Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

ফসলী জমিতে অবৈধ ইট ভাটা হুমকিতে আলু চাষীরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জানুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২৪৬জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মোহনপুর উপজেলার ঘাষিগ্রাম ইউনিয়নের (ইউপি) বড়াল মাঠে চার ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনির অবৈধ ইটভাটা। উপজেলার সিংহভাগ মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত আছে। এখানে মাছ, পান, ও আলুর ব্যাপক সুনাম রয়েছে দেশ-বিদেশেও সুখ্যাতি রয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষিকাজের ওপর নির্ভর করেই এসব মানুষকে তাদের সংসার চালাতে হয়। এক কথায় বলতে গেলে কৃষিনির্ভর অর্থনৈতিক অঞ্চল এটি। ভালো মাটি ও সুন্দর জলবায়ুর কারণে ফসলের সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়। কিন্ত অবৈধ ইটভাটার কারণে এখানে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে পরিবেশের। এছাড়াও ভাটার গর্ভে চলে যাচেছ কৃষিজমির টপ সয়েল (উপরিভাগের মাটি)।

কয়লার বদলে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। আর ইট তৈরির মৌসুমকে ঘিরে ভাটাগুলোতে মজুদ করা হয়েছে ফসলী জমির মাটি ও খড়ি। এতে এলাকার কৃষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। ইট ভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ও গরম বাতাসে ফসরহানিসহ পরিবেশ দুষিত হয়ে জনজীবন দুর্বীসহ হয়ে পড়েছে। একাধিক সূত্র জানায়, প্রতিবছর অবৈধ এই ভাটাতে প্রায় শত বিঘা ফসলি জমির টপ সয়েল পোড়ানো হয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত ১৯৯২ সালের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে কৃষি-জমিতে ইটভাটা নির্মাণ দণ্ডনীয় অপরাধ ও ইট প্রস্তুত এবং ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩, কৃষি জমিতে ভাটা স্থাপন সম্পুর্ন  নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বড়াল মাঠে চার ফসলি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা মেসার্স এএমএসএস ইট ভাটায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিশাল মজুদ করা হয়েছে। ভাটাতে জ্বালানী হিসেবে কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। অথচ সরকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করে।

কিন্ত আইন রয়েছে আইনের জায়গায়, বাস্তবে নেই কোনো প্রয়োগ। ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ভাঁটা মালিক। কোনরকম অনুমোদন ছাড়াই ফসলি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে এই ইট ভাটা। এলাকার কৃষিজমির টপ সয়েল দিয়েই তৈরি হচ্ছে ফাঁপা, ও ছিদ্রবিহীন ইট। কালো ধোঁয়ায় এলাকা আচ্ছন্ন করে তৈরি করা হয় ইট। আর গ্রামীণ সড়ক ব্যাবহার করে পরিবহন করা হয় ইট ও ইট তৈরীর মাটি। বেলনা কারিগরি কলেজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন  আজিজুল হাজির অবৈধ ইট ভাটার কারণে মাঠে ফসলহানিসহ পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। কৃষক বাবলু, রহিম ও জামাল বলেন, এই ইট ভাটার কারনে তারা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ভাটার কালো ধোঁয়া ও গরম বাতাসে জমির ফসলহানি হচ্ছে, তারা দ্রুত অবৈধ ভাটা অপসারণ করার দাবি করেছেন।

বিগত ২০১৩ সালের আইনে কৃষি জমিতে ভাটা স্থাপনের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স দিতে পারবে না। আইনে আরও উল্লেখ রয়েছে ইটে অবশ্যই হ্যালো ফ্লাক্স থাকতে হবে। জ্বালানি হিসেবে কাঠ, বাঁশের মোথা, ও খেজুর গাছের গুড়ি ব্যবহার করা যাবে না। খাল, নদী, পতিত জমি ব্যতীত ফসলী জমির মাটি ব্যবহার করা যাবে না এমনকি অতিরিক্ত সালফার, অ্যাশ, মারকারি বা অনুরূপ উপাদান সম্বলিত কয়লা ব্যবহার করা যাবে না ইত্যাদি আরো অনেক নিয়ম রয়েছে যা পরিবেশ রক্ষার জন্যই করা হয়েছে। এসব অবৈধ ইটভাটার কারণে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পরিবেশ।

আশেপাশের জমিগুলো অনুর্বর করে তুলেছে, অল্পতে  শুকিয়ে যাচ্ছে জমির পানি। অবৈধ ট্রাক্টঁর, ট্রলি ও নছিমন-করিমনে মাটি ও ইট পরিবহন করায় গ্রামীণ সড়কগুলো প্রায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষসহ কৃষকেরা। এবিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স এএমএসএস ইট ভাটার স্বত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব আজিজুল হক বলেন, সারাদেশে যেভাবে ইট ভাটা চলে তিনিও সেভাবে চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, তারা প্রতিবছর প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা ভ্যাট দেন, অবৈধ হলে তাদের টাকা নেয়া হচ্ছে কেনো। তিনি বলেন, সরকার যদি ভাটা বন্ধ করে দেন তাহলে তারা বন্ধ করে দিবেন।

এবিষয়ে মোহনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, অধিকাংশ কৃষিজমিতে ভাটা স্থাপন করেন কোনরকম অনুমতি ব্যতীত। এসব ভাটা কারণে কৃষিতে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। এর আশেপাশে ও কয়েক কিলোমিটার ভিতরে থাকা ফসলগুলো কখানো কখানো দশ থেকে একশ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। অত্র এলাকায় আমের গাছে মুকুল আসবে না মুকুল আসলেও গুটি অবস্থায় আম ঝরে যাবে। এ বিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, কৃষকেদের উন্নয়ন দ্বারাই দেশের আরও উন্নয়ন ঘটবে। দ্রুত কৃষি জমিতে অবৈধ ইট ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে আইন আনুক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, তিনি রাজশাহী মিটিংয়ে আছেন, আগামিকাল বড়াল মাঠের ইট ভাটায় অভিযান দেয়া হবে।

আরও খবর



আগাম জামিন অনির্দিষ্টকালের জন্য দেওয়া উচিত নয়: আপিল বিভাগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২১৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অনির্দিষ্টকালের জন্য কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে আগাম জামিনে থাকতে দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ। রমনা থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির দুই নেতার জামিন প্রশ্নে এক আদেশে এমন অভিমত দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

গত ৬ মার্চ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চের ওই আদেশ শনিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, এই সব রায়ের নীতি অনুসারে ব্যক্তি/ব্যক্তিদের অনির্দিষ্টকালের জন্য আগাম জামিনে থাকতে দেওয়া উচিত নয়। পুলিশ রিপোর্ট পর্যন্ত বিবাদীদের আগাম জামিন দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগ আপিল বিভাগের রায়ের নীতি বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মাঝেমধ্যে যথাযথ তদন্তের স্বার্থে কোনো মামলার প্রতিবেদন দিতে বেশি সময় নিতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে, অভিযুক্ত পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না করা পর্যন্ত আগাম জামিনের সুবিধা উপভোগ করার অধিকারী নয়।

আপিল বিভাগের আগের দেওয়া কয়েকটি রায়ের রেফারেন্স দিয়ে এসব কথা বলেন আদালত। ‘রাষ্ট্র বনাম মো. কবির বিশ্বাস’, ‘রাষ্ট্র বনাম অধ্যাপক ড. মোরশেদ হাসান খান এবং অন্যান্য, ‘রাষ্ট্র বনাম আবদুল ওয়াহাদ শাহ চৌধুরী’ মামলার রায় এ আদেশে উদ্বৃত করা হয়।


আরও খবর



মাগুরায় কমরেড খালেকুজ্জামানের মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image
সাইদুর রহমান,মাগুরা স্টাফ রিপোর্টার:বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা, প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড খালেকুজ্জামান মাগুরায় বাম প্রগতিশীল নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

রবিবার বিকেলে কিছু সময়ের জন্য মাগুরায় আসলে এই স্বল্প সময়ের  একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় মাগুরা রেডিয়েন্ট স্কুলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা জাসদের সভাপতি এটিএম মহব্বত আলী,  ওয়ার্কাস পার্টির কাজী ফিরোজ নারী নেনেত্রী সম্পা বসুসহ বাম প্রগতিশীল নেতৃবৃন্দ, সম্মানিত  শিক্ষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আদিবাসী নেতৃবৃন্দ।

কমরেড খালেকুজ্জামানের সাথে এসেছিলেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড ওসমান আলী, বাসদ কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য কমরেড মোসায়েদ ঢালি, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কমরেড মাহমুদা হোসেন, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সদস্য কমরেড খাদিজা।

আরও খবর



দেশজুড়ে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তাপপ্রবাহের তীব্রতা বাড়তে পারে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে৷ তাই দেশে তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক সতর্কবার্তায়। এছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শনিবার সকাল থেকে রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থয়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

রোববার সকাল থেকে সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পাঁচ দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে।


আরও খবর



প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে তিনবার গুড়ানো অবৈধ ইটভাটা পুনরায় চালু

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে তিন বার গুড়িয়ে দেয়া তিনটি অবৈধ ইটভাটা পুনরায় চালু করার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতার দাপটে ছোট চিমনী নির্মাণ করে পরিবেশ দুষণ করে পুড়ানো হচ্ছে ইট। আর নষ্ট হচ্ছে ধানসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফসল ও ফলমুল। তাহলে ওই অবৈধ ইটভাটা এভাবেই চলবে? এমন প্রশ্ন হতাশাগ্রস্থ কৃষকসহ স্থানীয়দের।

এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারী কালিয়াকৈর উপজেলার দরবাড়িয়া এলাকায় অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। ওই ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী। অভিযান চালিয়ে ভাটার আংশিক সাইট ওয়াল ভেঙ্গে জে.আর.বি ইটভাটা ৪ লক্ষ টাকা, এস.বি স্টারকে ৪ লক্ষ টাকা এবং ন্যাশনাল ব্রিকসকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। অদৃশ্য কারণে চিমনী না ভেঙ্গে বৈশম্যে জরিমানায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, সাবেক ওই ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করে ৩/৪ দিন পরেই এসব ইটভাটা আবার চালু করে ইটভাটার মালিকরা। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে টনক নড়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। ওই ইউএনও বদলি হলে অভিযানের ২৫ দিন গত ২৯ ফেব্রুয়ারী দুপুরে ওই তিনটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অবশেষে চিনমনীসহ অবৈধ তিনটি ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় জে.আর.বি ইটভাটাকে দেড় লক্ষ টাকা, এস.বি স্টার ওরফে স্ট্রং বিকসকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া কাউকে না পাওয়ায় ন্যাশনাল ব্রিকসকে জরিমানা করা যায়নি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) কাজী তামজীদ আহমেদের নেতৃত্বে ওই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নয়ন মিয়া, সহকারী পরিচালক মইনুল হক ও মমিন ভুইয়া, পরিদর্শক সঞ্জিত বিশ^াসসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং জেলা ও থানা পুলিশ। সে সময় চিমনীসহ ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়ায় সন্তোষ্ট প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু ওই অভিযানের কয়েকদিন পর নতুন করে আবারও তিনটি ইটভাটার ছোট আকৃতির চিমনী নির্মাণ করে মালিকরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ক্ষমতার দাপটে পরিবেশ দুষণ করে দেদারছে পুড়ানো হচ্ছে ইট। আর ছোট চিমনীতে বেশি নষ্ট হচ্ছে ধানসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফসল ও ফলমুল। তাহলে ওই অবৈধ ইটভাটা এভাবেই চলবে? এমন প্রশ্ন হতাশাগ্রস্থ কৃষকসহ স্থানীয়দের।

অভিযানের পর কিভাবে ইটভাটা চালাচ্ছেন জানতে চাইলে এস.বি স্টার ওরফে স্ট্রং বিকসের মালিক নাসির উদ্দিন জানান, চিমনীটা ঠিক করে রাখছি। দেখি কি হয়? ইটভাটা তো ফেলে রাখা যাবে না। সবারটা ঠিক করছে, অন্য দুজন আবার আগুন দিয়ে চালু করেছে। আমি কথা বলে তারপর প্রসেসিং করবো। চিমনী নির্মাণের কথা স্বীকার করে ন্যাশনাল ব্রিকসের মালিক নুরুল ইসলাম জানান, আমি খুব ক্ষতিগ্রস্থ। যে মাল বানাইছি, সেগুলো তো পুড়াতে হবে। তারপর যদি না হয় তাহলে তো আর করবো না, ভাই। জে.আর.বি ইটভাটার মালিক সোহেল রানা জানান, গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মইনুল হক জানান, নতুন করে ওই ইটভাটাগুলো চালু হয়েছে কিনা? তা আমার জানা নেই। তবে যদি এরকম হয়, তাহলে আমরা আবার ভেঙ্গে দিবো।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) কাজী তামজীদ আহমেদ জানান, বিষয়টি গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তর ও কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাবেন। উনারা যদি জানায় আর কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন তাহলে আমি আবার অভিযান চালাবো। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর এসে ভেঙ্গে দিয়েছে, তাহলে উনাদেরই বিষয়টি দেখা উচিত ছিল। তারপরেও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



ঢাকা জেলা ফোর স্টোক অটো রিক্সা সিএনজি ড্রাইভার্স ইউনিয়নের পরিচিতি সভা ও ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

ঢাকা জেলা ফোর স্টোক অটো রিক্সা সিএনজি ড্রাইভার্স ইউনিয়ন ডেমরা থানা কমিটি গভঃ রেজিস্ট্রেশন নং-৪৫৮৬ এর পরিচিতি সভা ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ২৯ শে মার্চ এই কর্মসূচি পালিত হয়। পরিচিতি সভা ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা ফোর স্টোক অটো রিক্সা সিএনজি ড্রাইভার্স ইউনিয়ন ডেমরা থানা কমিটি গভঃ রেজিস্ট্রেশন নং-৪৫৮৬ ডেমরা থানার সভাপতি মোঃ আপেল মাহমুদ। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের ডেমরা থানার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফজলে করিম সাগর। উক্ত পরিচিতি সভা ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মাসুদুর রহমান মোল্লা বাবুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মান্নান স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডি সভাপতি গোলাম মোর্শেদ অরুন।ঢাকা জেলা ফোর স্টোক অটো রিক্সা সিএনজি ড্রাইভার্স ইউনিয়ন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম। অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল আহমেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইসলাম,ঢাকা জেলা ফোর স্টোক অটো রিক্সা সিএনজি ড্রাইভার্স ইউনিয়নের উপদেষ্টা মোঃ ফয়সাল রহমান হিমেল। পরিচিতি সভায় ডেমরা থানার সকল সদস্যদের সাথে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।



আরও খবর