Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

ফল এক রোগ তিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাড়ির আশপাশে, ঝোপে-জঙ্গলে, অযত্নে বেড়ে ওঠা মিষ্টি একটি ফল ডুমুর। আগেকার দিনে পেটের সমস্যা হলেও নানি-দাদিরা ডুমুরের ঝোল, বা শুকনো ডুমুর ভেজানো পানি খেতে বলতেন। বিভিন্ন জরুরি খনিজে ভরপুর এই ফলটিতে রয়েছে জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রনের মতো যৌগ। শিশুদের তো বটেই, বয়স্ক এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীদের রক্তে আয়রনের অভাব পূরণের জন্য ডুমুর খেতে বলা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পুষ্টিবিদরা অনেক সময়েই সকালে খালি পেটে ডুমুর ভেজানো পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন।

রক্তে শর্করার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে

বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে ডুমুর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এ ছাড়াও এই ফলে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, শুকনো ডুমুরের মিষ্টত্ব অনেক বেশি, তাই রক্তে শর্করা থাকলে তা বুঝে খাওয়া উচিত।

হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে

অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর ডুমুর কিন্তু হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে। ডুমুরের মধ্যে থাকা না কি ‘পেকটিন’ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে আনতে সক্ষম। অন্তত গবেষণায় তেমনটাই বলছে। এ ছাড়াও ডুমুরে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ পটাশিয়াম, যা রক্তে সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

হজমশক্তি উন্নত করে

ডুমুরে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার, যা পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করে হজমশক্তি উন্নত করে তোলে। ‘প্রিবায়োটিক’ গোত্রের এই ফলটি অন্ত্রের ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে।


আরও খবর

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস আজ

শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩




রুমিন ফারহানার শূন্য আসনে এমপি হলেন ইনুর স্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির রুমিন ফারহানার পদত্যাগে শূন্য হওয়া জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের (সংরক্ষিত-৫০) উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হলেন জাসদের সহসভাপতি আফরোজা হক রীনা। তিনি জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর স্ত্রী।

জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ৫০টি। জনগণের সরাসরি ভোটে কোনো রাজনৈতিক দল ও জোটের পাওয়া আসনের সংখ্যানুপাতিক হার অনুযায়ী কোন দল কতটি সংরক্ষিত আসন পাবে, তা নির্ধারণ করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপি থেকে সরাসরি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ছয়জন। এর বিপরীতে তাদের মহিলা আসন ছিল একটি।

বিএনপি থেকে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন রুমিন ফারহানা। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর রুমিনসহ বিএনপির সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর সরাসরি ছয়টিসহ বিএনপির দখলে থাকা সংরক্ষিত আসনও শূন্য ঘোষণা করা হয়।

রুমিন ফারহানার পদত্যাগে শূন্য হওয়া আসনটিতে ইনুর স্ত্রী রীনাকে প্রার্থী করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। ওই নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আজ সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়।

এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন বলেন, এই আসনে একজন প্রার্থী ছিলেন। তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। তাই তাকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইসি সচিবালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে।

ইনু-রীনা দম্পতির বাইরে বর্তমান সংসদে আরও দুই দম্পতি আছেন। তারা হলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও তার স্ত্রী লুৎফুন্নেসা খান এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের ও তার স্ত্রী শরিফা কাদের। তিন নেতারই স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।


আরও খবর



তানোরে মাদকের টাকার জন্য পিতাকে হাতুড়ি পেটা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৯৮জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে মাদকের টাকা না পেয়ে পিতা জামাল উদ্দিনকে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুত্র বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউনিয়ন(ইউপির)  সুড়িপুকুর নামক স্থানে  ঘটে পিতাকে পেটানোর ঘটনাটি। এঘটনায় জামাল উদ্দিনের ছোট ছেলে জুয়েল রানা বাদি হয়ে বড় ভাই মাদকাসক্ত উজ্জলকে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে অভিযোগের ৬ দিনেও রহস্যজনক কারনে মামলা রেকর্ড হয় নি। এতে করে বাদি ও পিতা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। ফলে দ্রুত মামলা রেকর্ড করে আসামী আটকের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগ কারি জুয়েল জানান, আমার পিতা জামাল উদ্দিনকে আমার বড় ভাই মাদকের টাকার জন্য প্রায় সময় চাপ দিতে থাকেন। এঅবস্থায়   চলতি মাসের ৪ মার্চ উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপির সুড়িকুড়ি নামক জায়গায় জৈনক আনসারের বাড়ির কাছে আমার পিতাকে একা পেয়ে ভাই উজ্জল মাদকের জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।  দিতে অস্বীকার করলে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। সাথে সাথে আমার পিতা মাটিতে নুয়ে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সংবাদ পেয়ে দ্রুত উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমার পিতাকে মেরে ফেলার জন্য বড় চাচা আলাল ও আরেক চাচার বউ পারুল প্রতিটি সময় ভাইকে কুপরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাদের কারনেই আমার ভাই এসব করছে। এখন ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ঘটনার দিন বিকেলে থানায় অভিযোগ করলেও মামলা নিচ্ছেনা থানা পুলিশ। দুই দিন চিকিৎসা শেষে বাড়িতে বাবাকে নিয়ে এসেছি। চলাফেরা করতে পারছেনা এবং ভালো ভাবে কথাও বলতে পারছেন না।

অভিযোগে উল্লেখ, উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপির চান্দুড়িয়া নামোপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন। তার বড় ছেলে মাদক সেবনকারী উজ্জল মাঝেমধ্যেই পিতাকে টাকার জন্য গালমন্দ করে থাকেন।

তবে উজ্জল মাদকের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার মা মারা যাওয়ার পর আরেকটি বিয়ে করে। ওই পক্ষের ছেলে জুয়েল। সে কিছু দিন আগে কাউকে না জানিয়ে বাবার কাছ থেকে জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে। তার অনেক ঋন জমি বিক্রির জন্য বাবা চাপ দিচ্ছে। এসব শুনে আমি বাবা বলেছি আমিওতো সন্তান এভাবে জমি দেওয়া যাবে না। এনিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার হাতে হাতুড়ি বা হ্যামার ছিল সেটা মাথায় লেগে ক্ষত হয়। এঘটনায় ছোট ভাই মাদকের কথা বলে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। আমাকে জেলে দিবে,আমিও কোর্টে প্রতারনা মামলা করব।

স্থানীয়রা জানান, এঘটনার একদিন আগে ৩ মার্চ চান্দুড়িয়া বাজার এলাকার বাহাদুর তার পিতা আশরাফ খানকে মাথায় বাশেঁর লাঠি দিয়ে আঘাত করলে মাথা ফেটে যায় এবং সেলাই দেওয়া লাগে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়। কিন্তু এখন বলছে মিমাংসা করে নিতে হবে। বিচারহীনতার জন্য এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। বাহাদুরকে যদি আটক করা হত তাহলে উজ্জল তার পিতাকে হাতুড়ি দিয়ে পেটাতো না। এসব ঘটনাই যদি মামলা না হয়, আটক না হয় তাহলে যাবে কোথায়। কিছুই বলার নেই তারাই সব, চোখ আছে দেখে যাও কান আছে শুনে যাও, প্রতিবাদ করলেই আসামি। জন্মদাতাকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিচ্ছে, আর বিচার পাচ্ছে না।
থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়ার সরকারী মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায় নি। 

আরও খবর



রমজানে যে ৩ সময়ে দোয়া কবুল হয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ২২জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: পবিত্র রমজান দোয়া কবুলের মাস। আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিনের জন্য এটি বিশেষ উপহার। এই মাসে আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের দুয়ার খুলে দেন এবং প্রতিটি নেক কাজের প্রতিদান বৃদ্ধি করেন।

রমজানে দোয়া কবুলের বিশেষ তিনটি সময়ের কথা হাদিসে এসেছে, যখন বান্দার প্রতি আল্লাহর করুণার ধারা বর্ষিত হয়। অথচ না জেনেই অনেকে সময়গুলো অবহেলায় কাটিয়ে দেন। আসুন জেনে নিই, কোন সময়ে রমজানে দোয়া বেশি কবুল হয়।

১. ফজরের পর: রমজান মাসে ফজরের পর বেশির ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে থাকে। অথচ ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়ার জন্য সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করে, তারপর সূর্য ওঠা পর্যন্ত বসে বসে আল্লাহর জিকির করে, এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে, তার জন্য একটি হজ ও একটি ওমরাহর সওয়াব রয়েছে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৫৮৬)
 
ইমাম নববী (রহ.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই দিনে আল্লাহকে স্মরণ করার সবচেয়ে উত্তম সময় ফজরের পর।’ (আল আজকার, পৃষ্ঠা: ১৫৫) বিজ্ঞ আলেমরা বলেন, ফজরের পর আল্লাহ জীবিকা বণ্টন করেন। তাই এ সময় ঘুমানো অপছন্দনীয়। বিশেষত রমজান মাসে যখন আল্লাহ তার অনুগ্রহের দুয়ার উন্মুক্ত করে দেন এবং প্রতিটি নেক কাজের প্রতিদান বৃদ্ধি করেন।

২. ইফতারের আগমুহূর্ত: ইবাদত ও দোয়া কবুলের বিবেচনায় সূর্যাস্ত তথা ইফতারের পূর্বমুহূর্ত খুবই মূল্যবান। পূর্বসূরি আলেমরা ইফতারের আগের সময়টুকু দোয়া ও আল্লাহর জিকিরে মগ্ন থাকতেন। কেননা, মহানবী (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না: ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যখন সে ইফতার করে এবং অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৫২)

কিন্তু আমাদের সমাজের বেশির ভাগ মানুষ এ সময়ে ইফতার প্রস্তুত করার কাজে ব্যস্ত থাকে। বিশেষত নারীরা আজানের আগমুহূর্ত পর্যন্ত কাজে লেগে থাকে। তাই এই সময় ইফতার সামনে রেখে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত।
 
৩. রাতের শেষ-তৃতীয়াংশ: আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য শেষ রাতের ইবাদত-বন্দেগি, দোয়া ও প্রার্থনার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে এ সময়ের দোয়া ও প্রার্থনার প্রশংসা করে বলা হয়েছে, ‘তারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, অনুগত, ব্যয়কারী এবং শেষ রাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী।’ (সুরা: আলে ইমরান, আয়াত : ১৭)
 
নবী (সা.) বলেন, ‘রাতের শেষ-তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে আমাদের প্রতিপালক পৃথিবীর আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন—কে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব, কে আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করব, কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১৪৫)

তাই রোজাদারের উচিত, সেহরির আগে বা পরে তাহাজ্জুদ আদায়ে সচেষ্ট হওয়া এবং এ সময় আল্লাহর দরবারে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করা।
 
আল্লাহ বলেন, ‘সুতরাং তারা যা বলে, সে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধারণ করুন এবং সূর্যোদয়ের আগে ও সূর্যাস্তের আগে আপনার প্রতিপালকের প্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন, রাতে পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং দিনের প্রান্তগুলোতেও, যাতে আপনি সন্তুষ্ট হতে পারেন।’ (সুরা: ত্বহা, আয়াত: ১৩০)


আরও খবর

রোজা শুরু শুক্রবার

বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩




মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে নিজের ঘরে দিল আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ   নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে নিজের বসত ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে কৃষ্ণ পাল(৩৫) নামে এক মাদকাসক্ত। এতে কাটকোয়ারী দুই কক্ষের টিনের ঘরটি সম্পূর্ণ ছাই হয়ে যায় ও তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। মঙ্গলবার ( ২১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভায়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের মৃত গৌরাঙ্গ পালের  ছেলে কৃষ্ণ দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকাসক্ত।


কৃষ্ণনের অত্যাচারে তার মা সহ প্রতিবেশীরাও আতঙ্কে থাকেন। ঘটনার দিন সকালে মাদক সেবনের টাকা চেয়ে মায়ের সঙ্গে কৃষ্ণনের কথা কাটাকাটি হয়। দুপুরে ১২টার দিকে কৃষ্ণ হঠাৎ নিজেদের বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দীর্ঘ প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভালেও দুই কক্ষের চালা, সব আসবাবপত্র, জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং প্রতিবেশী মোঃ আবুল বাশারের ঘরের ভিতরে থাকা বৈদ্যুতিক ওয়ারিং সহ ১০ সেফটির একটি ফ্রিজ পুড়ে যায় । এ ঘটনায় প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। অগ্নিকাণ্ডের পর কৃষ্ণকে নবীনগর থানা পুলিশ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।


নবীনগর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেবগ্ৰত সরকার বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়।স্থানীয় বীরেন্দ্র পাল ও কৃষ্ণনর মা বলেন, তিন ভাইয়ের মধ্যে কৃষ্ণ পাল মাদকাসক্ত ।ছেলেটির অত্যাচারে তার মা সহ প্রতিবেশী সকলে আতঙ্কে থাকেন। এলাকায় ছিচকে চুরিও করে কৃষ্ণ। যে ছেলে নিজের ঘর পুড়াতে পারে সে এলাকার যে কারো ক্ষতি করতে পারে। আমি সহ এলাকাবাসীর নিরাপত্তা চাই।নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এলাকার লোকজন বলেছেন ছেলেটি মাদকাসক্ত ও নিজের ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। সেটা ধরেই আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। সত্যতা পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



মধুপুরে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা প্রসাশনের বাজার মনিটরিং

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান  উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল  রাখতে পৌর শহরের দৈনিক বাজার পরিদর্শন করেন মনিটরিং কমিটি। বৃহস্পতিবার(২৩মার্চ)দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন এর নেতৃত্বে মধুপুর দৈনিক বাজার পরিদর্শন করেন বাজার মনিটরিং কমিটি। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে লিফলেট বিতরণসহ প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা টানানো এবং অতিরিক্ত দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি)   জাকির হোসাইন, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুনর রশীদ, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেশর আলী ফকিরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার  সাংবাদিকবৃন্দ। বাজার মনিটরিং করার সময় উপজেলা কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন  জানান, পবিত্র মাহে রমজানকে পুঁজি করে কোন অসাধু ব্যবসায়ী যদি খাদ্য  দ্রব্যের মুল্য বৃদ্ধি করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, লোভ ও ভোগবিলাস পরিহার করে সমাজে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, আত্মশুদ্ধির এ মাসে অনৈতিক উপায়ে অধিক মুনাফা অর্জনের পথ পরিহার করতে উদ্বুদ্ধকরণ, মজুতদারদের রমজান মাসের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, পাইকারী ও খুচরা পণ্য বিক্রয়ের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীগণ বাধ্যতামূলক ভাবে মূল্য    তালিকাপ্রদর্শনকরণ, হোটেল/রেস্তোরাঁ গুলোতে পঁচাবাসি, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য পরিবেশন ও বিক্রি করা থেকে বিরতকরণ, শাক সবজি, ফল, মাছসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ক্ষতিকারক  ফরমালিন ব্যবহার প্রতিরোধকরণের লক্ষ্যে এই অভিযান ধারাবাহিক ভাবে অব্যাহত থাকবে  বলে জানান তিনি।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর