Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আদালতের রায় মানতে হবে: বুয়েট উপাচার্য

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে আদালতের রায় মানতে হবে,বলেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার ।

সোমবার (১ এপ্রিল) এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা এদিন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত। বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বি এ রিট দায়ের করেন। রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। আদালতের এ আদেশের ফলে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে বুয়েট উপাচার্য বলেন, আদালত যা বলবে, তা আমাদের মানতে হবে। আদালতের আদেশ আমাদের জন্য শিরোধার্য। তাই আদালতের রায় আমাদের মানতে হবে। সেটা না মানলে তা হবে আদালত অবমাননার শামিল।

এর আগে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের (আইইবি) নেতারা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আবারও বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবি জানান। আইইবি নেতারা মনে করেন, বুয়েটে মুক্ত চিন্তা থাকা প্রয়োজন। তাই সে ব্যাপারে তারা কিছু গাইডলাইন দিতে চাচ্ছেন। নেতার বলেন, বুয়েটে সুস্থ রাজনীতির চর্চা না থাকার কারণে মৌলবাদী ধারার অনুপ্রবেশ ঘটবে। হিযবুত তাহরিরের লিফলেট ছড়ানো হচ্ছে। আমরা সবার সহাবস্থান ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই। অবাধ রাজনীতিই পারে বুয়েটে সুন্দর ভবিষ্যত নির্মাণ করতে। কারণ মুক্তচিন্তা না থাকলে শিক্ষার্থীরা দেশ নিয়ে ভাববে না। এসময় গত বছরের জুলাইয়ে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে রাষ্ট্রবিরোধী গোপন বৈঠকের অভিযোগে গ্রেফতর বুয়েটের ৩৪ শিক্ষার্থীর ঘটনা তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান বুয়েট উপাচার্য। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ‍বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


আরও খবর



আমতলীতে সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক যুব সমাবেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলীতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় নজরুল স্মৃতি সংসদ (এনএসএস) এ সমাবেশের আয়োজন করে।

এনএসএস প্রশিক্ষন কেন্দ্রে প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. তানজিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট এমএকাদের মিয়া। সভায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মো. জাকির হোসেন, মো. জহিরুল ইসলাম , এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ এর অরিখ চক্রবর্তী ও তৃতীয় লিঙ্গের স্বপ্না বেগম প্রমুখ। সমাবেশে তৃতীয় লিঙ্গের ২জনসহ এবং বিভিন্ন ধর্মের মোট ৪৫ জন যুবরা অংশগ্রহন করেন।

আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট এমএকাদের মিয়া তার বক্তৃতায় বলেন, আমতলী উপজেলায় সম্প্রীতি কমিটি যদি গঠন করা না হয় তাহলে দ্রুতই এ কমিটি গঠন করা হবে এবং সেখানে যুব এবং ক্ষুদ্র নৃতাত্তিক গোঠির মানুষকে অন্তর্ভক্ত করা হবে।


আরও খবর

ভোলায় ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা তদন্তে দুই কমিটি, বরখাস্ত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শুক্রবার (৩ মে) গাজীপুরের জয়দেবপুরে দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ট্রেনে যাত্রীবাহী কমিউটার ট্রেনের ধাক্কার ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন, আবগোমটি স্টেশনের মাস্টার মো. হাশেম, পয়েন্টম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।

দুর্ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রেলওয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটিতে সিওপিএস মো. শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আঞ্চলিক কমিটি করা হয়েছে। আর রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন) সৌমিক শাওন কবিরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার প্রায় ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে উল্লেখ করে জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া জানান, ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস জয়দেবপুর স্টেশন হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এর কিছু সময় পর একইভাবে একতা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে জয়দেবপুর স্টেশন হয়ে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এখন এক লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। বাকি লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে।

তিনি জানান, সকালে টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। সিগন্যালম্যানের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী ছিল না। সে কারণে হতাহতের সংখ্যা কম হয়েছে। কমিউটার ট্রেনের লোকো মাস্টারসহ (ট্রেনের চালক) চার জন আহত হয়েছে।

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক জয়রাজ হোসেন জানিয়েছেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় শরীফ মাহমুদ, সবুজ হাসান, হাবিবুর রহমান নামে তিনজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এর আগে, বেলা ১১টার দিকে মহানগরের কাজীপাড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনকে যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন ধাক্কা দেয়। এ সময় মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত ও চারজন আহত হন। এর পর থেকে লাইন বন্ধ হয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল।


আরও খবর



মহান মে দিবস, বঙ্গবন্ধু ও শ্রমিক অধিকার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ॥১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, যা বিশ্ব পরিমন্ডলে ‘মহান মে দিবস’ বা শ্রমিক দিবস হিসেবে গুরুত্বসহকারে পালন করা হয়। বিশ্বের শ্রমজীবী-কর্মজীবী, পেশাজীবী, মেহনতি মানুষের ঐক্য, সংহতি, সংগ্রাম, সাফল্য ও বিজয়ের দিন মহান মে দিবস। মে দিবস এলেই আমাদের সামনে ভেসে ওঠে ঘর্মাক্ত মেহনতি-শ্রমজীবী মানুষের প্রতিচ্ছবি। আর এই শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের প্রশ্নটিও সাথে সাথে উঠে আসে এই ঐতিহাসিক দিনে। এই দিবসের তাৎপর্য অনেক, এর পেছনে রয়েছে একটি রক্তস্নাত ইতিহাস। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে আট ঘণ্টা শ্রম দিবস, মজুরী বৃদ্ধি, কাজের উন্নতর পরিবেশ ও শ্রমের ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলনে আত্মহুতি দান করেছিলেন শ্রমিকরা, ১ মে তারিখে বিভিন্ন দাবিতে ধর্মঘট সমাবেশে পুলিশের গুলি বর্ষণে ৬ জন শ্রমিক প্রাণ হারায়। এর প্রতিবাদে পরদিন হে মার্কেটে শ্রমিকরা মিলিত হলে কারখানার মালিকরা সেখানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং এতে ৪ শ্রমিক নিহত হয়। শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলন করার দায়ে অগস্ট স্পাইস নামে এক শ্রমিক নেতাকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যালিষ্ট কংগ্রেসে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষিত হয় এবং তখন থেকে অনেক দেশে দিনটি শ্রমিক শ্রেণী কর্তৃক উদযাপিত হয়ে আসছে।

রাশিয়া এবং পরবর্তীতে আরো কয়েকটি দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংগঠিত হবার পর মে দিবস এক বিশেষ তাৎপর্য অর্জন করে। জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শাখা হিসেবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল লেবার অরগানাইজেশন বা আইএলও) প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার সমূহ স্বীকৃতি লাভ করে। আইএলও কতগুলো নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠা করে এবং সকল দেশের শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের তা মেনে চলার আহ্বান জানায় এবং এভাবে শ্রমিক ও মালিকদের অধিকার সংরক্ষণ করার চেষ্টা করে। বাংলাদেশ আইএলও কর্তৃক প্রণীত নীতিমালায় স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। বাংলাদেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে মে দিবস পালিত হয়ে আসছে।
রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, বিরোধীদলীয় নেতা এবং সংশ্লিষ্ট শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বাণী দিয়ে থাকেন। মে দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্যে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র বা প্রবন্ধ কিংবা বিশেষ নিবন্ধন প্রকাশ করে। মাথায় রঙ-বেরঙের কাপড় বেধে নানা রঙের ফেস্টুনসহ শ্রমিকরা মিছিল শোভাযাত্রা বের করে, বেতার ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠানাদির ব্যবস্থা করে। বাংলাদেশে বিভিন্ন পেশাজীবী, শ্রমজীবী এবং সামাজিক -সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো নানা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকে। দেশের সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এই সকল সভা-সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের খবর গুরুত্বসহকারে প্রচার করে থাকে। বাংলাদেশ মে দিবস পালনের ক্ষেত্রে মোটেও পিছিয়ে নেই। এ দেশে ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৩৮ সালে নারায়ণগঞ্জে প্রথম মে দিবস পালিত হয়। তারপর পাকিস্তান আমলেও মে দিবস যথেষ্ট উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে হাজার হাজার শ্রমিক অংশগ্রহণ করে এবং দেশ মাতৃকার জন্যে শহীদ হয়।

১৯৭২ সালে ১ মে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১ মে-কে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা সহ রাষ্ট্রপতি আদেশ ২৭(ক) ধারা মোতাবেক এদেশের সকল ব্যাংক, বীমা, শিল্প- কলকারখানা, রেল, নৌ-পরিবহনসহ  বৈদেশিক বাণিজ্যের সিংহভাগ রাষ্ট্রায়ত্ব ঘোষণা করেন। ফলে এর সুফলও ঐ সকল শিল্প কলকারখানায় কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীগণ ভোগ করতে থাকেন। সরকার নীট মুনাফার ৫% শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে সমহারে বন্টনের ঘোষণা দেয়, ফলে বেশ কিছু শিল্পে উৎপাদন ও মুনাফা যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের পর জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ১৯৭৭সালে প্রথম পাকিস্তানী অবাঙালিদের রেখে যাওয়া কিছু কিছু শিল্প কলকারখানা ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়া শুরু করেন, পরবর্তীতে জেনারেল এরশাদ ও বেগম খালেদা জিয়ার সরকার কম-বেশী সবাই ব্যক্তি মালিকানায় মিল কলকারখানা হস্তান্তর করেন। আটের দশকের শেষের দিকে পূর্ব-ইউরোপে সমাজতন্ত্রের পতনের পর তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো অতিদ্রুত সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক কর্মসূচী পরিত্যাগ করে বাজার অর্থনীতি তথা মুক্তবাজার অর্থনীতি রাষ্ট্রীয় পলিসি হিসেবে ঘোষণা করেন।

এই সব কারণে একদিকে যেমন শোষণ- নির্যাতন বেড়েছে অপর দিকে ব্যক্তির লুটপাটে পানির দামে ক্রয়কৃত চালু মিল কলকারখানাগুলো একে একে বন্ধ হয়ে গেছে। দেশ আজ আমদানি নির্ভর একটি সিন্ডিকেট চক্রের হাতে জিম্মি । বাংলাদেশে আজ শ্রমিকদের অবস্থা খুবই নাজুক । নারী-পুরুষের মুজুরী  বৈষম্যতো আছেই, এছাড়াও প্রায় সকল সেক্টরে ৮ ঘন্টার বেশী শ্রম দিতে হয়। হোটেল- রেস্তোরায় ও পরিবহন সেক্টরে ভোর ৬ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত শ্রমিক খাটানো হয়, তারপরও নেই কোন নিয়োগপত্র, নেই কোন মজুরী কাঠামো, নেই কোন উৎসব ভাতা কিংবা চিকিৎসাভাতা, এই সব সেক্টরে অধিকাংশ শিশু শ্রমিক নিয়োজিত আছে। দেশের তৈরী পোশাকশিল্প , চাউলের কল, চাতাল, চিংড়ী ঘের ও কৃষি কাজে হাজার হাজার নারী ও পুরুষ শ্রমিক কর্মরত আছে। এখানেও তাদের নেই কোন মজুরী কাঠামো বা নির্ধারিত শ্রম ঘন্টা অথবা কর্মের উপযুক্ত পরিবেশ, এমনকি শ্রমিকদের নেই নিজের জীবনের নূন্যতম নিরাপত্তা, অথচ তাঁরাই নিজের শ্রম দিয়ে, ঘাম দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা চালু রেখেছেন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে শ্রমিক হত্যাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ১,৫০০ শ্রমিক নিহত এবং দুইসহস্রাধিক শ্রমিক আহত হয়ে পঙ্গুবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। বাহ্যিকভাবে এটি দুর্ঘটনা। একটি ভবন ধসে লোক হতাহত হয়েছেন।

আসলে এটা কি শুধুই দুর্ঘটনা? কথিত দুর্ঘটনার আগের দিন ভবনটিতে ভয়াবহ ফাটল দেখা যায়। লোকজন ভবন ছেড়ে চলে যায়। পরের দিন ভবনে অবস্থিত কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দুর্ঘটনার আশংকায় খোলেনি। সেখানে গার্মেন্টস শিল্পে কাজ করার জন্যে প্রায় ৪ হাজার শ্রমিককে চাকরির ভয়ভীতি দেখিয়ে ঐ ভবনের ভেতরে নেয়া হয়। তারপর এই দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভবনটি বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করে সিলগালা করে বন্ধ করতে অসুবিধা কোথায় ছিল? ভবনটি নির্মাণে রাজউকের কোন অনুমোদন ছিল না। ভবন মালিক পৌরসভা থেকে ছয় তলা করার অনুমোদন নিয়ে, সেখানে নয় তলা ভবন তৈরী করলো কিভাবে? এই ভবন ধসের বিষয়টি মানবসৃষ্ট, কাজেই এই বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি নিছক দুর্ঘটনা নয়, ইহা হত্যাকান্ড। ফলে ভবন মালিক সোহেল রানাসহ দায়ী সব পোশাক শিল্পের মালিকদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে শ্রমিক হত্যার জন্য দায়ী পোশাক শিল্পের মালিকদের বাঁচানোর যে চেষ্টা অতীতে বিজিএমইএ করে এসেছে, তা থেকে তারা সরে আসবে বলে আশা করছি। দেশের তৈরী পোশাকশিল্প খাতকে বাঁচানোর স্বার্থেই এটা করতে হবে।কর্মস্থলে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রানা প্লাজা হতাহত শ্রমিকদের অনেকেই আজও তাদের ক্ষতিপূরণ পায়নি।

এমনকি নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা শত চেষ্টা করেও খোঁজ কিংবা নিহত শ্রমিকের লাশও পায়নি। এই ভবন ধসের ঘটনার অভিজ্ঞতা নিয়ে অনুরূপ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি অন্যান্য কারখানায় না ঘটে সেরকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি।

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম-আন্দোলনে বাংলাদেশের শ্রমিকদের আত্মত্যাগ ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে। বাংলাদেশের শ্রমক্ষেত্রে যত আইন, নীতি, বিধি-বিধান ও নীতিমালা রয়েছে তা মূলত দেশের শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা তথা শ্রমক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা  ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমিজীবী মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশী। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে শ্রমিকদের একাগ্রতা ও শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক সুসম্পর্ক অপরিহার্য। টেকসই উন্নয়ন ও শিল্প-বাণিজ্য খাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও তাদের ন্যায্য অধিকারসমূহ নিশ্চিত করতে হবে।


আরও খবর



বগুড়ার শাজাহানপুর ইউএনও অফিসে রহস্যজনক চুরি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image
লতিফ-বগুড়া-বিশেষ প্রতিনিধি:বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় অফিসে রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে।

ইউএনও বিদায় আগের দিন তার অফিস থেকে ৪টি হার্ডডিস্ক,১ টি ল্যাপটপ সহ ২টি সিসি ক্যামেরা উধাও হয়েছে বলেছে জানা গেছে।রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে শাজাহানপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে উপজেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম থানায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম।

সম্প্রতি ইউএনও তাহমিদা আক্তারকে নানা সমালোচনার মুখে শাজাহানপুর উপজেলা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় বদলী করা হয়েছে।গত সোমবার (৮ এপ্রিল) রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মাঠ প্রশাসন শাখা থেকে সিনিয়র সহকারী কমিশনার প্রিয়াংকা দাস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য পাওয়া যায়।স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসী জানায়, ইউএনও বিদায়ের আগেরদিন অনিয়ম দুনীতি তথ্য মুছে ফেলতে তার রুমে অফিস থেকে ৩ টি কম্পিউটার হার্ডডিস্ক,১ ল্যাপটপ ও ২টি সিসি ক‍্যামরাসহ হার্ডডিস্ক উধাও হওয়ার মিথ্যা অভিযোগ উঠতে পারে।সঠিক তদন্তের দাবী জানিয়েছে তারা।

আরও খবর



হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়ল আরও ৩ দিন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:(হিট অ্যালার্ট) মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ল। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া বিভাগ। সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল)।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে আরও তিন দিনের জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২৮ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা (তিন দিন) অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে গত কিছুদিন ধরে দেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত ৩১ মার্চ থেকে টানা বইছে এ তাপপ্রবাহ। আগামী মাসের (মে) প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টি বেড়ে তাপপ্রবাহের আওতা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের মানুষ। অধিকাংশ অঞ্চলে তাপদাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।


আরও খবর