Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দেশে খাদ্য সংকট নেই, মূল্যস্ফীতিও কমেছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর 20২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ২৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, দেশের খাদ্য গুদামগুলোতে দুই মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। কোথাও কোনো খাদ্য সংকট নেই। মূল্যস্ফীতিও কমে এসেছে।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী  এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভা হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আজকের একনেক সভায় ৪ হাজার ৮২৬ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় ব্যয়ে ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২ হাজার ৩৪১ কোটি ২ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ২ হাজার ২০৭ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৭৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে কুমিল্লা সড়ক বিভাগাধীন ৪টি জেলা মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প, লেবুখালী-বাউফল-গলাচিপা-আমড়াগাছিয়া জেলা মহাসড়কের  ৭০তম কিলোমিটারে রাবনাবাদ নদীর ওপর গলাচিপা সেতু নির্মাণ প্রকল্প এবং ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্লান শীর্ষক সিএমএ প্রকল্প। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপকূলীয় শহর জলবায়ু সহিষ্ণু প্রকল্প, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন প্রকল্প, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা নিরাপত্তা আধুনিকায়ন প্রকল্প, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্প।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন প্রমুখ।


আরও খবর



খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি জোগায়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:যখনই সরকারে এসেছি তখনই চেষ্টা করেছি খেলাধুলার প্রতি আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও বেশি অনুরাগী করতে,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । কারণ খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি দেয়। দেশপ্রেম শেখায়, আনুগত্য শেখায় এবং একই সঙ্গে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলা ও পুরস্কার বিতরণ হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চাই ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠুক। খেলাধুলায় আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি আগ্রহী হয়ে অংশগ্রহণ করে, আমাদের দেশীয় খেলাধুলাকেও সমানভাবে সুযোগ দিতে হবে। কারণ, দেশীয় খেলাগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের মেধা বিকাশের আরও সুযোগ হবে।

তিনি বলেন, আজ আমাদের এই খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারাবিশ্বের কাছে পরিচিত করতে পারি। আমাদের ক্ষুদে ফুটবল খেলোয়াড়রা যারা আজ এখান থেকে শুরু করলো, একদিন তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি সম্মান বয়ে নিয়ে আসবে। ছেলেমেয়েরা সারাবছর যেন খেলাধুলা করতে পারে সে জন্য সরকার সব উপজেলায় একটি করে মিনিস্টেডিয়াম নির্মাণ করছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যকার ফাইনাল খেলার দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অপর ম্যাচে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে রংপুরের মিঠাপুকুর তালিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জামালপুরের মাদারগঞ্জ চরগোলাবারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

প্রধানমন্ত্রী দুই টুর্নামেন্টের বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ প্রমুখ।


আরও খবর



টাঙ্গাইলের মধুপুরে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের পুন্ডুরাগ্রামে জোরপূর্বক ছাপড়া ঘর তুলে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী বকুলের ছেলে রিপন জানান, তাদের পৈত্রিক জমি জোরপূর্বক পুন্ডুরা গ্রামের মৃত তসর শেখের ছেলে আফছার, আফছারের ছেলে শাকিল, সাকিব, হাবেজ আলীর ছেলে লালন, এলাহী, সিদ্দিকের ছেলে হানু, ইয়াদ আলীর ছেলে ছাত্তার মেকার,মৃত আফজালের ছেলে পলাশ, হাবেজের মেয়ে  কালাগেদী, দুখীনী সহ ১৫/২০ জন মিলে পুন্ডুরা গ্রামের মৃত বকুলের ছেলে রিপনদের পৈতৃক জমি জোরপূর্বক ছাপড়া ঘর তুলে বেদখল দেয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা তাদের ছাপড়া ঘর সড়াতে বললে তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে এবং আমার বকুল তলা মোড়ে মনোহরী দোকানের সাটার কুপাইয়া ক্ষতি করে। এব্যাপারে মধুপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান ভুক্তভোগী রিপন।


আরও খবর



দেশের বৃহৎ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর- এ শহীদ মাঠে ৬ লাখ মুসল্লির একসাথে নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর প্রতিনিধি:যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ-ও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলার মুসল্লিদের অংশগ্রহনে উপমহাদেশের বৃহৎ ঈদগাহ ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে দেশের বড় ঈদের জামাতে লাখো লাখো মুসল্লিরা একসাথে নামাজ আদায় করেছেন। রোদের তীব্রতা উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে দেশের বৃহৎ এই ঈদের জামাতে ৬ লাখ মুসল্লি একসাথে ঈদ-উল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন বলে আয়োজকদের দাবী।

ঈদের দিন বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলাসহ দুরদুরান্ত থেকে আসার ঢল নামে মুসল্লিদের। দুটি বিশেষ ট্রেন সার্ভিসে ছাড়াও মুসল্লিরা বিভিন্ন যানবাহনে ও পায়ে হেঁটে ঈদগাহ মাঠে আসেন। এসময় শহরের সব রাস্তাগুলো যেন একমুখী হয়ে যায়। ঈদের দিন সকাল ৯টায় এই ঈদের জামাতের ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল ইসলাম কাশেমী। নামাজ আদায় শেষে মোনাজাতে দেশ এবং মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করা হয়।

বৃহৎ এই জামাতে অংশ নেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি(ভারপ্রাপ্ত) এম ইনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ, দিনাজপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনতা।

নামাজ শেষে বৃহৎ এই ঈদগাহ মাঠ ও মিনার নির্মাণের উদ্যোক্তা এবং পরিকল্পনাকারী হুইপ ইকবালুর রহিম জানান, এই জামাতে একসঙ্গে ৬ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেছেন। নিরাপত্তার ব্যাপারে ছিল জিরো টলারেন্স। সফলভাবে ঈদের জামাত সম্পন্ন হওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি। দিন দিন এই জামাতে মুসল্লীর সংখ্যা বাড়ছে।

এইবার ভারত থেকে নামাজে অংশ নিয়েছেন মুসল্লী। দিনাজপুর ছাড়াও ঢাকা, নীলফামারী, জয়পুরহাট, বগুড়া, ঠাকুরগাঁ, রংপুর জেলাসহ আশেপাশের অনেক মুসল্লি বাস, কার, মাইক্রো, জীপ এবং মোটরবাইকে করে এই ঈদ জামাতে অংশ নেন।

ভারতের গঙ্গারামপুর থানা থেকে আসা ওসমান আলী জানান, টিভি অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এতবড় মাঠ ও এত মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করে। এতে আমারও ইচ্ছা হয়। তাই এবার এখানে নামাজ পড়ার জন্য এসেছি।এত মানুষের একসাথে এটাই আমার প্রথম নামাজ। এখানে নামাজ আদায় করতে পেরে খুব খুশি।

নামাজ আদায় করে একইরকম অনুভূতি প্রকাশ করে ঢাকার রামপুরার বনশ্রী নিবাসী হাজী মোঃ আব্দুল আলী বলেন, এশিয়ার বড় জামাতের কথা শুনে ঈদের নামাজ আদায় করতে এসেছি। এটি আসলেই বৃহৎ জামাত। এতবড় জামাতে নামাজ আদায় করেছি সওয়াবের আশায়।ঢাকা থেকে মোঃ ইমরান কবির ও মোঃ রাতুল বলেন, ঈদের কারণে যানবাহন পেতে সমস্যা হয় দেখে ইচ্ছা থাকলেও অনেকে নামাজ আদায় করতে আসেন না। যদি প্রতিটি জেলা থেকে বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে মুসল্লি আরও বাড়বে। ভবিষ্যতে এখানে মুসল্লিদের সংখ্যা আরও বাড়বে।রংপুর থেকে আসা অলিউল ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্যসহ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, ডিবি, ডিএসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করেন। মাঠে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। ছিল ঈদগাহের মাঝে র‌্যাবের ওয়াচ টাওয়ার, প্রবেশের পূর্বে মুসল্লিদের আনা যানবাহন রাখার বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশী ব্যবস্থা। মাঠে মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশির পর প্রবেশ করানো হয় মুসল্লিদের।

উল্লেখ্য, উপমহাদেশের বৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। ২০১৭ সালে নির্মিত ৫২ গম্বুজের এ ঈদগাহ মিনার। এই ৫০ গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে। ঈদগাহ মাঠের মিনারের প্রথম গম্বুজ অর্থাৎ মেহেরাবের (যেখানে ইমাম দাঁড়াবেন) উচ্চতা ৪৭ফুট। এর সঙ্গে রয়েছে আরও ৪৯টি গম্বুজ। এছাড়া ৫১৬ফুট লম্বায় ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়। মিনার সিরামিক্স ইট দিয়ে আচ্ছাদিত। রাতে আলোকিত করতে প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইটিং। ২০১৭সাল থেকে প্রতিবছর এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এই গোর-এ শহীদ মযদানে একসঙ্গে ১০লাখ মানুষ ঈদের জামাত আদায় করতে পারার ব্যবস্থা রয়েছে। উপমহাদেশে এত বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই। এছাড়াও পর্যটকদের কাছেও এটি এখন দর্শনীয়।


আরও খবর



পুলিশের ইউনিফর্ম আমার কাছে পবিত্র আমানত--সার্জেন্ট মাসুদ রহিম

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃডেমরা ট্রাফিক জোনে কর্মরত পুলিশ সার্জেন্ট মাসুদ রহিম বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যদের জন্য একটি প্রেরণার বাতিঘর বললে হয়তো বা ভুল হবে না। ট্রাফিক পুলিশের এই  অফিসার বর্তমানে ডিএমপির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মাতুয়াইল ইউলুপ এলাকায় সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও সড়ক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। তার মেধা, যোগ্যতা, সাহসীকতা ও দক্ষতা সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে।সততাও নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থেকে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে পুলিশ বাহিনীর মুখ উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছেন।পেশাদারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতায় স্বপ্রনোদিত হয়েও কাজ করতে দেখা যায় তাকে। রাস্তা পারাপারে পথচারীদের সার্বিক সহযোগিতা, বয়স্ক ও নারী শিশুদের সড়ক পারাপারে সহায়তা করতেও দেখা গেছে তাকে। মানুষকে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে থাকেন সার্জেন্ট মাসুদ রহিম। রাস্তায় অবৈধ পার্কিং রোধে চালক হেলপারদের সচেতন করতে ও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে কাজ করেন সবসময়।চাকুরী জীবনের প্রতিটি ধাপে কঠোর পরিশ্রম আর নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে সফলতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন তিনি।

তিনি ডিএমপি ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের ডেমরা জোনের পুলিশ সার্জেন্ট হিসেবে সফলতার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে সড়কে যানচলাচল নির্বিঘ্ন করতে ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণনে রেখেছেন। তার কর্মকালীন সময়ে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সড়কে দুর্ঘটনা রোধে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে। তার সার্বক্ষনিক দ্বায়িত্বপালন ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে সড়কে বিশৃঙ্খলা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং সড়ক আইন ভঙ্গ কারীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে পুলিশের প্রতি আস্থা বেড়েছে বহুগুন। কর্মজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে  তিনি রেখেছেন পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর।মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পারিবারিক নানা সমস্যার সম্মুখিন হলেও কখনোই পিছু পা হননি তিনি। একশ্রেণীর অসংবেদনশীলতা ক্রমান্বয়েই এই সমস্যা গুলো প্রকট করলেও দমাতে পারেননি তাকে। 

বর্তমান প্রচন্ড দাবদাহে রোদে পুড়ে প্রতিকূল পরিবেশেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষভাবে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখছেন সার্জেন মাসুদ রহিম।

কখনো ক্লান্ত হন কিনা? জিজ্ঞেস করলে হাসি মুখে জবাব দেন “যতদিন বেঁচে আছি মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই, পুলিশের ইউনিফর্ম আমার অহংকার"।

মাসুদ রহিম  একজন নির্ভীক মানবিক পুলিশ অফিসার, বাংলাদেশ পুলিশের গর্ব তিনি। সৎ, পরিশ্রমী ও নিষ্ঠার সাথে দেশের একজন সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। কখনোই কুসুমাস্তীর্ন ছিলো না এই কর্মবীর এই পুলিশ অফিসারের পথচলা। বাঁধা এসেছে বারংবার তবে অদম্য মনোবলে জয় করেছেন সকল বাঁধার দেয়াল।

তিনি আরো বলেন কর্মক্ষেত্রে, পেশাগত দায়িত্বকে সর্বোচ্চ সম্মান ও ভালোবাসার জায়গায় অধিষ্ঠিত রেখেছি।  কাজের স্বীকৃতি থাকুক বা না থাকুক কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আরো অনেক দূর যেতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের সহযোগীতায় বহুদূর এগিয়ে যেতে চান তিনি।পুলিশের পেশায় যোগদানের পর  ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।


আরও খবর



যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত খুনী আক্তারুজ্জামান ডলার’'কে ৩১ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃ১৯৯৩ সালে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের মধ্যে অস্ত্রের দ্বন্দ্বে  যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন কোটা গ্রামের চাঞ্চল্যকর মতিয়ার রহমান তরফদার (৩০) হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সুদীর্ঘ ৩১ বছর যাবৎ দেশে-বিদেশে পলাতক চরমপন্থী মাস্টারমাইন্ড খুনী  আক্তারুজ্জামান ডলার (৫৫)’কে ঢাকা মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‍্যাব-৩ প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, কিশোর গ্যাং, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‍্যাবের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। 

এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৩ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ২২ মার্চ ২০২৪ ইং রাত ২ ঘটিকার সময় ঢাকা মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৯৯৩ সালের যশোর জেলার অভয়নগর থানায় চরমপন্থী  পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের মধ্যে অস্ত্রের দ্বন্দে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘ ৩১ বছর যাবৎ দেশে-বিদেশে পলাতক প্রধান আসামি চরমপন্থী আক্তারুজ্জামান ডলার (৫৫)’কে রাজধানীর  ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও মামলার সূত্রে জানা যায় যে, ভিকটিম মতিয়ার রহমান তরফদার ও গ্রেফতারকৃত আসামী আক্তারুজ্জামান ওরফে ডলার একই গ্রামের দুই পাড়ার বাসিন্দা ছিল। ডলার ছিল তৎকালীন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (সর্বহারা পার্টির) সক্রিয় সদস্য। ভিকটিম অভয়নগর এলাকার রাজঘাটে অবস্থিত কার্পেটিং জুট মিলস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানা এলাকার জনৈক তোযাম চেয়ারম্যানকে সর্বহারা পার্টির ডলার ও তার দোসররা হত্যা করে একটি বন্দুক ছিনিয়ে নেয়। 

এই ছিনিয়ে নেওয়া বন্দুকটি আসামি আক্তারুজ্জামান ওরফে ডলার বস্তায় ভরে জনৈক ভ্যান চালক আসলামের ভ্যানে তেজপাতা আছে মর্মে এটি যশোরের নোয়াপাড়ায় নিয়ে যেতে বলে। ভ্যান চলার সময় মাঝে মাঝে ইটের ধাক্কায় খটখট আওয়াজ হওয়ায় ভ্যানচালক আসলাম পথিমধ্যে পায়রা বাজারে ভিকটিম মতিয়ার রহমানকে ঘটনাটি বলে। তখন সে বস্তা খুলে একটি বন্দুক পায় যার গায়ে কয়েকদিন আগে মৃত তোযাম চেয়ারম্যানের নাম সম্বলিত ছিল। 

তখন তৎকালীন চেয়ারম্যান আমিন সাহেবের মধ্যস্থতায় বন্দুকটি পায়রা বাজারে অবস্থিত পুলিশ ক্যাম্পে  হস্তান্তর করে। এলাকায় এই মর্মে খবর প্রকাশ পায় মৃত তোযাম চেয়ারম্যান হত্যার ঘটনায় ডলারসহ চরমপন্থী  অন্য সদস্যরা জড়িত। এই ঘটনায় ডলার সহ তার চরমপন্থী দলের  অন্য সদস্যরা ভিকটিমকে শায়েস্তা করার পায়তারা করতে থাকে। ১৯৯৩ সালের দশম রমজানের ৩ মার্চ ১৯৯৩  খ্রিস্টাব্দে ডলার সহ ২০-২৫ জনের একটি সশস্ত্র চরমপন্থী  পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির দল ভিকটিমের ছোট ভাইকে রাইস মিলে বেঁধে রেখে ভিকটিমের পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলে। 

ভিকটিমকে ঘরের বেড়া কেটে টেনে হেঁচড়ে বাইরে নিয়ে এসে বাড়ির সামনেই রাত ১০ টা নাগাদ মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ২২ টি কোপ মেরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভিকটিমের বাবার একটি বন্দুক ও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মূলত: চরমপন্থী  দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় উক্ত ভিকটিম নিহত হয়। পরবর্তীতে আসামির বিরুদ্ধে ১৯৯৩ সালে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় হত্যা মামলাটি রুজু হয়। মামলা রুজু হওয়ার পরপরই গ্রেফতারকৃত আসামি নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফেরারি জীবনযাপন করতে শুরু করে। 

এক পর্যায়ে নিজের নাম ঠিকানা ও পরিচয় গোপন রেখে মাহমুদুল হাসান নামে নতুন নাম ধারণ করে ও নতুন পাসপোর্ট তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত দক্ষিণ আফ্রিকায় আত্মগোপনে ছিলেন। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই অদ্যাবধি সে পলাতক ছিল। যেহেতু আসামি দীর্ঘদিন যাবত ছদ্মবেশ ধারণ করে পালিয়ে ছিল, আসামীর অনুপস্থিতিতে বিচার কার্য পরিচালনা শেষে আদালত উক্ত মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০০  খ্রিষ্টাব্দ তারিখে বিজ্ঞ আদালত ধৃত ডলারের বিরুদ্ধে উক্ত হত্যা মামলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের যাবতীয়  প্রমাণ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত মর্মে রায় প্রদান করে। দুধর্ষ এই খুনী গত ২২ মার্চ ২০২৪ ইং ঢাকা মহানগরীর মানিকদী এলাকায় আত্মগোপনে থাকাকালীন র‍্যাব-৩ এর হাতে আটক হয়।ধৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও খবর