Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ফসলের সাথে এ কেমন শত্রুতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৮১জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নান

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক কৃষকের ২২ শতাংশ জমির ফলন্ত করল্লা গাছ কেটে ও ছিড়ে উপড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে।তাতে ওই গরীব কৃষকের প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষক পরিবার সুত্রে জানা গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে ৮ মার্চ গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের বুড়িয়াচং গ্রামে।ওই গ্রামের মৃত গ্রীস সরকারের ছেলে কৃষক মনোরঞ্জন সরকার অনেক কষ্ট ও ধার দেনা করে বাড়ির পাশে ২২ শতাংশ জমিতে করল্লা চাষ করে।



সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় জমিতে করল্লা ধরতে শুরু করেছে।মনোরঞ্জন ও তার পরিবারের লোকেরা জানায়এমন সময় তার প্রতিবেশী প্রশান্ত সরকার ২০ ও তার বাবা অনিল সরকার ৭০ পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে রাতের অন্ধকারের জমির সকল করল্লা  গাছ গোড়া দিয়ে টেনেছিঁড়ে ও কেটে ফেলে দিয়েছে।মনোরঞ্জন দাস ও তার প্রতিবেশীরা আরো জানায়। প্রায় চার বছর যাবৎ প্রশান্ত থাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে।প্রশান্তর ভয়ে মনোরঞ্জন ও তার পরিবারের লোকজন নির্ভিগ্নে চলাফেরা করতে পারছেনা।



তারা আরো জানায় প্রশান্তের কারনে একটি ছোট্র শিশুও রয়েছে আতংকে।মনোরঞ্জন আরো জানান প্রশান্ত যে কোন সময় থাকেও মেরে ফেলতে পারেন।তিনি জানান এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।এ বিষয়ে জানতে প্রশান্তের বাড়িতে গেলে সাংবাদিকের কথা শোনে বাড়ি থেকে চলে যায়।নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন,লিখিত দরখাস্ত পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



গাংনীতে ইসস্তকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১০৯জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধি:প্রচন্ড তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে ও বৃষ্টি চেয়ে ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করেছেন মেহেরপুরের গাংনীর মুসল্লীরা। আজ শুক্রবার সকাল দশটায় গাংনীর পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের ফুটবল মাঠে বিভিন্ন বয়সী মুসল্লিগন দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। শেষে খুতবা পাঠ করে গুনাহ মাফের জন্য তওবা পড়ানো হয় মুসল্লিদের। এর পরে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন মুসল্লিরা। আল্লাহর কাছে স্বস্তির পানি চেয়ে চোখের পানি ফেলেন অনেকে। এসময় কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে রহমতের বষর্ণ এবং সকল মুসলিম উম্মার জন্য শান্তি কামনা করা হয়।

নামাজে ইমামতি করেন পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা গোলাম কিবরিয়া। নামাজ শেষে তিনি মহান আল্লাহুর কাছে ক্ষমা চান। চলমান তাপদাহকে গজব উল্লেখ করে তিনি আল্লাহর কাছে তওবা করে ফরিয়াদ করার আহবান জানান।


আরও খবর



গাংনীতে অফিসে না গিয়েও হাজিরা খাতায় শতভাগ উপস্থিত স্বাস্থ্যকর্মী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ইনচার্জ আমির হামজা অফিস করছেন স্বেচ্ছাচারিতার ভিত্তিতে। দুয়েক দিন অফিসে আসলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে অফিস ত্যাগ করেন। তবে রোগী পেলে বিভিন্ন পরীনিরীক্ষার জন্য লিখে দিয়ে চলে যান। এতে এলাকার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

সরজমিনে সোমবার দুপুরে তার অফিসে গিয়ে দেখা মেলেনি। অফিসে কর্মরত এক নারী কর্মচারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাড়ির কাজে তিনি ব্যস্ত আছেন। ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করছেন। রোববার তিনি অফিসে আসেননি। তবে কিছুক্ষণ পরেই ওই কর্মচারী কথা ঘুরিয়ে নেন। তিনি এবার দাবি করেন, তিনি (আমির হামজা) আজ অফিসে এসেছিলেন। তবে এর পরে তিনি কোথায় গেছেন তা আমি জানি না।

জানা গেছে, আকস্মিক কেউ অফিসে গেলে কর্মচারীরা তার উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতির বিষয়ে এভাবেই তথ্য দিয়ে থাকেন। মিথ্যা ঢাকার জন্য নানা অপকৌশলের মধ্যেই কেটে যাচ্ছে দিনের পর দিন। ছুটি গ্রহণ বাদে হাজিরা খাতায় তার সাক্ষর শতভাগ। তাই দাপ্তরিকভাবে উপস্থিতি ঠিক রাখা হলেও বাস্তবতার সাথে মেলেনা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আমির হামজা অফিস করেন ইচ্ছেমাফিক। সপ্তাহের প্রায় দিনই তিনি অফিসে থাকেন না। দুয়েকদিন সকালে অফিসে আসলেও তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পাননা এলাকার মানুষ। অফিসে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পরে বের হয়ে যান। তবে তিনি কোথায় যান সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি অফিসে কর্মরতরা।

জানা গেছে, গেল জুন মাস থেকে আমির হামজা অন্য জেলা থেকে বদলি হয়ে গাংনীতে আসেন। সাহারবাটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) হিসেবে যোগদান করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহ আল আরাফাত (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) বলেন, হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর আছে, তবে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তদন্তে তার অনুপস্থিতির বিষয়টি যদি প্রমান পাওয়া যায় তাহলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ৩টি বসতঘর পুড়ে ছাই; অর্ধলক্ষ টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৪২জন দেখেছেন

Image

শেফালী আক্তার রাখি , মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট):বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গভীর রাতে তিনটি বসতঘর পুড়ে ছাই। অর্ধলক্ষাধিক টাকার ক্ষতি। ঘটনাটি ঘটেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুটিখালী ইউনিয়নের পুটিখালী গ্রামে। ইউপি চেয়ারম্যান  আঃ রাজ্জাক শেখ ও ইউপি সচিব বাবুল মোল্লা সকাল ১০ টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।  

জানাগেছে, উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়নের পুটিখালী গ্রামের বাসিন্দা (ঢাকায় গার্মেন্স শ্রমীক) মিজান হাওলাদার, কৃষক শহিদুল হাওলাদার ও অজিয়ার হাওলাদারের কাঠের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। তবে, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদুৎতিক সট সার্কিট থেকে মিজান হাওলাদারের বসতঘর থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে নগদ  ১২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ও স্বর্নলকার সহ প্রায় ৫০ লক্ষ  টাকার ক্ষতি হযেছে। 

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী কল্পনা বেগম বলেন, গত রাত অনুমান তিনটার দিকে মিজান হাওলাদারের বসতঘর থেকে কারেন্টর মিটারে আগুন দেখে চিৎকার করি। আমাদের বাড়ি কোন পুরুষ লোক ছিল না। মিজানের ঘর পুরে আমাদের ঘরে আগুন লাগে। আগুনে আমার ঘরে থাকা নগদ ৬ লক্ষ টাকা ও স্বণালংকার সহ প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই নাই। সব পুরে ছাই হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত মিজান হাওলাদারের বড় বোন লাভলী বেগম বলেন, গভীর রাতে আগুন লাগে। আমার ঘরে থাকা জমি কেনা বাবদ টাকা, চাল, ডাল সহ স্বর্ণ ও ঘরের মালামালসহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জর পুটিখালী ইউপি চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাক শেখ বলেন, আগুনে তিনটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মাননীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আগুনের ঘটনা অবহিত করেছি। তারা সহযোগিতার করার আশ্বাস দিয়েছে। আমি পরিষদের মাধ্যমে যতটুকু সম্ভব ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করবো। 


আরও খবর



তাহিরপুরে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব : দেখার কেউ নাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী, কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের পর বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে।

কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে আইনগত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে সীমান্ত এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজরা। আ  এই চোরাচালান করতে গিয়ে গত ৩ মাসে প্রায় ২৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন।

খোঁজ জানা গেছে- আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, লেংড়া জামালগং ২শ টন কয়লা, ৫শ বস্তা চিনি ও পেয়াজসহ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে। একই সময় এই সীমান্তের কলাগাঁও, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া ও নজির মিয়াগং গত ২দিনে প্রায় ৫শ টন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত একাধিক ডিপুসহ বাড়িঘরের ভিতরে মজুত করেছে। এজন্য ১ বস্তা (৫০কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা ও অন্যান্য মালামাল থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করেছে সোর্স পরিচয়ধারী আইনাল মিয়া, সোহেল মিয়া ও বাবুল মিয়া। অন্যদিকে টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ১বস্তা চোরাই কয়লা থেকে বিজিবির নামে ৫০টাকা, থানা ও সাংবাদিকদের নামে ১টন অবৈধ কয়লা থেকে ২হাজার টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি চুনাপাথর (৫০ ফুট) থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা চাঁদা নিয়ে প্রায় ২শ মেঃটন কয়লা ও ৩শ মেঃ টন চুনাপাথর পাচাঁর করে বড়ছড়া-জয়বাংলা বাজার সংলগ্ন কাঠের ব্রিজ ও আশেপাশের একাধিক ডিপুতে মজুত করেছে। একই সময়ে পাশের চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, গারো ছড়া, রাজাই, কড়ইগড়া ও বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, জয়ধর মিয়া, শফিকুল, নিজাম মিয়া, নজরুল, জামাল মিয়া, হারুন, জম্মত আলীগং ৩শ মেঃ টন কয়লা, ২০টি গরু, ২শ বস্তা চিনি, ৩৫০বস্তা পেয়াজ পাচাঁর করেছে। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম ও লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং কয়লা, পাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, মদ, গাঁজা, ইয়াবা পর করে চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই।

এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্মার কফিল উদ্দিন বলেন- সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত প্রতি গরু থেকে ১হাজার টাকা, ১ বস্তা চিনি থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা পেয়াজ থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা করে চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের নামে চাঁদা নেওয়া হয়। একারণে সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ধান কাটার সময় কিন্তু চোরাচালানের কারণে শ্রমিক পাওয়া যায়না। বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানি কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। এই চোরাচালানের কারণ আমরা প্রায় ৩হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে বারবার জানানোর পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয় না।

এব্যাপারে সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জানাতে চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬), চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিত এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৯) সহ বালিয়াঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৭) ও টেকেরঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে বারবার কল করার পর ফোন রিসিভ না করে তারা আমার মোবাইল নাম্বার (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) ব্লক করে দেয়।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর



থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা,পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে হামলার শিকার!

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৫জন দেখেছেন

Image

র‌নি,ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নিধি:সিলেটের বিশ্বনাথে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ৭বছরের শিশু সন্তানসহ হামলার শিকার হয়েছেন ছাত‌কে এক ব্যবসায়ী। সে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার ছৈলা আফজলাবাদ ইউপির দীঘলী রামপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে আবুর কয়েছ (৪২)।

গত ৩ মে বিকেলে বিশ্বনাথ উপজেলা বৈরাগী বাজারস্থ ঢাকা ফ্যাশনের সামনে শিশু সন্তানসহ এ হামলার শিকার হ‌য়ে‌ছেন। এ ঘটনায় পরদিন ৪ মে বিশ্বনাথ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে আসামীরা সরকার দলীয় প্রভাবশালী হওয়ায় থানা কর্তৃপক্ষ তার মামলা গ্রহণ না করে নানা টালবাহানায় প্রায় ৯দিন অ‌তিবা‌হিত হ‌লে থানায় মামলা নেয়‌নি। পরে হামলার শিকার আবুল কয়েছ নিরুপায় হয়ে ও থানায় ব্যর্থ হওয়ার পর ১০ জনের নামে সিলেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

গত ১৩ মে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমল গ্রহণকারী ০১নং আদালতে এ মামলা দায়ের করে। বিশ্বনাথ বৈরাগী বাজার,মেসার্স ঢাকা ফ্যাশনের মা‌লিক সুলতান মিয়া (৪৮) কে প্রধান আসামী ক‌রে ১০ ব‌্যক্তি না‌মে সি‌লেট আদালতে এক‌টি মামলা দায়ের করেন। 

আসামীরা হ‌লেন,মনু মিয়া (৬0) ইউসুফ মিয়া (৫0),উভয় পিতা- মৃত তাহির আলী,মোঃ কাহার মিয়া (৩0), পিতা- অজ্ঞাত মেসার্স ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটরস, বৈরাগী বাজার, জাকির মিয়া (৩৫) বাবুল মিয়া (৩২), উভয় পিতা- মনু মিয়া,নূর মিয়া (৩৫), রতন (৩০),  আকিল বাবু (৪০), সাজিদুর রহমান (৩০)সাজিদুর রহমান (৩০)

বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং- ১৪২/২০২৪ ইংরেজী।

এ মামলাটি তদন্তের জন্য সিলেটের ডিবি পুলিশের কাছে দিয়েছেন আদালত।

বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, বৈরাগী বাজারের ব্যবসায়ী মেসার্স ঢাকা ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকারি সুলতান মিয়া (৪৮) এর কাছে কাপড় বিক্রির ১লাখ ৩০হাজার টাকা পান। ইতোমধ্যে মধ্যস্থতায় ১০হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন। গত ৩ মে তার শিশু সন্তানকে সাথে নিয়ে বাকি ১লাখ ২০ হাজার টাকা চাইতে তার ওপর হামলা করা হয়।

এ হামলায় তার শিশু সন্তান সুফিয়ান আহমদ’সহ দুজন আহত হন। বর্তমানে ওই শিশু সন্তান সুফিয়ান আহমদ মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত আছে। এছাড়াও হামলার সময় বাদির বাম পকেট থেকে ব্যবসার ৯০হাজার টাকা ও ৪৫হাজার টাকা দামের একটি স্যামসং মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তারা।

আর এঘটনায় আদালতে দেয়া তার এজাহারে আসামি করেছেন মেসার্স ঢাকা ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকারি সুলতান মিয়া (৪৮), বৈরাগী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মনু মিয়া (৬০), তার ভাই ইউসুফ মিয়া (৫০) ও বৈরাগী বাজারের মেসার্স ওয়াল্টন ডিস্টিবিউটর কাহার মিয়া (৩০) সহ ১০জনকে। অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে আরও ৪০/৫০জনকে।

মামলা বাদি আরও অভিযোগ করে বলেন, তিনি ৪ মে হতে বিশ্বনাথ থানায় চার পাঁচবার গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন। অবশেষে তিনি ৯দিন পর নিরুপায় হয়ে সি‌লে‌টের আদালতে গিয়ে এই মামলা করেছেন।

বিশ্বনাথ জানতে চাইলে থানার ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, এবিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে মনে হয়নি। তবে দেখে বলতে হবে বলে জানান।


আরও খবর