Logo
আজঃ বুধবার ০৭ জুন ২০২৩
শিরোনাম
১১ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস আল ইত্তিহাদে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করলেন বেনজেমা সিলেটে ট্রাক-পিকআপ ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১৩ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এমন সংকট বাংলাদেশে হয়নি: ওবায়দুল কাদের তীব্র তাপপ্রবাহে এবার ইবতেদায়ি স্তরের ক্লাস বন্ধ ঘোষণা বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ রূপগঞ্জের ইছাপুরা ব্রীজ-দুর্গামন্দির সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ইউপি সদস্য সহ চারজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় সাবেক মেম্বার সেলিম গ্রেফতার বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের সূচি জানাল বিসিবি

ঢাকা শিল্পকলা একাডেমিতে ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং ২০২৩ এক্সিবিশন সম্পন্ন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ২৮৫জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু স্টাফ রিপোর্টারসফলতার সাথে শেষ হলো শিল্পযোগ তৃতীয় ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং ২০২৩ এক্সিবিশন । উদ্ভোদনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলার ডি জি লিয়াকত আলী লাকি সাহেব। বাংলাদেশের ক্যালিগ্রাফির কিংবদন্তি শিল্পী মাহবুব মুর্শিদ স্যারের প্রযোজনায়  এই আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রদর্শনী সারা দেশের ক্যালিগ্রাফাদের অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।২০১৮সালের এই পথ চলা যেনো ২০২৩শে এসে সফলতার মুখ দেখেছে।  এবারের প্রদর্শনীতে মাহবুব মুর্শিদি স্যারের  স্টুডেন্ট সহ  ১৭০ জনের প্রায় ২৫০ টি পেইন্টিং প্রদর্শিত হয়েছে। সিনিয়র স্টুডেন্টদের মধ্যে ছিলেন মাহমুদুল হাসান সহ উসামা হক, সাইদুল ইসলাম, সাজু তাউহিদ, শহিদুল ইসলাম, ইসমাইল হোসাইন আরো অনেকে। 

যাদের কাজ এখন দর্শকের চোখের শান্তি এনে দেয়, দর্শকদের  প্রাণবন্ত রিভিউ ও গ্রহণ শীলতা  তাদের সিক্ত করে।এ ব্যাপারে সিনিয়র ক্যালিগ্রাফার মাহমুদুল হাসানের সাথে কথা বললে তিনি  পুরো প্রোগ্রামের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।  ক্যালিগ্রাফি সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে, উত্তরে তিনি বললেন ক্যালিগ্রাফি শিল্প তার স্বপ্ন,  নিজে  বিচিত্র  রঙে ক্যালিগ্রাফি করেন এবং তিনিও এখন অনলাইনে এবং অফলাইনে ক্যালিগ্রাফি শিখিয়ে থাকেন। তিনি বলেন ক্যালিগ্রাফি শিল্প এটি একটি ইসলামিক সাংস্কৃতি ও শিল্পের চর্চা এবং যত্ন করতে পারলে অচিরে ভবিষ্যতে বাংলাদশের মুখ উজ্জ্বল করা সম্ভব ক্যালিগ্রাফি শিল্প দ্বারা।

একটি ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং করতে গেলে অনেক মেধা খাটিয়ে ভেবে চিন্তে বের করতে হয় একটা ইউনিয়ন আইডিয়া। সাথে রঙের মিশ্রণ, লেখার কম্পোজিশন। পরিশেষে তৈরি হয় একটি নজরকাড়া নান্দনিক শিল্পকর্ম।  মাহমুদুল হাসান জানায় এই শিল্পের মাধ্যমে  বেশ ভালো একটি উপার্জন করা  সম্ভব।তার নিজস্ব একটি অনলাইন পেজ আছে Image.com (ইমেজ ডট কম)  নামে।  যেখানে তিনি তার সকল কার্যক্রম করে থাকেন। পেইন্টিং বিক্রি, অনলাইন ও অফলাইন কোর্সের বিজ্ঞাপন  ইত্যাদি। তার পেইন্টার এর মধ্যে কাপল নেইম ক্যালিগ্রাফি ( দম্পতিদের যৌথ নাম সুন্দর কম্পোজিশনে পেইন্টিং করা)  খুব পরিচিত।

এছাড়াও তিনি  প্রি অর্ডার নিয়ে গ্রাহকের মনের মত করে ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং করে দেন।  দেশ বরেণ্য শিল্প মাহবুব মুর্শিদি সাহেবের এই প্রদর্শনীতে শিল্পী  মাহমুদুল হাসানের দুইটি পেইন্টিং প্রদর্শিত হয়েছে, তার মধ্যে একটি পেইন্টিং  প্রথম এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। প্রথম এ্যাওয়ার্ড পাওয়ার অভিব্যক্তি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন  ক্যালিগ্রাফির অঙ্গনে এতদূর আসার গল্পে মাহবুব মুর্শিদি স্যারের  অবদান সব থেকে বেশি, বিনম্র শ্রদ্ধা স্যারের প্রতি। এই সম্ভাবনাময় শিল্প আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মকে সুস্থ চিন্তা বিকাশে সহযোগিতা করে। সুতরাং এই শিল্পের প্রতি আমাদের সকলের এগিয়ে আশা প্রয়োজন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



ডেমরায় দ্রুতগামী কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

সোহরাওয়ার্দীঃরাজধানীর ডেমরা কোনাপাড়ায় দ্রুতগামী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় মাসুদ হাসান  (২৭) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বার (৬জুন) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ডেমরা কোনাপাড়া সড়কে সিটি মিলের সামনে দক্ষিণ সাইট রাস্তার উপরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেল আরোহী রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া উপজেলার আব্দুর রহমানের পুত্র। সে কোনাপাড়া শাহরিয়ার স্টিল মিল এর সামনে ইউনিটি ভ্যালী নামক ভবনে বসবাস করত। এবং মোবাইল ফোন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আইটেল কোম্পানিতে কর্মরত ছিল। 

ডেমরা থানার অফিসার্স ইনচার্জ শফিকুর রহমান পিপিএম ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়,সিএস ট্রান্সপোর্ট ট্রেডিং কভার ভ্যান নাম্বার ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৬৬৮৩ নিয়ে ডেমরা হতে যাত্রাবাড়ী যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে কোনাপাড়া সিটি মিলের দক্ষিণ সাইডে  ব্রিজের ঢালে রাস্তার ওপর আসা মাত্রই মোটর সাইকেল আহরী মাসুদ হাসান আল কারামরী, পিতা- আব্দুর রহমান আল কামারী,সাং- হাতেম খাঁ ,থানা -বোয়ালিয়া ,জেলা- রাজশাহী । মোটরসাইকেল নং- স-৪৪-০৮০০ নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় দুতগামীকভার ভ্যানের ধাক্কায় নিচে পড়ে যায় ।এবং ঘটনা স্থলে সে মৃত্যুবরণ করেন।

দুর্ঘটনা কবলিতমোটরসাইকেল, ঘাতক কভার্ডভ্যান, ও দুর্ঘটনায় নিহতের লাশ,ডেমরা থানা পুলিশের হেফাজতে আছে ।এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। দুর্ঘটনার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে রাস্তার যানচলাচল স্বাভাবিক আছে। ওসি জানান, দুর্ঘটনার পরপর কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হলেও এর চালক পালিয়ে গেছেন। তবে তাকে সনাক্ত করার পাশাপাশি নিহত মাসুদ এর বিস্তারিত পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



তানোর দুই সন্তানের পিতার আত্মহত্যা নিয়ে নানা গুঞ্জন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে দুই সন্তানের পিতার আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। আত্মহত্যা কারীর বড় ভাই বাদি হতে চাইলে তাকে বাড়ি বন্ধি করা হয় বলেও ফেসবুক ভিডিওতে দেখা যায়। সোমবার সকাল ৯ টার দিকে পৌর এলাকার কালিঞ্জন রায়তান বড়শো গ্রামের নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহননের ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করলেও ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। আত্মহত্যা কারী কালিঞ্জনহাট রায়তান বড়শো গ্রামের  মাহফিজুর রহমান পাভেল (৪২) সে মৃত আলহাজ্ব আনিসুর রহমানের পুত্র। এদিকে পাভেলের বড় ভাই রয়েল ছোট ভায়ের এমন মৃত্যুর ঘটনায় বাদি হয়ে মামলা করতে চাইলে তাকে ঘরবন্দি করে রাখা হয়। তবে সবকিছু ঠিকঠাক করার পর মৃত পাভেলের ছোট ভাই রনি তার ফেসবুক আইডি তে লিখেন একটি শোক সংবাদ কালিগঞ্জ হাট নিবাসী মৃত আলহাজ্ব আনিসুর রহমানের পুত্র মাহফিজুর রহমান পাভেল সকাল ৯ ঘটিকার সময় ইন্তেকাল করিয়াছেন, তাহার জানাযার নামাজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত হবে। আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে ৯ টার দিকে, আর ৬ টা ৫০ মিনিটে দেখা যায় রনি ১ ঘন্টা আগে ফেসবুকে পোষ্ট করেন। আত্মহত্যা কারী পাভেল ও বড় ভাই রয়েলকেও পাগল আখ্যায়িত করেন ছোট ভাই রনি।

জানা গেছে, পৌর এলাকার কালিগঞ্জ রায়তান বড়শো গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আনিসুর রহমানের পুত্র মাহফিজুর রহমান পাভেলকে কোন সম্পদ না দিয়ে তার মা রনিকে সবকিছু দিয়ে দেন। এসব নিয়ে তাদের মধ্যে মনমালিন্য হয়ে আসছিল। এঅবস্থায় সকালের দিকে নিজ ঘরে গালায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন পাভেল। ঘটনা জানতে পেরে পাভেলের বড় ভাই বাদি হয়ে সঠিক বিচারের দাবি করেন। এজন্য তাকে বাড়ি বন্ধি করে রাখে।

প্রতিবেশিরা জানান, পাভেলের সেচ মটর পুড়ে যায়। সংসারে নানা অভাব অনটন দেখা দেয় এবং  মা সকল কিছু রনিকে লিখে দেওয়ার কারনে পাভেল একপ্রকার মানুষিক রোগী হয়ে পড়ে। কিন্তু তার বড় ভাই রয়েল পাগল বা মানুষিক রোগী না। সে আসল ঘটনা বের করার জন্য বাদি হতে চায়, কিন্ত অজ্ঞাত চাপে তাকে বাড়ি বন্ধি করা হয়।

কালিগঞ্জ হাট এলাকার বাসিন্দা সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মমেনা আহম্মেদ জানান, পাভেলের সেচ মটর পুড়ে যায় ও টাকার অভাব অনটনে পড়ে। সে দীর্ঘদিন ধরে এক প্রকার রোগী ছিলেন।  তার সংসার কিভাবে চলত জানতে চাইলে তিনি জানান শ্বশুরের এলাকায় ছোট খাটো দোকান করতো। এখন প্রশ্ন যদি পাভেল পাগল হয় তাহলে সেচ মটর ও দোকান কিভাবে পরিচালনা করতেন।

সকালে পাভেলকে ঘরে রেখে স্ত্রী  বাহিরে আসেন। কিচুক্ষন পর ঘরে গিয়ে স্বামীকে ঘরের তীরের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে থাকে। পরে পরিবার ও গ্রামের লোকজন এবং থানা পুলিশ কে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঝুলন্ত মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, আত্মহত্যা কারী পাগল ছিলেন। তার দুটি মেয়ে সন্তান আছে। একজনের বিয়ে হয়ে গেছে। অপরজন ছোট। তার স্ত্রী  ক্যানসারে আক্রান্ত। স্ত্রী  পাভেলকে বলতো আমি মারা গেলে সন্তানদের দেখ। কিন্তু স্ত্রী  জীবিত আর স্বামী পাভেল আত্মহত্যা করল এটা তার স্ত্রী  মানতে পারছেন না। তার স্ত্রী জীবিত সে বাদী না এজন্য ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরও খবর



অবাধে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে চিলমারী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

আলমগীর হোসাইন, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ অবৈধভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পের সন্নিকট থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ সেফটি বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। বাধাহীনভাবে ক্রমাগত বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে প্রকল্পটি। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে উপজেলার বামনের হাট রেগুলেটর থেকে চিলমারী উপজেলার জোড়গাছ বাসন্তীপাড়া পর্যন্ত যে কোন জায়গায় ডানতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পটি দেবে গিয়ে দেখা দিতে পারে বিপর্যয়।

যুগের পর যুগ ধরে করালগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র নদ দেশের অন্যতম প্রাচীন নৌ বন্দর চিলমারীকে গ্রাস করে চলছিল। ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাস্তভিটা হারিয়েছে। কোন কোন পরিবার নিঃস্ব হয়ে পথের ভিখারি হয়েছে। বর্তমানে চিলমারী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়ন পুরোপুরি ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে বিলীন। বাকি তিনটি ইউনিয়নের অর্ধেকেরও বেশি অংশ ব্রহ্মপুত্র নদ গ্রাস করে ক্রমাগত চিলমারীর শেষ অংশটুকু গিলে খাওয়ার পথে এগোচ্ছিল। গত ১৭ই জুলাই ১৯৯৩ইং চিলমারী বন্দর নদী ভাঙন প্রতিরোধ আন্দোলন নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে নদী ভাঙ্গণ প্রতিরোধ আন্দোলন হয়। আন্দোলনকারীরা চিলমারী থেকে পায়ে হেঁটে কুড়িগ্রাম গিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেন। জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে সংগ্রাম করেছেন।

এই আন্দোলন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টিতে আনতে সক্ষম হয়। অবশেষে দীর্ঘ দেড় যুগ আন্দোলনের সফলতা আসে। ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পঞ্চম বৈঠকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বৈরাগীর হাট ও চিলমারী বন্দর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা ফেজ-১ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ইং সালের জুলাই মাসে ডানতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্প ফেজ-১ এর কাজ শুরু করা হয়। ৯৬৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২.৫ কিলোমিটার অংশে জুন’২০০৯ইং উক্ত কাজ শেষ হয়। এরপর থেকে ফেজ-২, ফেজ-৩ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পের কাজ ২০১৭ সালে গিয়ে শেষ হয়। ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে চিলমারীবাসীর স্বপ্ন ও প্রাণের দাবি পূরণ হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবার পর চিলমারী উপজেলার যৎসামান্য অংশ রক্ষা পেয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রে চিলমারী নামের একটি উপজেলার অস্তিত ধরে

রেখেছে। কিছু বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবৎ ডানতীর প্রকল্পের ডানতীর সংলগ্ন এলাকা থেকে বিরামহীন ভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বালুর ব্যবসা করছে। শুধুমাত্র চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর এলাকায় ১৪টি পয়েন্টে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ সেফটি বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর ফলে প্রতিরক্ষা প্রকল্পের নীচ অংশে বিশাল আকৃতির গর্ত দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোপূর্বে অনেক এলাকায় একাধিক জায়গায় হঠাৎ কিছুদূর করে অংশ দেবে যাওয়ায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বোল্ডার ফেলে দেবে যাওয়া অংশগুলিতে নদী ভাঙন কোনোমতে ঠেকিয়ে রেখেছে। এই প্রতিরক্ষা প্রকল্পটির কোন অংশ পুরোপুরি দেবে গেলে আর চিলমারীকে রক্ষা করা যাবে না। এ বছর ৭০ সদস্য বিশিষ্ট একটি গ্রুপ একসাথে শেয়ার করে রমনা নৌ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বালু উত্তোলন করে নদী তীরেই বালুর স্তুুপ করে সেখান থেকে শতাধিক ট্রলিতে বালু বিক্রি করছে।

এছাড়াও বাসন্তী গ্রাম জোড়গাছের ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর ধরে রমনা মিয়া বাড়ির সামন ও পিছনসহ রাজারভিটা, পুটিমারী ও ফকিরের হাট এলাকায় মোট ১৪টি পয়েন্টে একাধিক গ্রুপ বা ব্যক্তি বালুর ব্যবসা চলছে। ফলে এই বালু ব্যবসার উপর প্রায় ২ হাজার পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। বিভিন্ন বালু পয়েন্টের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা নাম না প্রকাশের শর্তে জানায়, তারা অবৈধ নয় বরং বৈধভাবে বালুর ব্যবসা করতে চায়। তাদের দাবি চিলমারীকে বালু মহাল ঘোষণা দেয়া হউক। এটা হলে তারা যেমন বৈধভাবে ব্যবসা করতে পারবে পাশাপাশি সরকারও এই বালু মহাল থেকে মোটা অংকের রাজস্ব পাবে।১৭ মে ২০২৩ বিকেলে চিলমারী উপজেলার সকল সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমানের সাথে চিলমারী উপজেলার বৈরাগীর হাট ও চিলমারী বন্দর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ ও বালু উত্তোলন বন্ধ করার বিষয়ে এক মতবিনিময় করেন। এ সময় চিলমারী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম সাবু বলেন, প্রথমত বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে চিলমারীকে রক্ষা করা যাবে না।

সরকার যদি চিলমারীতে বালু মহাল ঘোষণা দেয় তখন যত্রতত্র জায়গা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হবে এবং একটি নিরাপদ এলাকাকে বেছে নিয়ে একটি সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বালু উত্তোলিত হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম চিলমারী শাখার সাধারণ সম্পাদক এস, এম নুরুল আমিন সরকার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, তার প্রথম এবং শেষ কথা আগে চিলমারীকে রক্ষা করতে হবে। তারপরে অন্য বিষয় নিয়ে ভাবা যাবে। প্রেসক্লাব চিলমারীর সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মণিরুল ইসলাম লিটু বলেন, চিলমারী থাকলে তো বালুর ব্যবসা থাকবে। চিলমারী না থাকলে বালুর ব্যবসা হবেটা কোথায়। তিনি বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানান।চিলমারী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হুদা পারভেজ তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, পুরো চিলমারীর মানুষের একটাই কথা, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে চিলমারীকে রক্ষা করতে হবে। চিলমারী উপজেলা রক্ষার বিকল্পে আর কোন শব্দ নাই। এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমানকে বলেন, আমি বালু উত্তোলন বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু নানা কারণে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পারিনি। আপনারা সাংবাদিকগণ পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করেন। উপর থেকে আমাকে নির্দেশ দিলে আমি চিলমারীতে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেব।


আরও খবর



করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ১৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯৮ জনের।

আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৫১ জন। আর মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৯১১ জনের।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৬৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৩ হাজার ৬৫টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৪৩৭ জন।

প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর



বাংলাদেশের রেকর্ড জয় শান্তর সেঞ্চুরিতে

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: নাজমুল হোসেন শান্তর অভিষেক সেঞ্চুরি এবং তাওহীদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়তে ৩ উইকেটের দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। যেখানে সব মিলিয়ে এটি থাকছে দুই নম্বরে। এর আগে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২২ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের দেড়শতম জয়ের মাইলফলক এটি। ৪১১ ম্যাচ খেলে এই কীর্তি অর্জন করেছে তারা। বিপরীতে হেরেছে ২৫২ ম্যাচ। ফল আসেনি বাকি ৯টিতে।

নিরপেক্ষ ভেন্যু ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে দ্বিতীয় ম্যাচেও বৃষ্টির কারণে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় ৩টা ৪৫ এর সময়। তবে বৃষ্টির কারণে সেই টস অনুষ্ঠিত হয়েছে সাড়ে ৫টায়। খেলা শুরু হয়েছে ৬টায়। দেরিতে শুরু হওয়ায় ম্যাচের দৈর্ঘ্যও কমিয়ে আনা হয়েছে। দুই দল ৪৫ ওভার করে ব্যাট করার সুযোগ পায়।

যেখানে প্রথমে ব্যাট করা আইরিশরা নির্ধারিত ৪৫ ওভার শেষে ৩১৯ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে আয়ারল্যান্ড। হ্যারি টেক্টরের অনবদ্য ১৪০ ও জর্জ ডকরেলের ঝড়ো ৭৪ রানে এই সংগ্রহ তোলে তারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শান্তর সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ও ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

৩২০ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানের মাথায় আউট হন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ওয়ান ডাউনে মাঠে নামেন শান্ত। প্রথমে লিটন দাস, এরপর সাকিব আল হাসান ও তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের পথে নিয়ে যেতে থাকেন তিনি। এরই মধ্যে তুলে নেন নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও।

৩২০ রানের লক্ষ্যে ১৩ রানে তামিমের বিদায়ের পর ৪০ রানের মাথায় ফেরেন লিটন (২১)। ১০১ রানের মাথায় বিদায় নেন সাকিব (২৬)। চতুর্থ উইকেটে তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে এরপরে শান্ত গড়েন অনবদ্য জুটি। এই জুটিই মূলত বাংলাদেশকে জয় পাইয়ে দেয়। যেখানে দুজনে মিলে ১০২ বলে ১৩১ রান তোলেন।

হৃদয় অভিষেক ফিফটির পর ৫৮ বলে ৬৮ রান করে ডকরেলের শিকার হন। তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। আর বাঁহাতি শান্ত ৯৩ বলে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১১৭ করে ক্যাম্ফারের বলে বিদায় নেন। শেষ দিকে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের ২৮ বলে ৪টি চারে অপরাজিত ৩৬ রানে জয় নিশ্চিত করে সফরকারীরা। এছাড়া ১৯ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আইরিশ বোলারদের মধ্যে ২টি করে উইকেট পান ক্যাম্ফার ও ডকরেল।

টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আয়ারল্যান্ড। ব্যাটে নেমে পেসার হাসান মাহমুদের বোলিং তোপে পড়ে আইরিশরা। ১৬ রান তুলতেই হারায় দুই উইকেট। প্রথম ওভারেই আইরিশ শিবিরে আঘাত হানেন হাসান। ওভারের পঞ্চম বলে পল স্টার্লিংকে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। কোনো রান না করেই ফেরেন স্টার্লিং।

সপ্তম ওভারে আবারও হাসানের আঘাত। ওভারের প্রথম বলে হাসানের বল খেলতে গিয়ে আউটসাইড এজ হয় আইরিশ ওপেনার স্টিফেন ডোহানির। পয়েন্টে সহজ ক্যাচ ধরতে কোনো ভুল করেননি শুরু থেকেই দারুণ ফিল্ডিং করতে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ। ১২ রান করেন ডোহানি।

তবে এরপরই পাল্টা আঘাত শুরু করেন বালবির্নি-টেক্টর জুটি। ৯৮ রানের জুটি গড়ে দলকে স্বপ্ন দেখান বড় রানের। প্রথমে ধীরে শুরু করলেও আস্তে আস্তে খোলস ছেড়ে বের হন এই দুজন। ১৬ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারানো আইরিশরা তৃতীয় উইকেট হারায় ১১৪ রানে। তবে শরিফুল এর বেশি আর আগাতে দিলেন না এই জুটিকে। তার বলে আউটসাইড এজ হয়ে ফেরেন বালবির্নি (৪২)। ১৩৮ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন লোরকান টাকার। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কার্টিস ক্যাম্ফারও। তবে একপাশে অবিচল ছিলেন টেক্টর।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তো বাংলাদেশি বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দিয়েছেন টেক্টর-ডকরেল জুটি। মাত্র ৬৮ বলে গড়েন ১১৫ রানের জুটি। ২৮২ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন টেক্টর (১৪০)। টেক্টর ফিরলেও ৪৭ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন ডকরেল। ৮ বলে ২০ রান করে অপরাজিত আরেক ব্যাটসম্যান মার্ক অ্যাডায়ার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ৩১৯ রান করে আয়ারল্যান্ড।

বাংলাদেশের হয়ে ৯ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। শরিফুল ইসলামও ২ উইকেট নেন, তবে খরচ করেন ৮৩ রান। একটি করে উইকেট নেন এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম।

অসাধারণ সেঞ্চুরি করা শান্তই ম্যাচ সেরা হন।

আগামী ১৪ মে একই ভেন্যুতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর