Logo
আজঃ বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

দৌলতপুর চিলমারী ২০০ বিঘা পাকা ধান পদ্মায় বিলীন হতে চলছে

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ২৭১জন দেখেছেন

Image

খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর চিলমারী মাঠের ২০০ বিঘা পাকা ধান পদ্মায় বিলীন হতে চলেছে। আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে ত্রিপাক্ষিক সংঘর্ষের মাশুল দিচ্ছেন সাধারন কৃষক। ধান গোলায় না উঠলে, মুখে ভাত জুটবেনা তাদের। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পূর্ব আমদানি ঘাট এলাকার জনজীবন এখনো স্বাভাবিক হয়নি। শতাধিক বাড়ি জনমানবশূন্য। মাত্র ১৬ ফিট রাস্তার সীমানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জের ধরে ৫/৬ মাস যাবৎ স্থানীয় মন্ডল, খাঁ ও শিকদার বংশের আন্তঃকোন্দল ও দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় বলি হচ্ছেন সাধারণ কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রামকৃষ্ণপুর মৌজার অধীনে চিলমারী মাঠে প্রায় ২০০ বিঘা পাকা ধান পড়ে আছে। প্রতিপক্ষের দায়েরকৃত মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়েও ঘরে ফিরতে পারছেন না বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খাঁনসহ শতাধিক নিরীহ কৃষক। স্থানীয়দের দাবী, অতি সত্বর ধান মাড়াইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। নতুবা পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাবে। ঘূর্ণিঝড় ্য়ঁড়ঃ;মোখা ্য়ঁড়ঃ; পরবর্তী আবহাওয়া স্বাভাবিক হলেও ২/৩ পশলা বৃষ্টি হওয়ায় পদ্মা নদীতে পানি বেড়েছে। বৃষ্টি হলেই ধান তলিয়ে যাবে পানির নিচে। যে সকল কৃষক ধান কাটতে পারছেন না- আজিজ খাঁ ৫ বিঘা,রাজ্জাক খাঁ ৩ বিঘা,নুরু খাঁ ৩ বিঘা,কুদ্দুস শেখ ৫ বিঘা,মোশারফ শেখ ৩ বিঘা,রহিম মেম্বার ২ বিঘা,বশির খাঁ ৩ বিঘা,লুৎফর রহমান ২ বিঘা,আবু তালেব খা ৩ বিঘা,আয়নালসহ শতাধিক কৃষক। চরাঞ্চলে আইন-শৃংখলার চরম অবনতি হওয়ায় গরু খামারী,দুধ বিক্রেতা,দিন মজুর,মৌসুমি ধান,গম ব্যবসায়ীসহ নি¤œ আয়ের জনগোষ্ঠী চরম বিপাকে পড়েছেন। পাকা ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।


আরও খবর



ট্রাক কেড়ে নিল মেডিকেল শিক্ষার্থীর প্রাণ,আহত আরও তিন যাত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৪২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বরিশাল নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোডে একটি ইজিবাইকে দ্রুত গতির ট্রাকের ধাক্কায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ইজিবাইকের আরও তিন যাত্রী।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাতে নগরীর কাজীপাড়া সংলগ্ন সিঅ্যান্ডবি সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম তৌফিক আহম্মেদ শুভ। তিনি বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ৪৮তম ব্যাচের ছাত্র। শুভ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের গোমা এলাকার বাসিন্দা মতিউর রহমানের ছেলে।

দুর্ঘটনার পর অভিযুক্ত ট্রাকের চালক রিয়াজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রিয়াজ মিয়া মাগুরা সদরের বাসিন্দা।

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ফয়জুল বাশার বলেন, নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি ইজিবাইক আমতলার মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। ইজিবাইকটি সিঅ্যান্ডবি রোড কাজিপাড়া এলাকার কাছে পৌঁছালে পেছন থেকে আসা একটি ট্রাক সেটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকের যাত্রী শুভর মৃত্যু হয়। আহত হন আরও তিনজন।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফয়জুল করিম বলেন, ঘটনার পরপরই ট্রাকের চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ট্রাকটি পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



রাজধানীর উত্তরায় যাত্রিবাহী বাসে আগুন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা তিন দিনের অবরোধের শেষ দিনে রাজধানীর উত্তরায় পূর্ব থানার পাশে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় অবোরধকারীরা। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভোরে উত্তরার আজমপুরে পরিস্থান পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় তারা।

পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে বাসের আগুন নেভায়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সারাদেশে টানা তিনদিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির শেষ দিন আজ।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তা জানান, আজ সকাল ৭টায় উত্তরার আজমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পরিস্থান পরিবহনের একটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা খবর পেয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হন।

জানা গেছে, বুধবার (১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের অবরোধ কর্মসূচিতে দিনব্যাপী রাজধানীর বিভিন্নস্থানে ঝটিকা মিছিল, সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানসহ কোথাও কোথাও সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি স্থানে পিকেটিং হয়। তবে আজ গত দুই দিনের তুলনায় রাস্তায় যানবাহন আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।

বিএনপি নেতারা দাবি বলছেন, চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে জনগণের ব্যাপক সাড়া দেখছেন তারা। জনগণের সমর্থনে নজিরবিহীন অবরোধ পালিত হয়েছে। সে কারণে সরকারের পক্ষ থেকে শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও মহাসড়কগুলোয় দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলেনি।

তারা মনে করেন, অবরোধের শেষ কর্মসূচির পর দলের পক্ষ থেকে আগামী সপ্তাহজুড়ে ফের দেশব্যাপী অবরোধ দেওয়া হবে। এটি চলমান থাকতে পারে পরবর্তী সপ্তাহতেও।


আরও খবর



মিরপুর বিআরটিএ ঘুষ বানিজ্যের হোতা আনসার কাঞ্চন ও মিলন

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ১২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃরাজধানীর মিরপুর বিআরটিএ ঘুষ বানিজ্যের মুল হোতা নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা আনসার কমান্ডার কাঞ্চন ও এপিসি মিলন। এই দুজনের  নেতৃত্ব কয়েকজনের একটি সংঘবদ্ধ একটি চক্র গড়ে উঠেছে।এদের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মিরপুর বিআরটিএ অফিসে  ঘুষ বানিজ্যসহ সব অপকর্মে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বিআরটিএ বহিরাগত দালালদের ও নিয়ন্ত্রণ করছে এই আনসার কমান্ডার।জানা যায়, পিসি কাঞ্চন সপ্তাহে বহিরাগত দালালদের কাছ থেকে জন প্রতি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা করে নেওয়া হয় যা মাস শেষে আড়াই লাখ টাকা । এছাড়া নিজস্ব আনসার সদস্যদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনে গাড়ীর অবৈধ উপায়ে কাগজ - পত্র ঠিক করার মাধ্যমে সদস্যদের কাজ থেকে প্রতিদিন ১০ /১২ হাজার টাকা নেয় এই আনাসারা।

আকবর নামের একজন দালাল বলেন,  আমরা ৮০থেকে ৯০ জন মিলে এখানে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাজ করি। এই কাজের বিনিময়ে আনসার কমান্ডারকে মাসে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা দিতে হয়। এই টাকা গুলো আনসারের এপিসি মিলনের কাছে দিতে হয়। মিলন  আমাদেরকে বলেন আমি পরে কমান্ডার কাঞ্চন স্যারের কাছে টাকা গুলো পৌছিয়ে দেই ।  টাকা না দিলে আমাদেরকে ভেতরে ঢুকতে বা কাজ করতে দেয় না। টাকা দিলে আবার কাজ করতে দেয়। তিনি আরও বলেন, আমাদের কাজের পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও এইসব কাজে জড়িত। ৩০ থেকে ৩৫ জন আনসার সদস্য এখানে রয়েছে। এমনকি আনসার সদস্যরা প্রতিদিন  কাজ করে।  তারা হলেন, অন্তর, জাকিরুল,মো: আনিছ, শাহিন,আরিফ,শহিদুল, মো: রাজ্জাক, রবিউল ইসলাম, পবন, ইসমাইল, সহ আরো অনেক সদস্যরা। বিআরটিএ'র কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে একের পর এক কাজ করে যাচ্ছে। তাদের জন্য আমরা বেশী একটা কাজ করতে পারি না। তার পরও আনসার কমান্ডারকে সপ্তাহ হিসেবে বা মাস হিসেবে টাকা দিতে হচ্ছে। কাজ হক বা না হক টাকা পরিশোধ করতেই হবে।বিআরটিএ অফিসে সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়, বাধ্য হয়ে নিতে হয় দালাল বা আনসার সদস্যদের সহযোগিতা। বর্তমানে সাবেক অনসার সদস্য ৪০ থেকে ৫০ জন প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছে। এবং প্রতি সপ্তাহে জন প্রতি কমান্ডারকে দিচ্ছে ১ হাজার টাকা করে। 

বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুর বিআরটিএ অফিসের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় কথা হয় অনেকের সঙ্গে। এ সময় ভুক্তভুগী মমিনুল, আব্দুল হামিদ, কাসেম আলী ও আবু বকরের একই অভিযোগ করেন। ভুক্তভুগীদের অভিযোগ, একদিকে আসতে হয় অনেক দূর থেকে, রাস্তায় থাকে যানজট শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ হওয়ায় কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ডিজিটাল নম্বর প্লেট লাগাতে হচ্ছে মোটরসাইকেলে। বিআরটিএ অফিসে পর্যাপ্ত লোকবল থাকার পরেও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।  এক সপ্তাহ যদি এভাবেই সময় যায় তাহলে পেটের চিন্তা করব না ডিজিটাল নম্বর প্লেট লাগাব? এমন অনেক ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ডিজিটাল নম্বর প্লেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এবং ট্যাক্সটোকের নিতে পড়তে হয় বিভিন্ন ভোগান্তিতে। দালাল ধরলে এ সব আগেই সুন্দর মতো এবং সঠিক সময়ে পাওয়া যায়। নিয়ম অনুযায়ী এ সব সেবা নিতে গেলে সময় ও কাজ দুটোই নষ্ট হচ্ছে। বিআরটিএ অফিসে গেলে দালালের খপ্পরে পড়তে হয় এবং নানা ধরনের জটিলতায় পড়তে হচ্ছে। তার মধ্যে  আবার পোশাকধারী আনসার সদস্যরাও নিরাপত্তা না দিয়ে তারা নিজেরাই দালালির কাজে নামিয়ে পড়েছে । তারা এই দালালি কাজে মজা পেয়ে অনেককেই আবার চাকরি অবসর নিয়ে পুরো দমে দালালির কাজে লাগিয়ে যায়। পেশাদার একজন ট্রাক চালক আমিনুল ইসলাম বলেন, বিআরটিএ-এর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালাল এবং আনসারদের মধ্যে যোগসাজশের কারণে সেবাগ্রহীতাদের এ সব ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।ভোক্তভুগীরা বলছেন, দালাল ছাড়া লাইসেন্স পাওয়ার চেষ্টা করাটাও যেন এক ধরনের পাপ। বিআরটি এর সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়ে নিতে হয় দালালের সহযোগিতা।

দালাল আর টাকা ছাড়া এখানে কোনো কাজ হয় না। মোহাম্মদপুরের বসিলা থেকে বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স ডেলিভারি নিতে এসেছেন আমজাদ হোসেন। তনি বলেন, প্রায় তিন ৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর নিয়ম অনুযায়ী লাইসেন্স হাতে পান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অনেকেই টাকা দিয়ে আগেই নিয়েছেন। আর বিআরটিএ কাগজ সঠিক সময়ে না দিয়ে আরেক ভোগান্তিতে ফেলে।এদিকে দালাল, টাউট ও প্রতারক হতে সাবধান’। এমন সতর্কবার্তা সম্বলিত সাইনবোর্ড চোখে পড়বে রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ সড়ক পবিরবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) গেট দিয়ে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই। শুধু প্রবেশ ফটকেই নয়, এমন সতর্কবার্তা লেখা আরও অনেকগুলো সাইনবোর্ড সাঁটানো আছে মিরপুর বিআরটিএ এর বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে দেয়ালে। কিন্তু এই সতর্কবার্তাকে ছাপিয়ে, বলা যায় বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দালালদের দৌরাত্ম্যই পুরো বিআরটিএ জুড়েই।  এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ চান ভুক্তভোগীরা।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



সুন্দরবনে বাঘ গণনা শুরু, ফলাফল জানা যাবে ২৯ জুলাই

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ১২১জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতিতে বাঘ গননা শুরু হয়েছে। রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের হাড়বাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রে এই জরিপ কাজের উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। এই জরিপের ফলে প্রাপ্ত বাঘের সংখ্যা জানাযাবে ২০২৪ সালের ২৯ জুলাই।

বাঘ গননা কাযক্রম উদ্বোধনের সময়, খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো, বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক ড. আবু নাসের মহাসিন হোসেন, বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের (খুলনা) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোঃ নুরুল করিম, চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব ও করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবিরসহ বাঘ গননার কাজে অংশগ্রহনকারী বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

এই জরিপ কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে উপমন্ত্রী বলেন, 'সুন্দরবন বাঁচলে বাঘ বাঁচবে। তাই সুন্দরবন সুরক্ষা করে বাঘ সংরক্ষণ করতে হবে। বাঘ সংরক্ষনের জন্য যা যা করা দর আমরা করব। তবে এক্ষেত্রে বনরক্ষী, সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ভাবে কাজ করতে হবে। বাঘ সংরক্ষনের জন্য সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ে বসবাসকারীদেরকে বাঘের গুরুত্ব জানানোর কথাও বলেন তিনি।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবনের চাঁদপাই এবং শরনখোলা রেঞ্জে ৩০০টি ষ্টেশনে দুটি করে মোট ৬০০ ক্যামেরা বসিয়ে বাঘের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। পরে তা বিশ্লেষণ শেষে ২০২৪ সালের ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবসে বাঘের প্রকৃত সংখ্যা তুলে ধরা হবে। 'বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পে'র আওতায় বাঘ গননার কাজে দুই কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। বাকি দুটি রেঞ্জ বাগেরহাটের পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের সাতক্ষিরা ও খুলনা রেঞ্জে ইতোমধ্যে জরিপ কাজ শুরু হয়েছে।  আগামী বছরের এপ্রিল মাসে এই জরিপ কাজ শেষ হবে।

বাঘ সংরক্ষন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. আবু নাসের মহসিন বলেন,  'সুন্দরবনে বাঘের শিকার প্রাণী বাড়ছে। গত বছর এর সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার। এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে এক লক্ষ ৪২ হাজার। তাই সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বাড়বে বলেও ধারনা করা হচ্ছে'।

তিনি আরও বলেন, বাঘ গননার বৈশ্বিক যে পদ্ধতি সেটা হলো ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতি। এর মাধ্যমে বাঘের ঘনত্ব নির্ণয় করে বাঘের সংখ্যা নির্ণয় করা হয়। বাংলাদেশেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করে ছয় হাজার বর্গ কিলোমিটারের চার হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটারে বাঘ গননার কাজ চালানো হবে। ক্যামেরার মাধ্যমে বাঘের মুখমন্ডল ও ডোরা কাটার ছাপ উঠে আসবে। এটা জটিল একটা পরিসংখ্যান কাজ। এ কাজ করেই বাঘের সংখ্যা বের করা হবে।

সুন্দরবনে প্রথম বাঘ জরিপের কাজ শুরু হয় ২০১৩-১৪ সালে। সেই জরিপে ১০৬টি বাঘ সুন্দরবনে আছে বলে জানা যায়। ২০১৮ সালে সর্বশেষ জরিপে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি।


আরও খবর



সৈয়দপুরে ২ সন্তানের জননীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৪০জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:- নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের পূর্ব কয়া গোলাহাট এলাকায় দুই সন্তানের জননী গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮ টায় এই ঘটনা ঘটলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকাল ৫টা) লাশ উদ্ধার বা সৎকার করা হয়নি। নিহত নারীর নাম আরফিনা (২৮)। তিনি ওই এলাকার মোঃ লিটন মিয়ার স্ত্রী। 

স্হানীয়রা জানান , লিটন মিয়া ও আরফিনা উভয়ই শারীরিক প্রতিবন্ধী (আলাভোলা টাইপের মানুষ)। তাদের ৪ বছরের এক ছেলে ও আড়াই বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। সকালে নাস্তার পর বাড়ির লোকজন দেখতে পায় আরফিনা তার ঘরে গলায় দড়ি দেয়া অবস্থায় সিলিংয়ের সাথে ঝুলছে। তাদের আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলেও মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে তারা পুলিশ ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে খবর দেয় । 

পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ নিতে চাইলেও দিন পেরিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। আরফিনার পরিবার থেকে মারপিটের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে লাশ এখনও ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। বিকেল অবধি লাশের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি পরিবার, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন।  এনিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। 
প্রস্ন তোলা হচ্ছে, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

আরও খবর