Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
দিনাজপুরের হিলি রেলস্টেশনে সামনে ঝুলন্ত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার কৃষি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ধারণার জন্য ‘২০২৪ এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস’ –এ পুরস্কৃত আইফার্মার মোবাইলের অডিওকে উন্নত করতে ইনফিনিক্স ও জেবিএল-এর পার্টনারশিপ তিতাস গ্যাসের প্রয়াত সিবিএ সভাপতি কাজিম উদ্দিনের স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না: সেনাপ্রধান পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় সমন জারি তাহসান-মিথিলা বিচ্ছেদের পর ফের ‘একসঙ্গে’ সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত পিএসসির সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে সুনামগঞ্জে একদিনে ৪ জন সহ ৩ দিনে ৫জনের মৃত্যু

বর্তমানে ‘করোনারি হার্ট ডিজিজ’-এ আক্রান্ত নারীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৫৫জন দেখেছেন

Image

লাইফস্টাইল ডেস্ক : আগে পুরুষরাই বেশি আক্রান্ত হতো হৃদরোগে। কিন্তু বর্তমানে চিত্রটা একটু ভিন্ন । এখন নারীদের হৃদরোগে আক্রন্ত হওয়ার ঘটনাও বেড়ে চলছে। প্রজননক্ষম সময়ে নারীর ‘করোনারি হার্ট ডিজিজ’-এ আক্রান্ত হওয়ার ভয় কম। তখন মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের উৎপাদন ঠিক থাকে। হৃদরোগ আটকাতে সাহায্য করে সেই হরমোন। তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে হৃদরোগ বাসা বাঁধে নারীর শরীরে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি পাঁচজন মহিলার মধ্যে একজন হার্ট অ্যাটাকে মারা যাচ্ছেন। সেন্টার্স অব ডিজিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। অনেক ক্ষেত্রে দৈনন্দিন জীবনযাপনের মধ্যেই নিহিত থাকে হৃদরোগের কারণ। যেমন- অত্যধিক মানসিক চাপ, কর্মব্যস্ত জীবন।

অনেক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। গত বছর ‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও তুলে ধরা হয়েছে যে, ভারতসহ সব দেশে মহিলাদের মধ্যে কার্ডিয়োভাসকুলার রোগ বাড়ছে।

কেন নারীদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি তা জানেন কি?

১) ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে মহিলাদের ঋতুবন্ধ হয়। ঋতুবন্ধের পর শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। এ কারণে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

২) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক মহিলাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। এ সময়ে রক্তচাপ বেড়ে গেলে রক্তনালিকাগুলো দিয়ে রক্ত ও অক্সিজেন পর্যাপ্ত মাত্রায় মস্তিষ্কে পৌঁছাতে পারে না। এ ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যায়।

৩) ধূমপানের অভ্যাস বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের আশঙ্কা। ধূমপান বন্ধ করে দিলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে শতকরা আশি ভাগ। অতিরিক্ত মদ্যপান থেকেও নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখুন। এতেও হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে।

৪) ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। এসব রোগের কারণে রক্তনালিকাগুলো সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়ে। রক্ত প্রবাহে বাধা তৈরি হয়। ফলস্বরূপ হৃদযন্ত্রের উপর চাপ পড়ে। কার্ডিয়োভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনাও বেড়ে যায়।

৫) মানসিক চাপের কারণেও মহিলাদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদরোগের অন্যতম বড় অনুঘটক। শরীরকে সুস্থ রাখতে দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। কর্মব্যস্ততা এবং অবসাদের কারণে অনেক মহিলারাই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। এতেও কিন্তু ঝুঁকি বাড়ে।


আরও খবর

"নোবেলের ম্যাজিক শুধু প্রতারণা"

মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০24

ভালোবাসার দিন আজ

বুধবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪




পেঁয়াজের সাদা ফুলে সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ‘কালো সোনা’

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:সবুজ কান্ডের ডগায় কদমের মতো দেখতে সাদা সাদা ফুলে ভরে গেছে উত্তর জনপদের ধানের রাজ্য খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মিরাপুর ফসলের মাঠ। যা প্রকৃতির মায়াজালে আবৃত্ত এক অনন্য দৃশ্য, যেখানে সাদা ফুলের সমারোহ নয়, বরং এক অপার সম্পদের আহ্ধসঢ়;বান। এই ফুলের প্রশান্ত সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ‘কালো সোনা’, যা বাংলাদেশের কৃষকদের অর্থনীতিতে এক অপূর্ব সংযোজন। পেঁয়াজের বীজের উচ্চ বাজার মূল্যের কারণে কৃষি জগতে ‘কালো সোনা’ নামে পরিচিত। যেখানে কৃষকের পরিশ্রম ও প্রকৃতির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় এই অমূল্য ‘কালো সোনা’।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের পূর্বমিরাপুর, মিরাপুর, হাতিয়াপাড়া ও তারাটিয়া গ্রামে চাষ করা হয়েছে পেঁয়াজের বীজ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর পেঁয়াজ বীজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।চাষিরা বলছেন, এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় খরচ বাদে এই পেয়াজের বীজ চাষে লাভ হবে দ্বিগুণেরও বেশি, তাই এগুলো ‘কালো সোনা’ নামে খ্যাতি পেয়েছে।   

সরেজমিনে উপজেলার মিরাপুর, হাতিয়াপাড়া ও তারাটিয়া মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে পেঁয়াজ বীজের সাদা ফুল।শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। অনেকে আবার পেঁয়াজ বীজের গাছে শক্তি যোগানোর জন্য কীটনাশক স্প্রে করছেন। মৌমাছি সংকট থাকায় অনেক কৃষক আবার হাত দিয়েই পেঁয়াজ ফুলের ‘মধু ফেলা’র কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত রোপন করা পেঁয়াজ বীজ গাছের ফলন ভালো হওয়ায় লাভের স্বপ্ন বুনছেন তারা। 

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের পূর্বমিরাপুর গ্রামের কৃষক সাদ্দাম হোসেন জানান, গত বছর পেঁয়াজ বীজের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর আগ্রহ নিয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করেছি। তিনি আরো বলেন, “এই এলাকায় আমিই প্রথম দানা চাষ শুরু করি। এই ফসল চাষে যা খরচ হয় তার থেকে দ্বিগুণ লাভ থাকে। বর্তমানে আমার দেখাদেখি এলাকার অনেক কৃষকই এই ফসলের চাষ করছে।” ছেলে-মেয়েকে লেখা-পড়ার খরচ চালাচ্ছি, আল্লাহর রহমতে এই ক্ষেত করে আমি ভালো আছি।” 

ফুলবাড়ি গ্রামের কৃষক মো. আব্দুর রহিম বলেন, আমি দীর্ঘ দিন যাবৎ পেঁয়াজ বীজের আবাদ করে থাকি। এই ফসল চাষ করে লাভবান হয়েছি। এ বছর ১বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছি। 

শাহাগোলা ইউনিয়নের হাতিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক মো. উজ্জল হোসেন বলেন, এ বছর দেড় বিঘা জমিতে আমি পেঁয়াজ বীজ চাষ করেছি। ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি। বিভিন্ন রোগবালাইয়ের জন্য কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দেড় লাখ টাকার ওপরে বীজ বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান জনান, উপজেলায় চলতি অর্থবছওে ২১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এ বছর পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা যাতে বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করতে পারেন, এজন্য উপজেলা কৃষি অফিস বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ থেকে বাজারজাত করা পর্যন্ত পরামর্শের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, পিঁয়াজের বীজ চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কৃষকরা যেন পিঁয়াজ চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পিঁয়াজ চাষে যুক্ত উপজেলার কৃষকরা এবার বেশ উৎফুল্ল।কারণ তারা প্রাকৃতিক অনুকূল পরিবেশের জন্য এবার উৎপাদিত ফসলের ফলন ও দাম বেশ ভালো পাবেন বলে তিনি মনে করছেন।


আরও খবর



এলিভেটেড এক্সপ্রেস আগামী বছর পুরো খুলে দেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী বছরের শুরুতে পুরো এলিভেটেড এক্সপ্রেস খুলে দেওয়া হবে,বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, রাতারাতি যানজট কমানো সম্ভব না, মেট্রোরেল এবং এলিভেটেডের সব কাজ শেষ হলে যানজট কমে যাবে।

বুধবার (২০ মার্চ) সকালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের ডাউন র‌্যাম্প উন্মুক্ত করন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সেতু বিভাগের মো. মনজুর হোসেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার উপস্থিত ছিলেন।

বিমানবন্দর, বনানীসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উঠে এ র‍্যাম্প দিয়ে নেমে যাওয়া যাবে কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল, মগবাজার, মিন্টো রোডসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র‌্যাম্পসহ এর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো কাজ শেষ হলে মোট ৩১টি র‌্যাম্প দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ওঠানামার সুযোগ হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর ২ সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ উদ্বোধন করেন।


আরও খবর

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




যশোরে নিখোঁজ জোনাকি'র মরদেহ ভাসছিল পুকুরে, স্বজনদের দাবি ‘হত্যাকাণ্ড’

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৮৪জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান,যশোর প্রতিনিধি : যশোরে নিখোঁজের একদিন পর জোনাকি খাতুন (৯) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের রেলগেট এলাকায় মডেল মসজিদের পেছনের একটি পুকুর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।  উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ওই শিশুর মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। জোনাকির দাদির দাবি, তার নাতিকে সৎ মা পরিকল্পিকভাবে হত্যা করেছে।


নিহত শিশু জোনাকি খাতুন বেনাপোলের পোড়াবাড়ি গ্রামের শাহিন তরফদারে মেয়ে ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ছোট সন্তান। শাহিন তরফদার বর্তমানে তৃতীয় স্ত্রী নার্গিস বেগমকে নিয়ে যশোর শহরের মডেল মসজিদের পেছনে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।

স্বজনেরা জানিয়েছেন, জোনাকি খাতুন বেনাপোলে দাদার বাড়িতে থাকে। ৬ দিন আগে দাদা বাড়ি থেকে যশোর শহরের রেলগেট এলাকার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে।সোমবার দুপুর থেকে সে নিখোঁজ ছিলো। অনেক খোঁজাখুজির পর মঙ্গলবার দুপুরে জোনাকির লাশ বাড়ি পেছনের পুকুরে ভেসে থাকতে দেখা যায়। জোনাকির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

স্বজনদের অভিযোগ, জোনাকির পিতা শাহিনের সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে সৎ মা নার্গিস বেগম জোনাকি খাতুনকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।

জোনাকির মেজ বোন চুমকি খাতুন বলেন, আমার মা আমাদের বাবার দ্বিতীয়  স্ত্রী।জোনাকি বেনাপোলে আমার দাদির কাছে থেকে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখা করতো। আমার বাবার (শাহিন তরফদার) অনেক সম্পত্তি আছে। সৎ মা সেই সম্পত্তি নিজের নাম নিতে চায়। সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে পরিকল্পিতভাবে সৎ মা নার্গিস বেগম আমার বোন জোনাকি খাতুনকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।

নিহতের দাদি সুববান বেগম বলেন, আদর যত্নে আমার কাছে মানুষ হচ্ছিল জোনাকি। আমার ছেলের কাছে ঘুরতে আইছিল ছয়দিন আগে। সোমবার শুনি আমার কলিজার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরে আমি কালকেই চলে আইছি আমার সোনার খোঁজে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আর পাইনি।

তিনি বলেন, আজ একটি শিশু এসে বলে বাড়ি পেছনের পুকুরে জোনাকি লাশ ভাসছে।পানি থেকে জোনাকিকে উঠিয়ে দেখি হাঁটু, পা, হাত ও গলায় শরীরের সব জায়গায়  ক্ষত চিহ্ন। আমার নাতিরে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যার বিচার চাই।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অনুসন্ধান চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসারবাদের জন্য সৎ মা নার্গিস বেগমকে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



রাজধানীতে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৭

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ তাদের ফতার করা হয়।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের হেফাজত থেকে ১৭৬ পিস ইয়াবা, ৫০ কেজি ৫০ গ্রাম গাঁজা, ৩ বোতল ফেনসিডিল ও ২০টি ইনজেকশন জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৪টি মামলা করা হয়েছে।


আরও খবর

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




নারায়ণগঞ্জ বন্দরে মৃত্যু, মৃত্যু যন্ত্রণা এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১২২জন দেখেছেন

Image
ইউসুফ আলী প্রধানঃ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের আওতায় আয়াত এডুকেশনের আয়োজনে মৃত্যু, মৃত্যু যন্ত্রণা এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৪ মার্চ) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার উত্তর নোয়াদ্দা কমিউনিটি ক্লিনিক প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিউনিটি ক্লিনিকের কোষাধ্যক্ষ হাজী মোঃ তমিজ উদ্দিন’র সভাপতিত্বে ও কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মঞ্জুর মুর্শেদ’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. ফয়সাল কবীর। 

সভায় মৃত্যু, মৃত্যু যন্ত্রণা বিষয়ক গুরুত্ব ও মূল বক্তব্য উপস্থাপনা করেন আয়াত এডুকেশন প্রকল্প সমন্বয়কারী সুমিত বণিক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের সমাজে সাধারণত মৃত্যু এবং মৃত্যু যন্ত্রণা সম্পর্কে কথা বলা অস্বস্তিকর একটি বিষয় বলে মনে করা হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে পরিবার, কমিউনিটির মানুষ, এবং আমাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সাথে মৃত্যু, মৃত্যু যন্ত্রণা, এবং মৃত্যু পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা আমাদের মৃত্যু বা প্রিয়জনের মৃত্যুতে নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে সাহায্য করে থাকে। তাই এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে সকলের অংশগ্রহণ দরকার। মৃত্যু সম্পর্কে ভাবা বা কথা বলা অনেকক্ষেত্রে ভীতিকর মনে হতে পারে, তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, এটি মানব জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ। অবশ্য ভালো বা খারাপ মৃত্যু নিয়ে ধারণা ব্যক্তিভেদে এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে আমরা কমিউনিটির মানুষ হিসেবে একজন প্যালিয়েটিভ কেয়ারের রোগী বা মৃত্যু পথযাত্রী যেকোন মানুষের জন্য আমরা অনেক কিছু করতে পারি। তাই আমাদের সকলের উচিত, তাদের পাশে থাকা এবং তাদের এই কঠিন সময়ে একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া।’

সভার সভাপতি হাজী মোঃ তমিজ উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজকের আগে আমি মৃত্যু নিয়ে এমন ধরণের সভার আয়োজন দেখিনি। এটি আমার কাছে নতুন মনে হয়েছে। আমার কাছে প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিয়ে কাজ করাকে সমাজসেবামূলক কাজ মনে করি। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ এসব বিষয় নিয়ে অবগত না থাকলেও, উন্নত দেশে শিশু ও বয়স্করা প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিয়ে অনেক সচেতন।’

সভার সঞ্চালক মঞ্জুর মুর্শেদ বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিয়ে একাধিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছি। আমার কাছে মনে হয়ে এ বিষয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষকে আরো বেশি সচেতন করা প্রয়োজন। আজকের সভায় সাধারণ মানুষ হিসেবে মৃত্যু বিষয়ে আপনারা যেভাবে স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে কথা বলেছেন, নিজেদের ভাবনাগুলো ব্যক্ত করেছেন, সেটা দেখে আমিও অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমি মনে করি, আমরা যদি সমাজে মৃত্যু নিয়ে এভাবে খোলামেলা নিজেদের ভাবনাগুলো শেয়ার করতে পারি, তাহলে এ নিয়ে আমাদের ভয়-ভীতিগুলো দূর হয়ে যাবে, সেই সাথে অন্য অসহায় মানুষের মৃত্যুযন্ত্রণাকে প্রশমিত করতে সহায়তা করতে পারবো।    

প্রধান অতিথি মো. ফয়সাল কবীর তার বক্তব্যে বলেন, ‘সমাজ সেবা বিভাগ নিরাময় অযোগ্য রোগীদের কল্যাণে কাজ করছে। আপনারা মমতাময় প্রকল্পের অধীনে যারা সেচ্ছাসেবক আছেন, তারা দুঃস্থ মানুষদেরকে সমাজ সেবা বিভাগের সেবা পেতে সহযোগিতা করার সুযোগ রয়েছে।’

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক পান্না আক্তার, সংবাদকর্মী ইউসুফ আলী প্রধান, কমিউনিটি মবিলাইজার অনন্যা রহমান প্রমুখ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও যুব স্বেচ্ছাসেবকসহবৃন্দ। সভায় আয়াত এডুকেশনে পক্ষ থেকে এ্যাসিস্ট্যান্ট ফিল্ড অফিসার সারোয়ার আলম, কমিউনিটি মবিলাইজার ফাহিম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর