Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

চাঁদার টাকা না দেওয়ায় পুকুর বাঁশ ঝাড় জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ১১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৩০৬জন দেখেছেন

Image
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি; রাজশাহীর তানোর প্রেসক্লাবের নামধারী সহসভাপতি আশরাফুল  ইসলাম রঞ্জু দাবিকৃত এক লাখ টাকা চাদা না পেয়ে বন্দোবস্তের পুকুরে জোরপূর্বক মাছ মারা ছাড়া ও বাশ গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় জমির মালিক মোসলেম উদ্দিন নিরুপায় হয়ে রঞ্জুকে বিবাদী করে রোববার দুপুরের দিকে উপজেলা নির্বাহীর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের অনুলিপি স্থানীয় সংসদ, জেলা প্রসাশক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মুন্ডুমালা ভূমি কর্মকর্তার নিকট দেওয়া হয়েছে। উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়ন(ইউপির) ধামধুম গ্রামে গত শনিবার মাছ ছাড়া মারা ও বাশ গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। তানোর প্রেসক্লাবের নামধারী দের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে চরম বিব্রতৃ। এতে করে প্রতিটি অভিযোগের তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জরুরী ভাবে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সিনিয়র গণমাধ্যম কর্মীরা। ঘটে দখল বাজির ঘটনাটি। নচেৎ চাঁদাবাজ রা বেপরোয়া হয়ে উঠবে। তার আগেই লাগাম টানা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল। 

জানা গেছে,উপজেলার বাধাইড় ইউপির ধামধুম মৌজায় আরএস খতিয়ান ১ আরএস  ১৯২ দাগে পুকুরসহ ধানি জমি রয়েছে ১ একর ২৬ শতাংশ। এই জমি চাপাইনবাবগঞ্জ সদর এলাকার মৃত নুর মোহাম্মাদ সরকারের নিকট হতে বিগত ১৯৭৭ সালের দিকে বন্ধোবস্ত দলিল করে নেন। যার দলিল নম্বর ৩৭৮৩ ভলিয়ম নম্বর ৩৯, পাতা  নম্বর ২১০ থেকে ২১৪ প্রস্তাবিত খতিয়ান নম্বর ১৯৯ হোল্ডিং নম্বর ১০১, এবং খাজনা দেওয়া আছে। এঅবস্থায় উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর পুত্র আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু পুকুর ও জমি দখল নিতে নানা ভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করে গত শনিবার পুকুর মাছ ছাড়েন।

ভুক্তভোগী মোসলেম জানান, দলিল হওয়ার পর থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে জমি পুকুর দখল ভোগ করছি। কিন্তু রঞ্জু তানোর প্রেসক্লাবের সহসভাপতি পরিচয় দিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা চায়, না দিলে সব ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এঅবস্থায় গত শনিবার পুকুরে মাছ ছাড়েন ও পাড়ের বাঁশ গাছ ও কলা কেটে নিয়ে আসেন এবং আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে ইউএনও স্যারের নিকট অভিযোগ দিয়েছি।

অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম রঞ্জুর ০১৭১১৫৭৭০৬২ এই মোবাইল নম্বরে  ফোন দেওয়া হলে প্রথমে রিং বাজলেও পরে ফরয়াড লিখা আসে, যার কারনে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, অফিসে ছিলাম না, রাজশাহী মিটিংয়ে ছিলাম, সোমবারে অফিসে গিয়ে অভিযোগ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



কাফরুল থানা আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভা (এল ও সি সি) অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার : কাফরুল থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভা (এল ও সি সি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাফরুল থানাধীন মিরপুর ১৩তে  ৪ নং ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশন কমিউনিটি সেন্টারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাফরুল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার (পল্লবী জোন) ডিবি মিরপুর মো: রাশেদ হাসান।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে কাজ করতে হবে। আপনারা যারা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন তারা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন। আপনাদের কাজ শুধু তথ্য দিয়ে সহায়তা করা। বাকি কাজ পুলিশ প্রশাসন করবে। আর পুলিশের পাশাপাশি আমাদের যারা ডিবি রয়েছেন তারাও কাজ করবে। কিশোর গ্যাং রোধে অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে। আপনার সন্তান কোথায় যায় সেটি আপনাকে নজর রাখতে হবে। আপনার পাশে যেই ছেলেটি খারাপ আছে তার তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করুন। একটা কথা মনে রাখবেন আপনার ছেলে ভালো কিন্তু যেই ছেলেটা খারাপ সেই ছেলে কিন্তু আপনি ছেলেকেও খারাপ বানিয়ে ফেলবে। তাই আপনার ছেলে হোক বা পরের ছেলে হোক খারাপ হলে  তার ব্যাপারে প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন। 

এ সময় বিশেষ অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এসি ট্রাফিক পল্লবী (জোন) তানিয়া সুলতানা, এসি পেট্রোল (পল্লবী জোন) মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ  স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি  গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু,  কাফরুল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)   মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এস আই বাদশা। 

অনুষ্ঠান শেষে সভাপতির বক্তব্যে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুকুল আলম বলেন, আপনারা পুলিশকে সহযোগিতা করুন। আমরা সব সময় আপনাদের পাশে আছি। পুলিশের একার পক্ষে সকল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব না। সকল সমস্যার সমাধান করতে হলে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আর আপনারা যারা হুজুর রয়েছেন তারা প্রত্যেক জুমার দিন সকল মসজিদে এসকল কথা বলবেন। এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



জয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৫২জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় প্রায় ২২ বছর পর ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। 
সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। 

দন্ডপ্রাপ্ত সকলের বাড়ির জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামে। এদের মধ্যে দুইজন পলাতক রয়েছেন। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২২ নভেম্বর রাতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমানকে ধানের জমি থেকে পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরে আসামী আলামের বাড়িতে ধরে নিয়ে যায় অন্যান্য আসামীরা। এরপর সেখানে আটকে রেখে তাকে নির্মমভাবে বিভিন্ন অস্ত্র দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে ও পা দিয়ে বুকে ও পেটে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল বারিক মুন্সী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন। 

সিংকঃ এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), জজ কোর্ট, জয়পুরহাট।

আরও খবর



র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার নতুন পরিচালক কমান্ডার আরাফাত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কমান্ডার আরাফাত ইসলাম র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি সদ্য বিদায়ী পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

র‌্যাব সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন চৌকস অফিসার। তিনি ১৯৯৫ সালে ৩৫তম বিএমএ লং কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন নৌবাহিনীতে ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন জাহাজের অধিনায়ক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম দেশ ও বিদেশে নৌবাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রেষণে র‌্যাব ফোর্সেসে যোগদান করেন। তিনি ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে সততা, দক্ষতা ও একনিষ্ঠভাবে দীর্ঘ ১ বছর ৩ মাস দায়িত্ব পালন করে র‌্যাবের অভিযানিক কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি রংপুর বিভাগীয় অঞ্চলে জঙ্গি দমন অভিযান, ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মাদকবিরোধী অভিযানসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি র‌্যাব-১৩ এ দায়িত্ব পালনের সময়ে র‌্যাব-১৩ প্রথমবারের মতো ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রশাসনিক দক্ষতায় শ্রেষ্ঠ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম ২০০৭-২০০৯ সাল পর্যন্ত র‌্যাব-৪ ও র‌্যাব-৫ এর উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শুধু বাংলাদেশ কোস্টগার্ডে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তাই নয়, তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে লেবানন এবং সাউথ সুদানে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি র‌্যাবে কর্মরত থাকা অবস্থায় পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম (সেবা), বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে নৌ উৎকর্ষতা পদক (এনইউপি) এবং কোস্টগার্ড থেকে প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড মেডেল (পিসিজিএম) এ ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি নৌপ্রধানের প্রশংসা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন হতে ফোর্স কমান্ডার’স কমেন্ডেশন প্রাপ্ত হয়েছেন।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম নেভিগেশন অ্যান্ড ডাইরেকশনের ওপর বিশেষ স্পেশালাইজেশন সম্পন্ন করেন। তিনি আবহাওয়াবিদ্যায় উচ্চশিক্ষা অর্জন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিভিন্ন পরিসরের প্রশিক্ষক, কমান্ড ও স্টাফ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন চৌকস অফিসার। তিনি কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত সততা, পেশাদারিত্ব, পারদর্শিতা, উৎকর্ষতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সুনাম অর্জন করে আসছেন।


আরও খবর



জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা শিবনারায়ণ দাস (৭৮) মারা গেছেন।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

শিবনারায়ণ দাসের জন্ম কুমিল্লায়। তার পিতা সতীশচন্দ্র দাস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে।

ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন শিবনারায়ণ। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন। তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও নেতা ছিলেন। ১৯৭০ সালের ৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এ লক্ষ্যে ছাত্রদের নিয়ে একটি বাহিনী মতান্তরে ‘ফেব্রুয়ারি-১৫ বাহিনী’ গঠন করা হয়। ছাত্রনেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাসের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটূয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক শোকবার্তায় শিবনারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।


আরও খবর



‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের এবারের স্লোগান ‘পরিবর্তনশীল জলবায়ুতে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কাজের নিশ্চয়তা’র সাথে সঙ্গতি রেখে সম্প্রতি ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। 

এ উপলক্ষে গাজীপুওে এনার্জিপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, খুলনার জি-গ্যাস এলপিজি মাদার প্ল্যান্ট ও রূপগঞ্জের জি-গ্যাস স্যাটেলাইট প্ল্যান্ট-১০১, অর্থাৎ এনার্জিপ্যাকের সকল কারখানায় বিশেষ ব্রিফিং, র‌্যালি সমাবেশ ও ফটো সেশনের আয়োজন করা হয়। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্রমশ পরিবর্তনশীল জলবায়ুর মাঝেও নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটে। 

কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে এনার্জিপ্যাক অত্যন্ত সচেতন। এমন প্রত্যয় দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য-বিষয়ক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে থাকে, যেন কর্মীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি নিজেদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তরিক হতে পারে। কর্মস্থলের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে প্রতিষ্ঠানটির সকল কারখানায় নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মানদ- নিশ্চিত করা হয়। 

এ বিষয়ে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হুমায়ূন রশিদ বলেন, “এনার্জিপ্যাক সবসময় নিরাপত্তা, কর্মীদের স্বাস্থ্য ও টেকসই পরিবেশের ওপর গুরুত্বারোপ করে। আমাদের সকল প্রচেষ্টাতেই এর প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। এমনকি সামনের দিনেও আমরা সকল কর্মীর জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশের মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করবো।”  


আরও খবর