Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৪৩৫জন দেখেছেন

Image

ফুসফুস ক্যান্সার পুরুষ-মহিলা সবার জন্য এক আতঙ্কের নাম, কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এতে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়। খোদ যুক্তরাষ্ট্রে বছর লাখ ৩৬ হাজার মানুষের ফুসফুসের ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে লাখ ৩০ হাজার জনের বেশি মারা গেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাংলাদেশে ২০২০ সালে ১২ হাজারের বেশি মানুষ ফুসফুস ক্যান্সারে মারা গেছেন। যদিও দেশে ক্যান্সার রেজিস্ট্রি না থাকায় আক্রান্ত মৃতের প্রকৃত সংখ্যা জানা যায় না। দেশে শনাক্ত রোগীদের অধিকাংশই অ্যাডভান্সড স্টেজে পৌঁছার পরই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন, যখন রোগের জটিলতা বেড়ে যায়। ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে ক্যান্সার ফুসফুস থেকে দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।

ফুসফুস ক্যান্সারের রোগী বেশি কেন?

সুনির্দিষ্টভাবে মূল কারণ চিহ্নিত না হলেও এটা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত যে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় তামাক গ্রহণই ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্তের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ দায়ী। বিশেষ করে ধূমপান, নিজে করলে তো বটেই এমনকি পরোক্ষ ধূমপায়ীও সমানভাবে ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন।

অ্যাসবেস্টস জাতীয় পদার্থের সংস্পর্শে থাকলেবিভিন্ন ধাতব পদার্থের মাত্রা বাতাসে বেশি থাকলেবাতাসে রেডন গ্যাসের উপস্থিতি থাকলে;

বংশানুক্রমিকভাবেও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

লক্ষ্মণগুলো কী হতে পারে

প্রথম দিকে হালকা কাশি, আস্তে আস্তে তা বেড়ে যাবে কাশির সঙ্গে রক্ত আসতে পারে। বুকে ব্যথা করা। শ্বাসকষ্ট হওয়া যা বেড়ে গিয়ে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হতে পারে। খাওয়ায় অরুচি, শরীর ভেঙে পড়া, ওজন কমে যাওয়া এগুলোও প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।

প্রথমে দিকে মাথাব্যথা, খিঁচুনিও দেখা দিতে পারে। অনেক সময় রোগী হাড়ের ব্যথা কিংবা জন্ডিস নিয়ে আসতে পারে এগুলো যথাক্রমে হাড়ে বা লিভারে ছড়িয়ে যাওয়ার লক্ষণ।

ফুসফুসের ক্যান্সার শনাক্তের প্রক্রিয়া

কফ পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার কোষ আছে কিনা দেখা যায়। সাধারণ বুকের এক্স-রে থেকে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়া সিটি স্ক্যান কিংবা পেট সিটি স্ক্যানের মতো বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে ক্যান্সারের অবস্থান নির্ণয় করা যায়। প্রয়োজনে বিশেষ পরীক্ষা ব্রঙ্কোস্কোপি করার বিধান আছে।

চূড়ান্ত পর্যায়ে রোগটি কী ধরনের তা বোঝার জন্য ফুসফুসের আক্রান্ত স্থানে সুই ঢুকিয়ে কোষ সংগ্রহ করা হয়। এরপর প্রাথমিকভাবে তা অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে দেখা হয়। সূক্ষ্মভাবে কোষ শনাক্তের জন্য সেটির ইমিউনোহিসটোকেমিস্ট্রি করা হয়ে থাকে।

রোগ শনাক্তকরণের পরবর্তী পদক্ষেপগুলো কী?

অন্য সব ক্যান্সারের মতো ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য শনাক্তের পর রোগটি কোন স্তরে আছে তা নির্ণয় করতে হয়। এর ভিত্তিতেই পুরো চিকিৎসার পরিকল্পনা করা হয়। মূলত প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে, বিশেষ ধরনের কোষ ছাড়া, প্রায় সব ক্ষেত্রে সার্জারি বা অপারেশনের মাধ্যমে রোগ থেকে সমাধান পাওয়া সহজ। অন্যথায় অন্যান্য চিকিৎসার আশ্রয় নিতে হয়। যেভাবে আমরা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় রোগীকে নিয়ে চিন্তা করি তা হলোসার্জারির মাধ্যমে রোগাক্রান্ত অংশ কেটে ফেলা বা প্রয়োজনে আরো একটু বেশি অংশও ফেলে দেয়া হয়। এছাড়া রোগ ছড়িয়ে পড়লে কিংবা সার্জারি করার পরও কেমোথেরাপি বা বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয়। টার্গেটেড থেরাপি, ইমিউনোথেরাপির মতো আধুনিক চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেও করা হচ্ছে। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি অ্যাবলেশন (আরএফএ) করা যায়। উন্নত বিশ্বে এরই মধ্যে অত্যন্ত ব্যয়বহুল প্রোটন থেরাপি চিকিৎসা চর্চা শুরু হয়েছে। যখন রোগী অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় চলে যায় তখন জীবনমান ধরে রাখার জন্য মেট্রোনমিক থেরাপি  বা প্যালিয়েটিভ ট্রিটমেন্ট দেয়া হয়।

দেশে ফুসফুসের ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থার সক্ষমতা

রোগীরা প্রাথমিক অবস্থায় এলে সার্জারির মাধ্যমে নিরাময়ের জন্য আমাদের চিকিৎসক আছেন, যারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজটি করতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন ধাপ ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধের প্রাপ্যতাও আছে। এসব ওষুধের ৯০ শতাংশই দেশে প্রস্তুত হয়। কিন্তু মূল সংকট দেখা দেয় যখন রেডিওথেরাপির প্রয়োজন হয় তখন। অপ্রতুল যন্ত্রের জন্য সময়মতো চিকিৎসা দেয়া যায় না। তাছাড়া প্যালিয়েটিভ সেবার কেন্দ্র প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই নগণ্য।

দেশের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা দিতে সক্ষম। তবে মূল শত্রু তামাক নিয়ন্ত্রণ পরিবেশ দূষণের সঠিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন না হওয়ার পাশাপাশি রোগীদের দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসা, অপ্রতুল রোগ শনাক্তকরণ কেন্দ্র রেডিওথেরাপি মেশিনের ভয়াবহ স্বল্পতার কারণে ফুসফুসের ক্যান্সারে মৃত্যুহার বেশি। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি হতাশাজনকই।

 

অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক

ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ 

প্রকল্প পরিচালক, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি


আরও খবর



আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে চাই-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সরকারের আইন-শৃঙ্খলা অনুসরণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই পার্বত্য অঞ্চল বিশেষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির ফলস্বরূপ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে। এ অঞ্চলের সকল সংস্থাগুলো আইন শৃঙ্খলার মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে। আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে পারলেই আমাদের স্বার্থকতা বাস্তবায়ন হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষ এনেক্স ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২য় সভায় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

বৈঠক শেষে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অদৃশ্য শক্তি বলে কোন কথা নেই কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংএর বিষয়টি একনেক সভায় উপস্থাপন করা আছে, পাশ হলেই আগামী অর্থ বছরে কাজ শুরু হবে। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি শৃঙ্খলা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। সম্মিলিতভাবে সকলেরই এতে অংশগ্রহণ থাকতে হয়। তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সকল জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়, সকল গোষ্ঠী সহাবস্থানের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের মুল স্রোতধারার সাথে আমাদের এক হয়ে এগুতে হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চল শুধু নয়, পুরো বাংলাদেশকে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখানে জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায় আলাদা কিছুই থাকবে না। বাংলাদেশের উন্নয়নে সকল সম্প্রদায়কে একসাথে কাজ করতে হবে। 

পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, আগামী দিনগুলোতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আরো বেশী তরান্বিত করা হবে। 

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, দীর্ঘ বছর পর সাজেকের রাস্তাঘাট হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে দুর্গম অঞ্চল সাজেকের মতো জায়গায় এতো তরিৎ গতিতে রাস্তাঘাট নির্মাণ করা ও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া এবং সীমান্ত বর্ডার রোড তৈরী করা চারর্টিখানি কথা না। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা থাকলে এই রাস্তা আরো দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হবে।

বৈঠক শেষে পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সরেজমিনের পরিদর্শন করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী  বীর_বাহাদুর_উশৈসিং_এমপি’র সভাপতিত্বে  পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী  কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি  দীপংকর তালুকদার এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি  মোঃ মঈন উদ্দিন, যশোর-১ আসনের এমপি  শেখ আফিল উদ্দিন,  সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪৮ এমপি  জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ, উপজাতীয় শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান  সুদত্ত চাকমা (সিনিয়র সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, প্রাথমিক ও গণশিক্ষার মহাপরিচালক  শাহ রেজওয়ান হায়াত (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব  আমিনুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটির সচিব  অমলেন্দু সিংহ (যুগ্ন সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান  হারুন-অর_রশিদ (যুগ্ন সচিব), তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সিইও বৃন্দ, আঞ্চলিক পরিষেদের প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বরত উপসচিব এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



ছুটি শেষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;পবিত্র ঈদুল ফিতর,পহেলা বৈশাখ উদ্ধসঢ়;যাপন উপলক্ষে টানা ৬ দিন বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু হয়েছে। সেই সাথে বন্দরে পণ্য লোড-আনলোডসহ সকল প্রকার কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। বন্দরে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্যতা।তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি জানান,৯ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের এবং ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে টানা ৬ দিন বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হয়েছে।

এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল ইসলাম জানান,ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে হিলি  স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি- রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক ছিল।


আরও খবর

পাঁকা আমের কাঁচা আটি

শনিবার ০৪ মে ২০২৪




হাসপাতালগুলোকে যে নির্দেশ দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৩০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তীব্র দাবদাহের কারণে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক সভা শেষে তিনি এ নির্দেশনার কথা জানান।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দাবদাহের কারণে কোল্ড কেস (যাদের এখন ভর্তি হওয়ার দরকার নেই) রোগীদের এ মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বাচ্চা ও বয়স্কদেরকে প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন ডা. সামন্ত লাল সেন। সেইসঙ্গে হাসপাতালগুলোকে প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত রাখতে বলেছেন তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে। কারণ আমরা বাচ্চাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলবো না।


আরও খবর



রাজধানীর তেজগাঁওয়ে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার মাছের আড়তের সামনে ঢাকা অভিমুখী আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জামালপুর থেকে ঢাকাগামী ট্রেনটি সকাল ৮টার দিকে লাইনচ্যুত হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাচ্ছে। এখন একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



ঈদে ১৭২ বাইক দুর্ঘটনা: ঢামেকে ভর্তি ৮২, নিহত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২৩৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে,ঈদুল ফিতরের ছুটিতে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজধানী ও আশেপাশের এলাকায় সর্বমোট ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।

তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাট এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যায়। এই সুযোগে মোটরসাইকেল চালকরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, বুধবার রাত ১২টা থেকে আজ রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলেই ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এরমধ্যে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন।


আরও খবর