

Tuesday ২৮ June ২০২২
Tuesday ২৮ June ২০২২
নওগাঁর মান্দায় খেলতে গিয়ে বাড়ির পাশে ডোবার পানিতে ডুবে আশিকুর রহমান (২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের শামুকখোল গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শিশু আশিকুর রহমান ওই গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শিশু আশিকুরের মা রীনা খাতুন বাড়ির উঠানে ধান শুকানোর কাজ করছিলেন। এ সময় সেখানে আমগাছের ছায়ায় সঙ্গীদের সঙ্গে খেলা করছিল আশিকুর। এক পর্যায়ে শিশুটি সবার অজান্তে পাশের ডোবার পানিতে পড়ে তলিয়ে যায়। তাকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে ডোবার পানিতে শিশুটি ভাসতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
Tuesday ২৮ June ২০২২
Tuesday ২৮ June ২০২২
করোনা সংক্রমণ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বিশ্ব অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষিতে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখা, সরকারি ব্যয় সংকুলান এবং বেসরকারি খাতকে চাঙ্গা করার যুক্তিতে দেশ থেকে পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনার সুযোগ দেবে সরকার। আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ সুযোগ রেখে আয়কর অধ্যাদেশে নতুন বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তার এই প্রস্তাবকে অনৈতিক ও বেআইনি আখ্যা দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তাদের মতে, এই সুযোগ অসাংবিধানিক, সংশ্লিষ্ট আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, বৈষম্যমূলক এবং অর্থ পাচারের মতো ঘৃণিত অপরাধের রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার নামান্তর। একইসঙ্গে এই প্রস্তাব বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠানটি।
শুক্রবার (১০ জুন) এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বিবৃতিতে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অর্থমন্ত্রী যেভাবেই ব্যাখ্যা করেন না কেন- নামমাত্র কর দিয়ে প্রশ্নহীনভাবে পাচার করা অর্থ বিদেশ থেকে আনার সুযোগ স্পষ্টতই অর্থ পাচারকারীদের অনৈতিক সুরক্ষা ও পুরস্কার প্রদান। অথচ অর্থপাচার রোধ আইন ২০১২ এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অর্থপাচার গুরুতর অপরাধ। দেশের আইন অনুযায়ী যার শাস্তি পাচারকৃত অর্থ বাজেয়াপ্ত করা এবং তার দ্বিগুণ জরিমানা ও ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। (পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনার) এই সুযোগ অর্থ পাচার তথা সার্বিকভাবে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে। যা সংবিধান পরিপন্থি এবং প্রধানমন্ত্রীর ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা’ ঘোষণার অবমাননা। অন্যদিকে, যারা বৈধ উপার্জননির্ভর করদাতা তাদের জন্য এই প্রস্তাব প্রকটভাবে বৈষম্যমূলক। কারণ তারা ৭ শতাংশের কমপক্ষে তিনগুণ হারে কর দিয়ে থাকেন। এটি বৈষম্য ও সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থি। অবিলম্বে এ সুযোগ বাতিল করতে হবে এবং অর্থপাচারকারীদের জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য যে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় আইনি প্রক্রিয়া নির্ধারিত রয়েছে তা অনুসরণ করে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।
পাচারকৃত অর্থ বৈধ করার সুযোগ প্রদান বিগত বছরগুলোর মতোই কালো টাকা সাদা করার বেআইনি ও অন্যায় সুযোগের ধারাবাহিকতা মাত্র। যা স্থানিক থেকে বৈশ্বিক করা হলো- এমন মন্তব্য করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এতে বিদেশে অর্জিত অর্থ ও সম্পদ দেশের অর্থনীতির মূলধারায় সংযুক্তির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ ও আয়কর রাজস্ব বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে, বারবার সুযোগ দিয়েও দেশের অর্থনীতিতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যাশিত ফল বয়ে আনেনি, সরকারও আকাঙ্ক্ষিত রাজস্ব পায়নি। তাই নতুন এই বিশেষ বিধানের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে তা না বললেও চলে। কারণ যারা অর্থ পাচার করেছেন তারা এ ধরনের প্রণোদনায় উৎসাহিত হয়ে পাচারকৃত অর্থ ফেরত নিয়ে আসবে, এরকম দিবাস্বপ্নের কোনো ভিত্তি নেই। বিশেষ করে, যেখানে পাচারকৃত দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের দেশের পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি ছাড়া এই অর্থ বা সম্পদ ফিরিয়ে আনা অসম্ভব। বরং এর মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীরাই শুধু স্বস্তি বোধ করবেন, পুলকিত হবেন। অর্থপাচারকে এভাবে লাইসেন্স দেওয়া হলে দেশে দুর্নীতি ও অর্থপাচার আরও বিস্তৃতি ও গভীরতা লাভ করবে। এই আত্মঘাতী পথ থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আমদানি মূল্যস্ফীতির চাপ, ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে রাখা, আমদনি ব্যয় বেড়ে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকার মতো বিদ্যমান অর্থনৈতিক সংকটগুলোকে স্বীকার করলেও এগুলো মোকাবিলায় কার্যকর কৌশল বা পথ নির্দেশিকা দিতে পারেননি। প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকে আরও বড় করার প্রত্যাশা থাকলেও প্রস্তাবিত বাজেটে তার তেমন কোনো নিদর্শন দেখা যায়নি। বরং সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যয়কে বড় করে দেখাতে সরকারি কর্মচারীদের পেনশন, সঞ্চয়পত্রের সুদ, করোনার অভিঘাত উত্তরণে দেওয়া ঋণের সুদ মওকুফকে অন্তর্ভুক্ত করে দেখানো হয়েছে, যেগুলো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অংশই নয়!
এমন বাস্তবতায় উল্লিখিত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় কার্যকর কৌশল নির্ধারণে বাস্তবসম্মত ও নিরপেক্ষ দিক নির্দেশনার জন্য আলোচনা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে সুখ্যাতি সম্পন্ন বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। এর মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেটকে ঢেলে সাজানো উচিত বলে মনে করে সংস্থাটি।
Tuesday ২৮ June ২০২২
Tuesday ২৮ June ২০২২
লক্ষ্মীপুরে দুই মাদক কারবারির ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের পৃথক জরিমানা ও অনাদায়ে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম পৃথক মামলায় এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রহমত উল্যা ও মাহবুব আলম। আদালত রহমত উল্যাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক ছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপরদিকে মাহবুব আলমকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত রহমত উল্যা রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে ও মাহবুব সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন জানান, ২০১৮ সালের ২৩ জুন রামগঞ্জ থানার এসআই পঙ্কজ কুমার সাহা সিএনজি অটোরিকশাযোগে টহল দিচ্ছিলেন। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার উত্তর শ্রীরামপুর গ্রাম থেকে ৭০০ পিস ইয়াবাসহ রহমত উল্যাকে আটক করা হয়। একইদিন এসআই পঙ্কজ কুমার সাহা বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরদিন তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। একই বছর ১৪ আগস্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুহাম্মদ কাওসারুজ্জামান তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তাকে ১৫ বছর কারাদণ্ড দেয়।
অন্যদিকে ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে র্যাব-১১ এর টহল টিম সদর উপজেলার পালেরহাট এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী মাহবুবকে ৮৭ পিস ইয়াবাসহ আটক করে। একইদিন র্যাবের লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার (ডিএডি) মো. মিরাজ উদ্দিন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে মামালা করেন। ৩০ সেপ্টেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলীম আদালতে মাহবুবের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে। ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তাকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন।
Tuesday ২৮ June ২০২২
Tuesday ২৮ June ২০২২
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সরকার হটানোর ‘যুগপৎ আন্দোলন’ করতে ঐকমত্য হয়েছে বিএনপি ও এলডিপি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকেলে মহাখালী ডিওএইচএসে কর্নেল (অব.) অলি আহমেদের বাসায় এলডিপির সঙ্গে সংলাপে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দেড় ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের এই বৈঠকে বর্তমান এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একমত হয়েছি। জনগণের একটি পার্লামেন্ট গঠন করার ব্যাপারে আমরা আন্দোলন করতে একমত হয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার পরে যুগপৎ এই আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকার, যাকে এদেশের জনগণ কেউই দেখতে চায় না- তার পতন ঘটিয়ে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।
বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এই সংলাপ হয়। সংলাপে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
এলডিপির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল আলম, নেয়ামূল বসির, আওরঙ্গজেব বেলাল, সাকলাইন খান ও সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ।
বৈঠকের পর অলি আহমেদ বলেন, বর্তমান যে সরকার আছে তারা দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। দেশের জনগণ এক অস্বস্তিকর পরিবেশে বাস করছে, কারও জীবনের, যান-মালের কোনো নিরাপত্তা নেই, মৌলিক অধিকার নেই, ন্যায় বিচার নেই। একটা মগের মুল্লুকে আমরা বসবাস করছি। এরকম অবস্থা দেশের মানুষের জন্য কাম্য নয়। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, এই ধরনের লুটপাট-অর্থ পাচারের জন্য এদেশ স্বাধীন করি নাই।
তিনি বলেন, আমরা চাই, এই অবস্থার অবসান হোক। আমরা আজকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এই সরকারের পতন ঘটাতে সক্ষম হবো।
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে অনতিবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিও জানান অলি আহমেদ।
গত ২৪ মে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিএনপি সংলাপ শুরু করে। প্রথম দফায় মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য, জোনায়েদ সাকির গনসংহতি আন্দোলন, সাইফুল হকের বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এছাড়া ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ন্যাপ-ভাসানী ও মুসলিম লীগের সঙ্গেও সংলাপ শেষ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।
Tuesday ২৮ June ২০২২
Tuesday ২৮ June ২০২২
এক শতকেরও বেশি সময় পর রাশিয়া প্রথমবারের মতো ঋণ খেলাপি হলো। রোববার (২৬জুন) দেশটি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয় বলে জানা গেছে। রাশিয়ান অর্থমন্ত্রী এই পরিস্থিতিকে ‘একটি প্রহসন; হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
রাশিয়ার কাছে একশ মিলিয়ন ডলার অর্থপ্রদান করার অর্থ রয়েছে এবং তা দিতে ইচ্ছুক, কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিকভাবে লেনদেন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ক্রেমলিন ঋণ খেলাপি এড়াতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল কিন্তু তা ঠেকাতে পারেনি। এটি রাশিয়ার মর্যাদার ওপর একটি বড় আঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।
২৭ মে, ১০ কোটি সুদের অর্থ প্রদানের কথা ছিল দেশটির। রাশিয়া বলছে যে অর্থ ইউরোতে পাঠানো হয়েছিল ইউরোক্লিয়ারের একটি ব্যাংকে, যা বিনিয়োগকারীদের প্রদান করবে। কিন্তু সেটি সেখানে আটকে গেছে। সময়মতো সেটি পাননি পাওনাদাররা।
এদিকে, ইউরোতে অর্থপ্রদান করা রাশিয়ান বন্ডের কিছু তাইওয়ানিজ হোল্ডার সুদের পেমেন্ট পাননি বলে জানা গেছে। অর্থ নির্ধারিত তারিখের ৩০ দিনের মধ্যে পৌঁছায়নি। সেটির সময় শেষ হয় রোববার সন্ধ্যায়। ফলে এটি ঋণ খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হয়।
ইউরোক্লিয়ার পেমেন্ট ব্লক করা হয়েছে কি না তা তারা বলবে না, তবে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে যে এটি সমস্ত নিষেধাজ্ঞা মেনে চলে।
এর আগে ১৯১৮ সালে বৈদেশিক ঋণ খেলাপি হয় রাশিয়া। বলশেভিক বিপ্লবের সময় নতুন কমিউনিস্ট নেতা ভ্লাদিমির লেলিন রাশিয়ার ঋণ পরিশোধ করতে অস্বীকার করেছিলেন সে সময়।
যে কোনো ধরনের ঋণ পরিশোধে রাশিয়া সর্বশেষ খেলাপি হয় ১৯৯৮ সালে। বরিস ইয়েলৎসিনের পতনের সময় রুবলের সংকট দেখা দিলে অভ্যন্তরীণ বন্ডগুলোতে অর্থ প্রদান রাখতে ব্যর্থ হয়েছিল মস্কো। তবে বিদেশি ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়নি।
ইউক্রেন আগ্রাসনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে আন্তর্জাতিক লেনদেন নিয়ে বিপাকে পড়ে রাশিয়া। রাশিয়ার সরকার বলছে যে তারা সমস্ত অর্থপ্রদান সময়মতো করতে চায়, এবং এখন পর্যন্ত এটি সফল হয়েছে।
বিশ্বের প্রধান আন্তর্জাতিক লেনদেন পরিষেবা সুইফট থেকেও রাশিয়ার বড় ব্যাংকগুলোকে বাদ দেওয়া হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। ফলে রাশিয়ার রপ্তানি বাণিজ্যও মারাত্মকভাবে বাঁধাগ্রস্ত হয়।
রাশিয়ার কাছে ১৫টি আন্তর্জাতিক বন্ড রয়েছে যেগুলোর মূল্যে দেনার পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। যার অর্ধেকই আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দেনা হিসেবে আছে। এরকমই একটি বন্ডের কিস্তি বাবদ ১০ কোটি ডলার পরিশোধ করার কথা ছিল মস্কোর।
সূত্র: বিবিসি, ব্লুমবার্গ
Tuesday ২৮ June ২০২২
Tuesday ২৮ June ২০২২