বিনোদন প্রতিবেদক: একাধিক প্রেম নিয়ে আলোচনায় থাকা জনপ্রিয় ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির বিয়ে করেছেন। গেল ৩০ এপ্রিল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। আর সেই সংবাদটি তিনি নিজেই জানিয়েছেন তার ফেসবুকে। তবে স্ত্রী’র সম্পর্কে কিছুই বলেননি এই ইউটিউবার ও অভিনেতা।
তবে একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, সালমান মুক্তাদির যাকে বিয়ে করেছেন তার নাম দিশা ইসলাম। ২০১১ সালে দিশার প্রথম বিয়ে হয়। এরপর দিশার ঘরে আসে প্রথম সন্তান। আর ২০১৮ সাল পর্যন্তও পূর্বের স্বামীর সঙ্গে দিশার সম্পর্ক ভালো ছিল। ২০২১ সালে দিশা দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেন।
২০২১ সালের মার্চে দিশার ফেসবুকে প্রকাশ করা ছবিতে তাকে অন্তঃস্বত্ত্বা দেখা যায়, সেখানেও ছিল স্বামীর উপস্থিতি। এক সময় দিশা কানাডার ওন্টারিওতে বসবাস করতেন। ২০২৩ সালের এপ্রিলে সালমানকে বিয়ে করলেন তিনি। তবে এর আগে দিশা তার ফেসবুকের মাধ্যমে সালমান মুক্তাদিরকে বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
পূর্বের স্বামীর সঙ্গে দিশা ও তার দুই সন্তান
বেশ কিছুদিন আগে এক প্রশ্নের জবাবে সালমান মুক্তাদির বলেছিলেন, ‘আয়মান সাদিক বিয়ে করলেই তিনি দেখে শুনে বুঝে তারপর বিয়ে করবেন।
অথচ তার আগেই ঘর বাঁধলেন সালমান! তবে সেই কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও শিক্ষক আয়মান সাদিক ব্যাচেলর থেকে সালমানকে শুভেচ্ছা জানালেন।
এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি কখনও ভাবিনি এই দিনটি দেখব। তোমাদের আনন্দিত দেখে খুব ভালো লাগছে। দুজনের সুখি-শান্তিপূর্ণ এক যাত্রার জন্য শুভকামনা রইল।
ইয়ানূর রহমান : যশোরের বেনাপোল পৌরসভার নির্বাচন উপলক্ষ্যে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন। এসময় বেনাপোল পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে ৬জন প্রার্থী তাদের নাম প্রকাশ করেন। তাদের মধ্যে মেয়র প্রার্থী হিসাবে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আলহাজ আনোয়ার আলী আনু, বেনাপোল পৌরসভার সদ্য সাবেক সংরক্ষিত সদস্য কামরুন নাহার আন্না, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক আকবার আলী, যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেন উজ্জ্বল। এছাড়া, বেনাপোল পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড থেকে শতাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের নাম প্রকাশ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও যশোর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সালেহ আহমেদ মিন্টু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, যশোর জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা আলম সালমা, শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, বেনাপোল পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আহাদুজ্জামান বকুল, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অহিদুর রহমান অপু, তৌহিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন রুবেল, প্রতিটি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, যশোরের বেনাপোলসহ দেশের আট পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১৭ জুলাই। গত ৩১ মে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে বেনাপোল ইউনিয়নের ১১টা গ্রামের অংশ নিয়ে বেনাপোল পৌরসভা গঠনের পর ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সেখানে আর কোনো নির্বাচন হয়নি। সেই নির্বাচনে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ওই পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও আর নির্বাচন হয়নি। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভার নির্বাচন ঠেকাতে এলাকা নিয়ে মামলার কারণে নির্বাচন আটকে যায়। ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৪২ এর সংশোধনক্রমে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) আইন ২০২২ এর ধারা ৯ অনুযায়ী পৌর পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত জাহাজ দুর্ঘটনায় টাইটানিক নামের যে বিলাসবহুল জাহাজটি সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল এই প্রথম তার একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া গেছে। এসব ছবি আটলান্টিকের তিন হাজার ৮০০ মিটার (১২ হাজার ৫০০ ফুট) নিচে ডুবে থাকা জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের প্রথম ডিজিটাল স্ক্যান যা ‘গভীর সমুদ্র ম্যাপিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
এর ফলে পুরো টাইটানিকের ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি অর্থাৎ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা! এই তিন মাত্রার দৃশ্য পাওয়া যাচ্ছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। ছবিগুলো দেখলে মনে হয় আটলান্টিক থেকে সব পানি সরিয়ে যেন সমুদ্রের তলদেশে পরিত্যক্ত বিশাল আকারের এই জাহাজটির দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে।
ছবিতে টাইটানিকের খুঁটিনাটি জিনিসও দেখা যাচ্ছে
আশা করা হচ্ছে, ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া এই জাহাজটিতে কী ঘটেছিল এসব দৃশ্য থেকে সে সম্পর্কে নতুন কিছু জানা যাবে। জাহাজটি তার উদ্বোধনী যাত্রায় সমুদ্রে ভাসমান বিশালাকৃতির বরফ বা আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর ডুবে গিয়েছিল। এ দুর্ঘটনায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। টাইটানিক যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে যাত্রা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাচ্ছিল।
টাইটানিক বিশেষজ্ঞ পার্কস স্টিফেনসন বলেন, ‘জাহাজটির বিষয়ে এখনো অনেক প্রশ্ন আছে, মৌলিক কিছু প্রশ্ন। যেসবের উত্তর জানা প্রয়োজন। টাইটানিকের বিষয়ে জল্পনা-কল্পনার ওপর ভিত্তি করে কোনো গবেষণা নয়, বরং তথ্যপ্রমাণ ভিত্তিক গবেষণাকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই মডেল বড় ধরনের প্রথম কোনো পদক্ষেপ।’
শতাধিক বছর ধরে পানির নিচে পড়ে থাকার পরেও টাইটানিকের সামনের অংশ দেখলেই চেনা যায়
সমুদ্রের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৮৫ সালে। এরপর থেকে জাহাজটি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে। কিন্তু এটি এতো বিশাল ও সমুদ্রের গভীরে এতো অন্ধকার যে ক্যামেরা দিয়ে এতদিন এর যেসব ছবি তোলা হয়েছে সেগুলোর সবই ছিল এই ক্ষয়িষ্ণু জাহাজের কিছু অংশের ছবি বা স্ন্যাপশট। তবে কখনোই ডুবে যাওয়া পুরো জাহাজের ছবি পাওয়া যায়নি। এখন এই নতুন অনুসন্ধানে সমগ্র টাইটানিকের ছবি পাওয়া গেল।
সমুদ্রের তলায় যেভাবে পড়ে আছে
দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রের তলায় জাহাজটি দুটো অংশে ভাগ হয়ে পড়ে আছে। জাহাজের অগ্রভাগ যেখান থেকে বাঁকা হতে শুরু করে ওই অংশ এবং জাহাজের পশ্চাদভাগ। এই দুটো অংশের মধ্যে দূরত্ব ৮০০ মিটার (দুই হাজার ৬০০ ফুট)। ভেঙে যাওয়া জাহাজটির আশপাশে প্রচুর ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে।
২০২২ সালের গ্রীষ্মকালে ম্যাগেলান লিমিটেড নামে একটি ডিপ-সি ম্যাপিং কোম্পানি এবং আটলান্টিক প্রোডাকশন্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান যারা এ বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করছে তারা যৌথভাবে এসব ছবি তুলেছে।
নিমজ্জনযোগ্য একটি বিশেষ জাহাজে করে একদল কর্মী এই জরিপ পরিচালনা করেছে যা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মিলিয়ে পুরো টাইটানিকে ছবি তুলতে তারা ২০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করেছে।
নিমজ্জিত জাহাজের প্রত্যেকটি কোণ থেকে তারা সাত লাখেরও বেশি ছবি তুলেছে যেগুলোর সাহায্যে পুরো টাইটানিকের একটি ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি ছবি তৈরি করা হয়েছে।
জাহাজের পেছনের অংশ
এই অভিযানের পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ম্যাগেলান লিমিটেডের গেরহার্ড সেফার্ট। তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত পানির নিচে ছবি তোলার যতো প্রকল্প তিনি পরিচালনা করেছেন তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়।
তিনি আরও বলেন, ‘গভীরতা প্রায় চার হাজার মিটার। আমাদের সামনে ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। একইসঙ্গে সেখানে পানির স্রোতও আছে। আমাদের কোনো কিছু স্পর্শ করার অনুমতি ছিল না, যাতে জাহাজের ধ্বংসাবশেষের আরও ক্ষতি না হয়। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আপনাকে প্রত্যেক বর্গসেন্টিমিটারের ম্যাপিং করতে হবে। এমনকি জাহাজের যেসব অংশ আগ্রহ-উদ্দীপক নয় সেগুলোরও। যেমন যেখানে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে সেখানকার মাটির ছবি। কারণ জাহাজের বিভিন্ন অংশকে জোড়া দেওয়ার জন্য এগুলোও ছবি প্রয়োজন।
টাইটানিকের যা কিছু দেখা যাচ্ছে
ছবিতে টাইটানিকের বিশালত্বের পাশাপাশি এই জাহাজের একটি প্রপেলারের সিরিয়াল নম্বরের মতো ছোটখাটো বিষয়ও ধরা পড়েছে। জাহাজটির সম্মুখভাগে মরিচা ধরে ঢাকা পড়ে গেছে। তার পরেও শতাধিক বছর আগে ডুবে যাওয়া এই জাহাজটিকে চেনা যায়। এর ওপরেই রয়েছে জাহাজের ডেক যেখানে একটি গর্ত রয়েছে। সেখান থেকে একটা শূন্যতা দেখতে পাওয়া যায় যেখানে একসময় ছিল জাহাজের বিশাল সিঁড়ি।
আর জাহাজের পশ্চাদভাগে বিভিন্ন ধাতব পদার্থের জঞ্জাল। জাহাজের এই অংশটি সমুদ্রের তলদেশে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধসে পড়ে। টাইটানিকের আশপাশে বিভিন্ন জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। এসবের মধ্যে রয়েছে জাহাজ থেকে খসে পড়া অলঙ্কৃত ধাতব বস্তু, মূর্তি এবং মুখ খোলা হয়নি এরকম শ্যাম্পেনের বোতল। সেখানে ব্যক্তিগত জিনিসপত্রও রয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, সমুদ্রের তলানির ওপর অসংখ্য জুতা পড়ে আছে।
পার্কস স্টিফেনসন, যিনি বহুবছর ধরে টাইটানিকের ওপর গবেষণা করছেন। তিনি বলছেন, ‘এসব ছবি প্রথমবার দেখে তিনি ‘বিস্মিত’ হয়েছিলেন। আপনি জাহাজের এমন ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাচ্ছেন যা কখনও দেখা সম্ভব হয়নি। এবং আপনি ডুবন্ত পুরো জাহাজটিকে দেখতে পাচ্ছেন। আশপাশের পরিবেশসহ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি এটাকে দেখতে পাচ্ছেন। আপনি যা দেখতে পাচ্ছেন এটাই এখন এই জাহাজের সত্যিকারের অবস্থা।
তিনি বলেন, ‘এসব ছবি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখলে ১৯১২ সালের ওই ভয়াবহ রাত্রিতে টাইটানিকের ক্ষেত্রে মূলতই কী ঘটেছিল ওই বিষয়ে নতুন কিছু ধারণা পাওয়া যেতে পারে। আইসবার্গের সঙ্গে কেমন করে সংঘর্ষ হয়েছিল ওই বিষয়ে মূলত আমাদের ধারণা নেই। আমরা এও জানি না, সিনেমাতে যেমন দেখানো হয়েছে সেরকম করে জাহাজের সামনের একপাশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল কী না। জাহাজের পেছনের অংশ গবেষণা করলে টাইটানিক কিভাবে সমুদ্রের তলদেশে আঘাত হেনেছিল সে বিষয়েও ধারণা পাওয়া যেতে পারে।’
সমুদ্রের তলায় পড়ে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ, পেছনের অংশ
সমুদ্রের পানিতে ডুবে যাওয়া জাহাজের ক্ষয় অব্যাহত রয়েছে। পানিতে থাকা অণুজীব বা জীবাণু ক্রমশই এটিকে খেয়ে ফেলছে। এ ছাড়া এর বিভিন্ন অংশ ক্রমশই আলাদা হয়ে খসে পড়ছে।
সমুদ্রে এ রকম একটি দুর্ঘটনার কারণ বুঝতে সময় যে ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে ইতিহাসবিদরা এ বিষয়েও সচেতন। কিন্তু এখন যেসব ছবি পাওয়া গেল, সেখান থেকে জাহাজের খুঁটিনাটি বিষয়ও বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন। আশা করা হচ্ছে যে এখন হয়তো টাইটানিকের আরও অনেক গোপন বিষয় বের হয়ে আসবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত টানা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে দেশ দুইটির যুদ্ধ। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার দুই লাখ ৮ হাজার সেনা নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সিএনএনের লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে বিভিন্ন সূত্র রাশিয়ান সেনা হতাহতের সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন প্রকাশ করেছে। গত মে মাসে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বর থেকে যুদ্ধে রাশিয়ার আনুমানিক এক লাখের বেশি সেনা হতাহত হয়েছে।
সেইসময় ক্রেমলিন যুক্তরাষ্ট্রের এ দাবি উড়িয়ে দেয়। মস্কোর এক মুখপাত্র জানান, সঠিক হতাহতের সংখ্যা জানানো কোনো উপায় নেই যুক্তরাষ্ট্রের।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারিভাবে তাদের হতাহত সেনার সংখ্যা প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, এই সংখ্যা ছয় হাজারের একটু বেশি।
এদিকে বর্তমানে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বিপজ্জনক পর্যায়ে অবস্থান করছে। গত মাসেই শুধু ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ১৭ বার সিরিজ হামলা চালিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। অন্যদিকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে বিরল ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি তাকে দ্রুত মুক্তি দিতে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোকে (এএনবি) নির্দেশও দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভির অনলাইনে বলা হয়, এএনবি কর্তৃপক্ষ আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যবিশিষ্ট বেঞ্চে ইমরান খানকে উপস্থিত করে। সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের চেয়ে এক ঘণ্টা পর তাকে হাজির করা হয়।
তিন সদস্যবিশিষ্ট এ বেঞ্চের নেতৃত্ব দেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। তার সঙ্গে বেঞ্চে আরও ছিলেন বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলি মাজহার। তারা ইমরান খানের গ্রেপ্তার অবৈধ কি না, এ বিষয়ে করা রিট আবেদনের শুনানি শোনেন।
গত মঙ্গলবার ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর ইসলামাবাদ হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। তখন হাইকোর্ট বলেন, তাকে গ্রেপ্তার করা আইনত বৈধ।
আজ সুপ্রিম কোর্টে ইমরানকে হাজির করা হলে প্রধান বিচারপতি বান্দিয়াল বলেন, ‘আপনাকে দেখে ভালো লাগছে’। তিনি ইমরানকে তার গ্রেপ্তারের পর চলা সহিংসতার জন্য নিন্দা জানাতে বলেন।
আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানিয়েছেন- ইমরান খান শুনানির সময় বলেছেন, ‘আমি শুধু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।
গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদের হাইকোর্ট চত্বর থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জানানো হয়, দুর্নীতির অভিযোগ তাকে গ্রেপ্তার করেছে এনএবি।
আদালত চত্বর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করায় শুরু হয় সমালোচনা। তবে ইমরানকে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পরে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বলেছে, এই পদক্ষেপ বৈধ ছিল। এরপর গতকাল বুধবার তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত বছর ইমরান খানের পিটিআইয়ের নেতৃত্বাধীন জোটে ফাটল ধরে। এরপর আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। এর পর থেকে ইমরান খানের নামে একের পর এক মামলা হচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় এমিলিয়া-রোমাগনা অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া বিলিয়ন বিলিয়ন ইউরোর সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দেশটির আঞ্চলিক গভর্নর গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহে মুষলধারে বৃষ্টিতে দেশটির রোমাংগনার পূর্বাঞ্চলীয় অংশে ৩০০ এর বেশি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। সেইসঙ্গে ২৩ নদী প্লাবিত হয়েছে এবং ৪০০ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ৪২টি পৌরসভা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। এমিলিয়া-রোমাগনার প্রেসিডেন্ট স্টিফানো বোনাচ্চিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা নতুন ভূমিকম্পের মুখোমুখি হয়েছি।
অন্যদিকে রাভেন্না শহরের মেয়র বিবিসিকে বলেছেন, শতকের মধ্যে এটি ভয়াবহ দুর্যোগ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যার কারণে ৫ হাজারের বেশি ফার্ম পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
বোনাচ্চিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে অনুমাণ করছি বন্যায় এক বিলিয়ন ইউরো সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। তাহলে চিন্তা করুন এটি কী পরিমাণে আরও বাড়তে পারে।
বন্যা কবলিত এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, ‘এখানে এর আগে এমন আমি জীবনে দেখিনি। আমরা এখানে আটকা পড়ে আছি এবং জানিনা কী করতে হবে। আমি শুধু আশা করছি এমন যেন আর না ঘটে।