Logo
আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ১১৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুর পাবনার সুজানগর উপজেলায় বাজার ও কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ মজুতের প্রকৃত অবস্থা পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, আশ্বিন কার্তিক মাস আসলেই কেন পেঁয়াজের ঘাটতি হয়, দাম অস্বাভাবিক হয়? পেঁয়াজ নিয়ে নানা রকম রাজনীতি শুরু হয়? ঈদ এলেই আমাদের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা নানা ষড়যন্ত্র করে, সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়।

পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি পেঁয়াজের সংরক্ষণের সময় বাড়াতে। এজন্য আমরা এই আধুনিক সংরক্ষণাগার স্থাপন করেছি। যদি সফল হই তাহলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমরাই ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারব। গত বছর আমাদের কৃষি ভাইয়ের দাম পায় নাই। অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। এজন্য অনেকেই পেঁয়াজ চাষ না করে। তাতে ২-৩ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন কম হয়েছে।

ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করছেন। দেখছেন এখনো পেঁয়াজ ভালো আছে, তাই দাম বাড়ার কথা নয়। আপনারা আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করেন। কৃষকের স্বার্থ দেখে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


আরও খবর



ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের উৎ‌সে কর দিতে হবে না: পলক

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের উৎ‌সে কোনো কর দিতে হবে না। আয়কর মুক্ত থাকবে ফ্রিল্যান্সিং খাত।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ফেলিসিটি ইন্টারনেট ডাটা সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত বিএফএসআই ক্লাউড এবং সাইবার সিকিউরিটি শীর্ষক নলেজ শেয়ারিং অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ফ্রিল্যান্সারদের আয়কর প্রসঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত ১৪ বছরে প্রযুক্তিবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার ফ্রিল্যান্সিং খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে অনুদান প্রদান, তাদের আইডিসহ নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে এবং ফ্রিল্যান্সারদের বিভ্রান্ত করতে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। এমনকি তারা বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও আমাকে নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের সঙ্গে কথা বলে আমি এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের উপর কোনো ধরনের উৎসে কর দিতে হবে না। তারা এর আওতার বাইরে থাকবে। ফ্রিল্যান্সাররা দেশে রেমিটেন্স আনলে তাদেরকে ৪ শতাংশ ইনসেনটিভ দেওয়া হয়। যা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।  বিশ্বের নানা প্লাটফর্ম থে‌কে যে পরিমাণ ডেটা বর্তমানে বাংলাদেশে আসছে, সেগুলো যদি পুরোটা সংরক্ষণ করতে পারি, তাহলে বিলিয়ন ডলার বিজনেস অপোরচুনিটি তৈরি হবে।


আরও খবর



উত্তর টাঙ্গাইলের হাট বাজারের হাসির সম্রাট ফরিদ পাগলা আর নেই

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬৫জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃটাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভাধীন বকুলতলা টেংরী গ্রামের ফরিদ উদ্দিন (ফরিদ পাগলা) শনিবার(৯সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন। 

তিনি দীর্ঘদিন যাবত ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। বিভিন্ন হাটবাজারে নানান রকম খেলা ও অঙ্গ রসের কথায় মানুষকে আনন্দ দেওয়াই ছিলো তার একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম। সাংসারিক জীবনে তিনি ছিলেন তিন কন্যার জনক। বিভিন্ন হাটবাজারে তার কলা কৌশল দেখে মুহুর্তের মধ্যে শতশত লোকজন জমায়েত হয়ে যেতো। তার সঙ্গী ছিলো এক প্রতিবন্ধী যিনি ছোট্ট একটি রিং এর ভিতর দিয়ে তার পুরো শরীর প্রবেশ করিয়ে দর্শকদের তাক লাগিয়ে দিতো। একটি লম্বা কাঠির মাথায়  থাল ঘুরানো ছিলো ফরিদ পাগলার আকর্ষনীয় একটি দর্শক নন্দিত খেলা।

সেই আশির দশকে দর্শকদের উদ্দেশ্যে তার দেওয়া একটি সদাসত্য উক্তি আজও মানুষের মুখে মুখে রয়ে গেছে। বিভিন্ন কৌশলের খেলা, সার্কাস ও কথার রসে দর্শকদের আনন্দ দিয়েও যখন তার তৈরি মাজন বিক্রি করতে পারতেন না তখন রাগে কষ্টে বলতেন, “আমি তো এলাকার লোক আমার কাছ থেকে নিবেন কে? যারা প্রাইভেট গাড়ি নিয়া দুর থাইকা আইয়া সাপের তাবিজ দিয়া একশো টাকা নিয়া বাগবো তারাই বালা ঐ তাবিজ হাতে বাইন্ধা সাপের উপর পারা দিয়া দেইখো! ছুলাইয়া ফালাইবো” তার এই কথা আজও মানুষের মনে হাসির খোরাক জোগায়। শিশু বাচ্চাদের রাতে বিছানায় প্রশ্রাব বন্ধের তাবিজ দিতেন আর বলতেন “ খালি তাবিজের ভরসা কইরোনা, রাইতে তুইলা তুইলা প্রশ্রাব করাইও। সে হাট বাজারে মজমার মাধ্যমে বিভিন্ন ঔষধি গাছ গাছড়া দিয়ে দাতের মাজন বিক্রি করে যে টাকা উপার্জন করতেন তা দিয়েই তার এবং প্রতিবন্ধী সঙ্গীর সংসার চালাতেন। এই উপার্জনের টাকা দিয়েই তার তিন কন্যাকে লেখাপড়া করিয়ে বিয়েও দিয়েছেন। 

প্রায় দুইযুগ ধরে মানুষকে আনন্দ দিয়ে নিজের কষ্টকে তিনি লুকিয়ে রাখতেন।দীর্ঘদিন যাবত প্যারালাইসিস, ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগে তিনি ভুগছিলেন।মানুষকে আনন্দ দিয়ে সামান্য আয়ের টাকায় তার তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়ে তিনি এ সমাজের মানুষকে দেখিয়েছেন, কর্ম কোনোটাই ছোট নয়। মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত না পেতে অসৎ পথে টাকা উপার্জন না করে নিজের রোজগারের টাকায় ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকা অনেক আনন্দের।

তার জীবন বৃত্তান্ত ও অসুস্থতার কথা শুনে ছুটে আসেন গরীব অসহায় হতদরিদ্র মানুষের শেষ ঠিকানার মহীয়সী নারী মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন।যিনি দিনে অথবা রাতে যেকোনো সময় মধুপুরের নিপিড়ীত অসহায় মানুষের ডাকে ছুটে যান এবং যেকোনো সমস্যার সমাধান আদালত পর্যন্ত না গড়িয়ে নিজেই সমাধান করে থাকেন। 

তিনি প্রায় ৩মাস আগে অসুস্থ ফরিদ উদ্দিনকে দেখতে তার বাড়িতে যান এবং চিকিৎসার জন্য তার পরিবারকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এ ছাড়াও তিনি মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে ফ্রী চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন।হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার কয়েকদিন পর তার মৃত্যু হলো।রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় তার নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে  পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



গ্রামীণফোনের তিন বিভাগে নতুন প্রধান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হিউম্যান রিসোর্স অফিসার (সিএইচআরও) হিসেবে সৈয়দা তাহিয়া হোসেন, চিফ ইনফরমেশন অফিসার (সিআইও) হিসেবে নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন এবং হেড অব কমিউনিকেশনস হিসেবে শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত ১০ সেপ্টেম্বর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রামীণফোনে যোগদান করেন। সৈয়দা তাহিয়া হোসেন এবং নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন গ্রামীণফোনের ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্য হিসেবে যুক্ত থাকবেন। অন্যদিকে, এক্সটেন্ডেড ম্যানেজমেন্ট টিমের অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।  

নবনিযুক্ত কর্মকর্তাদের স্বাগত জানিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘গ্রামীনফোনে যোগ দেয়া নতুন সিএইচআরও, সিআইও ও হেড অব কমিউনিকেশনসকে স্বাগত জানাই। প্রতিষ্ঠানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে মানবসম্পদ, তথ্যপ্রযুক্তি ও করপোরেট কমিউনিকেশনস এর ক্ষেত্রে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। সিএইচআরও হিসাবে তাহিয়ার যোগদান আমাদের জন্য একটি  মাইলফলক। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতি ঘরে তুলতে, কর্মী সংযোগকে সামনের এগিয়ে নিতে ও বৈচিত্রপূর্ণ পরিবেশকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে তাহিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।  একইভাবে, ভবিষ্যতে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিগত কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিরঞ্জনের দক্ষতা আমাদের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে, বিশেষ করে ডিজিটাল রূপান্তর, সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমরা গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলতে পারবো। আর একটি অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি বিনির্মানে এবং প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ও বাইরে কার্যকরী যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আমাদের করপোরেট ন্যারেটিভকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কমিউনিকেশনস টিমে শারফুদ্দিনের যোগদান অনন্য ভূমিকা রাখবে।’


আরও খবর



মধুপুরে সেভেনডে এডভেন্টিজ চার্জ এর ভূমি দখলের পায়তারা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬১জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মধুপুরের কুড়াগাছা ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে সেভেনডে এডভেন্টিজ চার্জ এর ৮৬ শতাংশ ভূমি জবর দখলের অপচেষ্টা চলছে বলে জানা যা্য়। পিরোজপুর গ্রামের স্বর্গীয় জগৎ মারাকের ছেলে মি.ভুপেন্দ জেংচাম সেভেনডে এডভেন্টিজ চার্জ এর ৮৬ শতাংশ ভূমি জবর দখলের অপচেষ্টা করছে বলে জানান ভুক্তভোগী সহ এলাকাবাসী। গারোসম্প্রদায়ের নীতিমালা অনুযায়ী পিতা মাতার সকল সম্পতির মালিক হন কণ্যা সন্তান।

এলাকাবাসীর প্রত্যক্ষ স্বাক্ষীর ভিত্তিতে স্বর্গীয় জগৎ মারাকের কন্যার নিকট হতে ভূমি ক্রয় করে সংস্হাটি এবং ক্রয়কৃত ভুমিতে একটি চার্জ( গীর্জা) নির্মাণ করেন। উক্ত চার্জের  অধিনে একটি মিশনারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করে দীর্ঘদিন যাবত পরিচালনা মন্ডলির মাধ্যমে পরিচালনা করেন। রাতের আধারে বিবাদী ভূপেন্দ জেংচাম চার্জটি বিক্রি করে দেন এবং নগদ টাকা হাতিয়ে নেন। এব্যাপারে বৃহস্পতিবার বিকেলে এলাকার সকল খৃষ্ঠান, মুসলিম ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ঘটনাস্হলে উপস্হিত হয়ে এব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য  উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোড় দাবী জানান। তারা উক্ত ভুমির সকল কাগজ পত্র যাচাই বাছাই পূর্বক সংস্হাটি যাতে তাদের সম্পুর্ন ভুমি ঘেরত পেতে পারেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার সকল খৃষ্টান ধর্মালম্বীরা একত্রিত হয়ে  জমি দখলের অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করার জন্যও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়াগাছা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক সরকার, স্হানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বাবু, সদস্য খলিলুর রহমান, সেভেনডে এডভেন্টিজ চার্জ এর চেয়ারম্যান বেনজামিন ম্রং,রামজীবন হাইস্কুলের শিক্ষক আমান উল্লাহ. সাদত কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক  সহ-সভাপতি মোখলেছুর রহমান, মি. চন্দন কুমার ম্রং, মি.কফিন্দ্র রেমা, রানিন্দ্র রেমা, বিউটি রেমা সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



জনপ্রিয়তার তুঙ্গে তৃনমুলের আস্থাশীল রাব্বানী

প্রকাশিত:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৯৫জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:তৃনমুল ত্যাগী নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতীক ও ভরশার জায়গা ক্লিন ইমেজের নেতা গোলাম রাব্বানীর জনপ্রিয়তা এখন সবার শীর্ষে। রাব্বানী রাজশাহী -১ ( তানোর - গোদাগাড়ী)  আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী। সে ক্ষমতা সীন আ"লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জনপ্রিয়তা বাড়ছে গোলাম রাব্বানীর। তার বাড়ি তানোর উপজেলার প্রকাশ নগর গ্রামে। রাব্বানী একেবারেই তৃনমুল থেকে উঠে আসা পরিক্ষিত নেতা। পরপর দুবার পাঁচন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও দুবারের মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র ছিলেন। শুধুমাত্র এমপি নির্বাচন করার জন্য দলীয় হাই কমান্ডেই গত ২০২১ সালের মুন্ডুমালা পৌরসভার নির্বাচন করেন নি। টানা দীর্ঘ সময় ধরে উপজেলা আ"লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তৃনমুলের নেতা রাব্বানী। কিন্তু রাজনৈতিক গ্যাড়াকলে  গত বছর জুলাই মাসে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে পদ হারাতে হয়। তবে পদ হারালেও জনপ্রিয়তা হারাননি তিনি। বৃহত্তর তৃনমুল আ"লীগ আগামী নির্বাচনে রাব্বানীর উপর নির্ভর করে আছেন। কারন এসব তৃনমুলের নেতাকর্মী নিজ ঘরে পরবাসীর মত অবস্থা। 
জানা গেছে, গত বছরের  জুলাই মাসে ক্ষমতার কাছে হার মেনে পদপদবি হারাতে হয় গোলাম রাব্বানী ও আব্দুল্লাহ আল মামুন কে। পদ হারানোর পরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা পৌছিয়ে দিচ্ছেন দুই উপজেলা বাসীর মাঝে। অনেকে পদ পদবি হারিয়ে রাজনীতি ছেড়ে দেন। কিন্তু রাব্বানী এমন এক ব্যক্তি ঘাতপ্রতিঘাতের মধ্যেও প্রতিটি সময় তৃনমুল নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন। শুধু তাই না এমপির লোকজন রাব্বানী কে তানোরেও প্রবেশ করতে দেন নি। থানা মোড়ে বিএনপি পন্থী লোকজন ও মাদকসেবিদের দিয়ে গাড়ীতে আক্রমণ পর্যন্ত করা হয়েছিল। নিজ দল কর্তৃক এত নির্যাতনের শিকার হলেও সবকিছুই ধৈর্যের সাথে মোকাবিলা করেছেন। 

তার নিজগ্রাম প্রকাশনগরসহ আশপাশের বাসিন্দা আব্দুস সালাম, রবিউল,মাসুমসহ প্রবীন ব্যক্তিরা বলেন, গোলাম রাব্বানী একেবারেই তৃনমুল থেকে উঠে আসা নেতা। তিনি ১৯৯৭ সালে প্রথম পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। তখন তিনি একেবারেই তরুন। ২০০৩ সালে পুনরায় পাচন্দর ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে ২০১১ ও ২০১৬ সালে মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র হয়ে তাক লাগিয়ে দেন। কারন মুন্ডুমালা পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা মেয়র ছিলেন বিএনপির হেভিওয়েট প্রয়াত নেতা শীষ মোহাম্মাদকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন গোলাম রাব্বানী। যা উপজেলা না জেলার নেতারাও অবাক হয়ে পড়েন। এতই ক্লিন ইমেজের নেতা যে ওয়ান এলেভেনে সব নেতারা উধাও ও কত জনকে আটক করেছিল, কিন্তু রাব্বানী ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন। রাব্বানী ২০০৫ সাল থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত উপজেলা আ"লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সকলের উপরে যাওয়ার একটা ইচ্ছে থাকে। সেটাই তার জন্য কাল হয়ে যায়। রাব্বানী এমপি হবে এটা মানতে পারেননি বর্তমান এমপি ফারুক চৌধুরী। শুরু হয় দ্বন্দ্ব। তারপরও ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে এমপি ফারুক চৌধুরী নৌকা প্রতীক পেয়েছিলেন। কিন্তু রাব্বানী অকান্ত পরিশ্রম করেছিলেন ভোটের মাঠে।
 
সাবেক ছাত্র লীগ নেতা পাপুল সরকার, মৃদূল, সোহেল রানাসহ অনেকে বলেন, রাজশাহী - ১ আসনে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা গোলাম রাব্বানী। তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। তারমত ধৈর্যশীল বিনয়ী নেতা পাওয়া খুবই কষ্টকর। তৃনমুল নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সেটা বুঝতে পারলেও তাকে প্রতিটি সময় হেয় করেছেন ক্ষমতার দাম্ভিকতারা। তার উপর যতই জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। রাব্বানী কতটা জনপ্রিয় তার জলন্ত দৃষ্টান্ত তানোর পৌরসভার নির্বাচন। ১৯৯৯, ২০০৪,২০০১১ ও ২০১৬ সালে বিএনপির নেতারাই হয়েছিলেন মেয়র। সেই প্রায় ২৬ বছরের ইতিহাস ভেঙে নৌকার প্রার্থী ইমরুল হক কে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছিলেন। তিনি দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশে মুন্ডুমালা পৌরসভার নির্বাচন করেন নি। জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে, কিন্তু দলকে এককাতারে আনতে সম্পূর্ণ রুপে ব্যর্থ হয়েছেন বর্তমান ক্ষমতা ধরেরা। চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে ইউনিয়ন ও পৌরসভার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দলকে এক কাতারে আনতে নাকি সম্মেলন করেছেন। কিন্তু কেন্দ্র থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে সম্মেলন হবে না সাব জানিয়ে দেন। কিন্তু সেটাকে গুরুত্ব না দিয়ে অতিথি মৌসুমি কিছু উড়ে আসা ব্যক্তিদের কথায় সম্মেলন করে যাদের হাতে নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে তাতে করে দলে আরো লবিংগ্রপিং প্রকট আকার ধারণ করেছে। এক মঞ্চে একাধিক কমিটির নাম ঘোষণা করে নতুন ভাবে দলীয় গঠনতন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। তানোর গোদাগাড়ী উপজেলার আ"লীগ ও সহযোগী সংগঠন কে এক করতে হলে গোলাম রাব্বানীর বিকল্প নেই। যারা ইউনিয়ন ও পৌরসভার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে ছিলেন সবাইকে দলীয় ভাবে ক্ষমা করা হলেও এখানে তাদের কে ক্ষমা করা হয়নি। যার প্রমান তানোর পৌর সভাপতি ও পৌর মেয়র ইমরুল হক ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র পৌর সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান কে সম্মেলনে ডাকাও হয়নি এবং কোন পদেও রাখা হয়নি।

দুই পৌর মেয়র বলেন, আমরা ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি হয়েছি। আ"লীগ করতাম বলেই জনগন ভোট দিয়েছে। পদে না থাকলেও আমাদেরকে রাজনীতি করতে হবে দেশরত্নের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে সবকিছুই করা হবে। আমরা তাদের কাছে মূল্যায়ন চায়না, তৃনমুল নেতাকর্মীরাই আমাদের মুল ভরসা। আমরা রাব্বানীর লোক এজন্য পদে রাখা হয়নি। আমরা কোন ব্যক্তির রাজনীতি করিনা। আমরা জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারন করে দল করি। স্থানীয় নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন এক জিনিস না। সম্মেলনে যাদেরকে নেতা বানিয়েছেন তারা কতটা গ্রহণ যোগ্য সেটা তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই বিচার করবেন।

মনোনায়ন প্রত্যাশী গোলাম রাব্বানী বলেন, কেন্দ্র থেকে মাঠে থাকতে বলেছেন এজন্য মাঠে আছি। শুধুমাত্র এমপি মনোনায়নের জন্য অনেক জুলুম নির্যাতন ও পৌরসভা ভোটে অংশগ্রহণ করিনি। গত শনিবার আমার পক্ষে প্রায় ১৫০০ মত মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন দিয়েছেন মেয়র সাইদুর রহমান। রাজশাহী -১ আসনে অনেক মনোনায়ন প্রত্যাশীরা মাঠে উন্নয়নের বার্তা পৌছে দিচ্ছেন। আমরা যারা মনোনায়ন প্রত্যাশী সবার একটাই দাবি দাম্ভিকতা ব্যক্তিকে বাদ রেখে যে কেউকে নৌকা দিলে সবাই এক কাতারে এসে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করবেন। আপনি মনোনয়নের বিষয়ে কতটুকু আশাবাদী বা বর্তমান এমপি নৌকা পেলে কি করবেন জানতে চাইলে তিনি জানান আমার দৃঢ বিশ্বাস আমি মনোনায়ন না পেলেও বর্তমান এমপি পাবেনা। তারপরও দেশরত্ন যাকে নৌকা দিবেন তার হয়েই কাজ করা হবে। তবে বর্তমান এমপি কে নৌকা প্রতীক দিলে দলকে সুসংগঠিত করা দুরহ ব্যাপার হয়ে পড়বে বলে আমার ধারণা। যেহেতু আগামী নির্বাচন অনেক চ্যালেঞ্জিং সেহেতু অনেক যাচাই বাছাই করে দলীয় ভাবে মনোনয়ন দিবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

আরও খবর