নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আয়োজক হবে বাংলাদেশ। আইসিসির সর্বশেষ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ২০২৪ সালের নারী বিশ্বকাপ হবে বাংলাদেশে। নারী বিশ্বকাপের আয়োজক হতে পারা বাংলাদেশের জন্য গর্বের। ক্রিকেট অনুরাগীরা পুলকিত।
অনেকেই অপেক্ষার প্রহর গুনছেন, কবে আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বিসিবি বিগ বস নাজমুল হাসান পাপনও খুশি। তিনিও উদ্বেলিত। তবে বিসিবি সভাপতি পাশাপাশি সতর্ক ও সাবধানি । তার মনে হয় ঐ আয়োজক হওয়াটাই শুধুই আনন্দের নয়। পাশাপাশি চ্যালেঞ্জিংও।
যে সভায় বাংলাদেশের পরবর্তী নারী বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাতে অংশ নিয়ে দেশে ফিরে বিসিবি সভাপতি জানিয়ে দিলেন, ‘বাংলাদেশ চূড়ান্ত হয়েছে। তো এটা আমাদের জন্য আরেকটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ আমাদের মেয়েরা নিজেরা নিজেরাই ভালো করছে। আসলে আমরাতো তাদেরকে তেমন কিছু করতে পারিনি।’
পাপন যোগ করেন, আইসিসি যেচেই বাংলাদেশকে নারী বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে নির্ধারণ করেছে। তার ব্যাখ্যা, ‘আইসিসি সভায় অনেকগুলো ইস্যু ছিল খেলাগুলো যে ভাগ হবে। একটা বাকি ছিল, অন্যগুলো আমরা জানতাম। নারী বিশ্বকাপ। সেখানে তারা নিজে থেকেই বাংলাদেশের নাম জানায়, এমন না যে আমাদের বলতে হয়েছে।
নারী ক্রিকেটারদের জন্য আগামীতে সম্ভাব্য সব কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাপন বলেন, ‘একটা সময় তাদেরকে বাইরে থেকে কোচ টোচ দিয়েছিলাম। এশিয়া কাপে যেবার চ্যাম্পিয়ন হলো সেবার কিন্তু পুরো কোচিং স্টাফ ছিল। তবে এখন কোচিং স্টাফও নেই। আমাদের এখনই ফিজিও, কোচ, ট্রেনার যা যা লাগবে আমরা ব্যবস্থা করবো।’
নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আয়োজক হওয়ার খবর পেয়ে পুলকিত বিসিবি প্রধান সালমা, রুমানাসহ নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তা জানিয়ে আজ রোববার বিকেলে তিনি বলেন, ‘আমি বার্মিংহাম থেকেই ফোন করি। ওমেন্স উইংয়ের তৌহিদকে ফোন করি, সালমা ও রুমানাসহ কয়েকজনের সাথে কথা হয়।’
বিসিবি সভাপতি নারী ক্রিকেটারদের কাছে জানতে চান, তাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে কি কি প্রয়োজন? ‘আমি কয়েকজনকে ফোন করি যে কি কি লাগবে, আমি আসছি রেডি কর। আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই। এটা একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। বিশ্বকাপে যে দলগুলো খেলবে, তাদের মধ্যে কয়েকটা দল খুবই শক্তিশালী, চিন্তার বাইরে। উদাহরণ হিসেবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া অবিশ্বাস্য। অন্য যারা আছে তারাও খুব ভালো লড়াই করছে। এদিকে ভারত পাকিস্তান তো শক্তিশালী আছেই । ধারাবাহিক খেলার মধ্যেও আছে।’
নিজ দলের নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে পাপনের শেষ কথা, ‘আমাদের মেয়েদের পরিকল্পনা নিয়ে বসতে হবে। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ হচ্ছে আমাদের মেয়েরা যেন ভালো ফাইট দিতে পারে। হার জিত নিয়ে আমি চিন্তিত না, যেন ভালো একটা ফাইট দিতে পারে সেটা আমাদের দেখতে হবে।’
এদিকে বিসিবি সভাপতি চান পূর্বাচল স্টেডিয়ামে খেলা আয়োজনের জন্য। তার একান্ত ইচ্ছে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামে নারী বিশ্বকাপের ম্যাচ অনুষ্ঠানের। তবে তার ধারনা ঐ সময়ের মধ্যে পূর্বাচল স্টেডিয়াম এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে না।
তারপরও মুখে এমন কথা, ‘যদিও সেটা হবে না। হবে না আমি জানি। তারপরেও আমি বলছি চেষ্টা করবো। স্টেডিয়াম যেটা আছে পূর্বাচলে ওটার কাজ যদি শেষ করতে পারি। যেহেতু আমাদের সবকিছুই শেষ, এখন শুধু নাম ঘোষণার বাকি। এরপর তারা যত তাড়াতাড়ি করতে পারবে তাহলে ভালো হয়, ওটার মধ্যে যদি আমরা ফাইনালটা আয়োজন করতে পারি, তাহলে খুব ভালো হয়। সুতরাং এই টার্গেটটা নিয়েই নামবো, না হলে বিকল্প তো আছেই।’