Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দেশের আট জেলায় শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশেই গত কয়েকদিন ধরে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। ঘন কুয়াশায় রোদের দেখা না মেলায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান কমে গিয়ে দেশের আট জেলায় শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে।

গতকাল বুধবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ১ থেকে কমে হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীতে ১০, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৫, দিনাজপুরে ৯ দশমিক ৮, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৯ দশমিক ৬, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০, চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ২ ও কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া বিভাগ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে হামিদ মিয়া বলেন, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে


আরও খবর



মাগুরায় লাজ নয় জানতে চাই শ্লোগানে মেয়েবেলা কর্ণার চালু কিন্তু তদারকির অভাব

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগের  উদ্যোগ ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জেলার ১৬ টি বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চলছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ থেকে এ প্রকল্প মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালুর মাধ্যমে শুরু হয়। পরবর্তীতে  ১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ থেকে বাকি  ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে "লাজ নয়; জানতে চাই" স্লোগানে "মেয়েবেলা কর্নার" চালু এবং উক্ত মেয়েবেলা কর্নারসমূহে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। তবে বেশিদিন নয় অল্পদিনে কার্যক্রমে ভাটা পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যেসব বিদ্যালয়ে এ প্রকল্প চলছে তা হচ্ছে

মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, 
বাবুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,. নহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শালিখা উপজেলার
বাউলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, 
সীমাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, 
তালখড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীপুর উপজেলার  বরিশাট কাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, 
শ্রীপুর হুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,  মাগুরা সদর উপজেলার
শিবরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, 
শেখপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, 
 জাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, 
বড়শলই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
জগদল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, 
শিরিজদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,

কতৃপক্ষ জানান, এসব মেয়েবেলা কর্নারে স্থাপিত ভেন্ডিং মেশিন ব্যবহার করে বিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজন মতো স্যানিটারি ন্যাপকিন সংগ্রহ করতে পারবে। 

এ সম্পর্কে জেলা প্রশাসক,  মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ বলেন, মেয়ে শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তারা যেন অল্পবয়স থেকেই স্বাস্থ্য সচেতন হয়,  সেটাই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।

আরও খবর



দেশের বৃহৎ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর- এ শহীদ মাঠে ৬ লাখ মুসল্লির একসাথে নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর প্রতিনিধি:যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ-ও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলার মুসল্লিদের অংশগ্রহনে উপমহাদেশের বৃহৎ ঈদগাহ ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে দেশের বড় ঈদের জামাতে লাখো লাখো মুসল্লিরা একসাথে নামাজ আদায় করেছেন। রোদের তীব্রতা উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে দেশের বৃহৎ এই ঈদের জামাতে ৬ লাখ মুসল্লি একসাথে ঈদ-উল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন বলে আয়োজকদের দাবী।

ঈদের দিন বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলাসহ দুরদুরান্ত থেকে আসার ঢল নামে মুসল্লিদের। দুটি বিশেষ ট্রেন সার্ভিসে ছাড়াও মুসল্লিরা বিভিন্ন যানবাহনে ও পায়ে হেঁটে ঈদগাহ মাঠে আসেন। এসময় শহরের সব রাস্তাগুলো যেন একমুখী হয়ে যায়। ঈদের দিন সকাল ৯টায় এই ঈদের জামাতের ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল ইসলাম কাশেমী। নামাজ আদায় শেষে মোনাজাতে দেশ এবং মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করা হয়।

বৃহৎ এই জামাতে অংশ নেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি(ভারপ্রাপ্ত) এম ইনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ, দিনাজপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনতা।

নামাজ শেষে বৃহৎ এই ঈদগাহ মাঠ ও মিনার নির্মাণের উদ্যোক্তা এবং পরিকল্পনাকারী হুইপ ইকবালুর রহিম জানান, এই জামাতে একসঙ্গে ৬ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেছেন। নিরাপত্তার ব্যাপারে ছিল জিরো টলারেন্স। সফলভাবে ঈদের জামাত সম্পন্ন হওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি। দিন দিন এই জামাতে মুসল্লীর সংখ্যা বাড়ছে।

এইবার ভারত থেকে নামাজে অংশ নিয়েছেন মুসল্লী। দিনাজপুর ছাড়াও ঢাকা, নীলফামারী, জয়পুরহাট, বগুড়া, ঠাকুরগাঁ, রংপুর জেলাসহ আশেপাশের অনেক মুসল্লি বাস, কার, মাইক্রো, জীপ এবং মোটরবাইকে করে এই ঈদ জামাতে অংশ নেন।

ভারতের গঙ্গারামপুর থানা থেকে আসা ওসমান আলী জানান, টিভি অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এতবড় মাঠ ও এত মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করে। এতে আমারও ইচ্ছা হয়। তাই এবার এখানে নামাজ পড়ার জন্য এসেছি।এত মানুষের একসাথে এটাই আমার প্রথম নামাজ। এখানে নামাজ আদায় করতে পেরে খুব খুশি।

নামাজ আদায় করে একইরকম অনুভূতি প্রকাশ করে ঢাকার রামপুরার বনশ্রী নিবাসী হাজী মোঃ আব্দুল আলী বলেন, এশিয়ার বড় জামাতের কথা শুনে ঈদের নামাজ আদায় করতে এসেছি। এটি আসলেই বৃহৎ জামাত। এতবড় জামাতে নামাজ আদায় করেছি সওয়াবের আশায়।ঢাকা থেকে মোঃ ইমরান কবির ও মোঃ রাতুল বলেন, ঈদের কারণে যানবাহন পেতে সমস্যা হয় দেখে ইচ্ছা থাকলেও অনেকে নামাজ আদায় করতে আসেন না। যদি প্রতিটি জেলা থেকে বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে মুসল্লি আরও বাড়বে। ভবিষ্যতে এখানে মুসল্লিদের সংখ্যা আরও বাড়বে।রংপুর থেকে আসা অলিউল ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্যসহ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, ডিবি, ডিএসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করেন। মাঠে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। ছিল ঈদগাহের মাঝে র‌্যাবের ওয়াচ টাওয়ার, প্রবেশের পূর্বে মুসল্লিদের আনা যানবাহন রাখার বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশী ব্যবস্থা। মাঠে মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশির পর প্রবেশ করানো হয় মুসল্লিদের।

উল্লেখ্য, উপমহাদেশের বৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। ২০১৭ সালে নির্মিত ৫২ গম্বুজের এ ঈদগাহ মিনার। এই ৫০ গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে। ঈদগাহ মাঠের মিনারের প্রথম গম্বুজ অর্থাৎ মেহেরাবের (যেখানে ইমাম দাঁড়াবেন) উচ্চতা ৪৭ফুট। এর সঙ্গে রয়েছে আরও ৪৯টি গম্বুজ। এছাড়া ৫১৬ফুট লম্বায় ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়। মিনার সিরামিক্স ইট দিয়ে আচ্ছাদিত। রাতে আলোকিত করতে প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইটিং। ২০১৭সাল থেকে প্রতিবছর এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এই গোর-এ শহীদ মযদানে একসঙ্গে ১০লাখ মানুষ ঈদের জামাত আদায় করতে পারার ব্যবস্থা রয়েছে। উপমহাদেশে এত বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই। এছাড়াও পর্যটকদের কাছেও এটি এখন দর্শনীয়।


আরও খবর



পুঠিয়ায় আগুনে পুড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি:রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের আজিরন(৫৫) নামের এক মহিলার বাড়ি আগুনে পুড়ে ছায় হয়েগেছে। এলাকা বাসি সূত্রে জানা গেছে,  গত রাত্রি ১ টার সময়  প্রথমে রান্না ঘরে আগুন লাগে।পরে আস্তে-আস্তে শোয়ারঘরেও গেলে যায়।বুঝতে পেয়ে চিৎকার দিলে এলাকা বাসি এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করতে থাকে।পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ সময়ের মধ্যেই শোয়ার ঘরসহ গোয়াল ও খড়িরঘর পুড়ে ছায় হয়ে যায়া এতে ঘরে রাখা দেড় লাখ টাকা ও আসবাবপত্র পুড়ে ছায় হয়ে  যায়।



আরও খবর



কুষ্টিয়ায় কৃষি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে ইউসিবির দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) কুষ্টিয়া জেলার ৬টি উপজেলার প্রায় ২৫০জন নির্বাচিত কৃষিউদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও কৃষিতথ্য বিশ্লেষক রেজাউল করিম সিদ্দিক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো: টিপু সুলতান, জেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. কিশোর কুমার কুন্ডু, সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: শরীফ হাসান সোহাগ, ইউসিবির এমএমই ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মো মোহসিনুর রহমান, বিভাগীয় প্রধান মো. মোল্লা মাসুদ পারভেজ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন ইউসিবির শাখা ব্যবস্থাপক মো. শরিফ হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এটিএম তাহমিদুজ্জামান বলেন, বাণিজ্যিক কৃষির বিকাশ ও দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা প্রান্তিক কৃষকদের দোরগোড়ায় হাজির হয়েছি। কৃষক যাতে সহজ শর্তে ঋণ গ্রহণ করে তাদের কাঙক্ষিত ফসল উৎপাদন ও বাজারজাত করতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই আমরা প্রতিটি জেলায় কৃষি উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করছি। আমরা আমাদের প্রকল্পের নাম দিয়েছি ‘ভরসার নতুন জানালা’। আমরা মূলত প্রান্তিক কৃষকদের মনে ভরসা জাগাতে চাই। কৃষকদের পাশে দঁড়াতে চাই।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও কৃষিতথ্য বিশ্লেষক রেজাউল করিম সিদ্দিক বলেন, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে চাইলে কৃষি উদ্যোক্তা তৈরির বিকল্প নেই। কোন ফসল কখন লাগাতে হবে, কোন জাতের বীজ বপণ করতে হবে, কখন তার ভালো দাম পাওয়া যাবে, কীভাবে বাজারজাতকরণ করতে হবে-এই জ্ঞান না থাকলে কৃষিতে সফল হওয়া যাবে না। নিজের উন্নতির জন্য কৃষকদের উদ্যোক্তা হতে হবে, উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যবসায়িক জ্ঞান, কারিগরি জ্ঞান, দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ইউসিবি সেই কাজটিই করার চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে কৃষিখাতে সহায়তা প্রদানের জন্য ‘ভরসার নতুন জানালা’ নামে একটি বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪ জেলায় প্রতিটি উপজেলা থেকে নির্বাচিত কৃষি উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪৫ জেলায় এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এসব প্রশিক্ষণে উদ্যোক্তা হিসেবে বিকাশের জন্য করণীয়, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, তথ্যপ্রাপ্তি, মূলধন, বাজারজাতকরণ, সরকারি কৃষি প্রণোদনা সহায়তা পাবার পথ-পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কৃষি-উদ্যোক্তাদের ধারণা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠান শেষে ইউসিবির পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের উপহার হিসেবে উন্নত মানের সবজি বীজ, সারসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রদান করা হয়।


আরও খবর



মাগুরায় জার্নালিষ্ট নেটওয়ার্কের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরা জার্নালিষ্ট নেটওয়ার্কের উদ্যোগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাগুরা জার্নালিষ্ট নেটওয়ার্ক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ ইফতার মাহফিলে সংগঠনের আহবায়ক রবীন সামস, সদস্য সচিব রূপক আইস, মাগুরা জেলা  টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন এর সদস্য সচিব ইলিয়াস মিথুন, একুশে টেলিভিশনের মাগুরা প্রতিনিধি এড, মাসুম বিল্লাহ, প্রথম আলোর মাগুরা প্রতিনিধি কাজী আশিক রহমান, এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের মাগুরা প্রতিনিধি সুজন মাহমুদ, ডিবিসি টেলিভিশনের মাগুরা প্রতিনিধি ফয়সাল পারভেজসহ  বিভিন্ন টেলিভিশন ও গন মাধ্যমের ২০ জন সাংবাদিকসহ অন্যান্যরা  মাহফিলে অংশ নেয়। 


আরও খবর