Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

ফারুকের আসনে নির্বাচন করবেন হিরো আলম

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২৯৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক:চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৫ মে মারা যান ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। পরে তার আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এবার এই আসনের উপনির্বাচনে লড়তে চান আলোচিত-সমালোচিত আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। আজ সোমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে নির্বাচন কার্যালয়ে যাবেন।

হিরো আলম বলেন, ‘আমি মিডিয়াকর্মী। নায়ক ফারুকের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও সমবেদনা আছে। আমি তার এলাকায় ঘুরে দেখেছি। এখানে অনেক কাজ বাকি আছে। আর আসনের মেয়াদ আছে মাত্র পাঁচ মাস। এই সময়ের মধ্যে নায়ক ফারুকের হয়ে কিছু কাজ করতে পারলেও নিজেকে ধন্য মনে করব।

এর আগে, বগুড়া ৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন হিরো আলম।

এদিকে, ঢাকা-১৭ শূন্য আসনের জন্য এরই মধ্যে চিত্রনায়ক আলমগীর, ফেরদৌস ও অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের নাম আলোচনায় এসেছে। আর ছোট পর্দার অভিনেতা সিদ্দিক ইতিমধ্যেই প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে নায়ক ফেরদৌসের নাম এনেছেন আরেক ওমর সানী। আর আলমগীরের নাম তুলেছেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা-১৭ শূন্য আসনে ভোট হবে আগামী ১৭ জুলাই। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ১৫ জুন, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ জুন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন।


আরও খবর

ভোটগ্রহণ চলছে শিল্পী সমিতির

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে হাজী মোহাম্মদ পিঞ্চু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২৭১জন দেখেছেন

Image

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে নিজ বাসভবনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিনের জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ পিঞ্চু।দলীয় নেতাকর্মী, পাড়া প্রতিবেশীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের উপস্থিতিতে  ২৫ মার্চ সোমবার এই ইফতার মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ৭ আসনের সাবেক সফল সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম । 

এসময় হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে হাজী মোহাম্মদ পিঞ্চুর পরিবারের অন্যন্য সদস্যদের সাথে কুসল বিনিময় করতেও দেখা যায় মোহাম্মদ। অনুষ্ঠানে হাজী পিঞ্চুর পরিবারের পক্ষ থেকে সাবেক সাংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে বরন করে নেওয়া হয়। 

অনুষ্ঠানে হাজী মোহাম্মদ পিঞ্চুর সভাপতিত্বে অন্যন্যর মাঝে উপস্থিত ছিলেন , ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম এ মান্নান,   

জাকির হোসেন রনি সাবেক পরিচালক বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট এসোসিয়েশন  ।

প্রিন্স রবিন সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।


আরও খবর



শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১১৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:শক্তিশালী ভূমিকম্পে তাইওয়ানের পর এবার কেঁপে উঠল জাপান। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬। জাপানের ফুকুশিমা অঞ্চলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তবে এ থেকে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।

এখনো পর্যন্ত ওই ভূমিকম্প থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল)। রাজধানী টোকিওতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে টেকটোনিক সক্রিয় দেশগুলোর মধ্যে একটি জাপান। সে কারণে দেশটিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে এমনটা নিশ্চিত করতে তারা ভবনের কাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম মেনে চলে।

১২৫ মিলিয়ন মানুষের আবাসস্থল এই দ্বীপপুঞ্জ। প্রতি বছর সেখানে প্রায় ১৫০০ ছোট-বড় ভূমিকম্প আঘাত হানে। এদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১ এবং এর গভীরতা ছিল ৪০ দশমিক ১ কিলোমিটার।

এর মাত্র একদিন আগেই প্রতিবেশী তাইওয়ানে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। এতে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আরও এক হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

বুধবার তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল এবং রাজধানী তাইপেই ছাড়াও জাপানের দক্ষিণাঞ্চল, চীনের পূর্বাঞ্চল এবং ফিলিপাইনে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। এর গভীরতা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার।

ওই ভূমিকম্পের পর পরই তাইওয়ান ও এর প্রতিবেশী দেশ জাপান, ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়।

জাপানে এর আগে ২০১১ সালে ৯ মাত্রার অতি শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের প্রভাবে সুনামির আঘাতে ১৮ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়।


আরও খবর

ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




রূপগঞ্জে ইমাম সম্মেলনে গাজী গোলাম মূর্তজা---‘মুরুব্বিদের সমর্থনে নির্বাচন করবো’

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১২২জন দেখেছেন

Image

মোঃআবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-

রূপগঞ্জ উপজেলা ইমাম সম্মেলন -২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১০ টায় রূপগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রূপগঞ্জ উপজেলা ইমাম সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন রূপগঞ্জ উপজেলা শাখা।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা বলেন।


নামাজ ছাড়া কোন উপায় নেই। সবাই নামাজ পড়বেন। ইমামরা মসজিদের নেতা। আপনারা (ইমাম) যে কোন সমস্যায় আমাকে ফোন করবেন, আমি আপনাদের পাশে আছি। সমাজের মাদক ,সন্ত্রাস, ইভটিজিং দূর করতে ইমামদের অবদান অনেক।গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা আরও বলেন, সমাজের মুরুব্বিরা চাইলে আমি রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করবো। আমার দলের নেতা ও মুরুব্বিদের সমর্থনে আমি নির্বাচন করবো। সবার সমর্থন পাচ্ছি, অনেকেই এখন আমার জন্য প্রচার করছে।রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এর প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক (নারায়ণগঞ্জ) মো: জামাল হোসেন, রূপসী বাগবাড়ি জামে মসজিদের সেক্রেটারী মো: আব্দুল্লাহ খান মুন্না। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার (রূপগঞ্জ)  আলহাজ্ব হাম্মদ আল-আমিন।পকিরে রূপগঞ্জের প্রত্যেকটা মসজিদের ইমামদের মাঝে পুরস্কার ও কোরআন শরীফ বিতরণ করেন গাজী গ্রুপের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



দরিদ্র শিশুদের মুখে হাসি ফুটালো ফ্রেন্ডশিপ-৯৮, করেরহাট

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:ইহান উদ্দিন ইমনের বাবা নেই। মা কোনভাবে সংসারের ঘানি টানছেন। সংসারের অভাব অনটনের কারণে ঈদে ভালো জামাকাপড় পরিধানের সুযোগ হয়না। প্রথম শ্রেনীতে পড়–য়া ইমন ফ্রেন্ডশিপ-৯৮, করেরহাটের উপহার পাঞ্জাবী, পায়জামা ও টুপি পেয়ে খুশিতে আতœহারা। ইমনের মতো তানভীর হোসেন, সাব্বির হোসেন, আরিফ হোসেন সিফাত, সাইদুল ইসলাম, ইমরান হোসেন নিশাত, শুভ, আশরাফুল ইসলাম রিফাত, নাজিম উদ্দিন জিসান, আরিব হোসেন, জাহান ইসলামের মুখে হাসি ফুটিয়েছে ফ্রেন্ডশিপ-৯৮, করেরহাট। সবসময় ব্যতিক্রমী আয়োজন করে আলোচনায় থাকা ফ্রেন্ডশিপ-৯৮, করেরহাট শুধু দরিদ্র শিশুদের ঈদ উপহার দেয়নি, আয়োজন করে ইফতার মাহফিলের। এতে সর্বস্তরের প্রায় ২ শত মানুষ অংশগ্রহণ করে। শুক্রবার করেরহাট ইউনিয়নের গেড়ামারা ছাদেক কোম্পানি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনির্বাণ যুব ক্লাবের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিল ও ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফ্রেন্ডশিপ-৯৮, করেরহাটের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি দীন মোহাম্মদ, সহ-সভাপতি একরামুল হক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক শামসুদ্দীন নয়ন, যুগ্ম অর্থ সম্পাদক নেজাম উদ্দিন, ধর্মীয় সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সদস্য আলমগীর হোসেন, মোরশেদ আহমদ, অনির্বাণ যুব ক্লাবের সভাপতি সরোয়ার উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক শামীম ওসমান প্রমুখ। এছাড়া ফ্রেন্ডশিপ-৯৮, করেরহাটের উদ্যোগে গেড়ামারা ছাদেক কোম্পানি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেঝে নির্মাণের জন্য ১০ হাজার টাকা অনুদান এবং সম্বলহীন দরিদ্র ব্যক্তিকে ৫ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।


আরও খবর



আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান। যা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, রেডিও স্টেশন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একযোগে সম্প্রচার করা হয়।

তার ১৭ মিনিটের কিছু বেশি সময়ের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে তার সরকার কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসসহ দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অভূতপূর্ব এবং দৃশ্যমান উন্নয়ন করে বাংলাদেশকে ‘উদীয়মান অর্থনীতির দেশে’ রূপান্তরিত করেছে।

‘সুতরাং, এক সময়ের দারিদ্র্য-জ্বরাক্লিষ্ট বাংলাদেশ আজ সক্ষম উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে,’ বলেন তিনি।

‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করেছে। আশা করা হচ্ছে ২০২৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হবে।

তিনি বলেন, “আজকে ২০২৪ সালে স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটা কোনো অসার বাগাড়ম্বর দাবি নয়। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা প্রমাণ করেছি রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়।

‘১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একুশ বছরের ইতিহাস এ দেশের মানুষের নিপীড়ন আর বঞ্চনার ইতিহাস,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ সময় লুটপাট, দুর্নীতি, ইতিহাস বিকৃতি, মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর এবং পশ্চাৎপদ দেশের তকমা পরিয়ে দেওয়া হয়। নিদারুণ দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অকাল মৃত্যু এবং শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাব ছিল এ দেশের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। তথাপি ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে জনবান্ধব নীতি গ্রহণ করা শুরু করে এবং সর্বপ্রথম সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন তাদেরও সরকারি সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

তিনি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিগত ১৫ বছরের কিছু অধিক সময়ের দেশপরিচালনাকালে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, মহামারি, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি দেশি-বিদেশি শক্তির নানা ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শুধু আমাদের দেশের নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। সে ধকল কাটতে না কাটতেই ২০২২ সালের গোড়ার দিকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক অবরোধ-পাল্টা অবরোধ আরোপের ফলে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো চরম সংকটের মুখে পড়েছে। নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও বিপণন যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি এসব পণ্যের স্বাভাবিক চলাচলও বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরসঙ্গে গত বছরের শেষে যুক্ত হয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা।

২০১৩-১৪ সময়ে এবং ২০১৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ, অগ্নি-সন্ত্রাস, অগণিত মানুষ হত্যার মতো নৃশংসতাকে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ আখ্যায়িত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং তার মিত্ররা এবারও হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসংযোগের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সূচনা করেছিল। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে এবার তারা পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়। তবুও তাদের হাতে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান এবং কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়।

টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেও দেশকে আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়ায় তার সরকারের সাফল্যের খণ্ডচিত্র ও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১.৫ শতাংশ হতে হ্রাস পেয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৮.৭ শতাংশে এবং হতদরিদ্রের হার ২৫.১ হতে ৫.৬ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। আজ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ং-সম্পূর্ণ। বর্তমানে দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৯৩ লাখ মেট্রিক টন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল, বিভাগীয় শহরগুলোর সঙ্গে চার বা তারও বেশি লেনের মহাসড়ক চালু, ইত্যাদি অবকাঠামো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

চলমান রমজানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সাধারণ জনগণের কল্যাণে তার সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রমজান মাসের শুরু হতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য রাজধানী ঢাকার অন্তত ২৫টি স্থানে ট্রাকে করে মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ সুলভমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবি প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের জন্য সুলভমূল্যে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি এবং ছোলা - এই ৫টি পণ্য বিতরণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার কার্ডধারী পরিবারের জন্য চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুর - এই ৬টি পণ্য বিতরণ করছে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের ১ কোটি ৬২ হাজার ৮০০ পরিবারের জন্য সরকার এক লাখ ৬২৮ মেট্রিক টন চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি পরিবার বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এ সম্পর্কে আরও বলেন, আমরা এ বছর সরকারিভাবে এবং দলগতভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন নিরুৎসাহিত করেছি। আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন নির্দেশমত তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গরিব-দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।

রমজান মাসের শুরুতে খেজুর, আমদানি করা ফল, লেবু, তরমুজ, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা চড়া ছিল। তবে এসব পণ্যের দাম কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

“জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের কষ্ট লাঘবের,” যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসররা এখনও তৎপর রয়েছে পরাজয়ের বদলা নিতে। সুযোগ পেলেই তারা আঘাত হানবে। তাদের সামনে একমাত্র বাধা আওয়ামী লীগ। হাজারও শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনই ভুলুণ্ঠিত হতে দেবে না। আওয়ামী লীগকে ছলে-বলে-কৌশলে নিচিহ্ন বা দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান অনিবার্য। কাজেই কাণ্ডারি হুঁশিয়ার।

তিনি বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। যুদ্ধ করে আমরা এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় - জাতির পিতা নির্দেশিত এই বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করেই আমরা দেশ পরিচালনা করি। আমাদের কোন প্রভু নেই, আছে বন্ধু। তাই কারও রক্তচক্ষু বাঙালি জাতি কোনদিন মেনে নেবে না। প্রয়োজন হলে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-সম্মান রক্ষা করবে।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে জাতির পিতার কন্যা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের উপর আবারও আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই সংবিধানকে সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে এবং জাতীয় সংসদকে রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের যে উন্নয়ন সাধন করেছি তা থেকে থেকে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। যে বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য-মুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ।


আরও খবর