Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

চকরিয়ার নদীর দুই পাড়ে কাঁচা বাদামের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৩৪০জন দেখেছেন

Image

মোঃআমান উল্লাহ, কক্সবাজার : কক্সবাজারের চকরিয়া মাতামুহুরী নদীর বুকে জেগে উঠা একাধিক চরে কাঁচা বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে।নদীর দুইপাড়ে বাদাম পরিচর্যায় কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।ভালো ফলন হওয়ায় বাদাম চাষীদের মুখে এখন হাসি। ফলন ভালো তাই মজুরিও মিলছে ভালো তাই বাদাম চাষে নিয়োজিত নারী শ্রমিকেরাও খুশী ।শীত মৌসুমে চকরিয়া পৌরসভা ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের কোয়াজ নগর ও ১ নাম্বার ওয়ার্ডের বিশাল এলাকাজুড়ে বাদামের আবাদ হয়।কৃষকরা জানান,কম খরচে অধিক লাভ হয় বাদাম চাষে।তাই অনেকেই ঝুঁকছেন বাদাম  চাষে।এছাড়াও উপজেলার কাকারা, সুরাজ-মানিকপুরসহ বিভিন্ন এলাকায়ও বাদাম চাষ হচ্ছে।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার এস,এম, নাছিম হোসাইন জানান,গত বছরের চেয়ে চকরিয়ায় বাদাম চাষ বেড়েছে।এবছর প্রায় ২’শ হেক্টর জমিতে চীনা জাতের বাদাম চাষ করা হয়েছে।ক’দিন পরেই কৃষকরা এসব চর থেকে বাদাম তুলে রোদে শুকিয়ে ঘরে তুলবেন চাষীরা। আর প্রাপ্তির আলোয় ভরবে তাদের উঠোন এমনই আশাবাদ বাদাম চাষীদের। 


আরও খবর



প্রত্যেক নাগরিককে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পরমত সহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে। একইসঙ্গে প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালন জরুরি,বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পরিদর্শন বইয়ে এ মন্তব্য করে সই করেন রাষ্ট্রপতি।

সেখানে তিনি লিখেছেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আমি দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন। ঐতিহাসিক এ দিনে আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন ও সমর্থক, বিদেশি বন্ধু এবং সর্বস্তরের জনগণকে, যারা আমাদের অধিকার আদায় ও মুক্তি সংগ্রামে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৫ আগস্ট কালরাতে খুনিদের বুলেটের আঘাতে শহীদ বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও বঙ্গবন্ধুর তিন পুত্রসহ সব শহীদকে। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

তিনি আরও লিখেছেন, স্বাধীন-সার্বভৌম ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে অগ্রসরমান। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে ইতোমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে অবস্থান করে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০৪১’ অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে জনমুখী ও টেকসই উন্নয়ন, সুশাস, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এরপর লিখেছেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পরমত সহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে। প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অধিকতর দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনা বাংলা বিনিময়ে কার্যকর অবদান রাখতে আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে এবং উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা - ইনশাআল্লাহ।


আরও খবর



ইভ্যালির রাসেল-শামীমার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে,বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় হুলিয়া জারি ও সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারহা দিবাহ ছন্দার আদালত।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত। এরপর মামলাটি পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি ও সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

রাজধানীর দারুস সালাম থানার বাসিন্দা মুজাহিদ হাসান ফাহিম ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকার একটি মোটরসাইকেল অর্ডার করে তার মূল্য পরিশোধ করেন। বাদীর ক্রয়কৃত মোটরসাইকেল যথা সময়ে দিতে ব্যর্থ হলে ফাহিম ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে যোগাযোগ করলে মোটরসাইকেলের ক্রয় বাবদ টাকা পরিশোধের জন্য চেক দেন। চেকটি নগদায়নের জন্য ওই বছরের ২৩ আগস্ট ইভ্যালি থেকে ফোন দিয়ে ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় চেকটি নির্ধারিত তারিখে ব্যাংকে জমা না দিতে অনুরোধ করে। চেকের অর্থ পরবর্তীতে পরিশোধ করবে মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে।

পরবর্তীতে ওই চেক নগদায়ন করার জন্য ফাহিম ইভ্যালি, রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে বার বার তাগাদা দেওয়া স্বত্বেও তারা তাকে টাকা দিতে কালক্ষেপণ করে চেকের মেয়াদ অতিক্রম করান।

ফাহিমের অভিযোগ, তারা প্রতারণা করতে মোটরসাইকেলের টাকা আত্মসাৎ করার মানসিকতা নিয়ে এমন কাজ করেছেন। এ ঘটনায় ফাহিম আদালতে মামলা করেন।


আরও খবর



পত্নীতলায় কারিতাসের আর্থিক সহায়তা প্রদান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image
পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:পত্নীতলায় বেসরকারি এনজিও সংস্থা কারিতাস সিএমএলআরপি-২ প্রকল্প কর্তৃক ১২৫ জন উপকারভোগীদের মাঝে  ৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫ শত টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক পরিচালক, কারিতাস রাজশাহী অঞ্চল ডেভিড হেম্ভ্রমের সভাপতিত্বে ও প্রকল্পের কর্মসূচী কর্মকর্তা একরামুল হকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন উক্ত ইউনিয়ন গুলোর নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, কারিতাসের অন্যান্য কর্মীবৃন্দ, সূধীজন প্রমুখ।

কারিতাস বাংলাদেশ রাজশাহী অঞ্চলের আওতাধীন সমাজ পরিচালিত স্থায়ীত্বশীল জীবিকায়ন ও সহনশীলতা কর্মসূচী (CMLRP-II) প্রকল্পের আওতায় মঙ্গলবার উপজেলার আকবরপুর, পত্নীতলা ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ১২৫ জন উপকারভোগীদের মাঝে প্রতিজনকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫ শত টাকা আর্থিক সহায়তা বিভিন্ন আয়মূলক কার্যক্রম যেমন- ৪৩ জনকে মাচায় ছাগল পালন, ৪২ জনকে হাঁস-মরগী পালন, ৩ জনকে মাছ চাষ, ২৫ জনকে সমন্বিত সবজি চাষ, ৫ জনকে আদা ও হলুদ চাষ এবং ৭ জনকে কেঁচো সার উৎপাদনে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

আরও খবর



ঢাকার রেস্তোরাঁয় অভিযান, ধানমন্ডিতে আটক ১৯

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীতে রেস্তোরাঁয় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ,বেইলি রোডে রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জন মারা যাওয়ার পর। অনিয়ম ও অবব্যবস্থপনার ধানমন্ডিতে ১৫টি রেস্তোরাঁয় অভিযোগে ১৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (৩ মার্চ) ধানমন্ডি, গুলশান, মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রাজধানীতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন আছে কিনা, নিরাপদ স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছে কিনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটুকু, অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র এবং ঝুঁকির বিষয়টি দেখা হয়। রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত আটক করা হয়েছে বিভিন্ন রেস্তোরাঁর ৩৫ কর্মীকে। তাদের মধ্যে কয়েকটি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপকও রয়েছেন। এছাড়া যেসব রেস্তোরাঁয় ছোটখাট অনিয়ম পাওয়া গেছে তাদের মুচলেকা রেখে সতর্ক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন ধানমন্ডির হোয়াইট হল নামের রেস্তোরাঁর শামীম হোসেন তুহীন, ম্যারিটেজ ঢাকার খুরশীদ আলম, এ্যারিস্টোক্যাটের সাব্বির হোসেন, আদি কড়াই গোস্তের খালিদ হোসেন, দি লবি লাউঞ্জের মারুফ হোসেন, ইয়ামচা ডিস্ট্রিক্টের পুলক বিশ্বাস, ক্যাফে ডোলচের আশিক তালুকদার, ক্যাফে সাওপাওলোর শাহিন সারোয়ার, ক্যাপিট্যাল লাউঞ্জের রেদুয়ান আহম্মেদ, পার্ক এন্ড স্ট্রার্টের মিজানুর রহমান, খানাজের শরিফুল ইসলাম, ক্যাফে ইউফোরিয়ার আল আমিন, টুইন পার্কের আল আমীন মোস্তফা তালুকদার, স্টার দেশীর মেহেদী হাসান, ডিকে-১৩ এর রাসেল পালমা, বেস্টার প্রের আমিনুল ইসলাম রিফাত, চা-টাইপের সামিত আলম সিয়াম, চয়ন হালদার ও বিবিকিউ’র সুমিত রায়।

পুলিশের মাঠ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালানো হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে আগে সেভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়নি। এ কারণে মাঠপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় প্রাণ হারান ৪৬ জন। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। আহত ১৩ জনের মধ্যে ৬ জনকে ছাড়পত্র দেন চিকিৎসকরা। বাকিদের চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে ১৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।


আরও খবর



ব্রিটিশ কাউন্সিল ও এইচএসবিসি’র আয়োজনে ‘ইংলিশ অ্যান্ড ডিজিটাল ফর গার্লস ১শ’ কিশোরীকে স্বীকৃতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ফুলার রোড মিলনায়তনে সম্প্রতি এজ (ইংলিশ অ্যান্ড ডিজিটাল ফর গার্লস এডুকেশন) প্রোগ্রাম সম্পন্নকারীদের নিয়ে একটি গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এজ প্রোগ্রাম সফলভাবে শেষ করা ১শ’ জন কিশোরী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, এমপি। এছাড়া, অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মো. মাহবুব উর রহমান, বাংলাদেশ ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রোগ্রামস ডিরেক্টর ডেভিড নক্স এবং স্পৃহা বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও ডিনেট সহ অন্যান্য বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে আশঙ্কাজনকভাবে লিঙ্গ-অসমতার বিষয়টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে এসব জনগোষ্ঠীর মেয়েরা নানান বাধার শিকার হচ্ছেন; ইংরেজি বা ডিজিটাল স্বাক্ষরতার মতো প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রেও অপ্রতুল সুযোগ পাচ্ছেন তারা। শিক্ষাখাতে লিঙ্গবৈষম্যের এই বিষয়টিকে চিহ্নিত করে ব্রিটিশ কাউন্সিল বিভিন্ন অংশীদারের সহযোগিতায় ১২ বছর ধরে বাংলাদেশে এজ প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করে আসছে।

এইচএসবিসি এবং স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা স্পৃহা বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও ডিনেটের সহযোগিতায় এজ প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ২৬’শ চল্লিশ জন কিশোরীর কাছে পৌঁছায় ব্রিটিশ কাউন্সিল। গত দুই বছরে ২২০ জন পিয়ার গ্রুপ লিডারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যারা ১১০টি গার্লস ক্লাবের ২,৪২০ জন কিশোরী মেয়েকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

এজ প্রোগ্রাম শেষ করা কিশোরীদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, এমপি বলেন, “আপনাদের আত্মবিশ্বাস আমাকে উদ্দীপিত করেছে; আমি আপনাদের জন্য গর্বিত। আমার পরামর্শ হচ্ছে, আপনারা আপনাদের শিকড় ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে ভুলে যাবেন না।” প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণীদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে এজের মতো কর্মসূচি নিয়ে কাজ করার জন্য তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিল ও এইচএসবিসি -কে ধন্যবাদ জানান।

এ বিষয়ে বাংলাদেশস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল বলেন, “সকল মেয়েদের জন্য ১২ বছরের মানসম্মত শিক্ষা, শিক্ষায় অর্থায়ন এবং মৌলিক শিক্ষাগ্রহণ অর্থাৎ দক্ষতার উন্নয়নে বিনিয়োগের ওপর বর্তমানে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করছে ব্রিটিশ হাই কমিশন। বাংলাদেশে মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের সামগ্রিক কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য অংশ এই এজ প্রোগ্রাম; একইসাথে, এটি মেয়েদের শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহী সরকারি ও

বেসরকারি খাতগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার চমৎকার একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে।” বাংলাদেশ ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স বলেন “এইচএসবিসি’র সাথে সফল অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এবং স্থানীয় অংশীদারদের সহযোগিতায় আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ২৬’শ চল্লিশ জন কিশোরীর কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। আন্তর্জাতিক সহযোগী, সরকার ও বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানের সাথে

কাজ করার আরও অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং এই প্রোগ্রামগুলোকে আরও টেকসই ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যেআমরা এ ধরনের সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে আগ্রহী।” এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মো. মাহবুব উর রহমান বলেন, “আজকের বিশ্বায়ন ও ডিজিটাল যুগে

আমরা মেয়েদের ইংরেজি দক্ষতা, ডিজিটাল স্বাক্ষরতা, সামাজিক সচেতনতা ও উদ্যোগ গ্রহণের সক্ষমতার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে চাই। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা শিক্ষার পরিবর্তনশীল সক্ষমতার সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী। ফলে, আমরা মেয়েদের ক্ষমতায়ন ও তাদের ভবিষ্যৎ সাফল্যের পথকে সুগম করতে এ ধরনের প্রোগ্রামে আরও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

অনুষ্ঠানে ২শ’ বিশ জন পিয়ার গ্রুপ লিডারের (পিজিএল) মধ্যে ঢাকাভিত্তিক ১শ’ জন এজ ক্লাবের সদস্য সনদ ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন। বাকি ১শ’ বিশ জন পিজিএল ও ২৪’শ বিশ ক্লাব সদস্যকে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হবে।


আরও খবর