Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ইউপি সদস্য সহ চারজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় সাবেক মেম্বার সেলিম গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২০৩জন দেখেছেন

Image

শরীফ আহমেদঃ 

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ইউপি মেম্বার সহ চারজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগে ভূমিদস্যু তেঘরিয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার সেলিম কে রাজধানীর কলতাবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৫জুন) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার মামলায় পলাতক আসামি সেলিম মেম্বার পুলিশের হাতে আটক হন।


 ঘটনার বিবরণে জানা গেছে গত রবিবার (২৮ মে) ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন বেয়ারা বাজার খানকা শরীফের সামনে অবৈধভাবে জমি দখলে বাধা দেওয়ায় সাবেক ইউপি মেম্বার সেলিম ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সহ চারজনকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর মেম্বার ।


 

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন বেয়ারা বাজার খানকা শরীফের সামনে একটি সরকারী খাস জমি নিয়ে সাবেক মেম্বার সেলিম গংয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন উক্ত জমিতে রাতের আঁধারে সাবেক মেম্বার সেলিমের লোকজন স্থায়ীভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করতে থাকে। খবর পেয়ে ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান জনপ্রতিনিধি ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর জমিতে গিয়ে বিবাদীদের বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সেলিম মেম্বারের লোকজন জাহাঙ্গীর মেম্বারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর জমির পাশে জাহাঙ্গীর মেম্বারের অফিসে বসে এলাকার লোকজনের সাথে আলোচনার এক পর্যায়ে রামদা, ছুরি, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেলিম মেম্বারের নেতৃত্বে হামলা চালায় সন্ত্রাসী বাহিনী।


 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে মূলত সেলিম ব্যাপারীর ছোট ভাই নাদিম বেপারী ও সেলিম বেপারী দুজনেই এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি। সেলিম মেম্বারের আশ্রয় প্রশ্রয়েই নাদিম উক্ত অঞ্চলে মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। জাহাঙ্গীর মেম্বার তাদের মাদক ব্যবসায় প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এতে তারা জাহাঙ্গীর মেম্বার এর উপর দীর্ঘদিন ধরে ক্ষিপ্ত ছিল বলে জানা গেছে।


 


হামলায় জাহাঙ্গীর মেম্বার সহ তার ভাগিনা সাজ্জাদ হোসেন (২১), সাহাদাত হোসেন (২৪), আবু সাঈদ (৪৪) গুরুতর আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে ভাগিনা সাজ্জাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


 


তাদেরকে জখম করে সেলিম মেম্বার, মামুন আলীর ছেলে রাজা, রাকিবের ছেলে সোহেল, মৃত কালো মিয়ার ছেলে জাহের, ইউনুস মিয়ার ছেলে ইসহাক নবী, সালাউদ্দিন বেপারীর ছেলে মৃদল বেপারী ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।এই ঘটনায় মামলার পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন সাবেক ইউপি মেম্বার সেলিম।


 

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এস.আই সজিব চন্দ্র সরকার বলেন, ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রধান আসামি সেলিম মেম্বারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ সম্ভাব্য সকল স্থানে অভিযান চালাবে। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:কুষ্টিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, অপরাধী এবং আসামীদের পাল্টা মিথ্যা মামলা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অব্যাহতি প্রদানের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০এপ্রিল) বেলা ৩ টার সময় কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার সামনে কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুস্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সহসভাপতি আল আসাদ রেমন, সাধারন সম্পাদক শেখ শুভিন আক্তার, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক খন্দকার মাহাবুব হোসেন মিলন, সাংগাঠনিক সম্পাদক এসএম তৌফিকুল কবির তুহিন, অর্থ সম্পাদক তৌফিক আহম্মেদ শাওন , প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোছাঃ ফাতেমা খাতুন, সদস্য হাবিবা, নীম, নজরুল ও আরিফ প্রমুখ। এ সময় সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কুষ্টিয়া জেলা শাখার  প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কুষ্টিয়া সদরের বটতৈল আনসার ক্যাম্প মোড় এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুর রহমানের (পুলিশ) মেয়ে মোছাঃ ফাতেমা খাতুনের বাড়ীর সামনে তার মেসার্স ফাহিম ট্রেডার্স নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানে গত ৮ এপ্রিল বেলা সাড়ে এগারটার সময় হামলা চালিয়ে লুটপাট করে এলাকার চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারী। এদিন থানায় অভিযোগ দিলেও তা নিতে বিলম্ব করেন কুষ্টিয়া সদর মডেল থানা পুলিশ। মামলা নং-১৮ , তাং-১১/০৪/২০২৪ইং । এরই মধ্যে উল্টো হামলাকারীদের অভিযোগ এজাহার নিয়ে পুলিশ তার হীন মানুষিকতার পরিচয় দেন । নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে লুটপাট ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং অপরাধী ও আসামীদের পাল্টা মিথ্যা মামলা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অব্যাহতি প্রদানে পুলিশের প্রতি আহবান জানান। নতুবা আগামীতে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ আরো বড় ধরনের কর্মসূচি গ্রহন করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন।

আরও খবর



মাগুরায় ৪৬৪ টি ঈদগাহ প্রস্তুত প্রধান ঈদের জামাত সকাল ৮ টায় নোমানী ময়দানে

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮ টায় শহরের ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুলসহ শহরের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এখানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন। জামাত পরিচালনা করবেন মাগুরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান। মাগুরা পিটিআই জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত জামাতে নামাজ আদায় করবেন মাগুরা ১ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য এড, সাইফুজ্জামান শিখর। এছাড়া মাগুরা মডেল মসজিদে, পৌর গোরস্থান মসজিদ, জজকোর্ট মসজিদ, মাগুরা পুলিশ লাইনস প্যারেড গ্রাউন্ডে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মাগুরার পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজা,  পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্য এবং এলাকাবাসী এ জামাতে নামাজ আদায় করবেন। এছাড়া জেলা জজ কোর্ট মসজিদ,সরকারি কলেজ জামে মসজিদ, পারনান্দুয়ালী ব্যাপারী পাড়া জামে মসজিদ, পারনান্দুয়ালী গোরস্থান ঈদগাহ ময়দান, মুন্সীপাড়া ঈদগাহ ময়দানসহ জেলার শ্রীপুর, মহম্মদপুর, শালিখা উপজেলাসহ সর্বত্র  ঈদের জামাত অনু্ষ্ঠিত হবে। জেলায় মোট ৪৬৪ ঈদগাহ ময়দান প্রস্তিত করা হয়েছে। এর মধ্যে মাগুরারা সদর উপজেলায় ২২৮ টি, শ্রীপুর উপজেলায় ৮২ টি, মহম্মদপুর উপজেলায় ১১২ টি এবং শালিখা উপজেলায় ৪২ টি ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। এদিকে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে জেলার ৭৩০ টি গ্রামের প্রায় ২৩০০ টি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন এলাকাবাসী। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কলিমুল্লাহ জানান, জেলার সর্বত্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য  মাগুরা জেলা পুলিশেরর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।


আরও খবর



চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ মীরপুর শাহআলী ও দারুসছালামবাসী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৫০জন দেখেছেন

Image

ডেক্স রিপোর্টঃচাঁদাবাজদের অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা মিরপুর-১, দারুসসালাম থানা এলাকার কাঁচাবাজারে আড়ৎসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে রাস্তার পাশে ফুটপাথে বসা ব্যবসায়ী যেন ভোগান্তির শেষ নেই। বাদ পড়ছেন না বিভিন্ন মার্কেটে পজিশন নিয়ে বসা ব্যবসায়ীরাও। এমনকি টেম্পু স্ট্যান্ডগুলো চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না মালিক ও চালকরা । এইসব নিয়ন্ত্রণ করছেন মোহাম্মদ খাইরুল, মোহাম্মদ রতন ও মোহাম্মদ জনি । তারা যুবলীগের নেতা বলে জানা গেছে।


এই তিন চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট মিলে প্রতিদিন ওইসব এলাকা থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা উঠায় এবং মাসে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা উঠায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এইসব চাঁদার টাকা উঠানোর জন্য ওই তিন সিন্ডিকেট ১০ থেকে ১৫ জনকে নিয়োগ করেন। নিয়োগকৃত সদস্যরা প্রতিদিন এক লাখ টাকা চাঁদা উঠায়ে তিন সিন্ডিকেটের প্রধান রতনের কাছে টাকাগুলো জমা দেন বলে তাদের নিয়োজিত একজন সদস্য জানায় । এভাবে তাদের চাঁদাবাজি চলতে থাকে মাসের পর মাস বছরে পর বছর । তারা এমপি ও স্থানীয় প্রভাবশালী সরকারদলীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এইসব চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে তারা এইসব অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীদের মাধ্যমে।


মিরপুর বেড়িবাঁধের কাঁচামালের আড়ৎদের ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন এখানে প্রায় ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ আড়ৎদার রয়েছেন । ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সাবধানে নেন এমনকি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এখানে মাল ক্রয় করতে আসলে তাদের কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করে থাকেন। ওই চাঁদাবাদ সন্ত্রাসীদের নিয়োজিত সদস্যরা প্রতিটি রিকশা ভ্যান থেকে ও পিকআপ ভ্যান থেকে এমন কি ট্রাক থেকে ৩০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করেন। সাদা টাকা না দিলে ওই ব্যবসায়ীদের উপরে অমানবিক নির্যাতন শুরু করে চাঁদাবাজ সদস্যরা। তখন ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এইসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না ।


ওইসব চাঁদাবাজদের চাঁদা দিতে গিয়ে দ্রব্যমূল্য জিনিসের দাম বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করেন, দীর্ঘকাল ধরে এলাকার নেতা ও তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাস্তানদের চাঁদা এবং পুলিশকে ঘুষ দিয়েই কাঁচামালের আড়ৎদের, ফুটপাথে ব্যবসা ও টেম্পু স্ট্যান্ড গুলো ব্যবসা করতে হচ্ছে এছাড়া আমাদের কোন প্রকার উপায় নেই। নাইমেন তৈয়ব আলী জানান, চাঁদাবাজ খাইরুল, রতন ও জনি তার কাছ থেকে প্রতিমাসে ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না হলে তাকে লাইন চালাইতে দিবে না। এমনকি তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করেন ওই চাঁদাবাজরা। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে বিভিন্ন ধরনের অমানবিক নির্যাতন শুরু করে চাঁদাবাজদের সদস্যরা তাই ব্যবসায়ীরা নিরুপায় হয়ে তাদেরকে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।


যেখানে চাঁদাবাজদের সঙ্গে প্রশাসন লোকজন জড়িত রয়েছে। তাই প্রশাসনের কাছ থেকে বিচার দিয়ে কি আর লাভ হবে। ব্যবসায়ী আবুল বাশার জানান খাইরুল, রতন ও জনি তারা কিশোর গ্যাংয়ের লিডার এবং তাদের মাধ্যমে মিরপুর বিভিন্ন এলাকায় কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে তাদের মাধ্যমে তারা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। টেম্পু চালক আতিফুর রহমান জানান ওইসব চাঁদাবাজদের অত্যাচারে টেম্পু স্ট্যান্ডে যাত্রী রাও আসতে ভয় পায়। প্রতিদিনই চাঁদাবাজ সদস্যদের সাথে আমাদের কথা কাটাকাটি হয় এমনকি আমাদেরকে মারধর করে।


ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কাউসার মিয়া জানান চাঁদাবাজরা যেসব চাঁদা টাকা উঠায় সেগুলো আবার মিরপুর ১ নাম্বার প্রিন্স বাজার মার্কেটের দ্বিতীয় ও সপ্তম তলা বসে তারা ভাগাভাগি করে নেয় । তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে গেলে উল্টো তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে থাকেন। এইসব অবকর্মীর দেখার কেউ নেই? ওইসব চাঁদাবাজরা এমপি ও স্থানীয় সরকার দলীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি সহ অন্যান্য অপকর্ম করে যাচ্ছে কিন্তু নেতারা জানার পরেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন। এর শেষ কোথায় কবে জানব।


এইসব ব্যাপারে খাইরুল, রতন ও জনি কে কাছে জানতে চাইলে তারা এসব ঘটনার অস্বীকার করেন তারা এইসব ঘটনায় কিছুই জানেন না। আবার
সম্প্রতি কিছু উঠতি মাস্তানদের দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এসব মাস্তান ২৫-৩০ জন কিশোরকে দলে ভিড়িয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করছে। এরপর সংশ্লিষ্ট থানার কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে হাত করে জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। সম্প্রতি মিরপুর-১ ও দারুসসালাম এলাকায় হকার মোহাম্মদ খলিল ও আলামিন নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে এমনই একটি গ্রুপ।


যারা ওই এলাকার প্রতিটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দিনহারে চাঁদা আদায় করছে। তাদের টাকা দিতে না চাইলে শুরু হচ্ছে হামলা ও নির্যাতন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে দ্বিমুখী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। পুলিশ অভিযোগ শুনলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আর এই সুযোগে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে নির্যাতন চালাতে শুরু করে। শাহ আলী এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হোসেনের দোকানে হামলা চালায় তাদের বাহিনীর সদস্যরা। এই ঘটনায় তিনি শাহআলী থানায় একটি জিডি করেন। তিনি বলেন, রাস্তার পাশে ব্যবসা করতে গেলে কয়েকটি ধাপে চাঁদা ও ঘুষ দিয়েই ব্যবসা করতে হয়। এটা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।


কিন্তু যখন এর বাইরেও চাঁদা দিতে হয় তখন ব্যবসায়ীদের পুঁজি ভেঙে খাওয়া ছাড়া কোনো পথ থাকে না।তিনি বলেন, ফুটপাথে খুবই কম লাভে পণ্য বিক্রি করতে হয়। এখন প্রচুর দোকান থাকায় খুব বেশি লাভও হয় না। তার মধ্যে থানা, পুলিশ, লাইনম্যান, ঝাড়–দার, সোর্স এবং এলাকার বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের আলাদা আলাদা করে টাকা দিতে হয়। কেউ দিন হিসাবে আবার কেউ সপ্তাহ হিসাবে এসব টাকা নিয়ে থাকে। তার মধ্যে এখন যুক্ত হয়েছে খলিল ও আলামিন বাহিনীর সদস্যরা। কিছু কিশোর ও উঠতি বয়সী যুবকদের সাথে নিয়ে প্রতিটি দোকানে চাঁদা দাবি করছে। না দিলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হচ্ছে।


কামাল হোসেন নামে অপর একজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, এই দলে সাইদুল, হাসান, সিরাজ, বড় সুমন, মোল্লা ,বাবুসহ ২০-২৫ জন সদস্য রয়েছে। এরা প্রত্যেকে এলাকা ভাগ করে চাঁদা আদায় করছে। কেউ দিতে না চাইলে এরা সবাই একসাথে গিয়ে হামলা চালাচ্ছে। চাঁদা না দেয়ায় তার দোকানে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে।এই ঘটনায় তিনি দারুসসালাম থানায় একটি জিডি করেন। তিনি আরো বলেন, এদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয় না। ফলে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে যায়। তিনি বলেন, ফুটপাথে সামান্য লাভে পণ্য বিক্রি করে সংসার চালাতে হয়।


কিন্তু সেই সামান্য লাভের টাকা থেকে যদিও এভাবে বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে ভাগ দিতে হয় তাহলে আর কিছুই থাকে না। এখন দেখা যাচ্ছে পুঁজি থেকেই চাঁদার টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।তারা আরো অভিযোগ করে বলেন মুক্ত বাংলা মার্কেটে সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুম্মান মিরপুর বিভাগের পুলিশের ডিসি মো. জসিম উদ্দিনের নামে খলিল ও আলামিন মাধ্যমে চাঁদা উঠায় হকারদের কাছ থেকে। প্রতিদিন তারা্ এই ভাবে পুলিশের নামে হকারদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা উঠাচ্ছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



জলঢাকায় গুণীজনদের নিয়ে 'বন্ধন' এর আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image
জলঢাকা,নিলফামারী, প্রতিনিধি:নীলফামারীর জলঢাকায় মানবতার সেবায় সামাজিক সংগঠন "বন্ধন" এর  উদ্যোগে গুণীজনকে নিয়ে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার জলঢাকা সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে "বন্ধন"র এই আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জলঢাকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সেকশন কমান্ডার ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল গফফার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, থানা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রহিম।এতে সভাপতিত্ব করেন "বন্ধন" এর সভাপতি শাহজাহান কবির লেলিন।

মানবতার সেবায় নিয়োজিত সামাজিক সংগঠন "বন্ধন" এর সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী হাসান এর সঞ্চালনায়  অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,তাক্বওয়া চ্যারিটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কৈমারী সভাপতি শায়েখ আব্দুর রহমান,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, ৩ নং বালাগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মেদ হোসেন ভেন্ডার, প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান, বিশিষ্ট ঠিকাদার ও সমাজসেবক গোলাম মোস্তফা সোহাগ, পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আনিছুর রহমান যাদু, "বন্ধন" এর সাধারণ সম্পাদক  সাংবাদিক আবেদ আলী, সিনিয়র সাংবাদিক মাহাদী হাসান মানিকআজম বাদশা সাবু, এরশাদ আলম ও মশিয়ার রহমান প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, বন্ধন একটি সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন।এর লক্ষ উদ্দেশ্য সরকারের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্রমুক্ত ও পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী এবং অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো সহ সমাজের ভাল কাজ গুলোতে অংশগ্রহণ করা।কাজের মাধ্যমে "বন্ধন" এগিয়ে যাবে, এটাই সবার প্রত্যাশা। 

আরও খবর



সভাপতি ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃঅর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো: ফেরদৌস আলমকে সভাপতি এবং 

পুলিশের (পিবিআই) অতিরিক্ত ডিআইজি জাহাঙ্গীর আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে কলাপাড়া উপজেলা সমিতি ঢাকার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ২০২৪-২০২৬ সালের জন্য ৫১ সদস্যের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়েছে।

৩০ মার্চ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে সমিতির প্রধান পৃষ্টপোষক পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং

 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী 

মোঃ মহিববুর রহমান এ কমিটি ঘোষনা করেন এবং প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌহীদুর রহমান সিআইপি সহ এ কমিটি অনুমোদন করেন।


কমিটির অন্যরা হলেন:সহ-সভাপতিঃ

গাজী মো. মনিরুল ইসলাম, মো. আবুল কালাম আজাদ, শাহ মো.আলমগীর, আসাদুজ্জামান সোহেল, গাজী মিজানুর রহমান,

মো. আব্দুর রব, 

মো. রেজাউল করিম বাবলা, 

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকঃ


গনেশ চন্দ্র হাওলাদার,

 মো. শহীদুল ইসলাম খান, মো. শহীদুল ইসলাম,

 মো. নুরুজ্জামান, 

এ কে এম শাহাবুদ্দিন শাহীন,


 অর্থ সম্পাদকঃ

 মো. ছিদ্দিকুর রহমান, 

সহ অর্থ সম্পাদক 

মো. আমিনুর রহমান রুবেল,  


দপ্তর সম্পাদকঃ 

ইঞ্জি. সাইফুল্লাহ আল মামুন, 

মো. মেহেদী হাসান, 

তরিকুল ইসলাম, 


শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদকঃ

সাইফুল ইসলাম শাহীন, 


মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকাঃ


নীলিমা বিশ্বাস, 

নিগার সুলতানা লাইজু, মুক্তা ব্যাপারী,

 

সমাজকল্যাণ সম্পাদকঃ হাবীবুর রহমান বাবুল,


প্রচার সম্পাদকঃ

বদরুল আলম নাবিল, 

সহ প্রচার সম্পাদক

মো. মহিবুল্লাহ মুহিব, 


আইন ও মানবাধিকার সম্পাদকঃ

 মো. এরশাদুল কায়সার,


সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ

 মো. জাহিদ ইসলাম, 


যুব ও ক্রীড়া সম্পাদকঃ

 মো. কামরুজ্জামান, 


স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদকঃ গাজী মোহাম্মদ নাঈম,


 তথ্যপ্রযুক্তি ও গবেষনা সম্পাদকঃ

এস, এম, মাকসুদুল ইসলাম,


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ 

মো. অহিদুল ইসলাম, 


ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকঃ

 মো. হেলালুর রহমান,


সাংগঠনিক সম্পাদকঃ


নূরে আলম আজাদ, 

মো. আল আমিন, 

মো. মনিরুজ্জামান (মারুফ),

মো. হান্নান হোসেন তালুকদার,


নির্বাহী সদস্যঃ


এ্যাডভোকেট আবুল কালাম, 

রাফসান মাহমুদ কাজল, মোসাঃ আফিফা বেগম লাইলী,

 মেহেদী হাসান রুম্মান, 

মো. রোকনুজ্জামান পান্নু, জাকির হোসেন (মোল্লা), জোবায়ের শাকিল, 

মো. কামাল হোসেন, জাকির হোসেন, 

করিম আকন, 

গোলাম মোস্তফা মিরাজ, মো. মনিরুল ইসলাম (ব্যাংকার), 

মো. মনিরুল ইসলাম (শিক্ষক) এবং

 তৌসিফুর রহমান নিপুন।


অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী কুয়াকাটায় আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর করার বিষয়ে সরকার বিবেচনা করছে বলে জানান এবং কলাপাড়াকে জেলা করার বিষয়ে তার পরিকল্পনার কথা জানান, সমিতির সকল সদস্যকে এব্যাপরে তার পরিকল্পনামতো কাজ করার আহ্বান জানান। সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌহীদুর রহমান সিআইপি তার বক্তব্যে কলাপাড়ার যে কোনো উন্নয়নে গত ত্রিশ বছরের ন্যায় ভবিষ্যতেও সব সময় সহায়তা করার কথা বলেন এবং সমিতির স্থায়ী অফিস করার জন্য পনের লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষনা করেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পিএসসির আইন উপদেষ্টা সিনিয়র জেলা জজ খাদেমুল কায়েস, সিনিয়র জেলা জজ মঞ্জুরুল হোসাইন, আইনজীবি ও ঢাকা জজ কোর্টের অতিরিক্ত প্রসিকিউটর বিমল সমাদ্দার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকার্তা মিজানুর রহমান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর খন্দকার আবুল কালাম প্রমুখ। এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় ঢাকাস্থ পটুয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। দোয়া মাহফিল ও ইফতারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।


আরও খবর