Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

ঢাকা শিল্পকলা একাডেমিতে ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং ২০২৩ এক্সিবিশন সম্পন্ন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৭০২জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু স্টাফ রিপোর্টারসফলতার সাথে শেষ হলো শিল্পযোগ তৃতীয় ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং ২০২৩ এক্সিবিশন । উদ্ভোদনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলার ডি জি লিয়াকত আলী লাকি সাহেব। বাংলাদেশের ক্যালিগ্রাফির কিংবদন্তি শিল্পী মাহবুব মুর্শিদ স্যারের প্রযোজনায়  এই আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রদর্শনী সারা দেশের ক্যালিগ্রাফাদের অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।২০১৮সালের এই পথ চলা যেনো ২০২৩শে এসে সফলতার মুখ দেখেছে।  এবারের প্রদর্শনীতে মাহবুব মুর্শিদি স্যারের  স্টুডেন্ট সহ  ১৭০ জনের প্রায় ২৫০ টি পেইন্টিং প্রদর্শিত হয়েছে। সিনিয়র স্টুডেন্টদের মধ্যে ছিলেন মাহমুদুল হাসান সহ উসামা হক, সাইদুল ইসলাম, সাজু তাউহিদ, শহিদুল ইসলাম, ইসমাইল হোসাইন আরো অনেকে। 

যাদের কাজ এখন দর্শকের চোখের শান্তি এনে দেয়, দর্শকদের  প্রাণবন্ত রিভিউ ও গ্রহণ শীলতা  তাদের সিক্ত করে।এ ব্যাপারে সিনিয়র ক্যালিগ্রাফার মাহমুদুল হাসানের সাথে কথা বললে তিনি  পুরো প্রোগ্রামের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।  ক্যালিগ্রাফি সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে, উত্তরে তিনি বললেন ক্যালিগ্রাফি শিল্প তার স্বপ্ন,  নিজে  বিচিত্র  রঙে ক্যালিগ্রাফি করেন এবং তিনিও এখন অনলাইনে এবং অফলাইনে ক্যালিগ্রাফি শিখিয়ে থাকেন। তিনি বলেন ক্যালিগ্রাফি শিল্প এটি একটি ইসলামিক সাংস্কৃতি ও শিল্পের চর্চা এবং যত্ন করতে পারলে অচিরে ভবিষ্যতে বাংলাদশের মুখ উজ্জ্বল করা সম্ভব ক্যালিগ্রাফি শিল্প দ্বারা।

একটি ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং করতে গেলে অনেক মেধা খাটিয়ে ভেবে চিন্তে বের করতে হয় একটা ইউনিয়ন আইডিয়া। সাথে রঙের মিশ্রণ, লেখার কম্পোজিশন। পরিশেষে তৈরি হয় একটি নজরকাড়া নান্দনিক শিল্পকর্ম।  মাহমুদুল হাসান জানায় এই শিল্পের মাধ্যমে  বেশ ভালো একটি উপার্জন করা  সম্ভব।তার নিজস্ব একটি অনলাইন পেজ আছে Image.com (ইমেজ ডট কম)  নামে।  যেখানে তিনি তার সকল কার্যক্রম করে থাকেন। পেইন্টিং বিক্রি, অনলাইন ও অফলাইন কোর্সের বিজ্ঞাপন  ইত্যাদি। তার পেইন্টার এর মধ্যে কাপল নেইম ক্যালিগ্রাফি ( দম্পতিদের যৌথ নাম সুন্দর কম্পোজিশনে পেইন্টিং করা)  খুব পরিচিত।

এছাড়াও তিনি  প্রি অর্ডার নিয়ে গ্রাহকের মনের মত করে ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং করে দেন।  দেশ বরেণ্য শিল্প মাহবুব মুর্শিদি সাহেবের এই প্রদর্শনীতে শিল্পী  মাহমুদুল হাসানের দুইটি পেইন্টিং প্রদর্শিত হয়েছে, তার মধ্যে একটি পেইন্টিং  প্রথম এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। প্রথম এ্যাওয়ার্ড পাওয়ার অভিব্যক্তি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন  ক্যালিগ্রাফির অঙ্গনে এতদূর আসার গল্পে মাহবুব মুর্শিদি স্যারের  অবদান সব থেকে বেশি, বিনম্র শ্রদ্ধা স্যারের প্রতি। এই সম্ভাবনাময় শিল্প আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মকে সুস্থ চিন্তা বিকাশে সহযোগিতা করে। সুতরাং এই শিল্পের প্রতি আমাদের সকলের এগিয়ে আশা প্রয়োজন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



কাঁচা মরিচে ভরপুর হিলি বাজার,দামেও কম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৩জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে।তাই বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে প্রকারভেদে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে কমল ৩০ থেকে ৫০ টাকা। পণ্যটির দাম কমায় খুশি ক্রেতারা।

আজ সোমবার (২৫ মার্চ) হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি দোকানে দোকানে সাজিয়ে রেখেছেন কাঁচামরিচ। গেলো দুই সপ্তাহ আগে দেশীয় কাঁচা মরিচ মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আজ সেই কাঁচা মরিচ ২৫ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে পাইকারীতে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচামরিচ কিনতে আসা এক জন হোটেল ব্যবসায়ী বলেন,আমার হোটেল আছে। প্রতিদিন তিন থেকে চার কেজি কাঁচা মরিচ লাগে। মাঝে মধ্যে দাম বৃদ্ধি হলে আমরা হোটেল ব্যবসায়ীরা পড়ে যাই বিপাকে। আমি গেলো সপ্তাহে ৬০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছি। আজকে বাজার করতে এসে দেখি কাঁচা মরিচের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। আজ সোমবার দুই কেজি কিনলাম ৬০ টাকা দিয়ে। পণ্যটির দাম কমায় শুধু আমরা নয় সকলের জন্য খুব ভালো হলো।

হিলি বাজারের পাইকারী ও খুচরা কাঁচা মরিচ বিক্রেতা শেখ বিপ্লব বলেন, এবারে আবহাওয়া ভালো হওয়ায় পাঁচবিবি ও বিরামপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচামরিচের আবাদ ভালো হয়েছে। কৃষকেরা ক্ষেত থেকে কাঁচা মরিচ তুলছেন। তাই দামও কমে আসছে।

আমরা কম দামে কিনতে পারলে কম দামেই বিক্রি করে থাকি। আজকে আমি পাঁচবিবি হাট থেকে পাইকারী ৯ শত ২০ টাকা মন দরে কিনেছি। এতে কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচের দাম পড়েছে ২৪ থেকে ২৫ টাকা।


আরও খবর



রাষ্ট্রপতি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং যুক্তরাজ্যের (ইউকে) উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন ।

শনিবার (২ মার্চ) দিবাগত রাত ১টা ১৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে।

এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বৃটিশ হাই কমিশনার, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি), ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান।

স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ মেডিকেল চেকআপের সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে থাকবেন। আগামী ১৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন বলে বঙ্গভবনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।


আরও খবর



ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: ৩ জন বরখাস্ত, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঈশ্বরদীতে মালবাহী দুটি ট্রেন সংঘর্ষের সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর ঢাকা-খুলনা রুটে এক লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত রুটের একটি লাইন মেরামত করার পর সকাল সোয়া ৬টার দিকে এই রুটের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ক্ষতিগ্রস্ত অপরটি লাইনটির কাজ চলছে।

রাত ৩টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ।

তিনি জানান, ঈশ্বরদীর ট্রেন দুর্ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করতে সিনিয়র সহকারী সংকেত প্রকৌশলী, সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ট্রেনের চালক, সহকারী চালক এবং অন-ডিউটি সহকারী স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ।

তিনি আরও বলেন, ঈশ্বরদী-ভেড়ামারা সেকশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। চিত্রা এক্সপ্রেস মাঝগ্রামে রাত ১২টা ৫০ মিনিট, ডাউন সীমান্ত আব্দুলপুরে রাত ১২টা ৫৩ মিনিট, আপ সীমান্ত ভেড়ামারায় রাত ১টা ১৩ মিনিট থেকে দাঁড়িয়ে ছিল।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে মালবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ইঞ্জিন ও দুটি বগির ৮ চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় ঢাকা-খুলনা রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তবে অন্য রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির চিরন্তন প্রেরণার উৎস: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির চিরন্তন প্রেরণার উৎস। ‘রাজনীতিতে তিনি (বঙ্গবন্ধু) ছিলেন নীতি ও আদর্শের প্রতীক’ উল্লেখ করে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে জাতি এগিয়ে যাক ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে, নোঙর ফেলুক বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলায়’।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী’ ও ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, আজ ১৭ মার্চ ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী’ ও ‘জাতীয় শিশু দিবস’। বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৭ মার্চ একটি অবিস্মরণীয় দিন। ১৯২০ সালের এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জের নিভৃতপল্লী টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে এসেছিলেন বলেই আমরা স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছি এবং স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আর এজন্যই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।’

তিনি জাতির পিতার ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মহান এ নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, গ্রামের কাদা-জল, মেঠো পথ আর প্রকৃতির খোলামেলা পরিবেশে বেড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু শৈশব থেকেই ছিলেন অত্যন্ত মানবদরদি। কিন্তু অধিকার আদায়ে আপসহীন। পরোপকার আর অন্যের দুঃখকষ্ট লাঘবে তিনি ছিলেন সদা তৎপর। জীবনের প্রতিটি ক্ষণে যেখানেই অন্যায়-অবিচার, শোষণ-নির্যাতন দেখেছেন, সেখানেই প্রতিবাদ করেছেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ব্রিটিশ বিরোধী সভা-সমাবেশে অংশ নেন তিনি। এছাড়া গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে ‘মুসলিম সেবা সমিতি’ পরিচালনা করেন। চল্লিশের দশকে এই তরুণ ছাত্রনেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সংস্পর্শে এসে সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। মোঃ সাহাবুদ্দিন জানান, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের কিছুদিন পরই তরুণ নেতা শেখ মুজিব বুঝতে পেরেছিলেন, ব্রিটিশ পরাধীনতার কবল থেকে মুক্তি পেলেও বাঙালি নতুন করে পশ্চিমাদের শোষণের কবলে পড়েছে। শাসকগোষ্ঠী প্রথম আঘাত হানে বাঙালির মায়ের ভাষা ‘বাংলা’র ওপর। বাংলা ভাষার দাবিতে ধর্মঘট পালনকালে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বঙ্গবন্ধু সচিবালয় গেট থেকে গ্রেফতার হন। এভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম ও কারাভোগের মধ্যদিয়েই তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের পথে এগিয়ে চলেন। ১৯৪৮ সালে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’, ‘৫২’র ভাষা আন্দোলন’, ‘৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন’, ‘৫৮’র সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন’, ‘৬৬’র ৬-দফা’, ‘৬৯’র গণঅভ্যূত্থান’, ‘৭০’র নির্বাচন’সহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। এজন্য তাঁকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। সহ্য করতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। কিন্তু বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে তিনি (বঙ্গবন্ধু) কখনো শাসকগোষ্ঠীর সাথে আপস করেননি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বাঙালির আবেগ ও আকাঙ্খাকে ধারণ করে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, যা ছিল মূলত স্বাধীনতার ডাক। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ। এ ভাষণে বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতার ডাকই দেননি বরং মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কেও দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।

তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালালে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির বহুকাঙ্খিত স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ‘আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ’।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি অবস্থায় শাসকগোষ্ঠী তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির হুকুম দিয়েছিল। অকুতোভয় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা’। দেশ ও জনগণের প্রতি তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য বাংলা, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু আজ এক ও অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে।

মোঃ সাহাবুদ্দিন জানান, স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে জাতির পিতা ১০ জানুয়ারি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির পুনর্গঠনে তিনি সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। দেশকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বঙ্গন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণ হতে দেয়নি। কিন্তু হায়েনার দল বুঝতে পারেনি জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে লোকান্তরের বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি শক্তিশালী।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জলে-স্থলে-আকাশে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে চেয়েছিলেন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছা যায়। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ৭ কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে সেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। সকল আশঙ্কা ও নেতিবাচক ধ্যানধারণাকে ভুল প্রমাণ করে জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আজ ‘আমরা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অভিমুখে’।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে কমিটির দ্বন্দ্বে মাদ্রাসায় তালা,শিক্ষার্থীদের পাঠদান বারান্দায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কমিটি নিয়ে একটি মাদ্রাসার তিনটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেলেও মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসার বারান্দায় পাঠদান চলছে। এ নিয়ে টান টান উত্তেজনায় তিন গ্রামের মানুষের মাঝে।

এলাকাবাসী ও তিন গ্রামের বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে,কালিয়াকৈর উপজেলার মাথালিয়া এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে মাওলানা জহিরুল ইসলাম পাশের কান্দাপাড়া চন্ডিতলা গ্রামে একটি মাদ্রাসা করেন। কামারিয়া, কান্দাপাড়া ও চন্ডিতলা গ্রামের মানুষের সমন্বয়ে কান্দাপাড়া চন্ডিতলা, কামারিয়া নূরাণী হাফিজিয়া মাদ্ধসঢ়;রাসা ও এতিমখানা নামকরণ করা হয়। প্রায় ৭বছর ওই মাদ্রাসা ঠিকঠাক চলে আসলেও সম্প্রতি ম্যানেজিং কমিটিসহ চলছে নানা দ্বন্দ্ব। এর জেরে গত সোমবার সকালে ওই মাদ্রাসায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় মোঃ কদ্দুস, হাবিবুর রহমান, আলহাজ, নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় কয়েকজন অসাধু ব্যক্তি।

ওইদিন বিকেলে ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কালিয়াকৈর থানায় পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। আর এসব নিয়ে আতঙ্কে কমে গেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি।এদিকে আতঙ্ক নিয়ে গত দু’দিন ধরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে মাদ্রাসার বারান্দায়। মঙ্গলবার পর্যন্ত তালা খুলে না দেওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম।

ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জহিরুল ইসলাম জানান,অভিযোগে উলেখিত ব্যক্তিরা আমাদের কাছে দু’ই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছিল। ওই চাঁদার টাকা না পেয়ে তারা মাদ্রাসায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। একই দাবী জানিয়েছেন ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জালাল উদ্দিন।

নিজেকে ওই মাদ্রাসার সভাপতি দাবী করে হাবিবুর রহমান জানান, স্থানীয় কয়েকজন মিলে ৩শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে ওয়াকফা করে দিয়েছেন। কিন্তু ওই মাদ্রাসার টাকায় সাড়ে ৫শতাংশ জমি কিনেন পিন্সিপাল মাওলানা জহিরুল ইসলাম। তা নিজের নামে নিয়েছেন। কমিটি কোনো বিষয় নয়, মুলত ওই সম্পত্তি মাদ্রাসার নামে ওয়াফকা না করায় বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযুক্ত চাঁদা দাবী কারীদের মধ্যে মুঠোফোনে মোঃ কদ্দুস জানান, আমরা কোনো চাঁদা দাবী করি নাই। তবে আমরা নয়, জমি ওয়াফকা নিয়ে গন্ডগোলের কারণে গ্রামপুলিশের মাধ্যমে ওই মাদ্রাসায় তালা দিয়েছে স্থানীয়রা।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ জানান,মাদ্রাসায় তালা দেওয়ার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি।অভিযোগটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখে আমাকে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর