Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
যাত্রাবাড়িতে ছিনতাই হতে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট

চূড়ান্ত আন্দোলন নয় ১০ ডিসেম্বর : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩১৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশটা হচ্ছে স্বাভাবিক বিভাগীয় গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। ১০টি বিভাগীয় শহরে যে সমাবেশ কর্মসূচি দিয়েছিলাম, তার সর্বশেষ সমাবেশটা হচ্ছে ঢাকায়। এই সমাবেশ থেকে পরিবর্তী কর্মসূচি, দাবি-দাওয়া নিয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলন নিয়ে আমরা সামনে আসব। এটা তো চূড়ান্ত সমাবেশ নয়, চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি নয়।’

আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে গত ১৪ নভেম্বর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভার সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও ফরিদপুরে বিভাগীয় সমাবেশে বাধা প্রদান, নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-অত্যাচার, গ্রেপ্তার, মামলা-হামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ইচ্ছাকৃতভাবে, তাদের নেতা-মন্ত্রীরা প্রমাদ বকছে। গণভিত্তি না থাকলে যেটা হয় আর কী। প্রতি মুহূর্তে এরা নাইট মেয়ার দেখে, দুঃস্বপ্ন দেখে। এই মুহূর্তে বুঝি গেল গেল, আমার সব গেল। ওই ভয়ে ওই আতঙ্কে তারা এখন রাষ্ট্রের সমস্ত যন্ত্রকে ব্যবহার করে হুমকি দিচ্ছে আবার- ছেড়ে দেওয়া হবে না, করতে দেওয়া হবে না, দেখে নেওয়া হবে।’

ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করতে সরকার বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘ঢাকার সমাবেশ বানচাল করতে মুন্সীগঞ্জে আমাদের নিরহ লোকজনের ওপরে হামলা চালিয়ে শহীদুল ইসলাম শাওনকে হত্যা করে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে। সেই মামলায় মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব কামরুজ্জামান রতনকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি রফিক হাওলাদার, যুবদলের সাবেক সহসভাপতি আলী আকবর চুন্নুসহ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন থানার ৫০ জন নেতা-কর্মীকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপরে হামলা চালিয়ে ৫০ জন নেতাকর্মীকে আহত করেছে। এগুলো হচ্ছে খন্ডিত চিত্র। সামগ্রিকভাবে এমন একটা আবহাওয়া তৈরি করছে ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেন মনে হচ্ছে যে, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় একটা যুদ্ধ হবে। এটা সরকার তৈরি করছে।’

হেফাজতের পরিণতি হবে বিএনপি- ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের এ রকম বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই একটা জিনিসই উনারা (সরকার) পারে, অভ্যস্ত আর কি। সেই অবস্থা এখন আর নেই। হেফাজতের সময়ে যেটা করেছেন এখন জনগণের সঙ্গে সেটা তারা করতে পারবেন না। জনগণ তাদের জায়গায় দাঁড়িয়ে গেছে এবং জনগণ যেকোনো মূল্যে এবার তাদের দাবি আদায় করে ছাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘এইটুকু নিশ্চয়তা আপনাদের দিতে পারি, আমরা এমন কোনো কর্মসূচি নেব না যে- কর্মসূচিতে জনগণের কষ্ট হবে বা জনগণ বিপদগ্রস্থ হবে, ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আমরা জনগণকে নিয়ে জনগণের দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন করছি শান্তিপূর্ণভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাব।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকালকে একটা পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে যে, শেয়ার মার্কেট...। দুর্ভাগ্যক্রমে সাকিবের (সাকিব হাসান) নামটাও উঠে এসেছে। একেবারে সেলফ সারপ্রাইজ, আমি জানতাম না। সেটাও এসেছে যে, এসব শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে অনেক বড় বড় রথি-মহারথিরা যুক্ত হয়ে পড়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘ব্যাংক তো শেষ। বার বার সেট্রাল ব্যাংক ঘোষণা দিচ্ছে যে, না ব্যাংকে এখন কোনো তারল্য সংকট নেই। না থাকলে এই স্টেটম্যান্ট দিতে হবে কেন? মানুষ ভয় পাচ্ছে কেন? মানুষ আশঙ্কা করছে কেন? কারণ দেশের অর্থনীতির অবস্থা এমন জায়গায় চলে গেছে যে, মানুষ এখন আর ব্যাংকে টাকা রাখতেও সাহস পাচ্ছে না, যে ওখান থেকেও তার টাকা চুরি হয়ে যেতে পারে।’


আরও খবর



দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ক্ষমতা বেশি: নসরুল হামিদ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল দেশে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, জানুয়ারি ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এ বছরের ৩০ এপ্রিল সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট।

তিনি জানান, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কিছু কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে।

এ ছাড়া অত্যধিক গরম ও দেশের কোথাও কোথাও দাবদাহ থাকার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে বলে যোগ করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, অচিরেই সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে সক্ষম হব।


আরও খবর



গাংনীতে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃদ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানালেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান। আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে গাংনী মহিলা কলেজে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে এ বিষয়ে সরকারের নানা দিক নির্দেশনা দেন তিনি। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক, রির্টার্নিং কর্মকর্তা তানভির হাসান রুমান, জেলা নির্বাচন অফিসার  ওয়ালিউল্লাহ, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল ইসলাম। 

অনুষ্ঠানে গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে আগামি ২১ মে গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারকে নিয়ে যা বললেন ডিবি প্রধান

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন,‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অবৈধভাবে মরদেহ দাফন, টর্চার সেল, আয়ের উৎস- সবকিছুই মামলায় রাখা হবে বলে  ।

বুধবার (১ মে) রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তারের পর রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। বাবাকে পেটানোর কারণে এলাকাবাসী তাকে এলাকা ছাড়া করে।

ডিবি প্রধান বলেন, মিঠু হালদার নামে এক নার্সকে বিয়ে করেন। এরপরে তার স্বপ্নে আসল চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার স্থাপন করবেন। স্ত্রীকে দিয়ে এমন একটি প্রতিষ্ঠান খুলে সেবা দিতে শুরু করেন তিনি। গণমাধ্যমে এসেছে তার একটি অপারেশন থিয়েটারের তথ্য। যেটার কোনো লাইসেন্স নেই।

তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে রাতে মরদেহ দাফনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে ৯০০ মরদেহ দাফন করেছেন বলে মিডিয়ায় এসেছে। এর মধ্যে ৮৩৫টি মরদেহের কোনো ডকুমেন্ট তিনি দেখাতে পারেননি।

এর আগে বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।


আরও খবর



নবীনগরে সন্তান রেখে প্রবাসীর স্ত্রী লাপাত্তা, থানায় জিডি

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৬৮জন দেখেছেন

Image

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সদরের হযরত ওয়ালী শাহ মাজার সংলগ্ন ভাড়া বাসা থেকে ১ সন্তানের জননী রুনা আক্তার (৩৫) ভাড়া বাসার মালামাল, স্বর্ণের গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে লাপাত্তা। প্রবাসী মো. মোয়াজ মিয়ার বড় বোন আকতারা বেগম বাদী হয়ে এ বিষয়ে নবীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মো. মোয়াজ মিয়া প্রবাসে থাকেন সাত বছর হলো। গ্রামের বাড়ি উপজেলার রুসুল্লাবাদ ইউপির কালগড়ায়। মো. মোয়াজ মিয়ার মা-ভাই-বোনদের সাথে রুনা বেগমের বনাবনি না হওয়ায় নবীনগর সদরে ভাড়া বাসায় তার স্ত্রী রুনাকে রেখে প্রবাসে চলে যান তিনি। মো. নিরব নামে তার ১২ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। 

জিডি সূত্রে জানা যায়, রুনা বেগম তার গ্রামের বাড়ি পুরান শ্রীরামপুরের প্রতিবেশী ফরহাদ মিয়ার সাথে ঘরের মামলা নিয়ে পালিয়ে গেছে রবিবার (০৫-০৪-২৪) সন্ধ্যায়। 

মো. নিরব জানান, আম্মা কার লগে যানি হারাকন কতা কইতো! আব্বার কল ধরত না। পরে মেসেজে দেহি ফরহাদ নামের একজনের লগে মেসেজ দিতো। আমারে ফালাই দিয়া কই জানি গেছে গা। 

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বাড়িওয়ালা বলেন, কয়েক দিন আগে এসে বলতেছে রুনা নাকি কালগড়া চলে যাবে। তার স্বামী বাড়িতে আসতেছে। সেজন্য তারা বাসা ছেড়ে দেবে। পরে রবিবার দেখলাম ৫-৬ জন ছেলে এসে বাসার মালামাল ট্রাকে করে নিয়ে গেছে। 

আকতারা বেগম বলেন, আমার ভাতিজা আমার কাছে আইয়া কান্দাকাডি করতাছে হের মা নাকি বাসা ছাইড়া দিয়া গেছে গা। আমি কইলাম, কই গেছে! হে ক, জানি না। পরে আমার ভাইয়েরে ফোন দিচি, বাড়িওয়ালারে ফোন দিচি, আম্মার কাছে ফোন দিচি। কোন খুঁজ নাই। পরে বুইধবার মোয়াজের লগে কতা কইয়া থানাত গিয়া জিডি করচি। 

রুনার বাবা মো. ইউনুস মিয়া বলেন, আমি সোমবারে হুনচি তাই (রুনা) কই জানি গেছে গা। এহন পর্যন্ত কোন হবর পাইচি না। 

রুনার শ্বাশুড়ি বলেন, বউয়ে (রুনা) রবিবার বাড়িওয়ালীরে কইচে কালগড়া আইবো, আর তো তার কোন হবর নাই। আগেও একবার এক পোলার লগে গেছে গা। অহন হুনছি, বউয়ের বাড়ির লগের এক পোলার লগে গেছে গা।

  -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :[ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪] অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিল্পীদের নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আজ (২৬ এপ্রিল) ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান আগামীকাল (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত চলবে। বিকেল ৩টা থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আয়োজনটি শুরু হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে একটি অনবদ্য থিয়েটার পারফরমেন্স ‘নৈঃশব্দ্যে ‘৭১’ পরিবেশিত হয়। এ অনুষ্ঠানে ‘অদম্য শিল্পোৎসব’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনী, সেখানে আইআইডি’র তত্ত্বাবধানে সঙ্গীত, চিত্রকলা, ভাস্কর্য সহ আরও নানান শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয় । এছাড়াও থিয়েটার পারফরমেন্স, প্যানেল আলোচনা, ফিল্ম প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল, গ্রেআই থিয়েটার কোম্পানির আর্টিস্টিক ডিরেক্টর জেনি সিলি, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর (ইন্টেরিম) শ্যানন ওয়েস্ট, ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক নাসিরুদ্দীন ইউসুফ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইআইডি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ আহমেদ। এছাড়া, সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেয়ার (ডিজেবিলিটি আর্টস: রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্পের অংশ এই ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল। বাংলাদেশের শিল্পকলা খাত ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও বোঝাপড়া তৈরিই এই বহুস্তরীয় ডেয়ার প্রকল্পের লক্ষ্য। বৃহত্তর সমাজ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে ব্যবধান কমিয়ে এনে সংযোগ স্থাপন করা এই প্রকল্পের আরেকটি লক্ষ্য। ঢাকা থিয়েটার ও আইআইডির (ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) অংশীদারিত্বে ২০১৯ সালে চালু হয় প্রকল্পটি।

আয়োজনের প্রথম দিনে অতিথিদের জন্য রমেশ মেয়াপ্পানের ‘৭১ ইন সাইলেন্স’, মোস্তাফিজ শাহিন পরিচালিত ‘সার্কাস সার্কাস’, কাজী নওশাবা আহমেদের ‘ত্রিবেণী’, এশা ইউসুফ ও রফিকুল ইসলামের ‘কেন্দ্র বরাবর সুড়ঙ্গটির নাম পৃথিবী’ এবং কলকাতার জনসংস্কৃতি সেন্টার ফর থিয়েটার অফ দ্য অপ্রেসডের পরিচালক সঞ্জয় গাঙ্গুলির ‘ওয়েস্টল্যান্ড- এ জার্নি’, এই ৫টি থিয়েটার প্রযোজনা পরিবেশিত হয়। প্রথম দিন ‘ডিজেবিলিটি রিপ্রেজেন্টেশন ইন দ্য আর্ট সেক্টর’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিল্পকলা সহ সমাজের নানান স্তরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্বের ঘাটতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সমাপনী দিনে আরও ৫টি থিয়েটার প্রযোজনার আয়োজন করা হবে - শামীম সাগরের ‘অতঃপর করিম বাওয়ালি’,সামিউন জাহান দোলার ‘সঙ্গতি’, আল জাবিরের ‘কাজলরেখা’, ড. আমির জামানের ‘পিতৃগণ’ ও অসীম দাশের ‘স্বপ্নকাহন’। এছাড়া, ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ার্স ফর অ্যাক্সেসিবল আর্টস’ ও ‘ফান্ডিং ইনক্লুশন ফর ডিজ্যাবিলিটি আর্টস’ এই দুইটি প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ার্স ফর অ্যাক্সেসিবল আর্টস’ প্যানেল আলোচনায় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সুযোগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন তা চিহ্নিতকরণ ও এর সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হবে।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, “প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা শারীরিক এবং মানসিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার শিকার হলেও তাদের বেশিরভাগই বুদ্ধি, মননশীলতা ও সৃজনশীলতার দিক থেকে অন্যদের তুলনায় কোন অংশেই কম নয় বরং সৃজনশীলতার দিক থেকে অনেক সময়ই বেশি যদি তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেওয়া যায়। আমি ব্রিটিশ কাউন্সিল, ঢাকা থিয়েটার, আইআইডি, এবং এই অনবদ্য আয়োজনের সাথে যারা জড়িত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সকলকে জানাই ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।”বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল বলেন, “সুবিধাবঞ্চিত এবং প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য সমতার ভিত্তিতে পূর্ণ অধিকার ও স্বাধীনতা উপভোগ ও অনুশীলনের সুযোগ তৈরি করতে যুক্তরাজ্য সারা বিশ্বে কাজ করছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেয়ার (ডিজেবিলিটি আর্টস: রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্প ও এই উৎসব বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিভা ও অর্জনকে উদযাপন করা এবং একটি আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব নিশ্চিতে আমাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করার সুযোগ হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছে।”

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর (ইন্টেরিম) শ্যানন ওয়েস্ট বলেন, “ইন্টারন্যাশনাল ডিজেবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর উদ্বোধন করতে পেরে আজ আমরা অত্যন্ত গর্বিত; যা আমাদের ডেয়ার প্রকল্পের একটি চূড়ান্ত আয়োজন। ২০১৯ সাল থেকে আমাদের ডেয়ার প্রকল্পটি বাংলাদেশি থিয়েটার সংস্থাগুলো ও দেশব্যাপী ডেয়ার শিল্পীদের সক্ষমতা তৈরি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অনুশীলন চর্চা, নীতিমালা পরিবর্তন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যকে সংযুক্ত করার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ডিজেবিলিটি আর্ট থিয়েটারকে মূলধারায় আনয়নে ইতিবাচকভাবে সহযোগিতা করায় সরকার ও সকল অংশীদারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”

ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা নাসিরুদ্দীন ইউসুফ বলেন, “২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে মূলধারার থিয়েটারের সাথে ডিজেবিলিটি আর্টকে একীভূত করার ক্ষেত্রে ঢাকা থিয়েটার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, এজন্য আমরা অত্যন্ত গর্বিত। নানান প্রতিবন্ধকতা এবং নিত্যনতুন বাধা আসার পরেও প্রতিবন্ধী শিল্পী, প্রশিক্ষক, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ঢাকা থিয়েটারের অব্যহত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার কারণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনতে পেরেছি আমরা; আর এই ইন্টারন্যাশনাল ডিজেবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর সফল আয়োজন তারই প্রমাণ।”

এই আয়োজন থেকে অতিথিরা অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে বোঝার সুযোগ পান; প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিল্পের যাত্রায় তাদের অতিক্রান্ত বাধাগুলো সম্পর্কে জানার সুযোগ পান।


আরও খবর