Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

দিল্লির তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রিতে, রেড অ্যালার্ট

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৮৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:দিল্লির তাপমাত্রা টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কমল। এবার দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর শীত ও কুয়াশা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দিল্লিতে জারি করেছে রেড অ্যালার্ট।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এর আগে দিল্লির তাপমাত্রা নেমেছিল ৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দিল্লিতে সামনের দিনগুলোতে শীত আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। কুয়াশার কারণে দিল্লির ট্রেন চলাচলও বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক ট্রেন এক থেকে ছয় ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে।

দিল্লি ছাড়াও পাঞ্জাব, হরিয়ানায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চণ্ডিগড়ে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। এদিকে রাজস্থানেও তীব্র কুয়াশা পড়ছে।


আরও খবর



মেহেরপুরের বাজারে অপরিপক্ক লিচু বিক্রি হচ্ছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে রসালো ফল লিচু। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঝরে পড়ায় পরিপক্ক হবার আগেই বাগান থেকে লিচু সংগ্রহ করছেন চাষিরা। ফলে লিচুর আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভোক্তারা। অপরিপক্ক লিচু না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকগন। অপরদিকে লিচুর গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য আরও কয়েকদিন পর লিচু সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ৮০০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। শুরুতে ৬০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছিল। এ সব বাগানে, আটি লিচু, মোজাফ্ফর বোম্বাই, চিলি বোম্বাই, আতা বোম্বাই ও চায়না-থ্রি জাতের লিচু উৎপাদন হয়ে থাকে।

লাভজনক হওয়ায় এ জেলায় লিচুর আবাদ বাড়ছে। এখানকার লিচু রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।

চলতি মৌসুমে একটু দেরী করেই গাছে মুকুল এসেছিল তাও অনেক কম। উপরন্ত প্রচন্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে গাছ থেকে ঝরে গেছে অনেক লিচু। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। কৃষকরা বলছেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণেই পরিপক্ক হবার আগেই গাছ থেকে লিচু পেড়ে ফেলতে হচ্ছে। কারণ গাছ থেকে লিচু ঝরে পড়ছে। গাছে লিচু ফেটে যাচ্ছে। কাক্সিক্ষত দাম না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। উৎপাদন খরচ তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। 

তবে লিচুর আবাদে চাষিরা লোকসান গুনলেও লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পরিপক্ক হবার আগেই লিচু বাজারে আসায় লিচুর স্বাদও কমছে বলে জানান ভোক্তারা। বাজারে লিচু কিনতে আসা আজমাইন হোসেন জানান, বাজারে নতুন ফল এসেছে। তাই বাড়ির ছেলে মেয়েদের জন্য কিনেছেন। যদিও একটু স্বাদ কম। আরো কিছুদিন গাছে থাকলে লিচু পুষ্ট হতো স্বাদও পাওয়া যেতো। 

লিচু চাষি শওকত আলী জানান, তার বাগানে শতাধিক লিচু গাছ থাকলেও ফল এসেছে অর্ধেক গাছে। আবার গত বছরের তুলনায় সেই গাছ গুলোতে লিচু দাঁড়িয়েছে কম। আর রোদ্রের তাপে গাছ থেকে লিচু একাই ঝরে পড়ছে। গাছে গোড়াই পানি দিয়েও তেমন একটা ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যেগুলো গাছে আছে, তা আবার আকারে ছোট। যার কারণে এবারে বাগানে যা লিচু পাওয়া যাবে তা তিন ভাগের এক ভাগ।

ক্রেতা সেলিম রেজা জানান, বাজারে প্রকারভেদে লিচুর দাম এবার একটু চড়া। প্রতি ১০০ লিচুর দাম হাঁকা হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত, প্রতি পিস হিসেবে যার দাম আসছে দুই টাকা পঞ্চাশ পয়সা থেকে তিন টাকা পর্যন্ত। এ বছর লিচুর দাম একটু বেশি হলেও মৌসুমি ফল হিসেবে ক্রেতারা এ লিচু কিনছেন বেশি দামে। এক পন (৮০) টি লিচু কিনলাম ১৯০ টাকায়। আরও বেশি নেয়ার ইচ্ছে ছিল তবে টক ও তুলনামূলক আঠির আকার বড়, রয়েছে পোকার আক্রমণও তাই বেশি কেনা হয়নি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এম কে রেজা জানান,হাইপোগ্লাইসিন এ সাধারণত কাঁচা বা আধা পাকা অর্থাৎ পাকা নয়, এমন লিচুতে পাওয়া যায়। এটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড, যা মারাত্মক বমি বমি ভাব সৃষ্টি করে। অন্যদিকে মিথাইলিন-সাইক্লো-প্রোপাইল-গ্লাইসিন উপাদানটি গ্রহণের ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত কমে যায়। এর কারণে বমি, অচেতন এবং দুর্বল হয়ে পড়ে রোগী। কাঁচা বা আধা পাকা লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ। এ বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সচেতনতাও বাড়াতে হবে।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, লিচুর গুণগত মান ধরে রাখার জন্য আরও কয়েকদিন পর লিচু বাজারজাত করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের। শিলাবৃষ্টি এবং ঝড় ছাড়া বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তা লিচুর জন্য উপযোগী। অপরিপক্ক লিচু খেলে ভোক্তরা লিচুর পুষ্টিমান পাবে না। লিচুর স্বাদ থেকেও বঞ্চিত হবে। এমনকি লিচুর যে ওজন হওয়ার কথা তাও হবে না।


আরও খবর



গাংনীতে আইসক্রীম কারখানায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃঅনুমোদনহীন আইসক্রীম কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়  করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর। আজ বুধবার দুপুরের মেহেরপুরের গাংনীর হাড়াভাঙ্গা গ্রামের আইকন বেভারেজ নামের এই কারখানায় অভিযান পরিচালিত হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর মেহেরপুর কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সজল আহম্মেদ জানিয়েছেন, আইকন বেভারেজ নামের একটি আইচক্রীম কারখানার কোন অনুমোদন নেই। বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ও ফ্লেভার দিয়ে আইসক্রীম তৈরী করা হচ্ছিল।

অনুমোদন না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়  করা হয়েছে। সেই সাথে জব্দ করা হয়েছে আইচক্রীমে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ও ফ্লেভার।


আরও খবর



যশোরে হিট স্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরে হিট স্ট্রোকে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত আহসান হাবিব যশোর আমদাবাদ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক। আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টার  দিকে স্কুলে যাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার হাবিবুর রহমান শিক্ষক আহসান হাবিবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আমদাবাদ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের এ জেড এম পারভেজ মাসুদ জানান, শিক্ষক আহসান হারিব সকালে মাঠে কাজ করে ৯টার দিকে স্কুলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ নিয়ে যশোরে হিট স্ট্রোকে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এর আগে যশোর সদর ও মনিরামপুরে হিট স্ট্রোকে একজন করে মারা যান।

আজ রবিবার যশোরের সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ ডিগ্রি এবং দুপুর দেঢ় টায় এই তাপমাত্রার পারদ দাঁড়ায় ৪২.৫ ডিগ্রিতে। অব্যাহত তাপপ্রবাহে তীব্র  গরমে যশোরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।


আরও খবর



‌জাতির পিতা বেঁচে থাকলে দেশ আরও উন্নত হতো: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ আরও বহু আগেই  উন্নত হতো জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, যারা অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সব সময় বলতেন- আমরা কারো কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই।

সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



নিটারিয়ানদের ভাবনায় ঈদ-আনন্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন পালন করবেন সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ইসলামের ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করা হয় সাধারণত হিজরি বর্ষপঞ্জির চান্দ্র মাসের হিসাবে। সেই মোতাবেক এবার রমজান মাসের সিয়াম সাধনা শুরু হয়েছিল খ্রিষ্টীয় দিনপঞ্জির গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার। ২৯ রমজান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসে। তবে ওই দিন বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৩০ রমজান পূর্ণ করে বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে ক্লান্তিময় জীবনের শেষে সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউট-নিটার এর শিক্ষার্থীরা সবাই নিজ নিজ পরিবারের সাথে ঈদ পালনের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে বাসায় পৌছে গেছে । ঈদের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে  নিটার শিক্ষার্থীদের কেমন সময় কাটছে, কেমন উপভোগ করছেন ঈদের আমেজ তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                                                    ‘‘অতিথি পাখির বেশে গ্রামের প্রেমে মগ্ন হয়ে ঈদের উৎসবে”
আমার ঘুম ভাঙল পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ এবং কাঁচা আমের সুগন্ধে। আম্মু দেখি এখনো বিভিন্ন রকম খাবার  তৈরিতে ব্যস্ত । আমার ছোট ভাই-বোনেরা এসে বলতে লাগল, “ভাইয়া, আজকে কিন্তু আপনাকেও সালামি দিতে হবে।” বললাম, “আচ্ছা ঠিক আছে। তবে আগে গোসলটা করে আসি।” আমার নানুর বাড়ি আমাদের বাড়ির মোটামুটি পাশেই। গোসল করার পর কাপড়-চোপড় নিয়ে নানুর বাড়ি গিয়ে মামাদের ডাক দিলাম। বললাম, “চলেন, নদীতে গোসল করতে যাই।” সবাইকে নিয়ে মাতামুহুরি নদীতে একসাথে গোসল করলাম। অনেক মজা করলাম। আমার নানুর বাড়ি যেহেতু কাছে, তাই ঈদ মানে আমার দ্বিগুণ উৎসব দ্বিগুণ আনন্দ। গোসল করে বাসায় গিয়ে তৈরি হয়ে সবার সাথে ঈদের নামাজ পড়তে মসজিদে রওনা দিলাম । ঈদের নামাজ পড়ে সবার সাথে কোলাকুলি করলাম। ধনী-গরিব সবাই একসাথে নামাজ পড়ছে, কুশলবিনিময় করছে এরচেয়ে আর সুন্দর মুহূর্ত কি হতে পারে! পুরাতন বন্ধুদের সাথেও দেখা হয়ে গেল।  নামাজ পড়ে বের হতেই চারিদিকে শুধু  সুঘ্রাণ পাচ্ছি। তর সইছে না। বাড়ি গিয়ে  অবস্হা কাহিল, সালামি নেওয়ার জন্য সবাই ঘেরাও করছে ওদের সালামী দিতে গিয়ে আমার পকেট ফাঁকা।  এরপর  প্রথমে নিজের বাড়ি থেকে যে  ভোজন শুরু করলাম, শেষ কিন্তু আর হয় না। এমন ভোজন করলাম যে, পেট ফেটে যাবে এমন অবস্হা, তবু ইচ্ছা করতেছে আরও খাই। কেন খাব না বলেন! খাবারে যদি থাকে পোলাও, বিরিয়ানি, পায়েস, সেমাই ও বিভিন্ন রকমের পিঠা ইত্যাদি। তবে হ্যাঁ, ভোজনের সাথে কিন্তু আমিও সালামি নিতে ভুলিনি। এরপর বছরের সব জমানো কথা নিয়ে বিকালে স্কুলের মাঠে পুরাতন বন্ধুরা আড্ডা  দিতে বসলাম। এইভাবে অতিথি পাখির বেশে গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে এবং ঘুরে বেড়িয়ে আমার ঈদ কাটালাম।
কবির মোহাম্মদ গালিব তাসপি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                          ‘‘ছোটবেলার সেই চাঁদরাত আর আজকের চাঁদরাত”
ছোটবেলায় বিশ রোজার পর অপেক্ষায় থাকতাম কবে ২৯ রোজা আসবে, চাঁদ উঠবে। দোয়া করতাম যেন, কোন মতেই ঈদ ৩০ রোজায় না হয়। কারণ ২৯ রোজায় চাঁদ ওঠা একটা অনিশ্চয়তার ব্যাপার, আর তাই মজার। ইফতার করতে পারতাম না সেদিন, পানি আর দুই একটা জিনিস মুখে দিয়েই দৌড়। পিছন পিছন আম্মা হয়তো বলত, এই দাঁড়া, দাঁড়া। কে শোনে কার কথা? আমরা থাকতাম কলোনীতে, চাঁদ দেখতাম বড় মাঠে গিয়ে। আমরা এখন আর কলোনীতে থাকি না, সেই মাঠ এখনো আছে, কিন্ত আমরা ঢাকাবাসীরা কতদিন চাঁদ দেখি না। এখন চাঁদ দেখা যায় চুয়াডাংগা, পঞ্চগড় এ।আর দেখা যাবেই বা কেম নে ঢাকাতে এখন আকাশ দেখা যায় নাকি? চাঁদ উঠলে আমরা বাজি ফুটাতাম, তারাবাতি জালাতাম। আরেকটু বড় হলে ভাইরা ডেক সেটে গান ছাড়ত, মসজিদে মসজিদে আল্লাহু আল্লাহু ধ্বনি, অসাধারাণ সেই সুর, কিছুক্ষন পর পর হুজুরের জানিয়ে দেয়া ঈদের জামাতের সময়। বাসা বাসা থেকে আসত রান্নার গন্ধ। সব মিলিয়ে আনন্দটা ছিল অনেক বেশি। এখন আর ছোট নেই, আমি বড় হয়েছি। এখন অনেক দায়িত্ব। তবুও মাঝে মাঝে খুব ছোট হতে ইচ্ছা করে আবারো! আলহামদুলিল্লাহ্‌ এখনো ঈদে অনেক আনন্দ আছে, অন্যরকম এবং দায়িত্বের। ছোট বেলার সেই বল্গাহীন আনন্দটা নেই। তবে সেজন্য আমি দুঃখিত নই এতটুকুও, মাঝে মাঝে নস্টালজিক হয়ে যাই এই আর কি! সবাইকে ঈদ মোবারক।
মোঃ আরাফাত হোসেন রাফি, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                        ‘‘ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে পরিবার”
ঈদ প্রতিটি মানুষের জীবনে নিয়ে আসে সীমাহীন আনন্দ ও ভালোবাসা। ব্যস্ত পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জীবনে ঈদ নিয়ে আসে নতুন করে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। বয়স ভেদে মানুষের কাছে ঈদের সংজ্ঞা বা ঈদের আনন্দের রঙ একটু আলাদা। কেউ সকালে শত আশা-প্রত্যাশা নিয়ে জেগে উঠে ঈদের দিন ভোরে সকলের দোয়া নেওয়ার আশায়, কেউবা শত ত্যাগ এর মাধ্যমে হাসি ফুটিয়ে দেয় পরিবারের ছোটোবড় সকলের মাঝে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়াই ঈদের সার্থকতা। আবার, সকল ছেলেদের কাছে ঈদ স্বপ্নের চেয়ে কোন অংশে কম নয়! কারণ, এই দিনে সে নিজের বাবার সাথে কোলাকুলি এবং সালাম করার মাধ্যমে জীবনের সকল হতাশা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করে জীবন, যেমন করে ঈদের দিন ভোরে একটু একটু করে পূর্ব আকাশে সূর্য উদয় হয় নতুন একটি হাস্যোজ্জ্বল দিনের আশায়। আবার, শেষ রোজার সন্ধ্যায় সূর্য পশ্চিমে লুকিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশে দেখা যায় ছোট্ট একফালি ঈদের চাঁদ। যা সকলের শত ক্লান্তি ও পরিশ্রমের পর স্নিগ্ধ এক হাসির কারণ। ঈদ আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মোঃ সাদিয়াল হোসেন, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                  ‘‘ঈদ মানে ব্যস্ত জীবনে আনন্দের ছোয়া”
ঈদ হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ হতে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা পালনের পর ঈদ আনন্দ ফিরিয়ে আনে। ঈদের আগমন ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই ছোটবেলার স্মৃতি খুব মনে পড়ে, ছোটবেলায় দাদুবাড়িতেই ঈদ কাটানো হতো। পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের নামাজে ঈদগাহে যাওয়া কিংবা নামাজে না গিয়ে চাচাতো ভাইয়াদের সাথে সদাই খাওয়া, খেলনা কিনার দিনগুলো এখন শুধুই সোনালী অতীত। যতই বয়স বেড়েছে ঈদের আনন্দ আসতে আসতে কমে এসেছে। তবুও ঈদ যেন পরিবারের মধ্যে ভালোবাসা বাড়িয়ে দেওয়ার সু্যোগ করে দেয়। ছাত্রজীবনে পড়াশোনা, খেলাধুলা কিংবা বিভিন্ন জায়গায় সময় অতিবাহিত করতে গিয়ে আমরা পরিবারের সদস্যদের থেকে কিছুটা দূরে সরে যাই। তবে ঈদের সময় বিভিন্ন সম্পর্কের মানুষেরা খোঁজখবর নেয়। পুনরায় যোগাযোগ করার একটি সুন্দর সুযোগ হয়ে উঠে। এবারের ঈদটি কিছুটা বিশেষ কারন এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ঈদ। ঈদের দিন রাত থেকেই অন্য রকমের অনূভুতি হয়। সকালে ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু। আব্বু-আম্মুর থেকে সালামি নিতে ভুল হয় না। তারপর কিছুটা মিষ্টিমুখ করে ঈদের নামাজ শেষ হয়। পেটুক হওয়াতে কিছুক্ষণ পর পরই মুখে কিছু দিতেই হয়। সারাদিন আব্বু-আম্মু আর বোনের সাথে অনেক মজায় সময়গুলো কাটে। বিকালে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘুরতে যাওয়া ঈদ আনন্দের অন্যতম অংশ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অঞ্চলের সহপাঠী বন্ধুদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। এই ঈদটি আরো বিশেষ হওয়ার অন্যতম কারন হলো এই রমজানের শেষের দিকে অর্থাৎ ঈদের আগ মুহূর্তে ঘটে গেছে সূর্যগ্রহণের মতো বিরল এক ঘটনা যা প্রায় ১২৫ বছরের ব্যবধানে হতে দেখা যায়। এই হলো আমার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের একজনের ঈদ! হয়তো ঈদ উদযাপন খুবই সাধারণ, তবুও ছোটবেলার মতো খুবই জাকজমকপূর্ণ না হলেও এমন বিভিন্ন কারনে এই ঈদ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা ঈদের দিনের মতো বছরের অন্যান্য সময়গুলোও কিছুটা হলেও আনন্দময় করে দিক এবং মুছে দিক সকল বেদনা।
মোঃ আব্দুল হাশেম, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর