
খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটাই দুঃখ, হলে গিয়ে সিনেমা দেখার সৌভাগ্য হয় না। তবে আমি যখন প্লেনে চড়ি, তখন বাংলাদেশের সিনেমা দেখি। এবার সাউথ আফ্রিকা যাওয়ার সময় পরপর দুটি সিনেমা দেখেছি।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাঝে মধ্যে অনেকে আমাকে পেনড্রাইভ পাঠায়। তখন সময় মতো একটু (সিনেমা) দেখি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা চাই না সিনেমার পাইরেসি হোক, অশ্লীল সিনেমা তৈরি হোক। আমাদের অনেক পুরাতন সিনেমা আছে, যেগুলোর ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। আমরা ফিল্ম আর্কাইভ ভবন নির্মাণ করে দিয়েছি। এর মাধ্যমে পুরাতন সিনেমাগুলো পুনরুদ্ধার করে ডিজিটাল পদ্ধিতেতে এখন মানুষকে দেখানোর সুযোগ এসেছে। এগুলো দেখলে মানুষ অনেক তথ্য জানতে পারবে।
এসময় সরকার প্রধান আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যখন ১৯৫৬ সালে মন্ত্রীত্ব পান, তখন তিনি চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা ১৯৫৭ বিল সাধারণ পরিষদে পেশ করেন। যা একই বছরের ৩ এপ্রিল পাশ হয়। উপমহাদেশের চলচ্চিত্র আসলে বাঙালিদের হাতে গড়া। আমাদের মাতৃভাষায় ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানা হয়, তারও প্রতিবাদ করেছিলেন সেই ১৯৪৭ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।
করোনাকাল পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার সিনেমা হল সংস্কারে এক হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করে বলেও প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে জানান। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার।
অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পী এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কলা-কুশলী অন্যান্য ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী ।