Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সমাজসেবা দিবস-২০২৪ পালিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জানুয়ারী 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৫০জন দেখেছেন

Image

রুবেল মিয়া:"সমাজসেবায় গড়ব দেশ স্মার্ট হবে বাংলাদেশ শ্লোগান কে সামনে রেখে" ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইলে জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে।দিবসটি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) সকাল ১১.০০ ঘটিকায়  উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় এর আয়োজনে একটি র‍্যালি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও ক্ষুদ্রঋণ বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবা উল আলম ভূইয়া এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার  মো. পারভেজ আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডাঃ মো নোমান মিয়া, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা  জান্নাত সুলতানা,উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা  হ্যাপি আক্তার, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার নাজমা বেগম, সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)  আসম আতিকুর রহমান, মিতালি সমাজ কল্যান সমিতির সভাপতি - মাহবুব খান বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও সভায় নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।সভা শেষে, ঋণ গ্রহীতা ৩০ জন ব্যক্তির মাঝে ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ঋণ দেয়া হয়।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটে বুলু মিয়া হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২য় আদালতের বিচারক নুরুল  ইসলাম এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌশলী অ্যাডভেকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল।দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলার দস্তপুর গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া,গনিরাজের ছেলে এমরান আলী নুহু ও আউশগাড়ার মোকছেদ আলীর ছেলে বাবু মিয়া মিয়া।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকদাদরা এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে বুলু মিয়া দস্তপুর গ্রামের মৃত কুদ্দুসের মেয়েকে বিয়ের পর সেখানে ঘর জামাই হিসেবে থাকতেন। ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল রাতে সে হাতে লাঠি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। সে রাতেই আসামীরা পারিবারিক বিরোধের জেড় ধরে বুলুকে গলা কেটে হত্যা করে। পরের দিন ওই গ্রামের একটি বায়োগ্যাস তৈরীর টাংকির উপর তার গলাকাটা ও জখম রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।

আরও খবর



মধুপুরে দিন ব্যাপি দুগ্ধ উৎপাদন প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প(এল.ডি.ডি.পি) এর আওতাধীন প্রডিউসার গ্রুপ (পিজি)এর সদস্যদের নিয়ে ১দিন ব্যাপি দুগ্ধ উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (১৫মে) সকালে মধুপুর উপজেলাধীন আশ্রা প্রাণিসম্পদ কৃষক স্কুল মাঠে এ দুগ্ধ উৎপাদন প্রশিক্ষনের আয়োজন করেন মধুপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। 

মধুপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিপ্লব কুমার পাল এর সভাপতি ত্বেউক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মাহবুবুল ইসলাম। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সোহেল রানা ও জেলা ট্রেনিং কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শহীদুল আলম।

এসময় আরও অন্যান্য কর্মকর্তা সহ উক্ত পিজির ৪০জন সদস্য ও খামারিগন উপস্থিত ছিলেন। বক্তরা, দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং গাভীর বিভিন্ন রোগ ও রোগের প্রতিকার বিষয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জাহিদুল ইসলাম।

    -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



একনেকে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় একনেক সভা। এতে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম জানান, সভায় খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং চট্টগ্রামে একটি বার্ন ইউনিট স্থাপনসহ ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১০টি প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নিজের নাম ব্যবহার করে আর প্রকল্প যাতে না নেওয়া হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।


আরও খবর



ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যায় জড়িতরা অচিরেই গ্রেপ্তার হবে: র‌্যাব

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেছেন, ফরিদপুরে দুই সহোদর হাফেজকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতরা অচিরেই গ্রেপ্তার হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘পরিচয় পর্ব ও মতবিনিময় সভায়’ সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি সদ্য বিদায়ী পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লিতে মন্দিরের পাশে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান ও সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাসকে ধরিয়ে দিতে পুরষ্কার ঘোষণা করেছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। তাদেরকে গ্রেপ্তারে এলিট ফোর্স র‌্যাব কি ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, র‌্যাবের ইনটেলিজেন্স উইং বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। দেশের যেকোনো জায়গায় যেকোনো প্রান্তে যেকোনো ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনা নিয়ে কাজ করে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে র‌্যাব এ ঘটনায় কাজ করছে। অচিরেই এঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লিতে মন্দিরের পাশে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাতে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে সাইবার জগতে। যারা অপচেষ্টা করছেন তাদের শনাক্ত করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা অপরাধ সংঘটনের পর অপচেষ্টা বা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে। অপরাধী গ্রেপ্তার হলেই সব বেরিয়ে আসবে।

কোন বিষয়টি কাজ করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন যে ঘটনাগুলো ঘটে থাকে সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করি। আমার পূর্বের যে কর্মকর্তারা কাজ করে গেছেন। ঊর্ধ্বতনরা যে লিগ্যাসি রেখে গেছেন সেটাই আমি বহন করব। র‌্যাবের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করব।

গত দুই বছর ক্রসফায়ার নেই৷ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কি খুব ভালো হয়ে গেলো যে র‌্যাবের সঙ্গে কোনো ক্রসফায়ার নেই। নাকি অন্য কোনো চাপে ক্রসফায়ার হচ্ছে না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে এই পর্যায়ে কথা বলার কিছু নেই৷ র‌্যাব কেন আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। ক্রসফায়ার শব্দটি আমি ব্যবহার করতে চাই না। আমরা সব সময় চাই বিচার বহির্ভূত কোনো হত্যাকাণ্ড না ঘটুক। যদিও বিভিন্ন সময় এটা নিয়ে ভিন্নখাতে আলোচনা হয়।

কিশোর গ্যাং ও অস্ত্র-মাদক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদক নিয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কিশোর গ্যাং নির্মূলে উচ্চ পর্যায়ে নির্দেশনা পেয়েছি। আমরা কাজ করছি। প্রচুর কিশোর গ্যাং সদস্যকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এদের আশ্রয়প্রশ্রয় ও মদদদাতাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্ত করে এটা খুঁজে বের করা হবে। কিশোর গ্যাং চক্রকে আমরা সমূলে উৎখাত করব ইনশাআল্লাহ। এজন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।

কুকি-চিনের তৎপরতা নির্মূলে র‌্যাব ও যৌথ বাহিনীর অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যৌথ বাহিনী কাজ করছে। র‌্যাব যৌথ বাহিনীর অংশ। এটা নিয়ে কিছু বিষয় গোপনীয়তা রয়েছে অভিযানের স্বার্থে। এতোটুকু বলতে পারি, র‌্যাব এ ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে।


আরও খবর



বিএনপি সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করেছিল: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম না। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের দেশের মানুষ প্রাথমিক যে স্বাস্থ্য সেবা পাবে সেই সুযোগটা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।

বুধবার (১৫ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘আইসিপিডি থার্টি গ্লোব্যাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলডমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির পিতার নেওয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করে সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করি। বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর জন্য সারা দেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন কাজ শুরু করি। সেই সময় জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে আমরা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করি। নারী শিক্ষা বিস্তার এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে ছিল আমাদের আন্তরিক প্রয়াস।

তিনি বলেন, জাতির পিতার নিদের্শে ’৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল কাউন্সিল কমিশন গঠন করেন। জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে এদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনের ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০১২ প্রণয়ন করি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মাতৃ মৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প আবারও চালু করি। বর্তমানে সারাদেশে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এগুলোর মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টি অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ক্লিনিকে স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্স সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র বা পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক হতে মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২০০টি কেন্দ্র থেকে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রসূতি সেবা প্রদানের জন্য এসব কেন্দ্রে ৪ জন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ধাত্রী নিয়োগের অঙ্গীকার করেছিলাম। এর ধারাবাহিকতায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি। মাতৃ স্বাস্থ্য সেবায় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। ‘মা টেলিহেলথ সার্ভিস’-এর মাধ্যমে প্রসূতি মায়ের গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।


আরও খবর