Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

ডোমারে ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৮৯ বোতল কথিত আমদানি নিষিদ্ধ ভাতীয় ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারি আঃ রহিম (৩৩) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ডোমার থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী’র নের্তৃত্বে এসআই শাকিল মাহমুদ, লুলু মিয়া, এবি সিদ্দিক ও সঙ্গীয় ফোর্স সদর ইউনিয়নের পূর্ব চিকনমাটি সরকারপাড়া এলাকা থেকে মাদক কারবারি আঃ রহিম (৩৩) কে গ্রেফতার কারে। এ সময় তার কাছ থেকে ৮৯ বোতল ইনটেক ফেন্সিডিল ও লাল রঙের হোন্ড ইউনিকন্ধসঢ়; মোটরসাইকেল যাহার রেজিঃ নম্বর- লালমনিরহাট-ল-১১-৯৭০৩ জব্দ করে পুলিশ। সে সময় তার এক সহযোগি পালিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃত আঃ রহিম লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার মধ্য গড্ডিমারী এলাকার হিরণ আলীর ছেলে বলে যানাজায়। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আঃ রহিম একজন চিহিৃত মাদক কারবারি। তার নামে বিভিন্ন থানায় একাধীক মাদক মামলা রয়েছে। আঃ রহিমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব আইন ২০১৮ এর ৩৬ (১) সারণিক ১৪ (গ)/৩৮/৪১ ধারা মোতাবেক ডোমার থানার মামলা নং-০৯, তারিখ-১৭/০২/২০২৪ দায়ের করে নীলফামারী জেলার বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়। ডোমার উপজেলাকে মাদক মুক্ত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।


আরও খবর



ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির লালবাগ উপশাখা উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সব ধরনের আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানের অঙ্গীকার নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির ‘লালবাগ’ উপশাখা। সম্প্রতি এই উপশাখার উদ্বোধন করেন ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ট্রানজেকশন ব্যাংকিং এবং ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের প্রধান মো. সিকান্দার-ই-আজম। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, ইউসিবি নতুন এই উপশাখার মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ও উদ্যোক্তা উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বাবুল।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির বিভিন্ন শাখা প্রধান, স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীবৃন্দ।


আরও খবর



জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত প্রস্তাব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত। শুক্রবার (৩ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবটি প্রথম গৃহীত হয়েছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর ইউএনজিএ-তে এই রেজুলেশনটি সহজতর করে আসছে এবং সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ওপর একটি উচ্চ-স্তরের ফোরামও আহ্বান করছে।

সাম্প্রতিক উচ্চ-স্তরের ফোরাম, যা ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, শান্তির সংস্কৃতির রূপান্তরমূলক ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যাতে শান্তি, সমতা এবং শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়।

এই বছর রেজোলিউশনটি জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে। এটি প্রতিরোধমূলক কূটনীতি, সংলাপ এবং সবস্তরে সুস্থ বিতর্ক জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।

সংঘাত প্রতিরোধ এবং সমাধানে নারীর অমূল্য ভূমিকার পুনর্নিশ্চিত করার সময় এটি এই জাতীয় প্রক্রিয়াগুলোতে মহিলাদের পূর্ণ সমান এবং অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদের মধ্যে প্রস্তাবটি সহিংসতা এবং সংঘাতের অন্তর্নিহিত চালকদের মোকাবেলা করার এবং চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।

রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, শান্তির সংস্কৃতির প্রস্তাব সময়ের সাথে সাথে প্রাসঙ্গিকভাবে বেড়েছে এবং একটি প্রভাবশালী থিমে বিকশিত হয়েছে যা জাতিসংঘের সকল প্রধান বক্তৃতায় বৃহত্তর পদচিহ্ন এবং স্বীকৃতি খুঁজে পেয়েছে।

তিনি বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এটি বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের সনদের বাধ্যবাধকতা পরিপূরক করার একটি কার্যকর উপায় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতি বছর এই প্রস্তাবটি বাংলাদেশের অব্যাহত সহজলভ্যতা বৈশ্বিক শান্তির জন্য অটল প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর আস্থার প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।


আরও খবর



দেশে বিস্তৃত ইভি লাইনআপ উন্মোচন করলো মার্সিডিজ-বেঞ্জ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মার্সিডিজ-বেঞ্জের অফিসিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর র‍্যানকন মোটরস লিমিটেড বাংলাদেশে মার্সিডিজ-বেঞ্জ ইকিউ লাইনআপের ছয়টি ভিন্ন মডেল চালু করেছে।এ উপলক্ষে সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মার্সিডিজ-বেঞ্জের আধুনিক এবং ক্লাসিক উভয় ধরনের গাড়ি নিয়ে একটি দিনব্যাপী মোটরশো ছিল অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষন। এই পর্বে একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়। এতে পারফর্ম করে রক ব্যান্ড ওয়ারফেজ, নেমেসিস এবং সংগীতশিল্পী প্রিতম।

আলাদা একটি গালা ইভেন্টে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং বিজনেস টাইকুনদের উপস্থিতিতে আকর্ষণীয় লেজার শো মাধ্যমে ইকিউ লাইনআপটি উন্মোচন করা হয়। এই পর্বে নেমেসিস এবং জেফারের লাইভ সঙ্গীত সমন্বিত একটি ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোমো রউফ চৌধুরী, বিভাগীয় পরিচালক ইমরান জামান খান, সিইও রেদওয়ানুল জিয়া।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করা 4 SUV এবং 2 Sedan মডেলগুলো হলো: EQS 450 4matic SUV, EQS 450+ Sedan, EQE 350+ SUV, EQE 53 AMG SUV, EQE 350+ Sedan এবং EQB৷

অনুষ্ঠানে ইমরান জামান খান তার বক্তব্যে বলেন, বৈদ্যুতিক যানবাহন স্বয়ংচালিত শিল্পের ভবিষ্যৎ। প্রযুক্তি কারও জন্য অপেক্ষা করে না। আমাদের পরিকল্পনা করে এখনই কাজে নেমে পড়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, মার্সিডিজ-বেঞ্জ বাংলাদেশ, জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সহযোগিতায় দেশব্যাপী চার্জিং স্টেশন নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য কাজ করছে। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেটে মোট ৭টি চার্জিং স্টেশন লাইভ রয়েছে। ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মোট ২১টি স্টেশনের চালুর কাজ চলমান রয়েছে।

অডি, বিএমডব্লিউ এবং বিওয়াইডির মতো অন্যান্য ব্র্যান্ডের অনুসরণে বাংলাদেশে ইভি বিপ্লবে সম্পৃক্ত হওয়ার সর্বশেষ সংযোজন হলো মার্সিডিজ-বেঞ্জ। মার্সিডিজ-বেঞ্জ বর্তমানে মোট ৬টি নতুন ইভি মডেল সরবরাহ করছে। এর সাথে এখন থেকে গ্রাহকদের সবচেয়ে বিস্তৃত ইভি মডেলের সুবিধা দিতে যাচ্ছে ৷


আরও খবর



মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কয়েদীকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না।

সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান বিশেষজ্ঞ মত নেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষা রাখেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারী হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামীর আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় রক্তের দাগ না শুকাতেই আবারও রক্তপাত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ ঘটনার সূত্র পাত ১১/০৪/২০২৪খ্রীঃ সকাল ৬ঃ৪০মিনিটের দিকে গোস্ত কিনতে গিয়ে দুপক্ষের কর্মী রশিদ ও জামালের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ইবি থানার উজানগ্রাম ইউনিয়নের বিত্তিপাড়া গ্রামে আধিপত্ত বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ অনেক পুরনো। একপক্ষে নেতৃত্ব দেন উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দীক এবং অপরপক্ষে বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন সাবেক মেম্বার।গ্রামের ঈদগাহ কমিটি নিয়ে এই দুপক্ষের মতানৈক্য চলছিল। এর মধ্যে আজ ঈদের নামাজের পর বসে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব ছিল। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ 'ঘটনাস্থলের কয়েকটি ভিডিও দেখে মনে করেছিলেন, এই সংঘর্ষ পূর্বপরিকল্পিত। ঈদগাহে আসার পথে বাক্কার গ্রুপের লোকদের উপর হামলা করেন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি শোটা দিয়ে সংঘর্ষে বাক্কার গ্রুপের যোয়াদ মণ্ডল, আব্দুল্লাহ, শাহীন ও বাবু এবং হোসেন মেম্বার গ্রুপের রাজা ও মিন্টু আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে যোয়াদ মণ্ডলের অবস্থা গুরুতর। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।আহত সবাই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গুরুতর অহত ব্যাক্তিকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য। পরবর্তীতে আবু বক্কার সিদ্দিকের সমর্থকরা ২৪/০৪/২০২৪ খ্রীঁঃ তারিখে সন্ধার সময় শহীদ তেল পাম্পের সামনে থেকে আবুল হোসেন মেম্বারের সমর্থিতরা আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। মারাত্মক জখম হন ,এতে উভয় পক্ষের থানায় মামলা হয়।পরে উভয় পক্ষ জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায়। গত ১৭ ই মে ২০২৪ইং শুক্রবার দুপুরের দিকে আবু বক্কর প্যানেলের সমর্থক আজিব মন্ডলের ছেলে সিএন জি চালক নাসের (৩৭) কে মাঠে ধানের জমিতে পানি নিতে গেলে এলো পাতারি ভাবে হোসেন মেম্বরের গ্রুপের লোকের হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হন। আজ ১৮ ই মে শনিবার সকল ১১ টার দিকে ব্র্যাক নাসর্রী সংলগ্ন ব্রীজ কাছাকাছি স্থান থেকে মৃত জিয়ারত মন্ডলের ছেলে রিয়াজুল(৪২) কে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ আবুল হোসেন মেম্বারের গ্রুপের লোকজন। 
 
স্থানীয় এলাকার সাধারন জনগণ বলেন, দীর্ঘ এই রেশারেশিতে আমরা নিম্ন আয়ের মানুষেরা খুব কষ্টে আছি । তারা বলেন, দুই গ্রুপের দুই এলাকা দখলে রয়েছে আবু বক্কার সিদ্দিক সমর্থিতরা বাজার দখলে আর আবুল হোসেন সাবেক মেম্বারদের সমর্থিতদের কৃষি মাঠ দখলে। বর্তমানে গ্রামে দফায় দফায় সংঘর্ষের যে রুপ তা যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। এমন অবস্থার পরিবর্তন চান। তারা আরও বলেন , আমরা বাড়ি ঘরে দাড়াতে পারছি না, বাইরে কোথায় গেলেও আতঙ্কে থাকি কখন কি হয় বাড়ি থেকেই বা কি সংবাদ আসে। আমরা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এলাকায় শান্তি শৃংখলায় কঠোর ভূমিকা রাখার জন্য । 
 
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান বলেন, সংঘর্ষে লিপ্তথাকা বেশ কয়জনকে আটক করা হয়েছে। প্রতিটা ঘটনার মামলা হয়েছে, সংঘর্ষে জড়িত থাকা বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।

আরও খবর