Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ছে, সর্তক হওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২৬১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে আবারও ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ছে, প্রতিরোধে সবাইকে সর্তক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশার কামড় থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাসা-বাড়ির ছাদ, আঙিনায় যেন পানি জমে না থাকে সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

টিকাদান কার্যক্রম প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর সাড়ে দুই কোটি শিশুকে টিকা দিয়ে থাকি, সবমিলিয়ে প্রায় ১০টিরও বেশি অসুখের টিকা দেওয়া হয়ে থাকে। এই প্রোগ্রামের জন্য ১ লাখ ২০ হাজার সেন্টার করে থাকি। এছাড়াও আমরা ১৫ থেকে ৪৯ বছরের নারীদের টিকা দিয়ে থাকি। তাদেরও ১০ রকমের রোগের টিকা দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ টিকার প্রতি আগ্রহী, তারা খুবই আনন্দের সঙ্গে টিকা নেয়। আমাদের মায়েরা শিশুদের টিকা দিতে আগ্রহী। তারাই আমাদের টিকাদানে সফলতার পেছনের বড় কারণ হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছাও বড় কারণ। এই কার্যক্রমে বিরাট একটা লজিস্টিক সাপোর্ট লাগে, যা সরকার দেয়। টিকাদানের সময় অন্যান্য কাজকর্মও আমরা করে যাচ্ছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনায় বিশ্বে ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছে, ৭০ কোটি লোক আক্রান্ত হয়েছে। আমরা ৩৬ কোটি টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। টিকা দেওয়ার কারণেই আমাদের দেশে মৃত্যুহার কম ছিল।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে প্রায় ৭০০টি স্থায়ী ও এক লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রের মাধ্যমে শিশু ও নারীদের সরকারিভাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ১০টি মারাত্মক সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে জীবন রক্ষাকারী টিকা দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া আরও কয়েকটি টিকা অচিরেই নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে যুক্ত হতে চলেছে। যার মধ্যে এইচপিডি টিকা অন্যতম। যার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের নারীদের জরায়ুমুখের ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে সুরক্ষা দিতে পারব।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. বরদান জুং রানাসহ অন্যান্যরা।


আরও খবর



২০২৪-২৫ সেশনে নারীদের জন্য স্টেম স্কলারশিপ নিয়ে এলো ব্রিটিশ কাউন্সিল

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:যুক্তরাজ্যের শিক্ষার সুযোগ ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক নিশ্চিতের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ কাউন্সিল, সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে ‘ব্রিটিশ কাউন্সিল স্কলারশিপ ফর ইউমেন ইন স্টেম’ প্রোগ্রাম চালুর ঘোষণা দিয়েছে। স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) বিষয়ে যুক্তরাজ্যে স্নাতকোত্তর করতে আগ্রহী নারীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।বৈচিত্র্য, ভিন্নমত ও উদ্ভাবন নিশ্চিত ও প্রসার করতে স্টেম খাতে নারীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।

নারীদের অংশগ্রহণ কেবল লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে আনবে না, তাদের অনন্য দক্ষতা কর্মক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলবে; যা সর্বোপরি সমাজকে বিজ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কান্ট্রি জেন্ডার অ্যাসেসমেন্ট ২০২১ এর হিসাব অনুযায়ী, দেশের স্টেম পেশাজীবীদের মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ নারী। গবেষণায় দেখা যায়, সরকারি প্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষার্থীদের স্টেম বিষয়ে ভর্তির হার মাত্র ৩৮ শতাংশ, আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির হার ৪৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলোর স্টেম বিষয়ে অধ্যয়নরত নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫টি স্কলারশিপ ঘোষণা করা হয়েছে। কুইন মেরী ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, অ্যাংলিয়া রাসকিন ইউনিভার্সিটি, গ্রিনিচ ইউনিভার্সিটি, দ্য ইউনিভার্সিটি অব সাউথ্যাম্পটন ও কভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্যের এই ৫টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নের ক্ষেত্রে স্কলারশিপের সুযোগ থাকছে। যুক্তরাজ্যের সমৃদ্ধ স্টেম খাতে অধ্যয়নের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজ দেশে গবেষণা ও উদ্ভাবন এগিয়ে নিতে এবং এই খাতে নিজেদের ক্যারিয়ার গঠন করতে বৃত্তিপ্রাপ্তদের দক্ষ করে তুলবে এই স্কলারশিপ। সাইটেবল রিসার্চের (গবেষণা) ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য বর্তমানে বিশ্বের ৩য় অবস্থানে রয়েছে এবং যুক্তরাজ্যে ভিত্তিক সমস্ত প্রকাশনার ৫৫.২ শতাংশই সম্মিলিত প্রচেষ্টার (সহযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক গবেষণা) মাধ্যমে সম্পূর্ণ করা হয়।

এই স্কলারশিপের আওতায় টিউশন ফি, স্টাইপেন্ড, ভ্রমণ খরচ, ভিসা, হেলথ কভারেজ ফি ও ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ সাপোর্ট থাকছে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি ডেটা সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স,ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং,ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট, ইনটেলিজেন্ট হেলথকেয়ার এবং

অ্যাকচুয়ারিয়াল সায়েন্সে পড়ার সুযোগ পাবেন।এ বিষয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের হেড অব এডুকেশন বাংলাদেশ তৌফিক হাসান বলেন, “বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনংসংখ্যাই নারী, প্রতিনিধিত্ব করছেন গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় মেধাশক্তির। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞান ও গবেষণায় নারীদের পূর্ণ অংশগ্রহণ প্রয়োজন। কেবল ধারণা হিসেবে নয়, বরং মানবজাতির সমৃদ্ধির জন্যই এখন লিঙ্গসমতা নিশ্চিত করা জরুরি। উইমেন ইন স্টেম স্কলারশিপের মতো আমাদের এই উদ্যোগের লক্ষ্য স্টেম বিষয়ে শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা প্রদান, তাদের সক্ষমতার বিকাশে সাহায্য করা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান নিশ্চিত করা।”


২০২০ সাল থেকে এই প্রোগ্রামটি ৩০০টি’রও বেশি স্কলারশিপ প্রদান করেছে। বৈশ্বিকভাবে ২০২৩-২৪ সেশনে নির্ধারিত কোর্সে ৯২জন শিক্ষার্থী এই সুযোগ পেয়েছেন। বিশ্বায়নের এই যুগে নারীদেরকে সফল হতে এবং স্টেম খাত সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক স্বীকৃতি পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কাউন্সিলের অব্যহত প্রতিশ্রুতির অংশ এই স্কলারশিপ।নারীদের নেতৃত্ব বিকাশ এবং নিজ দেশ ও যুক্তরাজ্যে স্টেম বিষয়ে অধ্যয়নরত নারীদের মধ্যে যোগাযোগের সুযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে স্টেম খাতে ক্যারিয়ার গঠন ও অবদান রাখার জন্য নারীদের অনুপ্রাণিত করাই এই স্কলারশিপের লক্ষ্য। নারীরা ডিপেন্ডেন্ড সহ (নির্ভরশীল সদস্য) এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে

পারবেন, সেক্ষেত্রে তারা অতিরিক্ত কিছু সহযোগিতাও পাবেন।
এবছরের মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে আবেদন গ্রহণের শেষ সময় যা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পূর্ণাঙ্গ তালিকা, কোর্সের তালিকা,

নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের শেষ সময়, ভর্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা বা অন্য যেকোনোতথ্যের জন্য ভিজিট করুন https://www.britishcouncil.in/study-uk/scholarships/womeninstem-
scholarships

আরও খবর



কিংবদন্তি আশা ভোঁসলের নাতনি সিনেমায় আসছেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি:সিনেমার দুনিয়ায় পা রাখতে যাচ্ছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলের নাতনি জানাই ভোঁসলে ডেবিউ। সংগীতশিল্পী নিজেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে এ সুখবর দেন। কোন সিনেমায় ও কোন চরিত্রে দেখা যাবে তাকে?

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানা যায়, জানাই ভোঁসলেকে দেখা যাবে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের স্ত্রী রানি সাই ভোঁসলের চরিত্রে। সন্দীপ সিংহ পরিচালিত ‘দ্য প্রাইড অব ভারত’ ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ’ সিনেমায়। নাতনি ডেবিউর কথা জানিয়ে নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন গায়িকা।

এদিন এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলে লেখেন, ‘আমার নাতনি জানাই ভোঁসলেকে আসন্ন গ্র্যান্ড এপিক ‘দ্য প্রাইড অব ভারত ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ' সিনেমার হাত ধরে সিনেমায় পা রাখতে দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আশা করি সিনেমার ইতিহাসে ও নিজের প্রত্যাশিত স্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে এবং ওকে ও সন্দীপ সিংহকে শুভেচ্ছা জানাই।’

পরিচালকও জানাইয়ের যোগদানকে স্বাগত জানিয়েছেন। পরিচালক বলেন, ‘ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের বংশধর এবং প্রয়াত লতা মঙ্গেশকরজী তার পরিজন এবং আশা ভোঁসলেজির নাতনি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অত্যন্ত উজ্জ্বল এবং দক্ষ পরিবারের অংশ জানাই। তার সঙ্গে কাজ করতে পারার জন্য আমি অত্যন্ত সম্মানিত এবং সম্পূর্ণভাবে সৌভাগ্যবান বোধ করছি। তিনি একজন গর্বিত ভোঁসলে, যিনি ইতোমধ্যেই একটি প্রাণময় কণ্ঠ পেয়েছেন এবং সংগীতের জন্য তার শ্রবণশক্তি তীক্ষ্ণ। কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন যে তিনি একজন প্রতিভাবান নৃত্যশিল্পী এবং একজন দক্ষ অভিনেত্রী। রানি সাই বাই চরিত্রের প্রতি তিনি পূর্ণ সুবিচার করবেন।’

পরিচালক আরও বলেন, ‘স্ত্রী হিসেবে, রানি সাই বাই, ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের একজন দক্ষ শাসক ও মানুষ হিসেবে উন্নত হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বিপুল অবদান রয়েছে।’

এদিকে বিশাল আকারে তৈরি হচ্ছে ‘দ্য প্রাইড অফ ভারত - ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ’ যা ২০২৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়ার কথা। উল্লেখ্য ওই দিনই ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ জয়ন্তী।


আরও খবর



পিরোজপুরে বাসচাপায় অটোরিকশা-মোটরসাইকেলের ৭ জন নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাসচাপায় অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের ৭ জন নিহত হয়েছে পিরোজপুরে। শুক্রবার (৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২ দিকে জেলার পাড়েরহাট সড়কের ঝাউতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিস্তারিত আসছে...


আরও খবর



নুর মোহাম্মদ এর আর্তনাত রাষ্ট্রীয় সহায়তা নয় মুক্তি যোদ্ধা স্বীকৃতি সনদ বুকে নিয়ে মরতে চাই

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:পার্বতীপুর উপজেলার ১০ হরিরামপুর ইউনিয়নের খনিজ শিল্পাঞ্চল মধ্যপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহন করে আজো যুদ্ধ কালীন অবদানের স্বীকৃতি মুক্তি যোদ্ধা সনদ লাভ করতে পারেন নাই। তাঁর সহযোদ্ধাদের অনেকেই বীর মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন । অথচ একই সঙ্গে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা সত্ত্বেও আমলাতান্ত্রিক নানান জটিলতায় ও নিজের শারিরীক মানষিক স্বাস্থ্য জনিত অসুস্থতার কারণে সঠিকভাবে দৌড় ঝাপ করতে না পারায় স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও নিজেকে মুক্তি যোদ্ধা হিসেবে কাগজে কলমে প্রতিষ্টিত করতে না পেরে হতাশায় অব্যক্ত মর্মবেদনা নিয়ে বয়সের শেষ প্রান্তে এসে মৃত্যুর অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। নিজ বাসায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপ চারিতায় আবেগতাড়িতভাবে কান্না জনিত কন্ঠে আক্ষেপ করে বলেন - আমার রাষ্ট্রীয় সহায়তার কোন প্রয়োজন নেই মুক্তি যুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার ক্ষমতায় আছে এতেই আমার আত্মতৃপ্তি। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে হলেও মুক্তি যুদ্ধ কালীন অবদান রাখার স্বীকৃতি সনদ বীর মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আমার নাম দেখতে চাই আমার সন্তানরা আমার মৃত্যুর পর যেন গর্ব করে বলতে পারে আমার বাবা মুক্তি যোদ্ধা ছিলেন এবং রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হয়েছে। তিনি বলেন মুক্তি যোদ্ধা স্বীকৃতি সনদ প্রাপ্তীর জন্য আমি অনেক আর্তনাত করেছি কিন্তু আমার আর্তচিৎকার মুক্তি যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় পর্যন্ত পৌঁছে না।

জানা গেছে - উপজেলার খনিজ শিল্পাঞ্চলের মধ্যপাড়ার মৃত্যু জহির উদ্দিনের পুত্র মোঃ নুর মোহাম্মদ ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বজ্র্ধসঢ়;কন্ঠের ঘোষণায় ভারতের (পশ্চিম বঙ্গ) কাটলা ইয়ুথ ক্যাম্পে (০৭ নম্বর সেক্টরে) এ ভর্তি হয়ে ০১ মাস ১৫ দিন স্বশস্ত্র প্রশিক্ষন গ্রহন শেষে দেশে ফিরে খোলাহাটি যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি জানান ১৯৭২ সালে তার বাড়িতে আগুন লাগলে বাড়ি ঘর সহ জরুরী কাগজ পত্র সমুহ পুড়ে যায় তবে তার সঙ্গে অবস্থান কারি সহ যোদ্ধারা মুক্তি যোদ্ধা তালিকায় তালিকা ভুক্ত হয়েছেন। তাঁর প্রকৃত সহযোদ্ধা হিসেবে ছিলেন মোঃ সাহাবউদ্দিন লাল মুক্তি বার্তা নং-০৩০৮০৮০১৯৯ এফ এফ নং৫৫৯ মোঃ এন্তাজুল ইসলাম লালমুক্তি বার্তা নং-০৩০৮০৮০১৪০ এফ এফ নং ৫০৪৮ মোঃ আবদুল কুদ্দুস লালবার্তা নং ০৩০৮০৮০১৮৪ এফ এফ নং ৫৫৮ স্বাধীনতা যুদ্ধ কালীন সময় তার কমান্ডার ছিলেন মোঃ কামরুজ্জামান। নুর মোহাম্মদ রাইফেল এস্টেনগান ও গ্রেনেট চালানোতে পারদর্শী এবং তার পরিচিত নং১২৩৩ তিনি মুক্তি যোদ্ধা গেজেট ভূক্তির জন্য মুক্তি যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেছিলেন যার আবেদন রশিদ নং ০৯০৩১৯৫৭৪৪৮৬৯৪ তারিখ ০৭/০৩/২০১৭ তাঁর জাতীয় পরিচয় পত্র নং২৭১৭৭৪৩৬৪৪০৮২ ফস বই নম্বর : এফ এফ নং ১২৩৩ তিনি ১৯৫৭ সালের ৯ মে জন্ম গ্রহন করেন। মধ্যপাড়া গ্রানাইট খনিগেটের বটতলী নামক স্ধসঢ়;হানে ছেলে মাহমুদ কলি কে নিয়ে একটি ছোট্ট খাবার হোটেল দিয়ে অতিকষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। স্ত্রী পুত্র কন্যাকে নিয়ে তার ছোট্ট সংসারে আর্থিক সংকট থাকলেও অভাব অনটন নিয়ে নেই তাঁর কোন অভিযোগ শুধু তাঁর একমাত্র চাওয়া দীর্ঘদিন হতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছে তাই এখনই সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার স্বীকৃতি স্বরূপ মুক্তি যোদ্ধা সনদ পেলেই তিনি নিজেকে ধন্য মনে করবেন এবং মরেও শান্তি পাবেন। তাই মুক্তি যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভদৃষ্টি কামনা করছেন তিনি


আরও খবর



আজ স্বাধীন বাংলার আকাশে প্রথম পতাকা উড়েছিল

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ ২ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয়।

বাঙালির সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতীক লাল সবুজ পতাকা। পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নিজের অধিকার আর অস্তিত্বকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরে বাঙালি জাতি। 

পতাকা একটি জাতি বা রাষ্ট্রের মুক্তি ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক, স্বাধীনতার সর্বোচ্চ অহংকার। যা অর্জনের জন্য যুগে যুগে শত্রুর তরবারির সামনে মাথা পেতে দিয়েছেন দেশপ্রেমিক অকুতোভয় মানুষ। প্রাণপণে লড়েছেন, করেছেন আত্মদান।

১৯৭১ সালের ২ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের ভূখণ্ডে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর শোষণ আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে তৎকালীন ডাকসু নেতাদের উদ্যোগে সাড়া দিয়েছিলেন আমজনতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে উত্তোলন করা হয় মানচিত্র খচিত লাল সবুজের পতাকা।

সেদিন পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বীজ বোনা হয়েছিল স্বাধীন বাংলার । অন্যদিকে রচিত হয় উপনিবেশিক পাকিস্তান রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক মৃত্যুপরোয়ানা। দিনটি তাই বাঙালি জাতির জীবনে ঐতিহাসিক। এ দিন বাঙালি জাতি তার কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পতাকা উড়তে দেখল জমিনের ওপরে।

সরকারি বিধিমালা অনুসারে পতাকা জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও উত্তোলন সবার নৈতিক দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনরা।


আরও খবর