Logo
আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

দেশে মোট ভোটার প্রায় ১২ কোটি, জানাল ইসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার বিকেলে এই তালিকা প্রকাশ করেন পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর।

একেএম হুমায়ূন কবীর সাংবাদিকদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের জন্য চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন, নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন এবং ৮৫২ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

তিনি জানান, কমিশন নতুন করে কাউকে ভোটার করার অনুমতি দিলে এই সংখ্যা সামান্য বাড়তে পারে।

গত ২ মার্চ হালনাগাদ শেষে ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট ভোটার ছিল ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এরপর সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভোটার হওয়ার আবেদনের সুযোগ দিয়েছিল ইসি। এতে দেশে নতুন করে মোট ৫ লাখ ৪০ হাজার ১৯৩ জন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন। সে হিসেবে পাঁচ বছরে দেশে ভোটার বেড়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৬ জন।

এ ছাড়া আজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনরে আসনভিত্তিক ভোটার তালিকার সিটি চূড়ান্ত করেছে ইসি। এ তালিকা অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে তিন সদস্যের এই কমিটি মূলত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে।


আরও খবর



প্রচন্ড গরমে স্বস্তি পেতে ফুটপাতের শরবতের দোকানে ভীর

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:প্রচন্ড গরমে সৈয়দপুরের মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। প্রচন্ড তাপ আর ভ্যাপসা গরমে শরীর পুড়ে যাওয়ার ভয়ে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার চিন্তাও কেউ করছেন না।কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকের ঘরে থাকার উপায় নেই। তাপমাত্রা যতই থাকুক,দেশ ও জনগনের খোঁজ খবর রাখতে তাদের বাড়ির বাইরে বের হতেই হবে। অন্য দিকে জীবিকার তাগিদে দিনমজুরদের ঘরে থাকার ও উপায় নেই। প্রচন্ড তাপমাত্রায় একটু স্বস্তি দিতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসেছে শরবতের দোকান।


২৯ এপ্রিল দুপুর বেলায় শহরের অসহায় মানুষের খোঁজ খবর ও তথ্য পাত্ত সংগ্রহ শেষে ক্লান্ত শরীরে ফুটপাতের শরবতের দোকানে ভীর করেন মাটি ও মানুষের নেতা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন।। তার সাথেই ছিলেন স্হানীয় একাধিক সাংবাদিক। প্রচন্ড গরমে একটু স্বস্তি পেতে পান করেন ফুটপাতের শরবত।

এছাড়া শহরের প্রায় ১০ টি স্পটে খোলা হয়েছে সরবতের দোকান। অনেকে ভ্যানে করে বিক্রি
করছেন স্কুল কলেজ ও মহল্লায় মহল্লায় গিয়ে।  দই, বেল ও হরেক রকম সুস্বাদু ও সুগন্ধি দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে শরবত। সকাল ১১ টার পর থেকে বিকাল ৪/৫ পর্যন্ত ওইসব শরবতের দোকানে থাকছে প্রচন্ড ভীড়। 

২৯ এপ্রিল দুপুরে শহরের পোষ্ট অফিসের সামনে শরবত বিক্রেতা নাসিম বলেন, প্রায় ১০/১২ দিন থেকে লাগাতার গরম পরছে। একারনে মানুষ গরম থেকে সামান্য একটু স্বস্তি পেতেই শরবত পান করতে আসছেন। বিক্রি ও হচ্ছে প্রচুর।সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৪/৫ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ গ্লাসেরও বেশি শরবত বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, এক গ্লাস দই এর সরবত ১০ টাকা, আর বেলের শরবত ২০ টাকা করে দেয়া হচ্ছে। 

শহরের ১ নং রেলঘুমটি সংলগ্ন আজমলের দোকানে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ফলের শরবত। ইসবগুল এর ভুষি, ও তোকমার সাথে আপেল সহ বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস মিশিয়ে বিক্রি হচ্ছে শরবত।আর এই শরবত ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এক গ্লাস।

তবে অনেকেই এসব শরবত নিয়ে প্রস্ন তুলছেন। কারন তাদের ব্যবহার করা করা আর বরফ স্বাস্থ্য সম্মত কি নয়। এনিয়ে দোকানী আজমল বলেন,আমি শরবতে যে পানি ব্যবহার করছি সেটি ফুটানো পানি।এর সাথে বাড়ির ফ্রিজের বরফ মিশ্রন করা হচ্ছে। 

সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন বলেন, আমরা মাঝে মধ্যে গরমে নেতা কর্মী ও সাংবাদিকদের নিয়ে ফুটপাতের শরবতের দোকানে শরবত পান করি। আজ পর্যন্ত নোংরা কিছু চোখে পড়েনি। 

তবে ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন, সবই ঠিক আছে কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে শরবতের ওই পানিটাই যেন মানুষের অসুস্থতার কারন হয়ে না দ্বাড়ায়।কারন খোলা থাকা পানিতে অল্পতেই জিবানু বাসা বাঁধতে পারে। সাবধানতার সাথে এসব পান করতে তিনি পরামর্শ দেন।

আরও খবর



মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচন প্রার্থী আনারুল ইসলামকে শোকজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে আচরনবিধি লংঘনের অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগটনিক সম্পাদক ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনারুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন সদর-মুজিবনগর রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কর্মকর্তা মো: ওয়ালিউল্লাহ। আজ শনিবার বিকেলের মধ্যেই স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে তার জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। 

নোটিশে বলা হয়, নির্বাচনী আচরনবিধি মালা ২০১৬ এর বিধি ১৮ এর (ঘ) এবং বিধি ৩১ অনুযায়ী তাহার পক্ষে উস্কানীমূলক বক্তব্য বা বিবৃতি, অর্থ, অস্ত্র, পেশিশক্তি কিংবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাবে না। আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামে মতবিনিময় সভায় আপনার কর্মী সমর্থকেরা উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেছে। যা ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘন করেছে। 

উপজেলা নির্বাচন বিধিমালা ২০১৬ এর ১৮ (ঘ) এবং ৩১ বিধি লংঘনের দায়ে আপনার বিরুদ্ধে কেন আইনুনাগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা আগামী ০৪.০৫.২৪ তারিক বিকেল ৪টার মধ্যে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে স্বশরিরে হাজির হয়ে লিখিত আকার বাখ্য প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো।

এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল বলেছিলেন, ৮ তারিখের নির্বাচনে শুধুমাত্র আনারুল ইসলামের ( মোটরসাইকেল প্রতিক) ছাড়া অন্য কোন এজেন্ট থাকতে পারবে না। এই আশরাফপুর গ্রামে কোন এজেন্ট থাকবে না। শুধু আনারুল ভায়ের মার্কায় সিল মারা হবে। আর কোন মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না।

ইকবাল হোসেন তাঁর ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড বক্তব্যে তিনি এমন কথা বলেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন বলেন, নির্বাচন কার্যালয় থেকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া গেছে। নোটিশের ব্যপারে আইননুসারে বাখ্যা দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত: আগামী ৮ মে প্রথম দফায় সদর এবং মুজিবনগর এবং দ্বিতীয় দফায় ২১ মে গাংনী উপজেলায় ভোট গ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



ধরা ছোঁয়ার বাইরে চোরচক্র আক্কেলপুরে একই রাতে ৮টি মিটার চুরি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক রাতে চিরকুটে ফোন নাম্বার ও সিরিয়াল লিখে পাশাপাশি দুইটি ফসলী মাঠের ৮টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার তিলকপুর ও সোনামুখী ইউনিয়নের পাশাপাশি কাদোয়া ও গণিপুর জাফরপুর মাঠে ঘটে। একই কায়দায় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নে ৬টি মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। ফোন নাম্বর থাকা সত্বেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে চোরেরা।

রোববার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে নলকুপ মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের কাদোয়া গ্রামের শহীদুল ইসলামের গভীর নলকুপের দুইটি, মাসুদ রানার একটি, সোনামুখী ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের একটি, এনামুল হকের একটি, আবু সালেকের একটি, আব্দুর রহমানের একটি ও রামশালা গ্রামের সিরাজ মৃধার একটিসহ মোট আটটি গভীর নলকুপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। সকল মিটার তালাবদ্ধ লোহার খাঁচা ভেঙে নিয়ে যায় তারা। সকল মিটার গুলো চুরির পর সেখানে কাগজের চিরকুটে ০১৯৭৪-১৪৫১০৯ নম্বর লিখে রেখে যায় চোর চক্রের সদস্যরা। প্রতিটি মিটারে তারা আলাদা একটি সিরিয়াল নম্বরও লিখে রাখে। পরে নলকূপ মালিকরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে বিকাশ অথবা নগদ একাউন্টে ৮ হাজার টাকা দাবি করে তারা। অন্যথায় আবারও মিটার চুরি করা হবে বলে হুমকি দেয় চোরেরা। ওই দুটি মাঠে প্রায় ৭০ হেক্টর ইরি বোরো ধানের ক্ষেত রয়েছে। এতে উৎপাদন ব্যহত হওয়ার শঙ্কায় দিন পার করছেন ওই মাঠের কৃষকরা।

আরও জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়ন থেকে এক রাতে ছয়টি গভীর নলকুপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেও ব্যবহার করা হয়েছিল সিরিয়াল ও ফোন নাম্বার । ফোন নাম্বার থাকা সত্তে¦ও চোর ধরতে না পারায় সেচ পাম্প মালিক ও জনসাধারণের মনে জন্ম নিয়েছে নানা প্রশ্ন।

জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্যিক সংযোগের মিটার নিতে প্রায় ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়। বর্তমানে ওই অফিসে তিন ফেইজ মিটার মজুদ নেই। এছাড়াও  প্রতিটি বৈদ্যুতিক মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরির প্রতিটি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে চোর শনাক্ত ও চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি আক্কেলপুর জোনাল অফিসে। কিছু গ্রাহক টাকার বিনিময়ে চোরের কাছ থেকে ফেরৎ নিয়েছে মিটার। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ওই দুইটি ইউনিয়নের আটটি গভীর নলকুপের সেচ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭০ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত হচ্ছে ইরি বোরো ধান। মিটার চুরির ঘটনায় এই সব জমিতে সেচ বন্ধ থাকায় ধান উৎপাদন ব্যহত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কৃষি দপ্তর ও কৃষকরা।

জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মোহা. আব্দুর রহমান বলেন, মিটার চুরির বিষয়ে গভীর নলকুপের মালিকরা জানিয়েছেন। থানায় মামলা দায়ের করা হবে। এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া কোন মিটার উদ্ধার সম্ভব হয়নি।  গভীর নলকূপের সংযোগ তিন ফেইজের হয়। মামলার পাশাপাশি চুরি রোধে গ্রাহকদের স্থায়ীভাবে ট্রান্সফরমার এবং মিটার পাহারা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং গ্রাহক সচেতনতায় এলাকায় মাইকিংও করা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই চুরি রোধ হচ্ছে না।

তিলকপুর ইউনিয়নের কয়া গোপীনাথপুর গ্রামের গভীর নলকূপের মালিক মাসুদ রানা বলেন, গভীর রাতে বৈদ্যুতিক মিটারের তালা বদ্ধ লোহার খাঁচা ভেঙে মিটার চুরি করে সেখানে একটি চিরকুটে বিকাশ মোবাইল নম্বর লিখে রেখে যায়। ওই নম্বরে ফোন করলে চোরেরা বলে ৮ হাজার টাকা দিতে হবে, না হলে আবারও মিটার চুরি করা হবে। 

কৃষক আতিয়ার রহমান বলেন, প্রচন্ড গরমের মধ্যে এমনিতেই ধানের জমিতে পানি শুকিয়ে যায়। এ সময় ধানে দানা ধরতে শুরু করেছে। এখনি পর্যাপ্ত সেচ না দিলে ধান চিটা হয়ে নষ্ট হবে। আমরা উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে দিন পার করছি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, এই সময় ধানের জন্য পানি অতীব জরুরী। সাত দিনের মধ্যে জমিতে পানি সেচ না দিতে পারলে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হবে। এছাড়া তীব্র তাপদাহের কারণে জমিতে তিন ইঞ্চি পরিমান পানি রাখতে পরামর্শ দিচ্ছি।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নয়ন হোসেন বলেন, মিটার চুরির বিষয়ে খবর পেয়েছি। চোর চক্রদের ধরতে আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাদের শনাক্ত করতে দ্রুত আমরা সক্ষম হবো।
মিটার চোরদের এখনো ধরতে না পারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমি নতুন এসেছি। তাদের বিষয়ে বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আরও খবর



নাসিরনগরে সালীশে কথা কাটা কাটি ছুঁড়ি ঘাতে আহত দুই

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃনাসিরনগরে জমি ও পুকুর নিয়ে সালীশে কথা কাটা কাটির জের ধরে সালীশ কারকদের সামনেই দুই সহোদর পাবেল ও রুবেলকে  ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।আহতরা এখন হাসপতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।ওই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার  পূবর্ভাগ ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামে।জানা গেছে  গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে প্রতিবেশী ওসমান,জমসু,মারুফ ও ফরুকের পুকুর ও জমি নিয় সংঘর্ষ হয়।এ সংর্ষ শেষ করতে ঘটনার তারিখে গ্রামের ও পাড়ার সর্দার মাতাব্বররা  মিলে একটি সালীশের আয়োজন করে।সালীশের শেষ পর্যায়ে,জমসুর মিয়ার ছেলে এংরাজ মিয়া, এংরাজের ছেলে তারেক মিয়া,আহাদ মিয়া, আহাদ মিয়ার ছেলে সেলিম মিলে তাদের হাতে থাকা ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে হাবিবুর রহমানের দুই ছেলে পাবেল ও রুবেলকে সালীশকারকদের সামনে ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে পিটে মারাত্বক ভাবে আহত করে।আহত দুই সহোদর এখন নাসিরনগর সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সরে জমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র।

হাবিবুর রহমান জানায় তারা প্রভাবশালী হওয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আমার জমি ও পুকুর দখল করে রেখেছে।আমি দুর্বল মানুষ।আমার ছেলেরা বাড়িতে থাকে না।তারা ঢাকায় কেউ চাকুরী আর কেউ ব্যবসা বাণিজ্য করে।তারা বড় গোষ্টির লোক ও প্রভাবশালী হওয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আমার পরিবারের লোকজনের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে।এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চায়।

- খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মির্জাপুরে মাদকাসক্ত তরুণের করুন মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:"নেশা খাবি খা, মারা যাবি যা।" মাদকবিরোধী এই সত্য এবং কঠিন স্লোগানের একটি বাস্তব ঘটনা ঘটলো টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার আনাই তারা ইউনিয়নের চামারি ফতেপুর গ্রামের মৃত যুধিষ্ঠির বসাকের বড় ছেলে সুব্রত বসাক (৩৮) এর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। ১৪ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক তিন টার সময় সুব্রত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুব্রত বসাক মাদকাসক্ত ছিল। প্রতিদিন সে মাদক সেবন করে গভীর রাতে ঘরে ফিরত। এ নিয়ে তার স্ত্রী পূজা'র (৩০) সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো এবং স্ত্রীকে মারধর করত। পূজা বলে, ঘটনার রাতে সে বারোটার দিকে নেশা করে ঘরে ফিরে। কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে পুনরায় রান্নাঘরে ঢুকে হিরোইন সেবন করে। এরপর ঘরে ঢুকে বিছানায় শুয়ে ছটফট করতে থাকে।কিছুক্ষণ পর নিরব হয়ে যায়। শ্রী পূজা ভাবে সুব্রত ঘুমিয়ে পড়েছে। এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে । সকালে সুব্রতর দেহে হাত দিয়ে দেখে নিস্তেজ হয়ে গেছে। তার চিৎকার চেঁচামেচিতে আত্মীয়-স্বজন নিকটস্থ জামুর্কি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

উল্লেখ্য, ছয় বছর পূর্বে সুব্রত বিয়ে করে। তার আড়াই বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। পেশায় সে একজন সিএনজি চালক ছিল। দুই মাস পূর্বে তার সিএনজি বিক্রি করে দেয়। স্ত্রী পূজা আরো জানায়, গত বছর সে মাদকসহ গ্রেফতার হয়ে মানিকগঞ্জে জেল খেটেছে। নিজের স্বর্ণালংকার বিক্রি করে তাকে জেল থেকে বের করে আনে। সুব্রত হিরোইন, ইয়াবা এবং গাঁজায় আসক্ত ছিল। স্বামীর অকাল মৃত্যুতে এক কন্যা সন্তান নিয়ে পূজা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।


আরও খবর