Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

দাদন আর কিস্তি’র চিন্তায় দিশেহারা: নিষেধাজ্ঞামানবো কতদিন?

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২১৯জন দেখেছেন

Image

ভোলা বিশেষ প্রতিনিধি:ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় আজ ৬ দিন অতিবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে জেলেদের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চলবে। এবারের মা’ ইলিশ রক্ষা অভিযান বিগত বছর গুলো থেকে একটু কড়াকরি লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্যই লক্ষ্য করা গেছে। নদী গুলোতে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য তেমন একটা চোখে পড়েনি। মাঝে মাঝে দু’একটা যায়গায় মাছ শিকারের দৃশ্য চোখে পড়লেও গত বছরের তুলনায় এর সংখ্যা অনেক কম। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে ততই জেলেদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। তারা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা মানবো কতদিন। হাড়ির চালতো ফুরিয়ে আসছে, মহাজনের দাদন, সমিতির কিস্তি পরিশোধ কি ভাবে করবো। বছর জুরে নিষেধাজ্ঞায় চরম সঙ্কটে দিনাতিপাত করছেন ভোলার জেলেরা। একদিকে নিষেধাজ্ঞা অন্যদিকে কর্মহীন সময়। এই অবস্থায় সংসারের ভরণ পোষণের অক্ষমতায় চরম দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় জুটছে না নতুন করে ধার দেনাও। ভোলার মৎস্য বিভাগ ১৩৩৮৯৯টি জেলে পরিবারকে ৩৩৪৭.৪৮ মে.টন চাল মানবিক সহায়তার জন্য ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে বিতরণ করেছে। তার পরেও জেলেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নানান কৌশলে নদীতে জাল ফেলে মা ইলিশ নিধন করছেন।

ভোলায় জেলেদের চাল বিতরণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। জেলেরা বার বার অভিযোগ করে আসছেন যে প্রকৃত জেলেদের বিশাল একটি অংশ সরকারের মানবিক সহায়তা প্রকল্প ভিজিএফ কার্ড পায়নি। যারা পেয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই জেলে না হয়েও সরকারের কাছ থেকে নিবন্ধিত জেলে সেজে সুবিধা নিচ্ছেন। অথচ প্রকৃত জেলেরা এই সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। নদীতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা আসলেই বঞ্চিত জেলেরা সংসারের ভরণ পোষণের জন্য এর জন্য আতঙ্কিত থাকেন। প্রতিবছর দেশের মৎস্য বিভাগ জেলে কার্ডের তালিকা লম্বা করলেও সেই তালিকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত জেলেরা। এর জন্য তারা দায়িত্ব প্রাপ্ত মৎস্য অফিসার ও সংশ্লিষ্ট ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের দায়ী করছেন।

জেলেরা বলেছন নদীকে সম্পুর্ণ অভিযানের আওতায় আনতে হলে বিগত বছর গুলোতে সংশ্লিষ্ট জন প্রতিনিধি ও মৎস্য কর্মকর্তাদের তদন্তের আওতায় এনে প্রকৃত পেশাদার জেলেদের মাঝে সরকারের মানবিক সহায়তাগুলো বন্টন করলেই মৎস্য অভিযান সফল ও সার্থকতা পাবে। ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড হাজির হাট রাস্তার মাথার জেলে আব্দুল হাশিম মাঝি (৪৫) বলেন, নিষেধাজ্ঞা কয়দিন মানুম, জোর কইরা আমাগো উপর অভিযান চাপাইয়া দিবেন কয়দিন, পেডে ভাত আছে কিনা খবর লইছেন ? হুনছি সরকার নাকি আমাগোরে চাইল দেয়, হেই চাইল কারা পায় ? আমি ২৫ বছর ধইর‌্যা নদীতে জাল বাই। আমারে কার্ড কে দিব ? পেডের টানে নদীতে গেলে (জেল হাজতে) গারদে ভরেন। আমাগো বউ পোলাইনের কি হইবো হেই কতা আমনেরা চিন্তা করেন না। খালি নদীতে পাহারা দিতে আহেন। অনিবন্ধিত জেলে আব্দুর রহমান মাঝি (৩০), সবুজ মাঝি (৩৫), রহিম মাঝি (২৮), মঞ্জু মাঝি (৩০) সোহেল মাঝি (৩৫), নিরব মাঝি (৩২), কালাম মাঝি (৩৮), ইদ্রিস মাঝি (৪৫) বলেন, সরকার বিভিন্ন সময় জাইলাদের কত সুবিধা দেয় আমরা কি জাইলা না? এত বছর নদীতে জাল বাই, আমরা জাইলা না হইলে চেয়ারম্যান, মেম্বারদে বাড়ির কামের মানুষ জাইলা হয় ক্যামনে। আমরা সাহায্য সহযোগীতাও পামুনা আবার নদীতে জালও হালাইতে পারুম না। এইডা কেমন কথা, আমাগো কি সংসার নাই ? সমিতির কিস্তি, মহাজনের দাদনের টাকা কি দিয়া শোধ করুম ?

সুত্রমতে, ভোলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার। এর মধ্যে ১ লাখ ৩২ হাজার জেলে খাদ্য সহায়তা পেছেন। নিবন্ধিত বাকি ২৬ হাজার জেলে এবং অনিবন্ধিত ৮০ হাজার জেলে সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। নদীতে অভিযান হলে এরা নানান কৌশল অবলম্বন করে নদীতে মাছ শিকার করছেন। প্রশাসনের একটি অংশ জেনেও না জানার ভান করে থাকায় এদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যাবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা।নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদর উপজেলার এক মৎস্য অফিসার জেলেদের অভিযোগ শিকার করে বলেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আমরা মাঠ পর্যায়ের জেলেদের নিয়ে কাজ করতে পারিনা। তাদের নামের সুযোগ সুবিধা তাদের হাতে পৌছাতে পারিনা। এর জন্য আমরা অসহায়, আমাদের হাত পা বাঁধা। জেলা মৎস্য অফিসার মু: আবুল কালাম আজাদ বলেন, মৎস্য কার্ড বিতরণে কোন অনিয়ম হলে আমরা মাঠ পর্যায়ে জেলেদের নিয়ে কর্মশালা করে প্রতিকারের ব্যাবস্থা করবো। আর বঞ্চিত অনিবন্ধিত জেলেদের সরকারের সহায়তার আওতায় এনে পূর্ণবাসনের ব্যাবস্থা করবো।


আরও খবর



সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিনগত মধ্যরাতে এ তথ্য জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

তিনি জানান, বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে বেগম খালেদা জিয়াকে।

এর আগে গত ৩০ মার্চ দিনগত রাত ২টা ৫৪ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে রেখে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন ২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে।


আরও খবর



প্রচন্ড তাপমাত্রায় স্কুল কলেজ বন্ধ চলছে কোচিং সেন্টার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:প্রচন্ড গরমের তাপমাত্রায় স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও এক প্রকার দাপটের সাথেই চলছে কোচিং সেন্টার। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় সরকার স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করলেও কোচিং সেন্টার খোলা থাকায় ব্যবস্হা নেয়ার দাবী জানান অনেকেই।নিত্যদিনের ন্যায় গতকালও শহরের ৮ নং ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় কোচিং সেন্টার খোলা রাখার চিত্র চোখে পড়ে।

দেখা গেছে কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীরা গদাগদি করে বসে আছে। অনেকের শরীর থেকে ঝরছে ঘাম। অনেক অভিভাবক বলছেন,এই প্রচন্ড গরমে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখলে ভালো হতো। কোচিং সেন্টার খোলা থাকায় শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে না থেকে কোচিং সেন্টারে ছুটছে।

৮ নং ওয়ার্ডে কোচিং সেন্টারে পড়তে আসা অনেক শিক্ষার্থী বলছেন,গরমে বাসা থেকে বের হতে ইচ্ছা করে না। এরপরেও মেধার বিকাশ করতেই যেতে হচ্ছে সেখানে। এমনিতেই প্রচন্ড গরম এরপর কোচিং সেন্টারে গদাগদি করে বসলে সারা শরীর থেকে ঘাম ঝরে। কোচিং সেন্টারের সারেরা যদি এই প্রচন্ড গরমে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতেন, তাহলে খুব ভালো হতো।আবার কেউ কেউ বলছেন, স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়িতে পড়ে অনেক কিছুই বুঝতে পারছি না। কোচিংয়ের কারনে পড়াশোনা অনেকটা এগিয়ে গেছে। স্কুল কলেজ খোলার সাথে সাথে পরিক্ষা। কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা না করলে পরিক্ষায় লিখতে পারবো না।

গরমে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও কোচিং সেন্টার কেন খোলা রেখেছেন জানতে চাইলে সৈয়দপুর শহরের ডাক বাংলা সংলগ্ন কোচিং সেন্টারের শিক্ষক জাবেদ আকতারি জানান, সৈয়দপুরের অনেকেই তো কোচিং সেন্টার খোলা রেখেছেন। গরমে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে হবে তা জানা ছিল না। তাছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলামের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক।  সকলের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলে আমি ও বন্ধ রাখবো। তবে স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার সাথে সাথে যদি কোচিং সেন্টার ও বন্ধ থাকে তাহলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেই।

সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম  জানান,যারা সরকারের নির্দেশ অমান্য করে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে কোচিং সেন্টার খোলা রেখেছেন তারা নীতিবহির্ভূত কাজ করছেন। সরকারের নির্দেশ কে সম্মান জানিয়ে, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে প্রচন্ড গরমের দিন গুলোতে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার দাবী জানান তিনি। এরপরেও যদি কেউ কোচিং সেন্টার খোলা রাখেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। 

আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




বিদেশে বসে যশোরের মেসকাত হত্যার নিল নকশা, নারীসহ দু’জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:পরকীয়া প্রেমিকা প্রবাসী নাজমা যশোরের মেসকাতকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন । এজন্য নাজমা বিদেশে বসেই মেসকাতকে হত্যা করতে রিক্তা বেগমের সাথে দুই লাখ টাকা চুক্তি করে। আর রিক্তা ঠিক করে ভাড়াটিয়া কিলার যশোর শহরের শংকরপুরের শাহীন ড্রাইভারকে। এরপর শাহীন ড্রাইভার কৌশলে মেসকাতকে মণিরামপুরে এনে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে যায়। ডিবি পুলিশের অভিযানে আটকের পর এ হত্যায় জড়িত অন্যতম আসামি সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের রিক্তা এসব তথ্য জানান।

এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নাজমার বাবা সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের নিজাম সরদারকেও আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও মেসকাতের মোবাইল ফোন। নিহত মেসকাত পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের নিজাম প্রামানিকের ছেলে।

শনিবার ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, মেসকাত ও প্রবাসী নাজমা দু’জনেই যশোরের পদ্মবিলায় ইলা অটো রাইস মিলের শ্রমিক ছিলেন। এক পর্যায়ে তারা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরই মাঝে বিদেশে পাড়ি দেয় নাজমা।এদিকে, মেসকাত নিজ এলাকায় চলে যান। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যায় মেসকাতের স্ত্রী জুলেখা। পরে সে নাজমাকে মোবাইল করে গালিগালাজ দেয়। এসব বিষয়ে ক্ষোভ তৈরী হয় নাজমা'র। এরপর সে হত্যার পরিকল্পনা করে। এসময় নাজমা মেসকাতকে বলে ঝাউডাঙ্গা বাজারে তার সোনা রয়েছে সেই সোনা সাতক্ষীরার বাড়িতে পৌছে দিতে হবে। এ কাজে ঠিক করে শাহীন ড্রাইভারকে। শাহীন ড্রাইভার কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে মৃতদেহ মণিরামপুরে এনে ধান ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত মেসকাতের ভাই এরশাদ আলী মণিরামপুর হত্যা থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তে মাঠে নামে ডিবি পুলিশ।

শুক্রবার সাতক্ষীরা জেলায় অভিযান চালিয়ে ডিবির এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম মেসকাতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ওই দুই আসামিকে আটক করে।


আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




সরগরম তানোরের নির্বাচনী মাঠ, এগিয়ে ময়না

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:তীব্র তাপদহে প্রার্থীদের দিনরাত প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার নির্বাচনী মাঠ। আগামী ৮ মে বুধবার প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে তানোর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ। তবে সকাল ১১ টা থেকে বিকেল তিন টা পর্যন্ত প্রচন্ড তাপদহের কারনে প্রার্থীরা প্রচারণা তেমন ভাবে করছেন না। কিন্তু শেষ বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীন প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলেও ভোটারদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ নেই বললেই চলে। কারন ভোটে ক্ষমতা সীন দলের একাধিক  নেতারাই প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপি ও জামায়াত ভোটে অংশগ্রহণ না করার কারনেই তেমন একটা আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আবার তীব্র গরম ও বোরো ধান কাটা মাড়ায় চলছে ভরদমে।
জানা গেছে, গত নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করে প্রথমবারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করার কারনে ক্ষমতা সীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে উন্মুক্ত করে দেন ভোটের মাঠ ।। এরই প্রেক্ষিতে এবারে দলীয় প্রতীক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।  আগামী ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপে তানোর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি  লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে নিয়ে ভোট করছেন। ময়না বিগত ২০১১ সালে উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে উপজেলা বাসীকে তাক লাগিয়ে দেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনগণের মাঝে নির্বিঘ্নে সেবা প্রদান করার কারনে ২০১৬ সালে পুনরায় কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে ২০১৯ সালে তার রাজনৈতিক ও সামাজিক দক্ষতার কারনে দলীয় প্রতীক নৌকা প্রতীক পেয়ে প্রথম বারের মত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

দলীয় নেতাকর্মী জানান, লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত সৈনিক। বিগত স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে কখনো নৌকার বিরুদ্ধে বা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নি। যার কারনে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। 

বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তালন্দ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, আমি তালন্দ ইউনিয়নের দায়িত্বে আছি। ইউপির প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ করেছি। দলমত নির্বিশেষে সবাই কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিতে মরিয়া হয়ে আছেন। সবার মাঝে ময়নার আলাদা গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। আসা করছি ময়নার কাপ পিরিচ প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবে।
সিনিয়র একাধিক নেতারা জানান, তানোরে আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের মুলেই আব্দুল্লাহ আল মামুন। সে সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিগত ২০০৯ সালে প্রথম উপজেলা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দল থেকে ওই সময়ের উপজেলা সভাপতি গোলাম রাব্বানী কে চেয়ারম্যান পদে  মনোনায়ন দেয়া হয়। কিন্তু তাকে পরাজিত করতে আব্দুল্লাহ আল মামুন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে রাব্বানীর পরাজয় নিশ্চিত করেন। এভাবেই মামুন দলে ভাঙ্গন সৃষ্টি করেছেন। এখন পদ পদবি হারিয়ে এবার উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। অথচ মামুন কে তানোরের মাটিতে দেখায় যায় না। যারা গত জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করেছিলেন তারাও ভুল বুঝতে পেরে ময়নার কাপ পিরিচ কে সমর্থন জানিয়ে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। তাহলে বুঝতে হবে মামুনের গ্রহণ যোগ্য তা কতটুকু। 

কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, আমি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কারন আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে ভোটের মাঠে জোরালো ভূমিকা পালন করছেন। মুলত একারনেই আশা করা যায় বিজয়ের ব্যাপারে। তবে কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে উপজেলার আপামর জনতা কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয় করবেন।আব্দুল্লাহ আল মামুন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তিনিও বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। 

এছাড়াও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তার মধ্যে একজন সোহেল রানা। তার বাড়ি তানোর পৌরসভার হরিদেবপুর গ্রামে। সে পৌর মেয়র ইমরুল হকের ছোট ভাই। রানা বিগত ২০১৯ সালে চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট করে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি এবারের নির্বাচনে তালা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কলমা ইউপির সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তানভীর রেজা। তার বাড়ি কলমা ইউপির আজিজপুর গ্রামে। তিনি প্রথম বারের মত চমশা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

এদিকে মহিলা  ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি সোনিয়া সরদার। সে গত ২০১৯ সালে কলস প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারো তিনি কলস প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী যুব মহিলা লীগ সভাপতি সাগরী ভৌমিক। তিনি ফ্যান প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। নাসিমা নামের আরেক জন সেলাই মেশিন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




মোরেলগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image
শেফালী আক্তার রাখি,মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মিরাজ মোল্লা (৩০) নামের যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে তার শত্রু পক্ষের লোকেরা। রবিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে বদনীভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে ওই গ্রামের লতিফ মোল্লার ছেলে। আশংকাজনক অবস্থায় রাত ২টার দিকে থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে পাঠালে সেখান থেকে তাকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

স্ত্রীর পরকিয়া প্রেম ও স্থানীয় দীর্ঘদিনের বিরোধের কারনে মিরাজকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার ভোর ৫ টার দিকে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ এ মামলার প্রধান আসামি কাওছার শেখসহ (২৫) একই পরিবারের ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার থাকা অপর আসামিরা হচ্ছেন,  কাওছারের পিতা লিয়াকত শেখ(৬৫), মা জাহানারা বেগম(৫০) ও ভাই রহিম শেখ(৩২)।

এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, জখমী মিরাজের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত পাইপ ও (গরু জবাইয়ের) ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪