Logo
আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

গাইবান্ধায় চরাঞ্চলে বাদাম চাষ করে কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৩০৬জন দেখেছেন

Image
সিরাজুল ইসলাম রতন গাইবান্ধা সংবাদদাতা:-বর্ষার প্রমত্ত্বা ব্রম্মপুত্র তিস্তা যমুনার আগ্রাসী হয়ে যেমন গিলে খায় বসতি, তেমনই শুকনো মৌসুমে ফিরিয়ে দিচ্ছে কিষাণ-কিষাণীর স্বপ্ন।ব্রম্মপুত্রের ভাঙাগড়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকা মানুষগুলো চরাঞ্চলে চিনা বাদাম চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে।
দিগন্তব্যাপী বাদামের সবুজপাতা হলুদ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে কৃষকরা। কেউ কেউ আগাম বাদাম তুলে রোদে শুকাচ্ছেন। চাষাবাদ সহজ, বিপণনে ঝামেলাহীন ও তুলনামূলকভাবে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা কাঁচা বাদামের নাম দিয়েছেন ‘গুপ্তধন’। 

গাইবান্ধা জেলা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা বেষ্টিত ২৮ টি ইউনিয়নে ১৬৫টি চরে বন্যা পরবর্তী বালুময় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে এ বছর চীনা বাদামের চাষ হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।চীনা বাদাম রোপনের পর অন্য ফসলের মতো সেচ, পরিচর্যার ও রাসায়নিক সারের খুব বেশি প্রয়োজন না হওয়ায় চীনা বাদাম চাষে ঝুঁকছে চাষীরা। ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদেও চরাঞ্চল নদের বুক জুড়ে অসংখ্য ছোট বড় চর।আর এসব বালুচরে মাইলের পর মাইল বাদামের জমি। সাদা বালুর জমিতে সবুজ আর সবুজ ছেয়ে গেছে লতানো বাদামের গাছে। 

প্রতিটি লতানো বাদাম গাছের মুঠি ধরে টান দিলেই উঠে আসছে থোকা সোনালি রঙের বাদাম। এ যেন বালুর নিচে লুকিয়ে থাকা গুপ্তধন।উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের কালাসোনা,কাবিলপুর, রতনপুর, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের সাতারকান্দি,রসুলপুর, হাড়ভাঙ্গা, ফজলুপুর ইউনিয়নের খাটিয়ামারী, চন্দনস্বর, কাউয়াবাঁধা, চিকিরপটল, তালতলা, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জিগাবাড়ী,হরিচন্ডি, বুলবুল চর, ফুলছড়ি ইউনিয়নের খোলাবাড়ী, বাজে ফুলছড়ি,টেংরাকান্দি, দেলুয়াবাড়ী,গজারিয়া ইউনিয়নের জিয়াডাঙ্গা , গলনাসহ চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চরের জমিতে এবার ব্যাপকভাবে বাদামের চাষ করা হয়েছে। বাদাম পরিচর্যায় খরচ ও সময় দুটোই কম লাগে।

এসব চরে বাসন্তী, সিংগা সাইস্টোর, বারী চিনাবাদাম-৫, বারী চিনাবাদাম-৬ সহ স্থানীয় জাতের বাদামের আবাদই বেশি করা হয়েছে। কৃষাণি ও কিশোর-কিশোরীরা গাছ থেকে বাদাম ছাড়িয়ে স্তুপ করে রাখছেন। প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিরা জমি থেকে বাদাম হাটে নিয়ে বিক্রি করছেন। বাদাম চাষ করে চরাঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার কৃষক পরিবারে ফিরে এসেছে সচ্ছলতা।
ফলে অনেকটাই দুর হয়েছে চরাঞ্চলের কৃষকদের নিত্য অভাব অনটন। তাদের মলিন মুখে ফুটেছে হাসি। চরের বালুতে প্রতি বিঘা জমিতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করে বাদাম উৎপাদন হয় ২০-২৪ মণ।

প্রতিমণ কাঁচা বাদামের বাজার মূল্য ২৪০০ থেকে ২৬০০ টাকা। এতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকের বিঘা প্রতি লাভ হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।চলতি মৌসুমে বাদামের ফলন অনেকটা ভালো ও বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় জেলার কৃষকরা উৎফুল্ল।বাদাম গাছ প্রায় পরিপক্ক হওয়ায়  চর এলাকায়  বালির নিচে হাত বাড়ালেই উঠে আসছে মুঠো মুঠো গুপ্তধন। প্রতিটি বাদাম গাছের মুঠি (উপরের অংশ) ধরে টান দিলেও উঠে আসছে থোকা থোকা সোনালী রঙের চিনা বাদাম তথা বালির নিচে লুকিয়ে থাকা গুপ্তধন।

সুলতানপুর গ্রামের বাদাম চাষী আউয়াল জানান কৃষি অফিস থেকে বীজ নিয়ে বাদম চাষ করেছি।আশানুরূপ ফলন পাবো বলে আশা করছি।একই গ্রামের বাদাম চাষী ছামছুল বলেন ২০ শতক জমিতে বাদাম চাষ করেছি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তা নিয়েছি আশা করছি বাম্পার ফলন হবে।দাম ও আশানুরূপ পাওয়া যাবে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমা বেগম বলেন এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে।কৃষক ন্যায্য মুল্য পাবে।পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার ফাতেমা কায়সার মিশু বলেন এ উপজেলায় মোট ৮ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে।

গাইবান্ধা  জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন চলতি মৌসুমে গাইবান্ধা জেলায় ৭ টি উপজেলার ২০০০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্জিত হয়েছে ২০৭০ হেক্টর জমিতে। এছাড়া ও খরিপ মৌসুমে ২৫০ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা চলমান রয়েছে।

আরও খবর



দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড়ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের নামাজ সকাল ৯টায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

রিয়াজুল ইসলাম,দিনাজপুর প্রতিনিধি:আধুনিক স্থাপত্যশৈলী ও সোন্দর্যমন্ডিত এবং কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদের দিন সকাল ৯টায় ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এবারও দুরদুরান্তের মুসুল্লিদের সুবিধার্থে চলবে দুটি বিশেষ ট্রেন সার্ভিস। এটিই দেশের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

দেশের সবচেয়ে বড় এই ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হক কাসেমী। প্রবেশের জন্য মাঠের চারপাশে থাকছে ১৯টি তোরণ। মুসল্লিদের জন্য মাঠে ওজুখানা ও ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। ঈদের নামাজে আসা মুসল্লিদের জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।সিসিটিভি স্থাপনের পাশাপাশি থাকছে গোয়েন্দা নজরদারি। ঈদগাহের চারপাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। পুলিশের ড্রোন দিয়ে সাড়া মাঠ পর্যবেক্ষনে রাখা হবে। মাঠের আশপাশে সক্রিয় থাকবেন সাদা পোশাকে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার সদস্যসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে শহরজুড়ে।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় দিনাজপুর ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দান পরিদর্শন শেষে ঈদের জামাতের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রেসব্রিফিং করবেন রংপুর বিভাগের র‌্যাব-১৩ প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আরাফাত। রেলওয়ে সুত্র জানায়,দুরদুরান্তের মুসুল্লিদের সুবিধার্থে একটি ট্রেন ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদেরদিন ট্রেনটি ভোর ৫টায় ছেড়ে ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জ, পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ, মঙ্গলপুর ও কাঞ্চন ট্রেন স্টেশনে যাত্রা বিরতী দিয়ে সকাল সোয়া ৭টায় দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসবে। অপরদিকে আরেকটি পার্বতীপুরে সকাল ৬টায় ট্রেনটি ছেড়ে মন্মথপুর, চিরিরবন্দর, কাউগাঁওয়ে যাত্রাবিরতী দিয়ে সকাল পৌনে ৭টায় দিনাজপুর স্টেশনে এসে থামবে। ঈদের নামাজের পর সোয়া ৯টায় পার্বতীপুরমুখী ও সাড়ে ৯টায় ঠাকুরগাঁও মুখী ট্রেন দুটি দিনাজপুর রেল স্টেশন ত্যাগ করবে।

উপমহাদেশের সবচেয়ে বড়মিনার ও দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠের উপদেষ্টা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আশা করি পবিত্র ঈদুল ফিতরে এই মাঠে এক সঙ্গে ৬ লক্ষাধিক মানুষ নামাজ আদায় করবে। বিশাল এই জামাতে দিনাজপুর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুসল্লিরা যেন নামাজে অংশ নিতে পারেন এ জন্য প্রচার প্রচারণা ও নিরাপত্তার বিষয়ে বরাবরের মতোই জোর দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দান প্রায় ২২ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এ মাঠে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বৃহৎ ঈদ জামাতের লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আয়োজকরা।

ঐতিহাসিক দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের পশ্চিম প্রান্তে ২০১৫সালে এ ঈদগাহের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত হয়। ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুইধারে ৬০ফুট করে দুটি মিনার, মাঝে দুটি মিনার ৫০ফুট এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ ৫১৬ফুট। প্রত্যেকটি গম্বুজে রয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। মিনার দুটির উচ্চতা ৫০ফুট, যে মেহরাবে খতিব বয়ান করবেন সেটির উচ্চতা ৫০ফুট। ৫২টি গম্বুজ ২০ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ফুট।


আরও খবর



জনগণের সেবা নিশ্চিত করলে ভবিষ্যতে ভোটের চিন্তা থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ভোটের চিন্তা থাকবে না,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে আওয়ামী লীগ। লক্ষ্য স্থির রেখে পরিকল্পনার জন্যই দেশে দারিদ্র্যতা হ্রাস পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটির মেয়র কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য জাতির পিতা প্রথমে ইউনিয়ন পর্যায়ে দশ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তিনি সম্পন্ন করতে পারেননি। আমি সরকারে আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক করলাম। স্থানীয় লোক সেখানে জমি দেয়, আমরা ভবনের ব্যবস্থা করা, চিকিৎসার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে নিয়োগ দেই। ৩০ ধরনের ওষুধ আমরা বিনামূল্যে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, আপনারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে এসবের দিকে নজর দেবেন। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো সঠিকভাবে চলছে কিনা তার খবর রাখবেন। মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে কিনা। মানুষ সেবা পাওয়াটাই বড় কথা।

নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ভোটের কোনো চিন্তা থাকবে না। মানুষ আপনাদের ওপর আস্থা রাখবে, বিশ্বাস রাখবে। এই কথাটা আপনারা মাথায় রাখবেন। জনসেবার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন, সেটাই আমরা চাই।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ নেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ইকরামুল হক (টিটু) ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা। এ সময় শপথ নেন কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, ব্রাক্ষণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের কাছে শপথ নেন ময়মনসিংহ সিটির ৪৪ জন কাউন্সিলর।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত সাড়ে ৮টায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কররেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম ও মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ক্বারী হিসেবে এই জামাতে দায়িত্ব পালন করবেন।

সোমবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তবে প্রতিকূল আবহাওয়ায় ঈদগাহে জামাত সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাসের জানান, ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করবেন।

এছাড়াও অনেক মুসল্লি মূল প্যান্ডেলের বাইরে ঈদের জামাত আদায় করে থাকেন।

এদিকে প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের দিন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, সকাল ৭টা, সকাল ৮টা, সকাল ৯টা এবং সকাল ১০টায় যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ জামাত হবে। পঞ্চম জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজে অংশ নিতে পারবেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৩৫ হাজার মুসল্লির অংশ নিতে পারবেন জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাতে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, এই জামাতে নারীদের নামাজের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএসসিসি মেয়র। জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।

তিনি বলেন, এখানে ৩৫ হাজার মুসল্লির জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি কোনো ধরনের বৃষ্টিপাত হবে না। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আমরা সে ধরনের তথ্য পেয়েছি। কালবৈশাখী ঝড় অথবা প্রবল বৃষ্টিপাত হলেও এখানে যেন সুষ্ঠুভাবে জামাত অনুষ্ঠিত করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি। পুরোটা অংশ আমরা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। যেন পানি পড়তে না পারে এবং কোনো দুর্ভোগ না হয়।

মেয়র তাপস আরও বলেন, এখানে আমাদের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থাকবে এবং সব স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা থাকবে। যাতে করে কোনো মুসল্লির কোনো সমস্যা না হয়। জামাতে প্রবেশের জন্য ৪টি প্রবেশ পথ তৈরি করা হয়েছে। নারীদের জন্য আলাদা প্রবেশ পথ রয়েছে। এছাড়া জামাত শেষে বেরোনোর জন্য আরও তিনটি ফটক আমরা রেখেছি। যাতে কর দ্রুত সবাই বের হয়ে যেতে পারে।


আরও খবর



ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সরাসরি বাংলাদেশ থেকে তৈরিপোশাক নিতে (আমদানি) ব্রাজিলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (এপ্রিল ৮) সকালে গণভবনে দেশটির সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ আহ্বান জানান তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশ সীমিত আকারে তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে। ব্রাজিল যদি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক আমদানি করে সেটা তাদের জন্য আরও সাশ্রয়ী হবে।

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্কে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পণ্য বিশেষ করে পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্য আমদানি করতে ব্রাজিলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

আসন্ন জি টুয়েন্টি সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা এ সংক্রান্ত আমন্ত্রণপত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। শেখ হাসিনা আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ব্রাজিল সফরে সম্মত হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্রাজিল তার আর্থ-সমাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ব্রাজিল উভয় দেশই ক্ষুধা-দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ইস্যুতে একই পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

বৈঠকে প্যালেস্টাইন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যে নৃশংসতা চালাচ্ছে সেটা গণহত্যা।

এদিকে বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে ব্রাজিলের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম সম্বলিত ব্রাজিলের একটি জার্সি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।


আরও খবর