা করে নিয়েছে।

বিজয়ী দলে রয়েছে রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শুভাম আগারওয়ালা, রাকেশ কার এবং মো. মাজহারুল ইসলাম। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় তাঁদের হাতে পুরষ্কার ও সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। আগামী মাসে দলটি চীনের শেনজেনে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল রাউন্ডে অংশ নেবে।

রুয়েটের বিজয়ী দলের সদস্য শুভাম আগারওয়ালা বলেন, “এই প্রতিযোগিতা আমাদের আইসিটি এবং নেটওয়ার্ক সেক্টর সম্পর্কে নতুন কিছু শেখার অনেক সুযোগ দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও আসতে পেরেছি। ষ্টেজে সবার সামনে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে দাঁড়ান আমাদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিলো। এমন অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করার জন্য আমরা হুয়াওয়ের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমরা গ্লোবাল রাউন্ডে আরও ভালো কিছু অর্জনের চেষ্টা আমাদের থাকবে।“

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড সদস্য লিজংশেং (জেসন) বলেন, ”হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, তরুণরা যেকোনো দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশে যে বিশাল সংখ্যক তরুণ রয়েছে তাঁদের সম্ভাবনা অসীম। আর সেই বিশ্বাস নিয়েই হুয়াওয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের আইসিটির জ্ঞান বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের উদ্যোগের নিয়ে আসছে। বিজয়ী দলকে আমি অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশে প্রতিভা বিকাশের জন্য একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবো।”

রুয়েটের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আজমাইন ইয়াক্কীন সৃজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জাকার্তার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার ছাত্ররা এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শুধু বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বই করছে না, তারা সকলের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করে নিয়েছে। এতে আমি খুবই গর্বিত বোধ করছি। আমি লক্ষ্য করেছি যে, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার ফলে তাদের জ্ঞান যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমন আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। তাদেরকে এমন একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।”

গ্লোবাল রাউন্ডে প্রায় ৪০টি দেশের ৫০০-এরও বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি ১৭০টিরও বেশি দল অংশগ্রহণ করবে। শুরুর পর এটি হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় অফলাইন গ্লোবাল ফাইনালে পরিণত হতে যাচ্ছে। “কানেকশন, গ্লোরি, অ্যান্ড ফিউচার” থিমের এই ইভেন্টে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে।


আরও খবর



ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মুন্না নামের এক যুবকের পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর ইকরা দারুল কুরআন বালিকা মাদ্রাসার ছাত্রীদের  রতনপুর গ্রামের আল আমীন নামে এক যুবক প্রায়ই উত্বক্ত করতো। পরে ছাত্রীর অভিভাবকগণ ওই যুবকদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের ১ নং স্বাক্ষী ছিলেন আরিফ বিল্লাহ ও ২ নং স্বাক্ষী ছিলেন মুন্না হোসাইন।

ঘটনার দ্বিতীয় স্বাক্ষী মুন্না হোসাইনকে গত ১৭ই এপ্রিল রোজ বুধবার রতনপুর গ্রামের ইভিটিজিংকারী যুবক এবং অন্যান্যরা সম্মিলিতভাবে চাতলপাড় চকবাজারে দিনে  দুপুরে সবার সামনে প্রকাশ্যে  দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে আক্রমণ  করে পিটিয়ে  গুরুতর জখম করে।তাদের আঘাতে  স্ট্রোক করে মুন্না। পরে কিশোরগঞ্জের  ভাগলপুর হাসপাতালের ডাক্তারগণ প্রাথমিক চিকিৎসা করে ঢাকা হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে রেফার করে।

পরবর্তীতে রোগীকে ঢাকায় নিয়ে আসলে হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে মারা যায় মুন্না হোসাইন। মুন্নার উপর অতর্কিত হামলায় অংশগ্রহণ করে ইভটিজার  আল আমীন ও মাসুম গংরা । ইভিটিজিংকারী ও হত্যাকারী আল আমীন পিতা শমশের আলীর  বাড়ি  রতনপুর গ্রামে। মাসুম এবং জড়িত অন্যান্যদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও বিচার দাবী করেছে এলাকাবাসী।এ ঘটনায় কোন মামলা না হলেও নিহত মুন্নার লাশ থানা নিয়ে আসার খবর পাওয়া গেছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর