Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

ফারদিন হত্যা: ডজনখানেক চিহ্নিত,চানঞ্চ্যকর তথ্য উদঘান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২৬১জন দেখেছেন

Image

শফিক আহমেদঃ-

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত প্রায় ডজনখানে অপরাধীকে আটক করা হয়েছে। যারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চিহ্নিত মাদককারবারি ও সন্ত্রাসী। মূলত ফারদিন হত্যায় তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যেতে পারে বলেই আটক করা হয়। তবে দফায় দফায় তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এখনো কূল-কিনারা হয়নি ফারদিন হত্যা রহস্যের।


গোয়েন্দাদের ধারণা, ফারদিন ঘটনার দিন রাতে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ার চনপাড়া বস্তিতে পলাশ নামে একজনের মোটরসাইকেলে সেখানে যেতে পারেন। এই পলাশকে পাওয়া গেলে কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে।



এদিকে সোমবার সকাল ১০টায় ফারদিন হত্যার বিচার ও সঠিক তদন্তের দাবিতে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে মানববন্ধন করবেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।


ফারদিন নিখোঁজের দিন চনপাড়া বস্তিতে মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। আবার ফারদিনের সবশেষ মোবাইলের লোকেশন ছিল চনপাড়া। তবে মারামারির সময় ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে কি না সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনির একাধিক সূত্র  জানিয়েছে, ওই রাতে ফারদিন রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ার চনপাড়া বস্তিতে কেন গিয়েছিল, কেউ তাকে নিয়ে গিয়েছিল কি না, মাদক বা নারী ঘটিত কোনো কিছু আছে কি না, কেনই বা তাকে হত্যা করা হলো এসব বিষয় নিয়ে কাজ চলছে। পাশাপাশি নিজেও আত্মহত্যা করেছে কি না এবিষয়ে সামনে রেখে আগানো হচ্ছে।


একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা  জানিয়েছেন, ফারদিনের মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটনে এখন পর্যন্ত যতদূর আগানো গেছে, তার সবই অনুমাননির্ভর এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায়। এখনো শক্ত-পোক্ত কোনো প্রমাণ হাতে আসেনি। তাই তার মৃত্যু রহস্যের জটও খুলছে না। চেষ্টা চলছে, তবে চূড়ান্ত ফলাফল আসতে সময় লাগবে।


বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রায় ডজনখানেক অপরাধীকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করছে। তবে তাদের কাছ থেকে ফারদিন সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। একটি যোগসূত্রের মাধ্যমে রায়হান নামে একজনকে গত শনিবার আটক করেছে র‌্যাব। এই রায়হান গত বৃহস্পতিবার র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত সিটি শাহীনের অন্যতম সহযোগী। শাহীনের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, মাদকসহ প্রায় দুই ডজন মামলা ছিল। ফারদিনের মৃত্যুতে শাহীন জড়িত এমন কোনো তথ্যও এখনো পাওয়া যায়নি। গুলিস্তান থেকে প্রাইভেটকারসহ শাওন নামে আরেক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


দেশসেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হয়ে অপরাধ প্রবণ এলাকায় কেন গেল জানতে চাইলে মামলা তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘যতটুকু তথ্য পেয়েছি ফারদিন দুষ্টু প্রকৃতির ছেলে ছিল না। কোনো নেশায় আসক্ত বা রাজনৈতিক কোনো মতাদর্শও ছিল না। তার মোবাইলের সবশেষ অবস্থা ছিল চনপাড়া বস্তি এলাকায়। এতো রাতে ফারদিন ওখানে কেন যাবে বা কেউ তাকে সেখানে নিয়ে গেল কি না সেটা নিয়ে কাজ করছি। কারণ, ফারদিন নিজে সেখানে (চনপাড়া) তো নাও যেতে পারে; হয়ত অন্য কেউ সেখানে নিয়ে গেছে। আবার ঢাকার কোথাও ফারদিনের সঙ্গে এমন কারও দেখা হতে পারে যে চনপাড়া নিয়ে গেছে। সেখানেই কোনো ঝামেলা থেকে তাকে হত্যা করা হতে পারে। তবে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’


বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভেতে একাধিকবার ওই বস্তিতে যাওয়া আসা ছিল ফারদিনের। সেই কারণেই কি ঘটনার দিন ফারদিন চনপাড়া গিয়েছিলেন এমন কোনো তথ্য পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘না আমরা এমন কিছু পাইনি। তবে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে তদন্তে আগাচ্ছি। কিন্তু যতক্ষণ না সফল হচ্ছি, ততক্ষণ নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।’


একটি গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে জানা গেছে, ফারদিন স্পেন যেতে পরিবারের কাছে টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিবার থেকে তা দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে তার মধ্যে হতাশা ছিল। সেই হতাশা থেকে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কারো সঙ্গে দ্বন্দ্ব থেকে তাকে হত্যা করা হয়েছে কি না তারও অনুসন্ধান চলছে।


মোবাইলের সবশেষ অবস্থান অনুযায়ী ৪ নভেম্বর রামপুরা থেকে চনপাড়া বস্তিতে যান বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ। নিখোঁজের তিন দিন পর (৭ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এর আগে ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবা রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবেরও যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন তিনি। তিন ভাইয়ের মধ্যে ফারদিন সবার বড়।


তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়নের নয়ামাটি এলাকায়। তবে গত দুই বছর যাবত তারা সপরিবারে রাজধানীর ডেমরা থানার শান্তিবাগ কোনাপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করছিলেন। পরশের বাবা কাজী নূর উদ্দিন রানা একটি ইংরেজি পত্রিকায় দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন। ছেলের মরদেহ উদ্ধারে পর রামপুরা থানায় মামলা করেন তিনি। এতে ফারদিনের বান্ধবী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বুশরার নাম উল্লেখ করে কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। বর্তমানে বুশরা পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন। তবে এই হত্যায় এখন পর্যন্ত তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



আজ সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার (২০ মার্চ)। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, রাজনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।

অহিংস রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ, ভাষাসৈনিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জিল্লুর রহমান দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ২০১৩ সালের ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান।

২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।

জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামে ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে তার রাজনীতিতে হাতেখড়ি।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি আইন জারির মধ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জিল্লুর রহমান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দলীয় সরকার গঠন হলে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তার সহধর্মিনী বেগম আইভি রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আহত হওয়ার তিনদিন পর মৃত্যুবরণ করেন।


আরও খবর



রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে নিহত বেড়ে ৪৬: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে,শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আহত অবস্থায় ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে বার্ন ইউনিটে ১০ জন ভর্তি এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ ২ জন ভর্তি আছেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আরও খবর



বেনাপোল বন্দরে আমদানিকৃত মাছের ট্রাকে থ্রিপিসের চালান

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল বন্দরে আমদানিকৃত মাছের ট্রাক থেকে শাড়ি, থ্রীপিসের একটি চালান শনিবার রাতে আটক করেছে কাস্টমস সদস্যরা। চোরাচালান প্রতিরোধে স্থাপিত স্ক্যানিং মেশিনটি দির্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকার সুযোগে আবারো মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বৈধ পথে আমদানি পণ্যের সাথে চোরাচালান ব্যাপক হারে বেড়েছে।

পণ্য চালানটির আমদানিকারক লাকি এন্টার প্রাইজ। কাস্টমস থেকে এ চালানটি খালাসের চেষ্টা করছিলেন সোনালী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্সী লিমিটেডের শান্ত । এর আগেও এধরনের পণ্য চালান একাধিবার আটক করেছে কাস্টমস কতৃপক্ষ।

স্থানীয়রা জানান, গোঁপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে ভারত থেকে আসা মাছবাহী এক ট্রাক তল্লাশী করে প্রায় ১০ লাখ টাকা মুল্যের গার্মেন্টস সামগ্রী থ্রীপিস উদ্ধার করেছে কাস্টমস সদস্যরা।

তবে ঘটনার সাথে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানিকারক বা সহযোগী কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যেনতেন দায়সারা ব্যবস্থা নেওয়ায় থামছেনা এসব অনিয়ম। এদিকে কাস্টম-ইমিগ্রেশনের স্ক্যানিং মেশিন দুটিও প্রায় ৬ মাস ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকায় এরুটেও স্বর্ন সহ মুল্যবান সম্পদ পাচার হয়ে যাচ্ছে ভারতে।

সাধারন ব্যবসায়ীরা জানান, কিছু অসৎ ব্যবসায়ীদের কারনে সাধারন ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। মাছ বহনকারী ভারতীয় ট্রাক চালক আলমগীর জানান, তার মাছের ট্রাক থেকে কাস্টমস শাড়ি, থ্রীপিসের চালান উদ্ধার করেছে। তবে কারা এসব উঠিয়েছে তিনি তা জানেন না।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, স্ক্যানিং মেশিন নষ্ট থাকায় নিরাপদ বানিজ্য ঝুকিতে পড়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান,স্ক্যানিং মেশিনগুলো চালু করতে কাস্টমস কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার হাফিজুল ইসলাম জানান, চোরাচালান প্রতিরোধে স্ক্যানিং মেশিনগুলো চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।


আরও খবর



মেহেরপুরে গরুর মাংসের দর ৬৮০ টাকা‌ পুনঃ নির্ধারণ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুর জেলায় প্রতি কেজি গরুর মাংস খুচরা পর্যায়ে ৬৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ১০০০ টাকা কেজি দর পুনঃ নির্ধারণ করা হয়েছে। নিত্য পণ্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার বিষয়ে ব্যবসায়ী সংগঠন, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ক্যাব) প্রতিনিধি, মাংস বিক্রেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মতামতের ভিত্তিতে এই দর নির্ধারণ করেন জেলা প্রশাসক।

রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ বিষয়ক এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত এই দর উপেক্ষা করে কেউ যদি বেশি দরে বিক্রি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে কঠোরভাবে জানিয়ে দিয়েছেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম হোসেন, তানভীর আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, চেম্বার সাধারণ সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল, বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু হানিফ, ক্যাব মেহেরপুর শাখা সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক মানিক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন শাওন ও বারাদি বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান ও ধানখোলা বাজার কমিটির সভাপতি তামজিদুর রহমান প্রমূখ।প্রসঙ্গত কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ২৯ টি কৃষি পণ্যের যে দর নির্ধারণ করেছে তার সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে গরু ও খাসির মাংসের দাম পুনঃনির্ধারণ করা হয়।


আরও খবর



জিম্মি নাবিকদের ছাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও তার ২৩ জিম্মি নাবিককে ছাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে,বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ তথ্য জানান তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে নিরাপদে নাবিকদের ফিরিয়ে আনার সব প্রচেষ্টা চলছে। তবে সবকিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকেও সতর্কভাবে সংবাদ প্রচারের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, এখন থেকে দুবাই ছাড়াও আরব আমিরাতের অন্য শহরেও জনশক্তি রপ্তানি করতে পারবে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, প্রতিবছর রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ কমছে। এতে সবকিছুর ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা জান্তা সদস্যদের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রায় ২০০ মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তাদের ফেরানোর জন্য মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

প্রসঙ্গত, ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি জাহাজটি গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে।


আরও খবর