Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

গাইবান্ধায় তুলা চাষে নতুন করে সম্ভাবনা দুয়ার খুলেছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৩৩২জন দেখেছেন

Image
সিরাজুল ইসলাম রতন গাইবান্ধা সংবাদদাতা:-বাংলাদেশের তুলা ছিল এক সময় জগত বিখ্যাত। চাহিদা অনুযায়ী বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে দেশেই তুলা চাষ করা হতো। কালক্রমে হারিয়ে যায় সেই তুলা চাষ। বিপাকে পড়ে দেশের বস্ত্র শিল্পসহ তুলা চাষীরা। বর্তমান বস্ত্রশিল্পের প্রয়োজনীয় সিংহ ভাগই তুলা বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। সম্প্রতি সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন এলাকায়  তুলা চাষে নতুন করে সম্ভাবনা দুয়ার খুলেছে। তুলা বর্তমান বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল যা বস্ত্র শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় তুলা চাষে গাইবান্ধার কৃষকরা অতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। তুলা চাষে বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। অল্প বিনিয়োগে বাজার মূল্য ভালো পাওয়ায় কৃষকরা তুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, সুন্দরগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় তুলা চাষ হচ্ছে।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ি গ্রামে উচ্চ ফলনশীল পালী-১ জাতের তুলার চাষ হচ্ছে। মাটি ও আবহাওয়া তুলা চাষে উপযোগী হওয়ায় গাইবান্ধা জেলায় দিন দিন বাড়ছে উচ্চ ফলনশীল শুভ্র জাতের কার্পাসসহ রূপালী, হোয়াইট গোল্ড, ডিএম তুলার চাষ।স্বল্প মূলধনে অধিক লাভবান হওয়ায় তুলা চাষীরা বস্ত্রশিল্পের কাঁচামালের চাহিদা যোগান দিচ্ছে। এছাড়াও নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। ফলে তুলা চাষীদের পাশাপাশি শ্রমিকরা কাজ করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তনের করছে। তুলা চাষি জামিরুল হক বলেন, ১৫ বছর যাবত তুলা চাষ করছে। আগে কলা, ভুট্টা,পাট ও গমসহ অন্যান্য ফসল চাষ করতো। এ বছর প্রায় এক একর জমিতে তুলার চাষ করেছে।১ বিঘা জমিতে প্রায় ৪০০০টি তুলা গাছ রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। এবার উন্নত জাতের তুলা চাষ করায় তুলনামূলক ভাবে ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ২০-২২ মণ তুলা উৎপাদন হয়। 

বর্তমান প্রতিমণ তুলার বাজার মূল্য ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। তুলা চাষি আব্দুল জব্বার বলেন, অন্য ফসলের তুলনায় তুলা চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় ৪-৫ বছর যাবৎ তুলা চাষ করা হচ্ছে। উৎপাদিত তুলা স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৯ হেক্টর জমিতে তুলা চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এর মধ্যে ২.৮ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। লক্ষমাত্রা চেয়ে ১৬.২ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হয়নি। লক্ষমাত্রা পূরণের জন্য কৃষকদের তুলা চাষের সুফল ও গুরুত্বপূর্ণ তুলে ধরে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করলে কৃষক তুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

আরও খবর



সৈয়দপুরে কোরবানির জন্য দেশি গরু প্রস্তুত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:ঈদুল আজহা উপলক্ষে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় চলতি বছর কোরবানির জন্য খামারিরা প্রস্তুত করেছেন প্রায় সারে ৮ হাজার পশু। গতবারের চেয়ে এবারে ২ হাজারের ও বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান খামারিরা।

খামারিদের মতে,কদিন পরেই পুরোদমে শুরু হবে কোরবানির পশু কেনা-বেচা। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। যে পরিমাণ দেশি গরু প্রস্তুত রয়েছে, তাতে ওইসব গরু ও ছাগল দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে জানান খামারিরা। 

সৈয়দপুর প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এ উপজেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৬ হাজারের মতো। কিন্তু খামারিরা প্রস্তুত করেছেন প্রায় সারে ৮ হাজারের মতো। যা চাহিদার চেয়ে ২ হাজারেরও বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এবারে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলে সৈয়দপুরের খামারিদের প্রস্তুত করা পশু সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

সূত্রটি আরও জানায়, সৈয়দপুর উপজেলায় নিবন্ধিত গরু খামার রয়েছে ৬/৭ টি, ছাগল ও ভেড়ার খামার রয়েছে ২/৩ টি। অনিবন্ধিত গরুও খাসির খামার রয়েছে অগনিত। কারন শহর সহ উপজেলার গ্রামগন্জের প্রায় বাড়িতেই রয়েছে ৮/১০ টি বা ২০/২৫ টি প্রস্তুত করা গরু ও ছাগল। 

খামারিরা বলছেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পর্যাপ্ত দেশি জাতের গরু ও ছাগল পালন করা হয়েছে।  গরুকে খাবার হিসেবে কাচা ঘাস, ব্রান্ড, খৈল, ভুট্টা এবং ধানের কুড়াসহ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। তবে পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ অনেকটা বেড়েছে। 

খামারিরা আরও বলেন, আসন্ন কোরবানি ঈদ উপলক্ষে যে পরিমাণ দেশি গরু ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে তাতে এগুলো দিয়েই সৈয়দপুর তথা নীলফামারী জেলার মানুষের কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। একই সাথে চোরাই পথে যাতে ভারতীয় পশু ঢুকতে না সেদিকে নজর রাখার দাবী জানান তারা। 

সৈয়দপুর পৌর এলাকার ইউসুফ ডেইরি ফার্মে গিয়ে দেখা গেছে, গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারের লোকজন। পৃথক পৃথক খাটালে দেশি জাতের গরু ও ছাগলের পরিচর্যা করা হচ্ছে। 

ইউসুফ ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব মিন্টু বলেন , ‘আমাদের খামারে কোরবানির জন্য সব দেশি প্রজাতির গরু ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। গরু গুলির দাম কি রকম জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার খামারে ৬০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা মুল্যের গরু আছে। তিনি বলেন এই দামে এযাবৎ ১০০ গরু বিক্রি করেছি। ঈদ আসতে আসতে আরো প্রায় ৫/৭ শত দেশি গরুর অর্ডার আছে।

তিনি বলেন, পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ অনেক বেড়েছে। গরুগুলোকে প্রতিদিন দুই বেলা প্রাকৃতিক খাদ্য যেমন ভুট্টা, খইল, ব্রান্ড, কাঁচা ঘাস, গমের ভুসি ও খড় খাওয়ানো হয়। গোসল করানো হয় প্রায় প্রতিদিনই।পশুর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখা হয় প্রতিনিয়ত। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক ফ্যান চালিয়ে পরিবেশ ঠিক রাখা হয়। 

সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার রায় বলেন, গরুকে দানাদার খাদ্য ও কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর জন্য খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভিটামিন খাওয়াতেও বলা হচ্ছে খামারিদের। তবে গরুকে নিষিদ্ধ কোনো রাসায়নিক ও হরমোন ওষুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।  


আরও খবর



নবীনগরে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটোর গণসংযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি:আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আসছে আগামী ৫ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর  উপজেলা পরিষদ নির্বাচকে সামনে রেখে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ সদস্য কাজী আকবরউদ্দিন সিদ্দিক সাবেক এমপির, 

শ্রীরামপুর গ্রামের সুযোগ্য সন্তান  চেয়ারম্যান প্রার্থী  কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটো , নবীনগর  উপজেলার

২১ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার  সাধারন ভোটারদের সঙ্গে নিয়মিত গণসংযোগ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেলে বিদ্যাকুট, মেরকুটা ও কুড়িঘর বাজারে সাধারন ভোটারদের সঙ্গে গণসংযোগ মতবিনিময় ও দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি ।

আগামী ২০মে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হবে, তার আগেথেকেই তিনি মাঠে গণসংযোগ ও প্রাচার-প্রচারনা চালাতে দেখা যাচ্ছে। কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটো , তিনি  ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করে দোয়া কামনা করে ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন হাট-বাজারে চায়ের দোকানে যেয়ে কুশল বিনিময় ও লিফলেট বিতরণ  করছেন। 

এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটো বলেন, আমি অতীতে এই নবীনগর উপজেলার মানুষের সঙ্গে সুখে-দুঃখে ছিলাম, বর্তমানে আছি, আগামীতেও থাকবো। 

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মাট বাংলাদেশ। সদর উপজেলাকে স্মাট উপজেলায় পরিনত করার লক্ষ্যে আমার চেষ্টা সব সময় অব্যাহত থাকবে। 

এছাড়াও সকলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত, খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করবো। আর নারী নির্যাতন রোধ, সন্ত্রাস মুক্ত, বেকার সমস্যা সমাধাণ, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নসহ উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নমূলক কাজ করবো। আর নবীনগর উপজেলাকে একটি আধুনিক মডেল উপজেলায় রূপান্তিত করবো। এ জন্য তিনি দলীয় নেতা-কর্মীসহ দলমত নির্বিশেষে সকলের দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেছেন।

    -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কয়েদীকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না।

সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান বিশেষজ্ঞ মত নেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষা রাখেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারী হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামীর আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষকের ১০ বছরের কারাদন্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত আবুল হাসান (২৫) নামে এক আরবী শিক্ষককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। বুধবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আবুল হাসান বদলগাছী উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি ওই গ্রামের আরবী শিক্ষক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আবুল হাসান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬টার দিকে আবুল হোসেনের বাড়িতে আরবী পড়তে যান একই গ্রামের ভুক্তভোগী ৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থী। ওইদিন অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে দেরী করায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। এক পর্যায়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চলে আসলে তাৎক্ষণিক তাকে ছেড়ে দিয়ে সবাইকে আরবী পড়াতে শুরু করেন আবুল হোসেন। পড়া শেষে বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা বাবা-মাকে জানায় ওই শিক্ষার্থী। পরে ওইদিনই ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে থানা পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ কৌঁসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল হক। তিনি বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই বার্তা সমাজে ছড়িয়ে পড়লে অন্য শিক্ষকরা এমন জঘন্য ন্যাক্কার অসামাজিক ঘটনা ঘটানোর আগে অন্তত হাজার বার ভাববে।

আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, শিক্ষক আবুল হাসান ন্যায় বিচার পাননি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।


আরও খবর



সাংবাদিক আব্দুল হান্নান বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির যুগ্ন মহাসচিব নিবার্চিত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টারঃ-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার  বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল গ্রামের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নানকে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুগ্ন মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়েছে।সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নান দীর্ঘ প্রায় বিশ বছর যাবৎ এ পেশার সাথে জড়িত থেকে সসতা ও নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।


তিনি জাতীয় দৈনিক আমার দেশ,আমার সংবাদ,দেশ রূপান্তর,দৈনিক খোল কাগজ,দৈনিক জনতা,দৈনিক দেশের পত্র, বসুন্ধরা,ছাড়াও  স্টার লাইনে জেলা প্রতিনিধি,ভারতের বহুল প্রচারিত মানুষ পত্রিকা,স্থানীয় দৈনিক দিন দর্পন,কুরুলিয়া,আজকের ব্রাহ্মণবাড়িয়া,দৈনিক চলার পথে,ফ্রন্টইয়ার,দৈনিক লাল সবুজের দেশ, অপরাধ জগত,অপরাধ বিচিত্রা,বাংলা এফ এম রেডিও,এশিয়ান টেলিভিশন,এস টি বাংলা টেলিভিশনে বিশেষ প্রতিনিধি,এবিনিউজ সহ একাদিক অনলাইন পত্রিকায় কাজ করে আসছেন।


সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নান বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএম এস এফ ও মানবাদিকার  সংস্থা  বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির  নাসিরনগর উপজেলা শাখার প্রতিষ্টাতা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব অত্যান্ত সুনামের সাথে পালন করেছেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর