কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি:ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ এক দিনে তিন কয়েদির চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মার্গে রাখা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরি এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে আ. ওয়াদুদ (৫২), শরীয়তপুরের নড়িয়া আনন্দময়ী বেপারি গ্ৰামের আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে রাসেল (৩৪) ও ভোলা সদর থানাধীন চাপ্তা মাতুব্বর বাড়ী এলাকার কাঞ্চন মাতুব্বরের ছেলে মাসুম মাতুব্বর ওরফে মাসুম (৪২)।
আ. ওয়াদুদ বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় ১৬ বছর দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে বন্দি ছিলেন। অস্বাভাবিক রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার মধ্যরাতে মারা যান।
রাসেল শনিবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর সকাল সাড়ে নয়টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি মারামারি মামলায় কারাগারে বন্দি ছিলেন।
মাসুম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি মোহাম্মদ ওয়াদুদ ১৬জুন থেকে ও হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাসুম ১৯জুন উন্নত চিকিৎসার জন্য কাশিমপুর কারাগার থেকে রেফার্ড হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের মাধ্যমে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এ ছাড়া মৃত রাসেল আগে থেকেই ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে কারাগারে আটক ছিল। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।