Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঢাকার বায়ু আজ শনিবারও ‘অস্বাস্থ্যকর’অবস্থানে দ্বিতীয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার বায়ু আজ শনিবারও ‘অস্বাস্থ্যকর’। বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী সকাল ৮টার দিকে ১৮৩ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা।

এদিন ২৬৭ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। ১৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৭৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ১৬৯ স্কোর নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু।

এ ছাড়া একই সময়ে একিউআই স্কোর ১৬১ স্কোর নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। ১৪৬ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে মায়ানমারের ইয়াঙ্গুন। ১৩৭ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে চীনের হ্যাংজু। ১৩৪ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই। ১৩৪ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে চীনের উহান।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি-বছরের এই চার মাস ঢাকার বায়ু বেশি দূষিত থাকে।


আরও খবর



সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বেশি ভয়ংকর বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি অনেক বেশি ভয়ংকর। কারণ, সোমালিয়ার জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের ওপর কোনো নির্যাতন চালায়নি। তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেনি। কিন্তু বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীদের নেতৃত্বে বিএনপি অনেক সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের লালদিঘী চত্বরে ‘চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

‘দেশের মানুষ খুব দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে আছে, সাধারণ মানুষ ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারেনি’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হয়ত মির্জা ফখরুল সাহেবদের মনে শান্তি নেই। ওনাদের মনে অশান্তি বিধায় বাংলাদেশের মানুষের মনে শান্তি নেই বলছেন। মানুষের মনে সম্প্রীতি ও উৎসব আছে। দেখুন, এবার ঈদ অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে এবং হচ্ছে। মানুষ এখনো ঈদ উৎসবের মধ্যে আছে। আপনারা দেখেছেন ঈদযাত্রাও এবার অনেক নির্ঝঞ্ঝাট ছিল। ঈদের সময় অনেক ঘটনা ঘটে। সে ধরনের দুর্ঘটনা এবার অপেক্ষাকৃত অনেক কম ঘটেছে। মানুষ অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়েই ঈদ উদযাপন করছে।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যু কর্তৃক হাইজ্যাক হওয়া জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আছে। খুব সহসা আপনারা সুখবর শুনতে পাবেন। আমি শুধু এটুকুই বলি, নাবিকরা খুব সহসাই মুক্তি লাভ করবে ইনশাআল্লাহ। আমরা জাহাজটাও মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব। গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ইতোমধ্যেই সাধিত হয়েছে।

এর আগে চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন এবং আমরাও বলি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আজকে ঈদ উৎসবকে উপলক্ষ করে চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই সামিল হয়েছে। অর্থাৎ ধর্ম যার যার উৎসব যে সবার সেটি আসলে বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে এই উৎসবের মাধ্যমে।

এ সময় চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব আয়োজক কমিটির সভাপতি জহরলাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ ও কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্তা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মাটিরাঙ্গায় সার্বজনীন পেনশন স্কীম কার্যক্রমের উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাটিরাঙ্গায় সর্বজনীন পেনশন স্কীম কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিষদ কক্ষে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।

বর্তমান সরকারের বিভিন্ন গণমুখী কার্যক্রমের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আর্থিক সুরক্ষায় সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী বলেন, এখন থেকে কোনো মানুষের মনে বৃদ্ধ বয়সে পেনশন না পাওয়ার আক্ষেপ থাকবে না।

এসময় মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. মিজানুর রহমান, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল হক,  মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ইশতিয়াক আহম্মদ, সহকারী প্রোগ্রামার রাজীব চৌধুরী, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অ‌ফিসার ‌মো. আশরাফুল আলম সিরা‌জি, ইউআরসি ইনস্ট্রাক্টর মো. আসগর হোসেন ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে গত ১৭ আগস্ট-২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলীসহ ১৫জন সার্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় রেজিস্ট্রেশন করেন। এসময় তাদের হাতে পেনশন স্কীমের রেজিস্ট্রেশন ডকুমেন্ট তুলে দেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।

আরও খবর



বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ): উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার প্রতিটি মাঠে এখন বোরো ধানের সবুজ আভা কেটে হলুদ বরণ ধারণ করতে শুরু করেছে। পাকতে শুরু করেছে বোরো ধান। বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। পাকা ধান ঘরে তুলতে জায়গা প্রস্তুতিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।

কৃষকরা বলছেন ধানের চারা রোপণ থেকে শুরু কওে প্রায় শেষ সময় পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূল রয়েছে। এ কারণে ধানক্ষেতে রোগ-বালাই ছিল কম। ধান কাটা-মাড়াই পর্যন্ত এমন আবহাওয়া থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

কৃষি অফিসের তথ্যমতে এবার উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। ধান নির্ভরশীল এলাকা হিসেবে আত্রাইয়ের প্রধান আবাদই বোরো ধান। বিশেষ করে উপজেলার মানিয়ারী, বিশা, ভোঁপাড়া, শাহাগোলা ও পাঁচুপুর ইউনিয়ন বোরো ধানের জন্য খ্যাত। এছাড়াও অন্যান্য ইউনিয়েনে বোরো ধানের চাষ হয়ে থাকে। এবারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। ধান বোপনের শুরু থেকেই অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় এবারের বোরো ধান মাঠে মাঠে দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। বেশ কিছু এলাকায় আগাম জাতের ধান পাকতেও শুরু করেছে। অধিকাংশ এলাকার মাঠ জুড়ে সোনালী রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে বোরো ধানের শীষ। আর এ সোনালী শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আজম প্রামানিক, শাহাগোলা গ্রামের আজাদ সরদার,বজ্রপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, মুলত আমাদের এলাকার প্রধান আবাদই হলো বোরো ধান। বোরো ধানের মধ্যে আমরা জিরাসাইল ধানের আবাদ সর্বাধিক পরিমাণ জমিতে করে থাকি। কিছু কিছু জমিতে নতুন অন্য জাতের ধানের চাষও করা হয়েছে।শুরু থেকেই আবহাওয়া ভাল থাকায় ধানের শীষগুলো দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এবারে বাম্পার ফলন হবে বলে আমরা আশাবাদি।

কৃষকরা আরও বলেন, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আগাম রোপণকৃত ধান ৮-১০ দিনের মধ্যে কাটামাড়াই শুরু হবে। কাটামাড়াই পুরোদমে শুরু হতে আরও এক সপ্তাহ লাগতে পারে। এ সময় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে তারা বলেন, ঝড়ো আবহাওয়া ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়ে কৃষকরা মাঠে রয়েছেন। স্বপ্নের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারলে এ ফসলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

এ ব্যাপারে শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান জানান, বিশেষ করে অধিক ফলেন জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার আত্রাই উপজেলার কোথাও মাঝড়া পোকার আক্রমণ নেই। এবং উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, চলতি  মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। অল্প খরচে অধিক ফলনের জন্য আমরা কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেছি। বিশেষ করে বোরো ধান বোপনের শুরু থেকেই আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায় কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এ সময় রাত ও দিনের তাপমাত্রা উঠানামা করছে। এটি অত্যন্ত ক্রিটিক্যাল। কোনো কোনো সময় দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস  অতিক্রম করছে। এটি অব্যাহত থাকলে ধানের শীষ হিটশকে আক্রান্ত হতে পারে। এজন্য কৃষকদের সবরকম পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। 


আরও খবর

মেহেরপুরে খরার কবলে বোরো আবাদ

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




মাগুরার ঈদ বাজারে বেচাকেনা কম ক্রেতাদের হাতে পয়সার অভাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image
মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান:মাগুরায় ঈদকে সামনে রেখে ঈদের বাজার   যেমন জমে ওঠার কথা তা এবার পরিলক্ষিত হয়নি। রোজা শেষ হতে চললেও মাগুরা শহরের দোকানপাটে বেচা কেনা আশানুরূপ হচ্ছেনা একথা জানান ব্যবসায়ীরা। একেত মানুষের কাছে পয়সার অভাব, অপরদিকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রভাবের ফলে ব্যবসায়ীরা ভাল বেচাকেনা করতে পারছেনা। অপরদিকে ক্রেতারা তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব ক্রয়ের বাজেট করেও   কিনতে  হীমসিম খাচ্ছে। মাগুরা বেবীপ্লাজায় ঈদের কাপড় চোপড় কিনতে আসা রুকসানা পারভিন জানান, পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য ১৫ রমজানের পর থেকে কিছু কাপড় চোপড় কিনে এখন বাকি সদস্যদের জন্য কিনতে বাজেট শেষ। ঈদকে সামনে রেখে   যুবক যুবতীরা রোজার প্রথমদিকে  তাদের পছন্দের পোশাক কিনতে বিভিন্ন দোকানে ভিড় করে। সে সময়   শহরের নুরজাহান প্লাজা, সুপার মার্কেট, বেবি প্লাজা, জামান মার্কেট, মরিয়ম প্লাজা, কাজী টাওয়ার, সমবায় মার্কেট, খন্দকার প্লাজায় কাপড় বিক্রি হয়েছে।  সকাল ৯ টা থেকে রাত১২ টা পর্যন্ত চচলে বেচা কেনা। তবে দোকানীরা বলেন, ক্রেতার চেয়ে দেখার জন্য ভীড় এবার বেশী ছিল। মাস শেষে বেতন পাওয়ার পর 

বৃহস্পতিবার দেখা গেছে, বিভিন্ন দোকানে ঈদের পোশাক ক্রয়ে মানুষের ভিড় বাড়ছে। দোকানীরাও বলছে বর্তমানে বেচাকেনা মোটামুটি হচ্ছে। ঈদে শিশুদের পছন্দের তালিকায় সবার আগে রয়েছে আফগানী সালোয়ার কামিজ।  তাছাড়া দোকানিরা জানান  গাইনি ও বুটিক কাজের কাপড় মেয়েদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়।  শহরের হাজীপুর কমপ্লেক্সের দোয়েল ফেব্রিক্স ও টেইলার্সের মালিক মোঃ আলাউদ্দিন।  বলেন, সামনে ঈদ নিয়ে কয়েকদিন আমরা খুব ব্যস্ত সময় পার করছি।  তিনি আরও বলেন, এবারের ঈদে মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে দেশি থ্রি পিস।  দেশি থ্রি পিসের দাম ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকা। বিদেশী থ্রি পিচ ১০০০ থেকে ২২০০ টাকার মধ্যে বিতরণ করা হয়। তবে বেচা কেনা কম। বড় বড় দোকানে ভীড় তেমন একটা না থাকলেও শেষ দিকে রাস্তার পাশের ছোট ছোট দোকানে নিম্নবিত্তের মানুষের ভীড় দেখা যাচ্ছে। রাস্তার পাশের ছোট দোকানে ছেলে মেয়ের জন্য ঈদের কাপড় কিনতে আসা রিকসা চালক রওশন মিয়া বলেন, তিনটি ছেলে মেয়ে তাদের কাপড় কেনার ইচ্ছা নিয়ে দোকানে এসে কাপড়ের যা দাম তাতে কিনতে না পেরে ফিরে যাচ্ছি। এক সাথে তিনজনের না কিনলে হবেনা। তাই টাকা জমা করে আবার আসতে হবে। আর নিজেদের কাপড় কেনার কথা গত তিনচার বছর চিন্তাও করিনা। ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রভাব মাগুরায় ও পরিলক্ষিত হচ্ছে। থ্রীপিস মেয়েরা দেশী কিনছে  এছাড়া ভারতের শাড়ীর প্রতি দুর্বলতা খাকলেও ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রভাবে ভাটা পড়ছে ভারতীয় শাড়ী বিক্রিতে। মাগুরা শহরের বকশী মার্কেটর মদিনা শাড়ীর দোকানের শাড়ী বিক্রেতা বিপ্লব জানান, এবার ভারতীয় কাপড় ক্রেতারা তেমন একটা চাচ্ছেনা। মানুষের হাতে টাকা কম তাই কেনা কাটায় প্রভাব পড়েছে। এদিকে জেলা পুলিশ প্রশাসন ঈদের বাজারের শান্তিশৃংখলা রক্ষায় সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মাগুরা ঈদের বাজারে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

আরও খবর



ইরানের হামলার পর বাইডেন-নেতানিয়াহু ফোনালাপ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু,ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরানের হামলার পর।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ হয়েছে। ইসরাইলে ইরান হামলা চালানোর পর দুই নেতার মধ্যে এটাই প্রথম ফোনালাপ। এক বিবৃতিতে ইসরাইলে ইরানি হামলার শক্ত ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন বাইডেন। বিবৃতিতে তেল আবিবকে ওয়াশিংটনের লোহবর্মের মতো সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করেন বাইডেন। এই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী এবং তাদের কোনো স্থাপনা ইরানের লক্ষ্যবস্তু না হলেও সমস্ত হুমকির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক রয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়। বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের দিক থেকে আসা সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ইসরাইলকে সহায়তা করেছে। গত সপ্তাহে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন জানিয়ে বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মোতায়েন করা ব্যবস্থা ও আমাদের দক্ষ সেনা সদস্যদের ধন্যবাদ, তারা ধেয়ে আসা প্রায় সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ইসরাইলকে সহায়তা করেছি।

গত পহেলা এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ উচ্চপদস্থ সাত কর্মকর্তা নিহত হন।

সে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। এ হামলায় তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ইয়েমেনের ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। এরপর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও ইসরাইলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে জাননো হয়। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব হামলা চালানো হয়।২


আরও খবর