ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইস ইরফান উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই এর অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।যার মামলা নং- সি,আর ২১২/ ২০২৩, ধারা ৩৯২/৪১১/৩৮৫/৫০৬(২) পেনাল কোড।
২৫ মে ২০২৩ রোজ বৃহস্পতিবা আশুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দি বাংলাদেশ টুডের প্রতিনিধি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ সাপ্তাহিক সত্যের দিগন্তের বার্তা সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ আশিকুর রহমান এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়,গত ২১ ডিসেম্বর ২০২২ জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর, চেয়ারম্যানের ইটের ভাটা সংলগ্ন রাস্তায় কতিপয় মুখোশধারী দুস্কৃতিকারী তার ব্যবহৃত ংধসংঁহম মধষধীু ধ৫০ আইএম নম্বর-৩৫৬২৫৯/১০/৪৭০১৭২/৯, ৩৫৬২৬০/১০/৪৭০১৭২/৭ মোবাইল সেটটি সহ ৫০০ ইউএস ডলার, আনুমানিক বাংলাদেশী ৭,৫০০/- টাকা ও ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্নের চেইন ও ১টি ৬ আনা ওজনের আংটি সহ মূল্যবান কাগজপত্রাদি জোর পূর্বক ছিনাইয়া নিয়া যায় ।
পরে এ বিষয়ে সাংবাদিক নিজে ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে আশুগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যার নং- ১১৬০। উক্ত সাধারণ ডায়েরীর মূলে পুলিশ কর্তৃক তদন্তের পর বর্নিত আসামীর নাম ঠিকানা প্রকাশ পায়।পরবর্তীতে আসামী বাদীকে মোবাইল ফোন সহ বর্নিত মালামাল ফেরত না দিয়া তালবাহানা শুরু করে।
উক্ত মামলায় মহামান্য আদালত আমলে নিয়ে তা আশুগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, মোবাইল ফোন হারানোর বিষয়ে এএসআই মজিবুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেবেন।
এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরীর তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুগঞ্জ থানা কর্মরত এ এস আই মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, জিডি মূলে সিডিআর সার্চ করে পৌঁছে যায় মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী মহিলার কাছে। উক্ত মহিলা জানায় রেজিস্ট্রিকৃত সিমের মালিক তার স্বামী ইউ,এন,ও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বিজয় নগরে যোগাযোগ করার জন্য।তখন তিনি একটি ফোন নাম্বার ও দেন। উক্ত ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলে ইউ,এন ওর পি এ ফয়সাল জানান তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইউ,এন ও।
এ বিষয়ে সাংবাদিক আশিকুর রহমান জানান, ছিনতাকৃত মালামাল ফিরে পাওয়ার জন্য সে মহামান্য আদালতে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।তার আশা এখন সে সুবিচার ও মালামাল ফিরে পাবেন।এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ইউ,এন ওর নাম্ভারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে শুনেছি মামলা হয়েছে তবে এখনো মামলার কোন কপি হাতে পাইনি।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যপারে কিছুই জানেন না বলে জানান।