Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

দেশের একমাত্র ভাসমান পেয়ারার হাট,পর্যটকে মুখরিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২৬৬জন দেখেছেন

Image

রহিম রেজা ঝালকাঠি প্রতিনিধি:বাংলাদেশের একমাত্র ভাসমান পেয়ারার হাট ঝালকাঠির ভীমরুলী এখন পর্যটকে মুখরিত। পদ্মা সেতুর চালু হওয়ায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর পেয়ারা দাম বেশি পেলেও প্রচন্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে ফলন কম হওয়ায় হতাশ কৃষকরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঝালকাঠি, বানারীপাড়া ও স্বরূপকাঠি উপজেলার ৫৫ গ্রামের পেয়ারা বাগানকে ঘিরে ভাসমান পেয়ারার হাট পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে। ঘুরতে আসা আশিক, তুহিন ও রাসেল জানান, পদ্মা সেতুর কারনে দ্রত সময়ে দেশ বিদেশের ভ্রমণ পিপাসুরা এ হাটে এসে হৈ হুল্লোরে মেতে উঠেছেন। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে গড়ে উঠেছে পার্ক ও খাবার দোকানসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এই এলাকার হাজার হাজার মানুষের কাছে ‘পেয়ারা’ অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য ও জীবিকার অবলম্বন। চাষী ভবেন হালদার, নিশিত হালদার, বিধান রায় জানান, আষাঢ়-শ্রাবণের ভরা বর্ষায় এসব এলাকার নদী- খালজুড়ে পেয়ারার সমারোহ। পদ্মা সেতুর কারণে পেয়ারা বাজার ভালো হলেও বৃষ্টি না হওয়ায় ও তাপদাহে পেয়ারার ফলন কম হয়েছে। এতে চাষীরা খরচও তুলতে পারবেন না বলে হতাশা প্রকাশ করেছে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ঝালকাঠি সদর উপজেলার ১৩ গ্রামে ৩৫০ হেক্টর জমিতে, বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার ১৬ গ্রামে ৯৩৭ হেক্টর, পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার ২৬ গ্রামের ৬৪৫ হেক্টর জমিতে পেয়ারা চাষ হয়। চাষীরা জানান, আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে অর্ধেকেরও কম ফলন হয়েছে। পেয়ারা গাছে যে পরিমাণ ফুল এসেছিলো এবছর বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তা অনেকটাই ঝড়ে গেছে। গাছ পুড়ে গেছে এমন মনে হয়। পেয়ারা বাজার ভাল হলেও লাভবান হতে পারবেন না বলে জানান চাষীরা। এদিকে দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানের প্রকৃতি প্রেমীরা প্রাকৃতিক নৈসর্গ উপভোগ করার জন্য ভীড় জমাচ্ছেন পেয়ারা রাজ্যে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সুবাদে সড়কপথে সকালের পেয়ারা বিকেলের মধ্যেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায়। ভাসমান পেয়ারা বাজার বিখ্যাত থাকলেও পেয়ারা রাজ্যের সবচেয়ে বড় মোকাম ভীমরুলীতে। সেখানে প্রবেশের পথে পথে রাস্তার পাশের খালেই নৌকায় পেয়ারার পসরা নিয়ে পাইকারদের কাছে তুলে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। প্রতি মণ পেয়ারার দাম আকার ও রং ভেদে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন তারা। ভাসমান হাট হিসেবে বিখ্যাত হলেও ভীমরুলীর বড় মোকাম ডিঙি নৌকায় করে পেয়ারা নিয়ে আগের চেয়ে আনাগোনা কম। ঝালকাঠি শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরত্বের সড়কের পাশে ১০টিরও বেশি মোকামে পেয়ারা কেনাবেচা হচ্ছে।

পেয়ারার দাম প্রতি বছরের চেয়ে ভালো পেলেও ফলন কম হওয়ায় কৃষকের আনন্দ নিরানন্দই থেকে যাচ্ছে। আষাঢ়-শ্রাবণের ভরা বর্ষায় এ অঞ্চলের নদী-খালের পাড়ে সজ্জন পদ্ধতিতে সৃজিত পেয়ারা গাছে ঝোলে সবুজ ফল। আষাঢ়ে পেয়ারা পাকার মৌসুম হলেও শ্রাবণের শুরুতে পেয়ারা পরিপক্ক হওয়ায় এখন জমে উঠেছে পেয়ারার হাট। ভিমরুলী, শতদলকাঠী, খাজুরিয়া, ডুমুরিয়া, কাপুড়াকাঠী, জগদীশপুর এলাকা ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বরিশাল বিভাগের কম-বেশি সব জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পেয়ারার চাষ হলেও বরিশাল জেলার বানারিপাড়া, ঝালকাঠি সদর ও পিরোজপুর জেলারস্বরূপকাঠি ঘিরেই মূলত পেয়ারার বাণিজ্যিক চাষ। এসব এলাকার মধ্যে ঝালকাঠির কীর্ত্তিপাশা, ভিমরুলী, শতদলকাঠী, খাজুরিয়া, ডুমুরিয়া, কাপুড়াকাঠি, জগদীশপুর, মীরকাঠি, শাখা গাছির, হিমানন্দকাঠি, আদাকাঠি, রামপুর, শিমুলেশ্বর গ্রামে বড় অংশজুড়ে বাণিজ্যিকভাবে যুগ যুগ ধরে পেয়ারার চাষ হচ্ছে। স্বরূপকাঠির ২৬ গ্রামের মধ্যে আছে সঙ্গীতকাঠি, খায়েরকাঠি, ভদ্রানন্দ, বাচ্চুকাঠি, ভাংগুরা, আদাবাড়ি, রাজাপুর, ব্রাহ্মণকাঠি, ধলহার, জিন্দাকাঠি, আটঘর, কুড়িয়ানা, পূর্ব জলাবাড়ি, ইদিলকাঠি, আরামকাঠি, মাদ্রা, গণপতিকাঠি, আতাকাঠি, জামুয়া, জৈলশার, সোহাগদল, আদমকাঠি, অশ্বত্থকাঠি, সমীত, সেহাংগল, আন্দারকুল। বরিশালের বানারিপাড়ার পেয়ারা বাগানগুলো হলো তেতলা, সৈয়দকাঠি, মালিকান্দা, ব্রাহ্মণবাড়ি, বোয়ালিয়া, জম্বুদ্বীপ, বিশারকান্দি, মরিচবুনিয়া, মুরার বাড়ি, উমরের পাড়, লবণ সড়া, ইন্দির হাওলা, নরেরকাঠি, রাজ্জাকপুর, হলতা, চুয়ারিপাড়। এসব গ্রামের কয়েক হাজার কর্মজীবী পরিবার যুগ যুগ ধরে পেয়ারার চাষ করছেন।

পেয়ারার চাষ, ব্যবসা ও বাজারজাতকরণেও রয়েছে কয়েক হাজার মৌসুমি বেপারি এবং শ্রমিক। এ সময় অন্তত কুড়িটি স্থানে পেয়ারার মৌসুমি মোকামের সৃষ্টি হয়। এরমধ্যে আবার সড়কপথেও ১০টিরও বেশি মোকামে বেচাকেনা হচ্ছে। এগুলো হলো ভিমরুলী, আতাকাঠী, ডুমুরিয়া, গণপতিকাঠী, শতদলকাঠী, রাজাপুর, মাদ্রা, আদমকাঠি, জিন্দাকাঠি, বর্ণপতিকাঠি, আটঘর, কুড়িয়ানা, আন্দাকুল, রায়ের হাট, ব্রাহ্মণকাঠি, ধলহার, বাউকাঠি। এসব মোকামে মৌসুমে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার মণ পেয়ারা কেনাবেচা হয়ে থাকে।স্থানীয় চাষিরা জানান, আনুমানিক ২০০ বছরেরও বেশি সময় আগে বিচ্ছিন্ন আবাদ হলেও ১৯৪০ সাল থেকে শুরু হয়েছে পেয়ারার বাণিজ্যিক আবাদ। এ আবাদ ক্রমশ বাড়ছে। ২০২২ সালে অন্তত ১৯৩২ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিক পেয়ারার আবাদ হয়েছে। এ সময় ফলন হয়েছে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এ বছর ফলন কম হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ১০ হাজার মেট্রিক টন পেয়ারা উৎপাদন হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বলে হতাশা প্রকাশ করেন পেয়ারা চাষিরা। কৃষক পঙ্কজ বড়াল বলেন, ‘মাঘ-ফাল্ধসঢ়;গুন মাসে পেয়ারা গাছের গোড়া পরিষ্কার করে সার প্রয়োগ করতে হয়েছে। এরপরে কাদা মাটি দিয়ে গোড়া ঢেকে দিয়েছি। তাতে প্রতিটা গাছের গোড়ায় গড়ে তিন শতাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। পেয়ারা গাছে যে পরিমাণ ফুল এসেছিল, বৃষ্টি না হওয়ায় তা অনেকটাই ঝরে গেছে। লাভ তো দূরের কথা, আসল খরচের টাকাই ওঠে কি না তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’ কৃষক দেবব্রত হালদার বিটু বলেন, ‘পেয়ারা আমাদের মৌসুমি আয়ের একমাত্র অবলম্বন। পেয়ারার ফলন ভালো হলে আমাদের স্বচ্ছলতা আসে। পানির উপরেই ভাসমান হাটে বছরে কোটি টাকা লেনদেন হয়।

অস্থায়ী কিছু দোকান বসে পাইকার, পর্যটক বা দর্শনার্থীদের আপ্যায়নের বা ক্ষুধা নিবারণের মাধ্যমে ব্যবসা করে আর্থিকভাবে লাভবান হন বিক্রেতারা।’ কৃষক বিপুল চক্রবর্তি বলেন, ‘আমরা সংসারে ৩ জন পুরুষ পেয়ারা বাগানের পরিচর্যাসহ সব ধরনের কাজে নিয়োজিত থাকি। বছরের এ মৌসুমটাতে আমাদের আয় দিয়ে সারাবছর সংসার চলে।’ পর্যটক ব্যবসায়ী নিশিথ হালদার শানু বলেন, ‘পেয়ারার মৌসুমকে ঘিরে দেশি-বিদেশি পর্যটক আসেন। আগে শুধু নৌপথে আসতো। এখন পদ্মা সেতু হওয়ার পর সড়কপথে অল্প সময়ের মধ্যেই যাতায়াত করা যায়। তাই পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। পেয়ারা বাগানের ক্ষতি হওয়ায় আমরা নান্দনিক ভ্রমণের সুযোগ করে দিয়েছি। পর্যটক বা দর্শনার্থীরা যাওয়ার সময় কিছু পেয়ারা কিনে নিয়ে যান বাড়ির জন্য।’ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ভবেন হালদার বলেন, ‘এ বছর পেয়ারা গাছের পরিচর্যা সঠিকভাবে করা হলেও বৃষ্টি না থাকায় ফুল বেশিরভাগই ঝরে গেছে। গাছে যে পরিমাণ ফল হয়েছে, তাতে দাম ভালো পাচ্ছি কিন্তু খরচের তুলনায় খুবই কম। ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম জানান, জেলার সদর উপজেলায় ১৩ গ্রামে ৩৫০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে পেয়ারা চাষ হয়। পেয়ারা মৌসুমে এলাকার মানুষের কাছে ‘পেয়ারা’ অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য ও জীবিকার অবলম্বন। এবার ফলন কম হলেও চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন।’ তিনি জানান, তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে পেয়ারার ফলন কম হলেও পদ্মা সেতুর কারনে দাম অনেক বেশি পাচ্ছেন। এতে ক্ষতি পূষিয়ে উঠতে পারবেন। এ বছর হেক্টর প্রতি সাড়ে ১১ থেকে ১২ মেট্রিকটন পেয়ারার ফলন হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার পেয়ারা বেচাকেনা হচ্ছে। ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে সার্বক্ষনিক মনিটরি করা হচ্ছে এবং টহল পুলিশ রয়েছে। ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম জানান, ভাসমান পেয়ারা হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ সব রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।


আরও খবর



আজ ড. ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ও বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ জামাতার ১৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৯ সালের এই দিনে তিনি মারা যান।

উপমহাদেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার জন্ম ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জের লালদীঘি ফতেহপুর গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধের আগে ছাত্রলীগ নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের ভিপি হিসেবে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি। এ কারণে ১৯৬২ সালে গ্রেপ্তার হন। এর পর থেকে আমৃত্যু মূলত রাজনীতির বাইরেই ছিলেন।

তিনি ছিলেন আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘ, পদার্থ বিজ্ঞান সমিতি, বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি, বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতি, রংপুর জেলা সমিতি, বঙ্গবন্ধু আদর্শ মূল্যায়ন ও গবেষণা সংসদ, জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠাসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বিজ্ঞানে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্যার জগদীশচন্দ্র বসু সোসাইটি তাঁকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করে।

ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যকাণ্ডের সময় জার্মানিতে ছিলেন। এর পর টানা প্রায় সাত বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরেন। কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল তাঁর সন্তান।

প্রতি বছরের মতো এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মাধ্য দিয়ে পালিত হবে দিনটি। দিনটি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ রংপুর মহানগর, পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, ড. ওয়াজেদ মিয়ার পরিবার, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সংগঠন, ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদ ও ড. ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন ফাতিহা পাঠ, কবর জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল ও গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী এ বিজ্ঞানী ২০০৯ সালের ৯মে ইন্তেকাল করেন। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী। ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদীঘির ফতেহপুর গ্রামে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার জন্ম। বাবা আবদুল কাদের মিয়া ও মা ময়েজুন্নেসার চার ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ।

ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন।

১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসাবে ১৯৬১-৬২ শিক্ষা বছরের জন্য হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন।

ড. ওয়াজেদ মিয়া অনেক জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানবিষয়ক সম্মেলনে অংশ নেন। তার গবেষণামূলক ও বিজ্ঞানবিষয়ক অনেক প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকায় এবং সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

তাদের এক ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং এক মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। মৃত্যুর পর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।


আরও খবর



কোনাপাড়া আল আমিন রোডে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৬৪জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃডেমরায় অসহনীয় গরম থেকে বাঁচতে বৃষ্টির আশায় আল্লাহর কাছে দোয়া ও ক্ষমা চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন কোনাপাড়া  আল-আমিন রোড এলাকার মুসল্লিরা। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ডেমরা থানা এলাকার কোনাপাড়া  আল-আমিন রোড প্রধান সড়কে সালাতুল ইসতিসকারের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

এলাকার মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় ইসতিসকার সালাত আদায় ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন কোনাপাড়ার দোতলা মসজিদ খ্যাত বাইতুল তাকওয়া জামে মসজিদের  ইমাম ইমামুল হাসান।

সালাত আদায়ের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই দলে দলে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নামাজে অংশগ্রহণ করতে আল আমিন রোড প্রধান সড়কে একত্রিত হন।সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায়ের জন্য এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রধান সড়ক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নসহ আগত মুসল্লিদের জন্য সুপেয় পানি ও শরবতের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় কোনাপাড়া, ডগাইর এলাকাসহ আশপাশের মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন ও মুসল্লিরা সালাতুল ইসতিসকার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চোখ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ রোগীদের মতোই লাইনে দাঁড়িয়ে ১০ টাকার টিকিট কেটে চোখ দেখালেন।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকেট সংগ্রহ করেন এবং চোখ পরীক্ষা করান।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সারওয়ার ই আলম সরকার তা নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



বাকেরগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image
রবিউল ইসলাম বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি:বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪নং নিয়ামতি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ঢালমারা গ্রামে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মা, মেয়ে ও ছেলে নিহত হয়েছে। 

সূত্রে জানা যায়, ২৭ এপ্রিল শনিবার বেলা ১২:৩০ টার দিকে রিয়াজ মোল্লার স্ত্রী সোনিয়া বেগম (৩০) মেয়ে রেজভী আক্তার (৯) ছেলে সালমান (৫) বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিহতের এই ঘটনা ঘটে। 

পার্শ্ববর্তী বাড়ির ফরিদা বেগম জানান, রিয়াজ মোল্লার  বাগানের ভিতর দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের তার পার্শ্ববর্তী বাড়িতে যায় সেইতার দুদিন পূর্বে ছিড়ে বিভিন্ন গাছ সহ  মাটিতে পরে ছিল। দুপুর ১২:৩০ টার দিকে রিয়াজ মোল্লার (৫) বছরের  ছেলে সালমান গাছ থেকে লেবু পারতে   গেলে প্রথমে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়, সালমানের চিৎকারে  তার মা সোনিয়া বেগম (৩০)  সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। মা ও ভাইকে খুঁজতে গিয়ে (৯) বছরের রেজভী আক্তার বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পার্শ্ববর্তী বাড়ির আমেনা বেগম বিদ্যুতের তারে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার চেঁচামেচি করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে অবহিত করেন। বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার পরে তাদের নিথর মরদেহ  উদ্ধার করা হয়। রিয়াজ মোল্লার সংসারে দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।  স্থানীয়দের দাবি বাকেরগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের অবহেলায় মা ছেলে মেয়ের সহ  তিনজন নিহত হয়েছে। 

বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ ১ বাকেরগঞ্জের জোনাল অফিসের  ম্যানেজার (ডিজিএম) গোবিন্দচন্দ্র  শনিবার বিকেলে আমাদের সময়কে জানান  তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ঢাকা থেকে তাদের একটি তদন্ত টিম  গঠন করা হয়েছে এবং বরিশালে  তাদের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে তদন্ত টিমের রিপোর্ট পেয়ে প্রকৃত  ঘটনা উন্মোচন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন জানান, ঘটনা শোনার পরপরই  ফোর্সসহ  ঘটনাস্থলে তিনি গিয়েছেন। এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। নিহতের  ঘটনায় অপমৃত্যু  মামলা রুজু  করা হবে।

আরও খবর



সরকার ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে স্থানীয়ভাবে টিসিবির মাধ্যমে সরকার। মোট খরচ পড়বে ১৮২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। সায়বিন তেলের এরকম আরও কয়েকটি ক্রয় প্রস্তাবসহ উত্থাপিত ১২টি প্রস্তাবের সবগুলোই অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা।

বুধবার (৮ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মাহমুদুল হোসাইন এ তথ্য জানান।

মাহমুদুল হোসাইন জানান, টিসিবির মাধ্যমে ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান তেলও কিনবে সরকার, যার মোট খরচ পড়বে ৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এবার স্থানীয়ভাবে সংগ্রহের ক্ষেত্রে টিসিবির গুরুত্বই বেশি।

তিনি জানান, সংস্থাটির মাধ্যমে ৩ দফায় যথাক্রমে ৬ হাজার মেট্রিক টন, ১০ হাজার মেট্রিক টন ও ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনবে সরকার। যার দাম পড়বে যথাক্রমে ৬১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ও ৬০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

মাহমুদুল হোসাইন আরও জানান, বরাবরের মতো সারও কিনবে সরকার। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কিনবে, যার খরচ পড়বে ৯৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। একই পরিমাণ ইউরিয়া সার কেনা হবে কাতার থেকে, যার মোট খরচ ৯৩ কোটি ২২ লাখ টাকা।

সচিব বলেন, তিন কার্গো এলএনজি কেনা হবে। দুই কার্গো কেনা হবে সিঙ্গাপুর থেকে, দুটোরই দাম পড়বে যথাক্রমে প্রতি ইউনিট ১০ দশমিক ৪৬ মার্কিন ডলার করে। তৃতীয় কার্গো কেনা হবে কাতার থেকে প্রতি ইউনিট মার্কিন ডলার দরে।


আরও খবর