Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ধানী জমি কখনো পুকুর আবার ভরাট নির্বিকার প্রশাসন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩০৮জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর ,তানোর প্রতিনিধি ;ধানী জমি বিগত ১৫-২০ বছর ধরে পুকুর খনন করে চলছিল মাছ চাষ। কিন্তু হয়নি শ্রেণী পরিবর্তন, সেই পুকুরগুলো কিনে জুয়েল নামের এক প্রভাবশালী দেদারসে লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা রাতের আধারে দেদারসে করছে ভরাট। ভরাট করার জন্য পুকুরপাড়ে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির শতশত গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারনে পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা উপজেলা প্রশাসন একেবারেই নিরব ভূমিকায় রয়েছেন। রাজশাহী তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপির হাড়দহ বীলে দেদারসে দিবালোকে কাজ করছেন শহরের জুয়েল একাডেমির পরিচালক জুয়েল। পুকুরগুলো ভরাটের জন্য পুরাতন পুকুর সংস্কারের নামে ড্রাম ট্রাকে করে মাটি বহন করছেন। একারনে সদ্য নির্মিত পাকা রাস্তা মাটিতে রুপান্তর হয়ে পড়েছে। সেই মাটি কোদাল দিয়ে পরিস্কার করা হচ্ছে। এতে করে রাস্তার পাথর উঠে যাচ্ছে। প্রচুর ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তা দিয়ে চলার কোন উপায় থাকবে না।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হাড়দহ বিলের জমি কিনে পুকুর তৈরি করে মাছ চাষ করে আসছিলেন হাসান নামের শহরের এক প্রভাবশালী। তিনি বিগত তিন বছর আগে নাইস গার্ডেন নামক পার্ক নির্মান করেন। সম্প্রতি হাসান ৬৫ বিঘা পুকুর বিক্রি করেন শহরের প্রভাবশালী জুয়েল নামের একব্যাক্তির কাছে। তিনি কিনে পুকুর পাড়ের শতশত গাছ কেটে ভরাট করছেন। দিনের বেলায় ভরাট না করে বাগধানী ও চান্দুড়িয়া এলাকার শন্ডা পান্ডাদের মাধ্যমে লাঠিসোটা নিয়ে পাহারা দিয়ে ভরাট করছেন। গাগরন্দ ও চান্দুড়িয়া নামো পাড়ায় পুরাতন পুকুর সংস্কারের নামে ড্রাম ট্রাকে করে মাটি বহন করছেন। ২৫-৩০ টন ভারি ট্রাকে মাটি বহনের কারনে রাস্তার করুন অবস্থা।

ভরাট কাজে শহরের তিনজন ছিলেন তারা জানান আমরা শ্রমিক কয় ট্রাক মাটি বহন হচ্ছে সেটা হিসাবের দায়িত্বে আছি। রাত ১০ টা থেকে শুরু হয়ে ভোর ছয়টা পর্যন্ত চলছে। 
স্থানীয়রা জানান, বিলের জমি কখনো পুকুর কখনো পার্ক কখনো স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। অথচ পুরাতন পুকুর সংস্কার করা হচ্ছে আকচাতে। বুধবার সকালে ইউএনও অভিযান দিয়ে মাটি কাটা ভেকু মেশিন ভেঙ্গে দিয়েছেন। কিন্তু পরিবেশের ক্ষতি করে ৬৫ বিঘা পুকুর ভরাট হলেও রহস্যজনক কারনে নিরব আছে প্রশাসন। এক প্রশাসনের দ্বি মুখী আচরনেও বিব্রত বোধ করছেন সাধারন জনসাধারন। রাতের বেলায় ভারি মেশিন ও ট্রাকের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। রাতের বেলা পুলিশের গাড়ী টহল দিলেও কোন কিছুই করছেন না।
শহরের জুয়েল একাডেমির পরিচালক জুয়েল জানান, আমি ধানী জমি কিনে ভরাট করছি। সেখানে পুকুর ছিল সেটি ভরাট করছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, নিয়ম না থাকলে প্রকাশ্যে কাজ করতে পারি বলে প্রচুর দাম্ভিকতা দেখান।

জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন জানান, পুকুর গাছ কেটে কোন ভাবেই ভরাট করা যাবে না। এটা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতি কর। আমি ইউএনওর সাথে কথা বলে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপনি এর আগে একথা বলেছিলেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন সরন ছিল না। কতদিনের মধ্যে অভিযান হবে জানতে চাইলে তিনি জানান দ্রুত পরিচালনা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, দ্রুত সময়ে মধ্যে অভিযান দিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



আরও খবর



নববর্ষ উদযাপনে হামলা-নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত র‍্যাব

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলা নববর্ষ উদযাপন ঘিরে কোনো হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই,বলেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন। তবুও, যে কোনো নাশকতা বা হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে র‍্যাবের স্পেশাল কমান্ডো টিম। এছাড়া সাদা পোশাকে টহল ও নজরদারির মাধ্যমে নাশকতামূলক যে কোনো কার্যক্রমসহ প্রতিরোধ করা হবে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজধানীর রমনা বটমূলের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

র‍্যাব ডিজি বলেন, পহেলা বৈশাখ কেন্দ্র করে প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও র‍্যাব সারাদেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষে না হওয়া পর্যন্ত র‍্যাবের ব্যাটালিয়নগুলো নিজ নিজ এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও টহল জোরদার করেছে। নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর টিএসসি শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতিরঝিল, রমনা বটমূল, পূর্বাচল ৩০০ ফিটসহ যেসব এলাকায় মানুষ যাবে সেখানে পেট্রলসহ সুইপিং করা হবে। আমাদের গোয়েন্দা টিম সার্বিক নজরদাবি অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, ভার্চুয়াল জগতে যে কোনো ধরনের গুজব বা উসকামূলক তথ্য ছড়িয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য র‍্যাব সাইবার জগতে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে ইভটিজিং বা উত্যক্ত করার ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ উত্যক্তের শিকার হলে র‍্যাব সদস্যদের জানাবেন। আমরা যথাযথ আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করবো। র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে কঠোরভাবে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।

আরও খবর



নীলফামারীতে কৃষি বিষয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২২জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীতে জয়েন্ট এ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম-জানো প্রকল্পের সহায়তায় কৃষক ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের নিয়ে দিন ব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নীলফামারী পরিবার পরিকল্পনা ভবনের সম্মেলন কক্ষে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মোজাম্মেল হক এর সভাপতিত্বে প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক পোরশিয়া রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসাবে, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি ও গবেষনা কেন্দ্র রংপুর আঞ্চলিক শাখার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুর রাজ্জাক, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিরাজুল ইসলাম, কেয়ার বাংলাদেশ এর পাবলিক এন্ড প্রাইভেট সেক্টর কনসালটেন্ট মাহামুদুল ইফতেখারুল ইসলাম, টেকনিক্যাল অফিসার নিহার কুমার প্রামানিক, প্রকল্পের উপজেলা ম্যানেজার শরিফ আহম্মেদ শাহ্ধসঢ়; প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ৮০ জন সফল খামারী, কৃষক ও প্রকল্পের উদ্দোক্তাসহ সুধীজন  অংশগ্রহন করেন।

উল্লেখ্য- জানো প্রকল্পটি ইউরোপিয় ইউনিয়ন এর অর্থায়নে অষ্ট্রিয়ান ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন এর সহায়তায় কেয়ার  ইন্টারন্যাশনাল ও প্লান ইন্টারন্যাশনাল এর কারিগরী সহায়তায় জাতীয় পর্যায়ের বে-সরকারী সংস্থা ইকো সোশ্যাল  ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ১সেপ্টেম্বর হতে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ, কাউনিয়া,গংঙ্গাচড়া এবং নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী সদর, জলঢাকা ও ডোমার উপজেলায় একযোগে প্রকল্পটি  সরকারের সমম্বিত পুষ্টি কার্যক্রমকে সহায়তা করে এলাকায় ব্যপক সাড়া জাগিয়েছে।


আরও খবর



৭ জানুয়ারি নির্বাচন দেশের ৯৫% জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে : আমীর খসরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জানুয়ারির ৭ তারিখের নির্বাচনে জনগণ গণভোট দিয়েছে নির্বাচনে যাবে কি যাবে না। বিএনপির পক্ষ থেকে ডাক ছিল নির্বাচন বয়কটের ভোট বর্জনের। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোট না দিয়ে নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’

‘আমাদের আন্দোলন চলছে, নতুনভাবে আন্দোলনের কিছু নেই। এই ৯৫ শতাংশ মানুষ আমাদের আন্দোলনের অংশ। গণতন্ত্রকামী সবাই এই আন্দোলনে আছে।

তিনি বলেন, ৭ তারিখের আগে বিএনপির আন্দোলন যত শক্তিশালী ছিল ৭ তারিখের পর তা আরও বেশি বেগবান ও শক্তিশালী হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাকী যে ৫% এর মধ্যে জাতীয় পার্টি বলেছে ভোট হয়নি আওয়ামী লীগের মনোনীত যারা প্রার্থী ছিলেন যারা হেরে গেছেন, তারাও বলেছেন নির্বাচন হয় নি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সহ তার দলের কয়েকজন মন্ত্রী ছাড়া এই নির্বাচনের পক্ষে আর কেউ ছিল না।

আমির খসরু বলেন, এই ৯৫% মানুষের সাথে আরও যারা নির্বাচনে গিয়েও নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের কে নিয়ে আগামী দিনে আমরা যে আন্দোলনে যাচ্ছি, সে আন্দোলন কিন্তু ৭ তারিখের আগে থেকে আরও বেশী শক্তিশালী হবে। সেই আন্দোলনে বাংলাদেশের মানুষ সম্পৃক্ততা হয়েছে, সেই আন্দোলনে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ ও সম্পৃক্ততা হয়েছে,

তিনি বলেন, আগামীতে যে আন্দোলন আসছে, সেই আন্দোলন ওয়ার্ড লেভেল থেকে শুরু করতে হবে। ওয়ার্ড লেভেল থেকে সুনামী করতে হবে। আন্দোলন করতে হবে ওয়ার্ডের ওলিতে গলিতে। ওয়ার্ড পর্যায়ে থেকে আন্দোলনের আওয়াজ তুলতে হবে। সেই আন্দোলনে এই আওয়ামী সরকারের পতন নিশ্চিত হবে।

আজ বুধবার ( ৩ এপ্রিল) উত্তরা দিয়াবাড়ীতে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১ ও ৫১ নং ওয়ার্ড বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, দেশে গণতন্ত্র চর্চা নেই, দেশের বিচার বিভাগ,বাক স্বাধীনতা, মানুষের ভোটাধিকার নেই। জনগণের কোন কথাকেই তারা তোয়াক্কা করছে না। আওয়ামী লীগ স্বার্থের রাজনীতি নিয়েই ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্মআহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মহানগর সদস্য আফাজ উদ্দীন আফাজ, হাজী মোঃ ইউসুফ, এবিএমএ রাজ্জাক, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির নেতা মোঃ আব্দুস ছালাম, তুরাগ থানা বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হারুন অর রশীদ খোকা, যুগ্ম আহবায়ক হাজী জহিরুল ইসলাম, মোঃ চান মিয়া, মোঃ রফিক মোল্লা, বিমানবন্দর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলুসহ স্হানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



মহানগরী পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ইউনিয়নের পরিচিতি সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬২জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃমহানগর পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং ঢাকা-৩৫০৯ এর যাত্রাবাড়ী-ডেমরা-কদমতলী থানা শাখা কমিটির পরিচিতি সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার ৪ এপ্রিল মাতুয়াইল কদমতলা সংলগ্ন দক্ষিণ শান্তি বাগ ক্যানেলপাড় শাপলা বিল্ডিং এর সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মনিরুল রহমান মোল্লা (মনির)। সভাপতিত্ব করেন মহানগর পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং ঢাকা-৩৫০৯ এর যাত্রাবাড়ী-ডেমরা-কদমতলী থানা শাখা কমিটির সভাপতি মোঃ ইমদাদুল ইমদাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শামীম আহমেদ শামশ। পরিচিতি সভায় অন্যান্য এর মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন,মহানগর পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং ঢাকা-৩৫০৯ এর যাত্রাবাড়ী-ডেমরা-কদমতলী থানা শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিরাজ মিয়া, সহ-সভাপতি বিপ্লব মিয়া, মোঃ বাদল ভান্ডারী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মীর মাফু, মোহাম্মদ মানিক মিয়া, মোহাম্মদ আলী নূর, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ক মোঃ ডলার মিয়া, কোষাধ্যক্ষ হেমায়েত হোসেন বাবলু, প্রচার সম্পাদক রাসেল মিয়া, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাসুম চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ ফিরোজ খান, মহিলা সম্পাদিকা মোছাম্মৎ ফারজানা আক্তার, কার্যকরী সদস্য মোঃ জহিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইউসুফ মিয়া, মোঃ সাইফুল মিয়া, মিজানুর রহমান রাজিব, মোঃ রিপন মিয়া। উক্ত কমিটি অনুমোদন করেন মহানগর পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং ঢাকা-৩৫০৯ এর সভাপতি মোহাম্মদ রাজিবুর রহমান রতন।


আরও খবর



পানি নিষ্কাশনের মুখে নন্দন পার্কের বাঁধ, উৎসবেও জলবদ্ধতায় দুর্ভোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পানি নিষ্কাশনের মুখে ঈদের আগে নন্দন পার্কের মাটির বাঁধে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে ঈদ ও বৈশাখী উৎসবে পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও চরম দুর্ভোগে পড়েন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। নিজেরা মেশিন দিয়ে সেচে কোনরকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবজনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো। এখান থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী। এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বড়ইছুটি গ্রামে প্রায় দেড়শতাধিক বাড়িতে প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস। এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা- ময়লাযুক্ত পানি যুগের পর যুগ ধরে কৃষি জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হতো। কিন্তু উপজেলার বাড়ইপাড়া ও বড়ইছুটি এলাকার পাশ^বর্তী ঢাকার সাভার উপজেলার কৃষি জমি ভরাট করে গড়ে উঠেছে নন্দন পার্ক নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমিই বড়ইছুটি গ্রামের মানুষের। এছাড়াও ওই পার্কের বিরুদ্ধে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের পাশে বনবিভাগের জমিও জবর-দখলের অভিযোগ রয়েছে। ওই পার্কের পশ্চিম পাশে সীমানা প্রাচীর ঘেষে অবস্থিত বড়ইছুটি গ্রামটি। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ওই পার্ক প্রতিষ্ঠা হলেও র্দীঘদিন ধরে পার্কের এক পাশ দিয়ে এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ঈদের আগে ওই পানি নিষ্কাশনের মুখে উচু মাটির বাঁধ দেয় নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ। ফলে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। একমাত্র রাস্তাসহ বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ছে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি। ওই পানি ঠেকাতে কেউ ঘরের পাশে দেয় বাঁধ, আবার কেউ উঠানের পানি সেচে ফেলছেন বাইরে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই গ্রামবাসী। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন শিশু ও রোগীরা। সৃষ্টি হচ্ছে মশা, মাছিসহ বিভিন্ন রোগ-বালাই। এর সমধান চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান করা হয়নি। এর সমাধান চেয়ে বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। এরই মধ্যে চলে আসে বড় দুটি উৎসব ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ। এ দুটি উৎসবে ওই পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও পার্কের বাধের কারনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন ওই গ্রামের ইফাজাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা, আফাজ উদ্দিন মোল্লা স্কুল এনড কলেজ, মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসুল্লি ও কারখানার শ্রমিকরা। তাদের ঘরে যেন নেই দুটি উৎসবের আমেজ, আছে চরম দুর্ভোগ আর হতাশা।নিজেদের উদ্যোগে মেশিন দিয়ে সেচে কোন রকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো।স্থানীয় জালাল উদ্দিন, সিলুম উদ্দিন, ফয়সাল সরকার, লিয়াকত সরকারসহ অনেকেই বলেন, এখানে আমাগো বাপ-দাদার বাড়ি। এ পর্যন্ত ময়লাযুক্ত পানি এ দিক দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও আগে এ জমি নন্দন পার্কের ছিল না, পরে কিনে নিয়েছে। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না করে বাঁধ দেওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছি। দুটি উৎসবেও আমাদের মধ্যে কোনো আমেজ নেই। ভাড়াটে মর্জিনা বেগম বলেন, আমি এখানে ৫ বছর ধরে ভাড়া থাকি। আগে এ রকম ময়লাযুক্ত পানির কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু পার্কের বাঁধের কারণে ময়লাযুক্ত পানির জলাবদ্ধতা হচ্ছে। ওই পানি আমাদের একটি ঘরেও ঢুকে যায়। ওই পানি সেচে কোন রকমে ঘরে থাকি। আবার ভরে গেলে আবার সেচে ফেলি। এছাড়া টয়লেট ও টিউবয়েলেও যেতে পারি না। দুর্গন্ধে খাওয়া-দাওয়াও করতে পারছি না। তবে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগে এই জলাবদ্ধতা থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী।

এব্যাপারে নন্দন পার্ক কোম্পানি সচিব খাইরুল ইসলাম জানান, আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি পার্কে ঢুকে যাচ্ছে। এতে পার্কের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এর সমাধানের জন্য দুই বছর ধরে চেষ্টা করতেছি। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। আমাদের জমি এভাবে কতদিন ফেলে রাখবো। তাই মাটি দিয়ে বাঁধ দিয়ে আমাদের জমি উন্নয়ন করতেছি। ইউএনও স্যার পরিদর্শন শেষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আমরাও তাদের সাথে আছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন শাকিল মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সব ধরণের বজ্রপানি ঐদিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে অফিসিয়াল ভাবে বক্তব্য দিতে রাজি নন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ।


আরও খবর