নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ জনের। এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ৪৫ দিনে করোনায় দেশে আর কোনো মৃত্যু হয়নি।
আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৪৬ জন। আর মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ১৪ জনের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬২৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১৬২৮টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৮২১ জন।
প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
নিজস্বপ্রতিবেদক:দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরও আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা, বিশ্বাস, জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে বলে দাবি করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতারা তাকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। ৪২ বছর আগে ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি দেশে ফেরেন।
এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে এবং এই দলটির মাধ্যমেই দেশের প্রতিটি অর্জন এসেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন এবং এটি জনগণের জন্য কাজ করবে, এটাই আমাদের একমাত্র অঙ্গীকার।
বাকি দলগুলোকে লুটেরা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা কখনোই জনগণের কল্যাণে কাজ করে না। তাই সন্ত্রাসী, খুনি বা যুদ্ধাপরাধীদের দল যাতে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে- সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, ভোট চোর ও ডাকাতরা এখন দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছে। এখন আমাদেরকে তাদের (ভোট চোরদের) কাছ থেকে গণতন্ত্রের পাঠ শুনতে হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন দলটির নেতারা। ছবি: বাসস
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা সব সময়ে তাদের পাশে থাকব। আমরা তাদের জন্য আমাদের কাজ অব্যহত রাখব। আমরা জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সর্বদা তাদের পাশে থাকব। আমরা যেভাবে তাদের আস্থা অর্জন করে ক্ষমতায় এসেছি, ঠিক তেমনি আমরা তাদের জন্য আমাদের কাজ করে যাব।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তার দল জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও জনপ্রিয়তা সফলভাবে ধরে রেখেছে। যদিও ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এত দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকে জনগণের আস্থা ধরে রাখা প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আমাদের ধরে রাখতে হবে। দেশের মানুষের এই বিশ্বাস ও আস্থাই আমাদের একমাত্র শক্তি। এটা ছাড়া আমাদের আর কোন শক্তি নেই।
দেশে ফিরে শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিগত ৪২ বছরে দেশ, তথা দল গঠনের প্রচেষ্টায় তাকে সহায়তা করার জন্য দলটির সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি :রূপগঞ্জের মহাসড়ক ও হাইওয়ে সড়কে হাইওয়ে পুলিশকে মান্তিতে দিয়ে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল করছে।দেশে হাইওয়ে সড়ক ও মহাসড়কের দুর্ঘটনা এড়াতে মহামান্য আদালত হাইওয়ে ও মহাসড়কে থ্রী-হুইলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেন। এসকল সড়কে থ্রী হুইলারের নির্দেশনা থাকা সত্যেও এসকল রোডে থ্রী-হুইলার চালচল বন্ধ হয়নি।অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে নিষিদ্ধ যানবাহনের চালকরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
যে কারণে মহাসড়কে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঢাকা সিলেট মহাসড়ক ও হাইওয়ে সড়কের ভুলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকায় হাজার হাজার নিষিদ্ধ যানবাহন হাইওয়ে পুলিশকে মান্তি দিয়ে অবৈধ গাড়ির অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। মাঝে মধ্যে যে সকল গাড়ি ধরা হচ্ছে সেগুলোর খবর নিয়ে জানা যায় এটাও জানা যায় যেসকল গাড়ির মান্তি দেয়া হয় না সেগুলোর মান্তির টাকা আদায় করতে গাড়িগুলো আটক করা হয়।
রিক্সা চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় হাইওয়ে পুলিশ সড়কে তাদের আটক করে রেকার বিলের নাম করে এক হাজার করে টাকা জরিমানা আদায় করে । ভ্যান গাড়ি থেকে প্রতিমাসে এক হাজার করে টাকা হাইওয়ে পুলিশের টিআইকে দিতে হচ্ছে। মহাসড়কের ষ্ট্যান্ডগুলো থেকে হাজার হাজার টাকা মান্তি হিসাবে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে। হাইওয়ে পুলিশের মান্তির টাকা দিতে দেরি হলেই চলে গাড়ি আটকের মহড়া।
এমনই তথ্য বেরিয়ে এসেছে চালক ও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে। হাইওয়ে পুলিশের টিআই ওমর ফারুক তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হাইওয়ে পুলিশের কোন মান্তি নাই। যেসকল গাড়ি আইন অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়। যদি কেউ টাকা নেয় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্পোর্টস ডেস্ক:দুর্দান্ত মৌসুম কাটানো কিলিয়ান এমবাপ্পে টানা চতুর্থবারের মতো ফরাসি লিগ ওয়ানের বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। পিএসজির এই ফরোয়ার্ড সতীর্থ লিওনেল মেসিকে হটিয়ে পুরস্কারটি জেতেন।
১৯৯৪ সাল শুরু হওয়া এই পুরস্কারে প্রথমবারের মতো কোনো ফুটবলার টানা চারবার জিতলেন। এর আগে পিএসজির সাবেক ফরোয়ার্ড জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ টানা তিনবার জিতেছিলেন।
এই মৌসুম শেষ হতে এখনো এক ম্যাচ বাকি। তবে ইতোমধ্যে ২৮ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে আছেন এমবাপ্পে।
পুরস্কার জয়ের পর এই ফরোয়ার্ড বলেন, ‘এটা আনন্দের বিষয়, আমি সবসময়ই জিততে চাই, লিগের ইতিহাসে নিজের নাম লিখতে চাই। কিন্তু এতো দ্রুত জিততে পারব বলে আশা করিনি। আমি আগামী মৌসুমে আবার এখানে আসব।’
বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার পেয়েছেন লসের ফ্রাঙ্ক হাইস। তিনি গত দুই দশকের মধ্যে প্রথমবার ক্লাবটিকে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে তুলে এনেছেন। সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারও গিয়েছে লসের ঘরে। এবারের আসরে ১৫ টি ম্যাচে কোনো গোল হজম করেননি ক্লাবটির গোলরক্ষক ব্রাইস সাম্বা।
এছাড়া সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন পিএসজির লেফট-ব্যাক নুনো মেন্ডেস।
আব্দুল হান্নান নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া:চলছে মধু মাস জ্যৈষ্ট।যদিও ভরপুর বৃষ্টির মৌসুম এখন।কিন্তু আকাশে দেখা নেই বৃষ্টির ।বৃষ্টির বদলে চলছে প্রচন্ড খরতাপ। প্রচন্ড খরতাপের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরেও চলছে তীব্র বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা (লোডশেডিং)।গত এক মাসের অধিক সময় ধরে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। দিনে যখন তখন আর সন্ধ্যা থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ থাকছে না মধ্য রাত পর্যন্ত। কোনো কোনো এলাকায় থেমে থেমে বিদ্যুৎ আসলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না।
ফলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিদ্যুৎ না থাকার কারনে লেখাপড়া নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীদের। বয়স্ক ও শিশুরা রয়েছে মহা বিপাকে।অনেকেই আবার হয়ে পড়েছে অসুস্থ।কোন কোন জায়গা হিটষ্টোকের মত ঘটনার ও খবর পাওয়া গেছে।সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুড়ে ও বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা জানা গেছে অনেক দিন ধরেই উপজেলার চাতলপাড়, ভলাকুট কুন্ডা, গোয়ালনগর, বুড়িশ্বর,হরিপুর,ফান্দাউক,ধরমন্ডল, চাপড়তলা,গুনিয়াউক,গোকর্ণ,পূর্বভাগ ও নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন সহ তেরটি ইউনিয়নের প্রায় সব কয়টি এলাকাতেই সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ থাকছে না।
বেলা ডোবার পর পরই বিদ্যুৎ চলে যায়। মাঝেমধ্যে চলে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা। রাত ৮টার পর আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। টানা দেড় থেকে দু ঘন্টা বিরতির পর আবারো বিদ্যুৎ আসে রাত ১০টার পর।আবার হুট করে চলে গিয়ে ভোর রাতে আসে ফিরে।সপ্তাহের প্রায় প্রতি শুক্রবারই ৩৩ কেভি লাইন রক্ষণাবেক্ষণ কাজের অজুহাতে মাইকে আবার কখনো ফেসবুকে ষ্ট্যাটার্স দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে সারা দিনের জন্য বিদ্যুৎ নিয়ে যায়।প্রচন্ড খরতাপ আর ভসপা গরমে বিদ্যুতের এ লুকোচুরিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্বাভাবিক জনজীবন।
উপজেলার সব জায়গা লোডশেডিং একই সময়ে হচ্ছে না।উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। তবে সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সব এলাকায় থাকছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। পল্লিবিদ্যুৎ অফিসের তথ্যমতে নাসিরনগরে অঞ্চলভেদে লোডশেডিং থাকছে ৪-৬ ঘন্টা।তবে কোন কোন অঞ্চলের গ্রাহকের দাবী তারা বিদ্যুৎ পায়না ২০ ঘন্টা। গ্রাহকদের দাবী নাসিরনগরে এখন বিদ্যুৎ যায়না মাঝে মাঝে আসে।
প্রায়ই মাগরিব ও এশার নামাজের সময় বিদ্যুৎ না থাকায় নামাজ আদায়ে কষ্ট হচ্ছে মুসল্লিদের।এত লোডশেডিংয়ের কারন সম্পর্কে মুঠোফোনে নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলে নাসিরনগরের জন্য যে পরিমান বিদ্যুৎ থাকা প্রয়োজন আছে মাত্র এর তিনভাগের একভাগ। তাছাড়াও হঠাৎ বিদ্যুতের উৎপাদন কমে যাওয়ায় লোডশেডিং শুরু হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে ঝুঁকিতে নেই বাংলাদেশ। ঝড়টি মূল আঘাত হানবে মিয়ানমারের ওপর। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই ঝুঁকি কেটে গেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদপ্তর ভবনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ মিয়ানমারের সিটুই অঞ্চল দিয়ে প্রভাহিত হবে।
আজিজুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের মূল ঝুঁকিটা চলে যাবে মিয়ানমার অঞ্চল দিয়ে। ফলে টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের অঞ্চলগুলো ঝুঁকিমুক্ত হতে চলেছে।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার পিক আওয়ার হবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা। এ সময় দ্রুত বেগে জলোচ্ছ্বাস প্রবাহিত হবে। তখন ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়া হতে পারে, যা বর্তমানে (সাড়ে ১০টায়) রয়েছে ৬০ কিলোমিটার পার আওয়ার।’