Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ডিবি অফিস থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যান তিশা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অভিনেত্রী তানজিন তিশা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তিনি ডিবি কার্যালয়ে পৌঁছান। তবে সেখান থেকে বেরিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যান।

এ সময় ডিবি অফিসে আসার কারণ সম্পর্কে অভিনেত্রী তানজিন তিশা বলেন, আমার মনে হয় ডিবি অফিস একটা আস্থার জায়গা। আমরা যখন বিপদে পড়ি, বিশেষত আমাদের অনেক তারকাই সাইবার বুলিং এবং হেরেজমেন্টের শিকার হয়ে এখানে আসেন। হারুন স্যারের হেল্প নিতে আসে, আমিও তার ব্যতিক্রম নই।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি লাস্ট কিছুদিন ধরে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি, আমি স্ট্যাটাস দিয়ে যদি কিছু ক্লিয়ার করতে চাই সেখানেও হেরেজম্যান্টের শিকার হচ্ছি। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে হারুন স্যারের কাছে আসলে বা ডিবি অফিসে আসলে আমি তাদের একটা হেল্প পাব।

এসময় সাংবাদিককে ‘উড়িয়ে দেওয়া’ প্রসঙ্গে তানজিন তিশা বলেন, একজন স্পেসেফিক সাংবাদিককে আমি একটা কথা বলেছি। সবাইকে বলিনি।

তিনি দাবি করেন, ওই সাংবাদিক তাকে এমন টেক্সট করেছেন যা সাংবাদিকতার নীতিবিরোধী। তখন উপস্থিত সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করলে তিনি তর্কে জড়িয়ে যান।

এদিকে ক্ষমা চেয়ে ফেসবুকে দেওয়া পোস্ট ডিলিট করার কারণ সম্পর্কে তিশা বলেন, আমি যেটা নিয়ে লিখেছিলাম সেটা নিয়েও অনেক বুলিং হচ্ছিল। তখন আমার কাছে মনে হযেছে এই একট স্ট্যাটাসই আসরে এনাফ না।

এদিন বিকেল রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিশা।

সম্প্রতি অভিনেত্রী তিশার আত্মহত্যার চেষ্টা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সময় গুঞ্জন উঠে, অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জটিলতা থেকে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এ অভিনেত্রী। পরে অবশ্য এ কথা অস্বীকার করেন তিনি।


আরও খবর

"এক বউয়ের দুই স্বামী "

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩




"ঘূর্ণিঝড় মিধিলি"

ভোলার লালমোহনে প্রায় ১২ কোটি টাকার কৃষি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৮৭জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন ভোলা বিশেষ প্রতিনিধি:ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তান্ডবে ভোলার লালমোহন উপজেলায় কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধানের ক্ষতি হওয়ার ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি উপকূল অতিক্রমের সময় লালমোহন উপজেলায় আঘাত হানে। এতে ক্ষেতে থাকা অন্তত ২০ শতাংশ ধান নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া মাঠে থাকা শীতকালীন শাক-সবজিরও ক্ষতি হয়েছে। টাকার হিসেবে সব মিলিয়ে লালমোহনে প্রায় ১২ কোটি টাকার কৃষি ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। লালমোহনের রমাগঞ্জ ইউনিয়নের আজহার রোড এলাকার কৃষক মো. মোশারেফ হোসেন জানান, এ বছর তিন একর জমিতে ধান চাষ করেছি। এ ধান চাষে অন্তত এক লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। শুক্রবারের ঝড়ের কারণে ক্ষেতের অধিকাংশ ধান এখন জমিতে লুটিয়ে পড়ে গেছে। যার ফলে এসব ধান নষ্ট হয়ে যাবে। এ জন্য এ বছর ধানে আমাকে লোকসান গুণতে হবে।

ওই ইউনিয়নের পূর্ব চরউমেদ গ্রামের আরেক ধান চাষি মো. নূরনবী মিয়া বলেন, জমি লগ্নি রেখে এ বছর আড়াইশত শতাংশ জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করি। প্রথম থেকে আবহাওয়া ভালো থাকায় ক্ষেতে ফসলও ভালো হয়েছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ে জমির অধিকাংশ ধানই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। এসব ধান আর থাকবে না, সব নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা ক্ষুদ্র কৃষক, এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া আমাদের জন্য কষ্টের হবে। এ জন্য আমরা সহযোগিতা কামনা করছি।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে লালমোহন উপজেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে লালমোহনের লর্ডহার্ডিঞ্জ, বদরপুর, ধলীগৌরনগর, পশ্চিম চরউমেদ ও ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের চাষিরা সর্বোচ্চ ধানের আবাদ করেছেন।

লালমোহন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে লালমোহনের কৃষকদের অনেকটা ক্ষতি হয়েছে। কারণ আগামী ১৫ দিন পর থেকেই কৃষকরা তাদের জমির ধান কাটতে পারতেন। এখন যে সব ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে তা আর টিকবে না। এ সকল ধান পঁচে যাবে। আমরা কৃষি অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের একটি তালিকা করেছি। অন্যদিকে, শুক্রবার দুপুরে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তা-বে লালমোহন উপজেলায় অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৪৫টি ঘরের আংশিক ক্ষতি ও ১৫টি ঘর পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুল বলেন, আমরা ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে প্রাথমিকভাবে একটি তালিকা ইতোমধ্যে জেলায় পাঠিয়েছি। সেখান থেকে বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে তা পৌঁছে দিবো। এছাড়া মানুষ পূর্ব থেকে সতর্ক থাকায় কোনো আহত বা নিহতের ঘটনা ঘটেনি। ঘূর্ণিঝড়ের খবরে উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে তিন হাজারেরও অধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছি।


আরও খবর



নিজ নির্বাচনী আসনকে বেকারত্ত্ব ও দারিদ্রমুক্ত করার অঙ্গীকার হুইপ স্বপনের

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৩৮জন দেখেছেন

Image
জয়পুরহাট প্রতিনিধি:বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ  আল মাহমুদ  স্বপন বলেন,আমরা জনগণের প্রথম চাহিদাগুলো পূরণ করে একটা জায়গায় এসেছি। এখন আমাদের টার্গেট বেকারত্ত্ব ও দারিদ্রমুক্ত আক্কেলপুর-কালাই-ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট-২) উপজেলা গড়ে তোলা। এই স্বপ্ন নিয়ে আমরা কাজ করছি। আগামী ২০২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ সালের এই চার বছরের মধ্যে আমরা এই তিন উপজেলাকে বেকারত্ত্ব ও দারিদ্রমুক্ত গড়ে তুলবো। এতে যত রকমের কাজ করার দরকার আমরা সমস্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই কাজগুলো করবো।তিনি বলেন, আক্কেলপুর পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। আগামীতে আরও রাস্তাঘাট-হাট বাজারের উন্নয়ন হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আবারও নৌকা ভোট দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।  হুইপ স্বপন বলেন, যদি কেউ এক-এগারো করার দুঃস্বপ্ন দেখছেন বা অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করবেন তারা সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের প্রচলিত আইনে দণ্ডিত হবেন।  

তিনি আরও  বলেন, যদি কোন বিদেশি নাগরিক অসাংবিধানিক পন্থায় দেশের ক্ষমতা রদবদলের চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধেও দেশের যেকোন নাগরিক সংক্ষুদ্ধ হয়ে মামলা করলে সেই ব্যক্তিও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হবার মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধের আমলে আসবেন। এমন কাজ যদি কোন ব্যক্তি বা কোন গোষ্ঠি করে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের আর কেউ মামলা না করলেও আমি একজন নাগরিক হিসেবে তার বিরিদ্ধে মামলা করবো। সুতরাং এমন কাজ কেউ করার আগে সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ পাঠ করবেন।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর সরকারি ফজর উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আক্কেলপুর পৌরসভা আয়োজিত গণ-সংলাপে এক-এগারো নিয়ে দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তির প্রশ্নের জবাবে হুইপ স্বপন এসব কথা বলেন।আক্কেলপুর পৌর এলাকার উন্নয়ন, নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি ও দারিদ্র দূরীকরণ বিষয়ক এই গণ-সংলাপে নানা প্রশ্ন তুলে ধরেন পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরুষ। তাদের সরাসরি প্রশ্নের জবাব দেন হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রশিদ কবিরাজ বলেন, গণ-সংলাপ অনুষ্ঠানে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু সমস্যা নিয়ে হুইপ মহোদয়কে প্রশ্ন করেছিলাম। হুইপ মহোদয় বিষয়গুলো দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

হাস্তাবসন্তপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি মজনু মিয়া বলেন, আমাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩০ ঘরের বাসিন্দারা একটি পুকুর চাষ করতেছে। আর আমরা ১৭৫ ঘর পুকুর থেকে বঞ্চিত। পুকুর পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হুইপ মহোদয়কে অনুরোধ করেছি। হুইপ মহোদয় প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহীদুল আলম চৌধুরী। 
এ  গণসংলাপ অনুষ্ঠানে পৌর এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। 

আরও খবর



কালিয়াকৈরে খড় বোঝাই ট্রাকে আগুন

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image
সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরে কালিয়াকৈরে গরুর খড় বোঝাই একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার ভোরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় ফ্লাইওভারের পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা গরুর খড় বোঝাই একটি ঢাকা যাচ্ছিল।‌ যাওয়ার পথে ট্রাকটি সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় পৌঁছে। এসময় কয়েক জন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল যোগে গিয়ে ওই ট্রাকের গতিরোধ করে। পরে ওই ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এসময় আশপাশের লোকজন দ্রুত ছুটে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। ততক্ষণে ওই ট্রাকের পিছনে থাকা খড়গুলো পুড়ে যায়। আগুনে  ট্রাকের তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। 
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন জানান, কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

আরও খবর



জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইমাম ও শ্রেষ্ঠ খামার প্রতিষ্ঠাকারী ইমামগণের মাঝে চেক ও সনদ বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪৬জন দেখেছেন

Image
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জ জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ  ইমাম ও শ্রেষ্ঠ খামার প্রতিষ্ঠাকারী ইমামগণের ২৫ জন এর  মাঝে ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ২ শত, ৫০ টাকার চেক ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে এ কে  শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে চেক ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক আহামেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থেকে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইমাম ও শ্রেষ্ঠ খামার প্রতিষ্ঠাকারী ইমামগণের ২৫ জনের মাঝে চেক ও সনদ হাতে তুলেদেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান তিনি বলেন, যার যার ধর্ম সে পালন করবে, বিষয়টা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আজকে আপনারা জেলা পর্যায়ে সন্মাননা টাকার চেক গ্রহণ করছেন আগামীতে আমি আশা করবো ইনশাআল্লাহ জাতীয় পর্যায়ে সন্মাননা পাবেন, এই আশা করছি। এবং  অন্যের ওপর কোনো অন্যায়-অবিচার বা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ যেন সৃষ্টি না হতে পারে। কারণ, ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম।

শান্তির ধর্ম ইসলামের মর্মবাণী একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই আমাদের দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’ইসলাম শান্তির ধর্ম, সহনশীলতার ধর্ম, যা আমাদের নবী করিম হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়েছেন। তাঁর যে বিদায় হজের বাণী, সেই বাণীই আমরা অনুসরণ করি-কাজেই সেদিকে লক্ষ রেখে আমাদের দেশের কোনো ছেলেমেয়ে যেন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে না পারে, সে জন্য আপনারা যথাযথ শিক্ষা দেবেন এবং সঠিক ব্যবস্থা নেবেন। মুষ্টিমেয় লোকের জন্য আমাদের প্রকৃত যে ধর্ম, শান্তির ধর্ম, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। 

জেলা পর্যায়ে প্রথম হওয়ায় আব্দুল লতিফ তিনি তার অনুভূতিতে প্রকাশ করে বলেন,তাঁর এ কৃতিত্বের জন্য মহান আল্লাহ দরবারে শুকরিয়া আদায় করে জানান, আগামীতে আমি জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা মডেল কেয়ার টেকার নির্বাচিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে সবার নিকট দোয়া চাই।

উল্লেখ্য ঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষে মসজিদের ইমামগণকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সেখান থেকে বাচাই করা হয় অর্থাৎ নির্বাচন করা হয় জেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ,


আরও খবর



জয়পুরহাটে টাকার জন্য শ্যালক পুত্রের হাতে বৃদ্ধ খুন,গ্রেফতার ৪

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪১জন দেখেছেন

Image

জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃটাকার জন্যই শ্যালক পুত্রের হাতে খুন হয়েছেন জয়পুরহাটের কালাই শিকটা গ্রামের বৃদ্ধ কৃষক সৈয়দ আলী আকন্দ। এ ঘটনায় পুলিশ খুনের মূল পরিকল্পনাকারী বৃদ্ধের শ্যালক পুত্র শিকটা গ্রামের হারুনুর রশীদ সহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত অন্য আসামীরা হলেন একই গ্রামের গ্রাম পুলিশ সুজন মিয়া (২৩),মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে ওয়াজেদুল (৩৫) এবং নাজির হোসেন (৩৫)। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ খুনের কাজে ব্যবহার করা চাকু ও চুরি করা জমির দলিলপত্র এবং ৬২ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করেছে।

তাদের গ্রেপ্তারের পর সোমবার দুপুরে জয়পুরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বৃদ্ধ খুনের ঘটনায় আসামী গ্রেপ্তার,আলামত উদ্ধার ও খুনের দায় স্বীকার সংক্রান্ত এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান।  
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান,বৃদ্ধ সৈয়দ আলী অনেক জমির মালিক। তার কাছে সবসময় মোটা অঙ্কের নগদ টাকা থাকে। তার শ্যালক পুত্র একই গ্রামের হারুনুর রশীদ খুনের আগের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় পুনট বাজারে আসামী নাজির হোসেনের ফ্লেক্সি লোডের দোকানে অন্য আসামীদের নিয়ে সেই টাকা চুরি করার জন্য পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা শুক্রবার রাত ১২টার দিকে বাড়ির প্রাচীর টপকে বৃদ্ধর ঘরে ঢুকে নগদ দুই লক্ষ টাকা ও বেশকিছু জমির দলিল সহ ব্যাগ চুরি করে। এ সময় বৃদ্ধ চিৎকার করলে আসামী সুজন চাকু দিয়ে তার কন্ঠনালী কেটে দিলে বৃদ্ধ মারা যায়। পরে আসামীরা সেই টাকা ভাগাভাগি করে নিয়ে গাঢাকা দিলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাদের কাছ থেকে নগদ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা, দলিল সহ ব্যাগ এবং খুনের কাজে ব্যবহার করা চাকু উদ্ধার করেছে। সোমবার আসামীরা খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বাকারোক্তীমুলক জবানবন্দী দিবেন বলেও পুলিশ সুপার দাবি করেছেন।    

প্রসঙ্গত : গত বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে কালাই উপজেলার শিকটা গ্রামের বিত্তবান কৃষক বৃদ্ধ সৈয়দ আলীকে নিজ ঘরে খুন করে নগদ টাকা ও জমির দলিল চুরি করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশ শুক্রবার সকালে তার দুই ছেলেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়ে ক্লু না পেয়ে ছেড়ে দেন। পরে নিহতের শ্যালক পুত্র হারুনুর রশীদ গ্রেপ্তার হলে পুলিশ হত্যাকান্ডের পুরো রহস্য উদঘাটন করে। 


আরও খবর