Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ২০৪জন দেখেছেন

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল


আওয়ামী লীগ=         ৯৫


জাতীয় পার্টি=          ৬


তৃণমূল বিএনপি=     0


স্বতন্ত্র=                    ৩২


অন্যান্য=               ৩



আরও খবর



মধুপুরে চুরি করতে গিয়ে গৃহবধূকে হত্যার চেষ্টা- চোর গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ২৯জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মধুপুর পৌর শহরের চাড়ালজানী এলাকায় ২ মে  রাত্রি আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে  নরেশ প্রসাদ এর বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে তার স্ত্রী অমৃতা রানি সরকারকে হত্যার চেষ্টা করে ১ভরি ৪আনা ওজনের গলার চেইন নিয়ে যায় অভি চক্রবর্তি নামের এক মাদক সেবি। নরেশ প্রসাদ জানান,আমি চাকুরির সুবাদে ঢাকা থাকায় আমার স্ত্রী অমৃতা রানি সরকার বাড়িতে একাই বসবাস করেন।

অভি চক্রবর্তী চুরি করার উদ্দেশ্যে আমার বসত ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলে আমার স্ত্রী অভি চক্রবর্তীকে দেখে ডাক চিৎকার শুরু করলে অভির হাতে থাকা চেলাই রেঞ্জ দিয়ে আমার স্ত্রীর মাথায় বাড়ি মারিয়া মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সাথে সাথে আমার স্ত্রী বিছানায় লুটিয়ে পরলে চোর  অভি চক্রবর্তী আমার স্ত্রীর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে আমার স্ত্রী নিজে কে বাঁচানোর জন্য আসামি অভির ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলে কামড় দিলে সে  আমার স্ত্রী কে ছেড়ে দিয়ে তার গলায় পরিহিত ১ভরি ৪আনা ওজনের একটি স্বর্নের চেইন নিয়ে পালিয়ে  যায়। 

আমার স্ত্রীর ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসে পরবর্তীতে আমার ভাতিজা শুভ চৌহান সংবাদ পাইয়া ঘটনাস্থলে আসিয়া আমার স্ত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে  স্হানীয় লোকজনের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য দ্রুত মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়।এব্যাপারে মধুপুর থানায় ৩ মে একটি মামলা  হয়েছে। মামলার পরপরই মধুপুর থানা পুলিশ খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে সনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



যারা আমাদের কৃতদাস বানাতে চায়,তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো: রিজভী

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৬৭জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:যারা আমাদের কৃতদাস বানাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির আহমেদ রিজভী বলছেন, ১৮ কোটি দেশের মানুষ আমরা একবারও দূর্বল নই। সরকার দূর্বল হতে পারে, আমরা দূর্বল নই। আমাদের যে আত্নশক্তি, আমাদের যে সাহস, আমাদের যে জনগণের লড়াই করার ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সবকিছু নিয়েই আমাদের উপর যারা খবরদারী করে আমাদের যারা কৃতদাস বানাতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়বো। সরকার কোন অবস্থাতেই আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। 

আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে উত্তরায় দুঃস্হদের মাঝে এক ঈদ উপহার সামগ্রী শাড়ী লুঙ্গি বিতরণকালে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহবায়ক মোতালেব হোসেন রতন এর সভাপতিত্বে তার উত্তরার  ফায়দাবাদের বাসভবনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। 

রিজভী আহম্মেদ বলেন, বাংলাদেশের কোন নিরাপত্তা আর নেই। বাংলাদেশের শাসক কে? এটাও আজ আমরা ঠিক বলতে পারি না। একজন শাসক রয়েছেন, তার কাজ হচ্ছে বিরোধী দলকে দমন করা, বিরোধী দলেরবকোন কর্মসূচি হলেই তা বানচাল কটা এবং তিনি একজন অবৈধ শাসকের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তার প্রভু আছে, তারাই মূলত শাসকের ভূমিকা পালন করেছেন। কারন আমাদের দেশের লোকদের সীমান্ত হত্যা করছে, অথচ আমাদের দেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বা সরকার তা প্রতিবাদ করেন নি। প্রতিদিন ১ দিন ২ দিন পরপর হয় লালমনিরহাট, নওগা কিংবা য়শোর, ফেনী,কসবা এই সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশী মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে। এদের জীবনের কেন নিরাপত্তা নেই। 

তিনি বলেন, একটা মানুষ যদি বেআইনি কাজ করে চলাফেরা করে তাকে গ্রেফতার করে বিচারের ব্যাবস্হা আছে। অথচ পাকিস্তানের সাথে ভারতের বর্ডার আছে, নেপালের সাথে বর্ডার আছে, আফগানিস্তানের সাথে সীমান্ত রয়েছে, ভূটানের সাথে সীমান্ত আছে, অথচ আপনারা কখনও শুনছেন না যে, তাদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে, সেখানে তারা সংঘর্ষ করতে সাহস পায় না। কারন তাদের প্রতিনিধীরা বাংলাদেশ শাসন করছে। তাদের বাংলাদেশের মানুষদের হত্যা করলে তাদের কিছু যায় আসে না। 

রিজভী আহম্মেদ বলেন, ওরা আমাদের পানি কেড়ে নিবে। ওরা একচেটিয়া বানিজ্য করবে। আমাদের কোন পন্য কিনবে না। বাংলাদেশে ওদের পন্যে সয়লাব হয়ে গেছে। আমাদের দেশের কারখানার মালিকরা, আমাদের যে তাত। কত সমৃদ্ধশালী ছিল তাত। সে তাত ধ্বংস করে ভারতের লুঙ্গি শাড়ী কিনতে হয়। তাদের সকল পন্য আমাদের কিনতে হয়। এটার থেকে পরনির্ভরশীল হওয়ার জন্যই তো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পুরো দেশকে আত্মনির্ভরশীল করছেন। জিয়াউর রহমান খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেই বিদেশে চাল রপ্তানি করেছেন। আর শেখ হাসিনা প্রতি নিয়ত প্রতি দিন বাংলাদেশকে ভারতের উপর নির্ভরশীল করার সকল যড়যন্ত্র তিনি করছেন। 

তিনি বলেন, আজকে সারা বাংলাদেশ কেন অরক্ষিত? 
আজকে কেন বান্দরবানের সারাচি, রুমাসহ বিভিন্ন থানায় ব্যাংক ডাকাতি হচ্ছে কেন? আজকে অন্য দেশের সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশে আশ্রয় পায় কি করে? এটা কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানেন না। ঠিকই জানেন, কিন্তু তাদের কিছু করার নেই। কারন তারা নতজানু। ওদের কে যেমন তেমন করে বিদেশি প্রভুদের আশ্রয়েই তাদের থাকতে হয়। কারন ওদের কে ভোটে সরকার গঠন হয়নি। কারন তারা ভোটে সরকার গঠন করেনি। জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ৭ জানুয়ারির  যে ডামী নির্বাচন সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। ৯৭% মানুষ ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। শুধু আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগের আত্নীয় স্বজনরাই ভোট কেন্দ্রে গিয়েছিল। আর ভোট কেন্দ্র সারাদিন সাহারা মরুভূমির মতো শূন্য হয়ে পড়েছিল। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, আজকে এই অবৈধ সরকারের ফ্যাসিষ্ট সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় দেখে, জনগণের কাছে তারা কোন জবাবদিহিতা করে না, বাংলাদেশের সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগনই কিন্তু এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারে এবং আমরা বিশ্বাস করি গত ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে, একতরফা ডামি নির্বাচন, সেই নির্বাচনে তারা নিজেরা নিজেরই সরকার গঠন করেছে। সেই নির্বাচনকে বাংলাদেশের জনগণ বিনা ভোটে প্রত্যাখ্যান করেছে, আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কোন মানুষ ভোট দিতে যায়নি, সেটা আমরা সকলেই দেখেছি দৃশ্যমান এবং আমাদের তথ্য মতে, ২% মানুষ ও ভোট দিতে যায়নি এবং  যারা আওয়ামী সমর্থক ছিলেন নির্বাচনে  তারাও ভোট দিতে যায় নাই। 

আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন  থেকে জাতিকে মুক্ত করতে দেশের গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই চলমান এক দফার আন্দোলন চলবে। 

তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে পুরো রমজান মাস ধরে আমাদের উত্তর মহানগরীর ৭১ টি ওয়ার্ডে ইফতার মাহফিল ও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছি এবং আজকে যে আমরা ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করছি, এটাও আমাদের দলীয় কর্মসূচির অংশ। 

৫ শত অসহায় নারী পুরুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে শাড়ি লুঙ্গি  পেয়ে গরিব-দুঃখীদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। এ সময় অসহায়রা বলেন  প্রতিবছরই ঈদ এলে বিএনপি নেতা এম কফিল উদ্দিন আহমেদ ঈদ উপহার শাড়ি লুঙ্গি দেন, এতে আমরা খুব খুশি। 

এ সময় এম কফিলউদ্দিন বলেন, মানুষ আজ খুব অসহায় দিন যাপন করছেন। নিদারুণ কষ্টে চলছে তাদের জীবন।  তাদের জন্য কিছু করতে পারায় সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতেও অসহায়দের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আকতার হোসেন ও সদস্য দফতরের দায়িত্বে এবিএমএ রাজ্জাক সহ স্থানীয় বিএনপির  নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

আরও খবর



নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সেবায় সন্তষ্ট সেবাগ্রহীতারা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

সোহরাওয়ার্দীঃনারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে বেড়েছে কাজের গতি। নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের বর্তমান উপপরিচালক রোকনুজ্জামানের হস্তক্ষেপে সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বর্তমান উপপরিচালক রোকনুজ্জামান একজন কর্মবীর মানুষ। তার হস্তক্ষেপে কমেছে দালালদের উপদ্রব। নিয়মতান্ত্রিকভাবে যথাসময়ে পাসপোর্ট এর সেবা পাচ্ছে সাধারণ সেবা গ্রহীতারা।

নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসে পাসপোর্ট করতে আসা গ্রাহকরা কোন দালাল চক্র বা অসাধু ব্যাক্তির খপ্পরে না পরে সে জন্য নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ঢুকতেই আপনার চোখে পড়বে অফিস ভবনের প্রত্যেক তলায় ও সিঁড়িতে কোন কর্মকর্তা কোথায় বসেন সে নির্দেশনা। এ ছাড়া নিচ তলাতেই কোন কাজের জন্য কোথায় যেতে হবে তা উল্লেখ করে বড় করে বোর্ড লাগানো হয়েছে। আর এভাবেই পাসপোর্ট আবেদনকারীদের পরিপূর্ণ সেবা দেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিজের পাসপোর্টের আবেদন পত্র নিজে জমা দিয়ে সহজেই সঠিক সময়ে পাসপোর্ট হাতে পেয়ে খুশি সেবা গ্রহণকারী সাধারণ মানুষ।আঞ্চলিক এই পাসপোর্ট অফিসকে দালালমুক্ত করতে কড়াকড়ি নির্দেশ প্রদান করেছেন কর্মকর্তারা।

নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক রোকনুজ্জামান জানান,এনআইডি কার্ড এবং নাগরিকত্বের প্রমানাদি পেলে আবেদন কারীকে যথা সময়ে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেই, এখানে জটিলতার কোন অবকাশ নেই।

আনসার বাহিনীর চৌকস সদস্যদের সর্বদা সচেষ্ট থাকতে দেখা যায় অফিস চলাকালীন সময়ে। কোন ব্যক্তি নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া ভেতরে প্রবেশে করতে পারবে না । ক্লোজ সার্কিট সিসি ক্যামেরা মনিটরিং স্টেশন। যে কেও যখন তখন কোন অপরাধ করলে সাথে সাথে তাদের সনাক্ত করা হবে। তারপরেও সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রশান্তি পাচ্ছেন বলে জানা যায়। পাসপোর্ট আবেদনকারীরা নিজেদের ঝামেলামুক্ত রাখার সরাসরি নিজের পাসপোর্ট এর কাজ স্বাছন্দ্য ভাবে নিজেই করতে পারছেন গ্রাহকরা।

এছাড়া সরেজমিনে দেখা যায় নিজের পাসপোর্ট সরাসরি আবেদন করতে পারছেন বলেই আগের মত দীর্ঘসময় ব্যয় করতে হচ্ছে না পাসপোর্টের সেবাগ্রহীতাদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে পাসপোর্ট গ্রাহকরা নিজের পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে ১০ বছর মেয়াদে- ৬৪ পৃষ্ঠার জন্য ব্যাংক জমা ৮ হাজার ৫০ টাকা। আর জরুরি ভিত্তিতে করলে সেটা-১০ হাজার ৩৫০ টাকা। একই সংখ্যক পাতায় ০৫ বছরের মেয়াদে ৬ হাজার ৩২৫ টাকা। আর জরুরি ভিত্তিতে করলে জমা দিতে হয় ৮ হাজার ৬২৫ টাকা। এছাড়া ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টে ১০ বছরের জন্য ৫ হাজার ৭৫০, আর জরুরি পাসপোর্ট করলে ৮ হাজার ৫০ টাকা করে পাসপোর্ট গ্রাহকরা জমা দিচ্ছেন সরকারি চার্জ অনুযায়ী এক টাকাও বাড়তি টাকার নেওয়া হয় নাহ।

০৫ বছরের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের আবেদন ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা। আর জরুরি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা।

এসব সরকারী ফি এর বাইরে কোন অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কোন সুযোগ নেই এই অফিসে।


আরও খবর



ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে শরবত ও সুপেয় পানি বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image
রাকিবুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ থেকে:"পরিচ্ছন্ন- সবুজ বাসযোগ্য ধরণী থেকে আমার অঙ্গীকার" এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংস্থা "ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ কর্তৃক তীব্র গরমে রাস্তায় চলাচল করা পথচারী এবং কর্মজীবী মানুষের মাঝে ঠান্ডা শরবত এবং সুপেয় পানি বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বাজার স্টেশন চত্বরে ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জের আয়োজনে পথচারী ও কর্মজীবী মানুষের মাঝে ঠান্ডা শরবত এবং সুপেয় পানি বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো.আশিক আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিতরণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ১ প্যানেল মেয়র -  মো.নুরুল হক, ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ এর স্থায়ী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.সাইফুল ইসলাম তালুকদার।

অনুষ্ঠানের  প্রধান অতিথি  সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা তিনি বলেন - ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ বরাবরই জনকল্যাণকর কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখে। আমি অতীতেও দেখেছি এই সংগঠনটি মানুষের কল্যাণে যেভাবে নিরলস পরিশ্রম করে এমন আরো কয়েকটি সংগঠন যদি সিরাজগঞ্জে থাকতো তবে সিরাজগঞ্জের চেহারা পাল্টে যেত। আমি বিশ্বাস করি ক্লিন সিরাজগঞ্জ একদিন তাদের কাজের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী পরিচিত লাভ করবে এবং সিরাজগঞ্জবাসীর মধ্য মনে হয়ে থাকবে। আমি তাদের সকল জনকল্যাণকর কাজের সমর্থন দিয়ে এসেছি ভবিষ্যতেও দেব। 
বিশেষ অতিথির ১ প্যানেল মেয়র নুরুল হক বলেন - ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ সত্যিকার অর্থে একটি পরিবেশবাদী এবং মানবিক সংগঠন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা স্নেহের আশিক তার স্বেচ্ছাসেবকবাহিনী নিয়ে সিরাজগঞ্জবাসীর জন্য যে পরিমাণ কাজ করে যাচ্ছে সত্যি তা প্রশংসার দাবিদার। ক্লিন সিরাজগঞ্জের প্রতিটি কাজ সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, পরিবেশের জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি এই সংগঠনটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি এবং প্রত্যাশা রাখি অতীতে ন্যায় বর্তমান এবং ভবিষ্যতে আরো জনকল্যাণকর কাজের মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জবাসীকে একটি বাসযোগ্য সিরাজগঞ্জ উপহার দেবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. আশিক আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন - আমরা পরিবেশবাদী সংগঠন হলেও সামাজিক এবং মানবিক কাজ কখনোই পিছিয়ে থাকি না। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতি বছরই এই ধরনের তীব্র গরমের সম্মুখীন হই আমরা। এবং এই গরম থেকে পথচারীদের স্বস্তি দিতে প্রতিবছরই আমরা এই আয়োজন করে থাকি। আজকে আমরা ১০০০ থেকে ১২০০ লোকের মধ্যে এই শরবত এবং সুপ্রিয় পানি বিতরণ করবো। এবং আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।

আরও খবর



জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিক মুক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৩১ দিন পর মুক্তি পেলেন সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ও জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিক।নাবিকরা সুস্থ আছেন।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরবর্তীতে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর