Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

দুই দিনে এলো ১১৬৬ মেট্রিক টন আলু,পাইকারী ৩১ টাকা কেজি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২২৯জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল হিলি,দিনাজপুর প্রতিনিধি:এক দিনেই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১১৬৬  মেট্রিক টন আলু ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ও শনিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই দিনে বন্দর দিয়ে ৪৫ টি ভারতীয় ট্রাকে ১১৬৬ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, ভারত থেকে আমদানিকৃত আলু প্রকারভেদে পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩১ থেকে ৩৩ টাকা কেজি দরে। হিলি খুচরা বাজারের আলু বিক্রেতা মো: আশরাফ আলী জানান,ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হওয়ায় দেশী আলুর দাম কেজিতে থেকে ৫ টাকা কমেছে। বর্তমানে বড় জাতের আলু (ষ্টিক) লম্বা টাকা ৫০ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা ছোট জাতের গোল আলু ৬০ টাকা থেকে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খাঁন ইন্টারন্যাল এর ব্যবস্থাপক মাহাবুব হোসেন বলেন ,গেলো বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে থেকে আলুগুলো আমদানি করা হচ্ছে। প্রতি মেট্রিক টন আলু আমদানি মূল্য ১৩০ থেকে ১৪০ মার্কিন ডলার খরচ পড়ছে। আমদানিরকৃত আলুতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৩৩ শতাংশ। হিলি পানামা পোর্ট জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন,আমদানিকৃত আলু কাঁচা পণ্য হওয়ায় দ্রুত বাজারজাত করতে আমদানিকারকদের সবধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ও শনিবার (৪ নভেম্বর) দুই দিনে বন্দর দিয়ে ৪৫ টি ভারতীয় ট্রাকে ১১৬৬ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে।


আরও খবর



রূপগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

মোঃআবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ-

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে উপজেলা পরিষদের দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। গতকাল ১১মে শনিবার রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম.এ মোমেন। 



সভায় বক্তব্য রাখেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ খান মুন্না, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন, সহ-সভাপতি শফিকুল আলম ভুঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, যুগ্ন সম্পাদক রুবেল মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক ইমদাদুল হক দুলাল প্রমুখ। 



মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, রূপগঞ্জের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি নির্বাচিত হলে মাদক, কিশোরগ্যাং, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, অপহরণের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করবেন। শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পানি সরবরাহসহ সার্বিক উন্নয়নে তিনি অগ্রণী ভুমিকা রাখবেন।    

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মুজিবনগরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ,আহত-১৩

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মহাজনপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতার সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে তোতার সমর্থক ইসলাম শেখের (৬০) অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অন্যান্যরা হলো তোতা গ্রুপের রাজন আলী (২৬), শাহাজাহন আলী (২৫), আব্দুস সাত্তার (৫৫) আনারুল ইসলাম (৫০) ও মিলু গ্রুপের রাসেল শেখ (২৩), শাহেদ আলী (২৫), শাহাবুদ্দীন (৫০), উজ্জ্বল (৩২), রমজান আলী (২১), মেহেরাব হোসেন (২২), সৌরভ মেম্বার (৪৭), হাবিবুর রহমান (২২)।

রফিকুল ইসলাম তোতার দাবি, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আমাম হোসেন মিলুর কিছু সমর্থক আমাদের মহাজনপুর বাজারের একটি অফিসে হামলা চালায়। এ সময় অফিস ভাংচুর করে। তারপরই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমাদেও ৫ কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ইসলাম শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকিদের মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে আমাম হোসেন মিলুর দাবি, তার সমর্থকরা একটি অফিস উদ্বোধনের জন্য রফিকুল ইসলাম তোতার অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো। এ সময় তোতার সর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ৮ কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মুজিবনগহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত্ব বলেন, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উভয়পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তবে অফিস ভাংচুরের বিষয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী একে অপরকে দোষারপ করছেন। ঘটনাস্থলে সিসিটিভির ফুটেজ রয়েছে। ফুটেজ দেখে প্রকৃত দোষীদেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



খাগড়াছড়িতে আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল  প্রতিনিধি:খাগড়াছড়িতে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষ্যে আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন অফিসার।

শুক্রবার (৩ মে,) বিকাল ৩টার দিকে  খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষ্যে আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়  সভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট  মো.সহিদুজ্জামান ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার),৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এর প্রথম ধাপের রির্টানিং অফিসার মোহাম্মদ কামরুল আলম,। 

এসময় দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জুনায়েদ কবীর সোহাগ, খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাঈমা ইসলাম সহ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনের প্রার্থীগণ তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে বক্তব্য প্রদান করলে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন অফিসার তাদের চাহিদামত বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেন এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। 

খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- ২০২৪ খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সার্বিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত নির্বাচন সংক্রান্ত  আচরণ বিধিমালার মধ্যে থেকে প্রত্যেক প্রাপ্তিকে তাদের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে, একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ  নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

সভাপতি,র বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট  মো.সহিদুজ্জামান  বলেন, আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ 
নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে জেলা প্রশাসন ও রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হয়েছে। তিনি বলেন যে কোন মূল্যে ভোটারদের নির্বিগ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে।কেন্দ্রে কোন ধরনে সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য আহবান জানান।

আরও খবর



চারাগাঁও সীমান্ত দিয়ে আবারো ২শ টন কয়লা পাচাঁর: নেই অভিযান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের একাধিক পথে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে আবারো অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের খরব পাওয়া গেছে। সীমান্তের বিভিন্ন বসতবাড়ি ও একাধিক ডিপুতে অভিযান পরিচালনা করলে কোটি টাকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত এই সীমান্তে জোড়ালো কোন অভিযান হয়না বলে জানা গেছে।   

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- আজ বৃহস্পতিবার (২রা মে) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী বাবুল মিয়া বিজিবির নামে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে ৪০টাকা করে চাঁদা নিয়ে প্রায় ৮০মেঃটন কয়লা ভারত থেকে পাচাঁর করে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন আব্দুর রাজ্জাক, ডালিম মিয়া, নজির মিয়া, মঙ্গল মিয়াসহ আরো একাধিক বাড়িতে মজুত করেছে। এরআগে ভোর রাতে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত এলসি পয়েন্টে সংলগ্ন চারাগাঁও ছড়া দিয়ে একই ভাবে চাঁদা নিয়ে একাধিক মামলার আসামী সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী সুহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া, নবু মিয়াগং ভারত থেকে ১২০মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে সীমান্তের নারী চোরাকারবারী লাবিয়া বেগম, সুজন মিয়া, সোহেল মিয়ার বাড়ি ও ফজলু সদর, কাইয়ুম সর্দারের ডিপুসহ আরো একাধিক স্থানে মজুত করে। অন্যদিকে এই সীমান্তের কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া ও লেংড়া জামালগং ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, গরু, সুপারী,  চিনি, পেয়াজ, মদ ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করলেও পাশের বীরেন্দ্রনগর ও বালিয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা কয়লা থেকে ৪০টাকা, প্রতিবস্তা পেয়াজ ও চিনি থেকে ১শ টাকা, ১টন চুনাপাথর থেকে ৫শ টাকা, প্রতি গরু থেকে ২হাজার টাকাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করে বিজিবির নাম ভাংগিয়ে। এছাড়াও সাংবাদিক ও পুলিশের নাম ভাংগিয়ে সোর্সরা ও তাদের গডফাদার তোতলা আজাদ গত ৩বছরে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে হয়েগেছে কোটিপতি। চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হিসেবে নায়েক সুবেদার খাদেমুল ইসলাম ও বিল্লাল কর্মরত থাকাকালীন সময় এই সীমান্ত চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে ছিল। আটক করা হয়েছে অবৈধ কয়লাসহ বিভিন্ন মালামাল। কিন্তু নায়েক সুবেদার সিদ্দিক যোগদান করার পর থেকে সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। 

এব্যাপারে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) নাম্বারে কয়েক বার ফোন করার পর, ফোন রিসিভ না করে ব্লক করে দেয়। এবিয়ষে টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার কামাল বলেন- চারাগাঁও সীমান্ত আমার কোম্পানীর অধিনে। ওই সীমান্তের চোরাচালানের বিষয়ে ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে কথা বলব। এই সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পর তিনিও ফোন রিসিভ করেনি।



আরও খবর



রূপগঞ্জে প্রভাবশালী ব্যাক্তির ইন্ধনে বিআরটিসি বাস বন্ধের ষড়যন্ত্র

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃভূলতা (গাউছিয়া)-কুড়িল বিশ্ব রোডে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে একটি মহল। রূপগঞ্জ ইউনিয়নের এক প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় স্থানীয় সিএনজি চালক ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিআরটিসি'র যাত্রীবাহী গাড়ির চালক, হেলপার ও কর্মচারীদের উপড় চড়াও হয়ে প্রতিনিয়ত লাঠি সোটা নিয়ে মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুর করছে বলেও জানা গেছে। এই বিষয়ে বিআরটিসি বাসের চালক ভুক্তভোগী খাইরুল মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মারধর ও প্রাননাশের অভিযোগ দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ভুলতা (গাউছিয়া) -কুড়িল বিশ্বরোড এই রুটে কিছু সংখ্যক বিআরটিসি বাস চালু করা হয়।সময় মতো সেবা ও কম খরচে যাত্রী পরিবহন করায় এ অঞ্চলের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিআরটিসি বাস সার্ভিস। পক্ষান্তরে স্থানীয় ফিটনেস বিহীন প্রাইভেট ও বৈধ কাগজপত্র বিহীন সিএনজি গাড়ির যাত্রী কমে যায়। এই কারণে সেই সকল চালকরা অসন্তুষ্ট হয়ে যায়। শুরু থেকেই তারা বিআরটিসি চালক, হেলপার ও কর্মচারীদের প্রতি বৈরি মনোভাব পোষণ করে। তারা বিআরটিসি বাস বন্ধের জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। রুপগঞ্জের এক প্রভাবশালী ব্যাক্তির ইন্ধনে  ওই সকল ফিটনেসবিহীন গাড়ির চালকগনকে ও সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে প্রায় সময়েই সরকার নিয়ন্ত্রিত পরিবহন বিআরটিসি বাসের চালক হেলপার কর্মচারীদের মারধর করে এবং গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন চালককে মার ধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রভাবশালী ব্যাক্তির ছত্রছায়ায় এই সন্ত্রাসী  বাহিনী এতটাই ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে বর্তমানে কোন চালক ওই রুটে বিআরটিসি'র বাস চালাতে চায় না। বিআরটিসি বাসের ভাড়া কম এবং সার্ভিস ভালো থাকায় যাত্রী সাধারণ এই গাড়িতে চড়তেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। অন্যদিকে ফিটনেসবিহীন প্রাইভেট কার অবৈধ সিএনজি দ্বিগুণ তিন গুণ ভাড়া নিয়ে যাত্রী বহন করে। আবার এই সকল পরিবহন গুলো নিরাপদ নয়। ফিটনেস বিহীন যানবাহনে প্রায় ঘটে নানা দুর্ঘটনা, রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। স্বাভাবিক কারণেই যাত্রী সাধারণ ঐসব গাড়িকে এড়িয়ে চলে। এই কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, "বিআরটিসি বাস চালককে মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে"

উল্লেখ থাকে যে, ভুলতা গাউছিয়া, রূপগঞ্জ, কাঞ্চন এলাকার হাজার হাজার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করে। তারা কম খরচে বিআরটিসি বাসে চলাচল করতে পারে। এছাড়াও যাত্রী সাধারণ নিরাপদে বিআরটিসি বাসে চলাচল করতে পারে। তাই এই রুটে বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ হয়ে গেলে যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে।


আরও খবর