Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বিশ্বকাপের শিরোপার লড়াইয়ে টস জিতল অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে বিশ্বকাপের পর্দা নামছে আজ। ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া আসরের শেষ হচ্ছে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ দুইবার বিশ্বকাপজয়ী দল ভারত।

অজিদের লক্ষ্য ষষ্ঠ আর ভারতের লক্ষ্য তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা। তার আগে আহমেদাবাদে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্যাট কামিন্স বলেন, 'উইকেট দেখতে অনেকটা শুষ্ক এবং আমরা প্রথমে বল করতেই চেয়েছিলেন। শিশির একটি কারণ এবং এখানে রাতে বেশ শিশির থাকে। আমি দল নিয়ে সত্যিই গর্বিত। টুর্নামেন্টের শুরুটা কঠিন কিন্তু এরপর তারা আর ভুল করেনি। সেমিফাইনালের যারা খেলেছে তারাই খেলছে আজ।

আগে ব্যাটিং পেয়ে রোহিত শর্মা বলেন, 'আমি আগে ব্যাটিং নিতাম। বড় ম্যাচ। আমাদের গুছানো এবং শান্ত থাকতে হবে। এটি দুর্দান্ত অনুভূতি এবং আমি গতকাল প্রেস কনফারেন্সে বলেছিলাম- ফাইনালে দলের অধিনায়কত্ব করা একটি স্বপ্ন, যা এখন সত্য। আমরা একই দল নিয়ে খেলছি।

ভারত: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, মোহাম্মদ শামি, জাসপ্রীত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ।

অস্ট্রেলিয়া: ট্র্যাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ, মারনাস লাবুসচেন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জশ ইঙ্গলিস (উইকেটরক্ষক), মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যাডাম জাম্পা, জশ হ্যাজেলউড।


আরও খবর



নির্বাচনের সময় মেয়র-চেয়ারম্যানদের জন্য ১০ নির্দেশনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মেয়র ও চেয়ারম্যানদের জন্য ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। যা মানতে ব্যর্থ হলে বিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম স্বাক্ষরিত এ আদেশ সিটি মেয়র, পৌর মেয়র, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর আচরণবিধি ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে ইসির নির্দেশনার পর এ উদ্যোগ নিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ।

মেয়র ও চেয়ারম্যানদের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনাগুলো হলো:

১. স্ব-স্ব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা।

২. নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সময়ে সময়ে যেসব আদেশ/নির্দেশ দেবে তা প্রতিপালন।

৩. নির্বাচনি মিছিল, সভা ও প্রচারণা যাতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও বিধি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়।

৪. কোনো নির্বাচনি অফিস বা প্রতীক বা পোস্টার নষ্ট করার যেকোনো প্রচেষ্টা রোধে সামাজিক প্রতিরোধ গঠনে সহায়তা করা।

৫. সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদে এমন কোনো উন্নয়ন স্কিম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে না, যা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর ভোটপ্রাপ্তিতে বা প্রচারণার পক্ষে ব্যবহৃত হতে পারে।

৬. সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান বা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না, যা কোনো প্রার্থীর ভোটপ্রাপ্তি বা প্রচারণার কাজে প্রভাব বিস্তার করবে।

৭. স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো অফিস, যানবাহন এবং অন্যান্য সম্পত্তি প্রার্থীর নির্বাচন বা প্রচারণার কাজে কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।

৮. মাশুল পরিশোধ করেও ব্যক্তিগত কাজে কোনো যানবাহন ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না।

৯. স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে বা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

১০. ভোটকেন্দ্র নির্মাণসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সব কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তার প্রয়োজন হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তা প্রদান করবে এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ তাদের পদমর্যাদা, সরকারি সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না।


আরও খবর



নভেম্বরে ৫৬৬ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন নিহত, আহত ৬০৫: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :নভেম্বর মাসে ৫৬৬ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন নিহত, ৬০৫ জন আহত হয়েছে। একই সময় রেলপথে ৩১ টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত, ২৫ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ০৬ টি দুর্ঘটনায় ০৫ জন নিহত, এবং ০১ জন নিখোঁজ রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৬০৩ টি দুর্ঘটনায় ৫০৩ জন নিহত এবং ৬৩০ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ১৪৭ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭৩ জন নিহত, ৮৫ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ২৫.৯৭ শতাংশ, নিহতের ৩০.৫৬ শতাংশ ও আহতের ১৫.০১ শতাংশ। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১৮৩ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৫ জন নিহত ও ১৩৮ জন আহত হয়েছে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে ২২ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ২৬ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

আজ ০৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ২১ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৩৩ জন চালক, ৫৪ জন পথচারী, ২০ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬৭ জন শিক্ষার্থী, ০৩ জন শিক্ষক, ৬৪ জন নারী, ৪৪ জন শিশু, ০২ জন সাংবাদিক, ০২ জন চিকিৎসক , ০১ জন আইনজীবী, ০ ২ জন প্রকোশলী, ০১ জন মুক্তিযোদ্ধা,  এবং ১২ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।   এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- ০৪ জন পুলিশ সদস্য, ০২ জন চিকিৎসক , ০২ জন সাংবাদিক, ০১ জন আইনজীবী, ০১ জন মুক্তিযোদ্ধা, ০২ জন প্রকোশলী, ১০৬ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৪৫জন পথচারী, ৫১ জন নারী, ৩২ জন শিশু, ৩৬ জন শিক্ষার্থী, ১৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ০৩ জন শিক্ষক, ও ০৭ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৮২৭ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২০.৭৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৭.৪৪ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৩৪.৬২ শতাংশ বাস, ১০.৫১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৬.৫২ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৫.৫৬ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৫.৩২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪০.৮১ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ১৩.৯৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১০.২৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৩৪.৬২ শতাংশ বিবিধ কারনে, এবং ০.৩৫ ট্রোন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪২.৫৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ১৯.৭৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২১.৫৫ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ১৩.০৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ২.৬৫  শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৩৫ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

বিভাগ.

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে, নভেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ :

১. ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, ট্রাফিক বিভাগের অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্বি।

২. মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও  তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল।

৩. সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা । রাতের বেলায় ফক লাইটের অবাধ ব্যবহার।

৪. চলতি বর্ষায় সড়ক মহাসড়কের ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি।

৫. যানবাহনের ত্রুটি,  ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা।

৬. উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি।

৭. অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশসমূহ :

১. জাতীয় নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে সড়ক নিরাপত্তা ও র্স্মাট গণপরিবহন গড়ে তোলার বিষয়ে অঙ্গীকার রাখা ।

২. মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানী ও নিবন্ধন বন্ধ করা।

৩. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান।

৪. রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা।

৫. সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘন্টা সুনিশ্চিত করা।

৬. রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা।

৭. চলতি বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তার মাঝে সৃষ্ট ছোট বড় গর্ত দ্রুত অপসারন করা।

৮. গণপরিবহন বিকশিত করা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা।


আরও খবর



ইসরায়েল কারাবন্দি ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :হামাস সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এ যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।

কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির শর্ত ছিল, প্রথমদিন হামাস ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে; অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে। 

মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল ৩৯ জনকে মুক্তি দিয়েছে। অন্যদিকে ২৪ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এরমধ্যে ১৩ জন ইসরায়েলি নারী ও শিশু , ১০ জন থাই ও একজন ফিলিপিনো নাগরিক।

ইসরায়েল জানিয়েছে, যেসব ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজন সৈন্যদের হত্যাচেষ্টার দায়ে আটক হয়েছিলেন। আর যেসব শিশুকে ছাড়া হয়েছে তাদের সৈন্যদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার মতো ছোট অপরাধের কারণে আটকে রাখা হয়েছিল।

চুক্তি অনুযায়ী, চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে মোট ৫০ জন জিম্মি এবং ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে ইসরায়েল বলছে, হামাসের প্রতি ১০ জন করে জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ১ দিন করে যুদ্ধবিরতি বাড়াবে ইসরায়েল।

খবর-আল জাজিরার।


আরও খবর

ভারতের বিভিন্ন অংশে ভূমিকম্প

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




যশোরের ৬টি নির্বাচনী এলাকার ১৮ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যাচাই বাছাই শেষে যশোরের জেলা রিটার্নিং অফিসার আবরাউল হাছান মজুমদার ৬টি নির্বাচনী এলাকার ১৮ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করেছেন। তবে নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রাপ্ত কোন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়নি।

 যশোরের ৬টি নির্বাচনী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য গত ৩০ নভেম্বর ৪৮জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। গতকাল যাচাই বাছাই শেষে ২৮ জনের মনোনয়নপত্র চুড়ান্ত ভাবে বৈধ ঘোষনা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। আজ সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চলে এই মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের কাজ। এসময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হুসাইন, জেলা নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান সহ প্রার্থী ও প্রার্থীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিটি আসনের বিপরীতে দাখিলকৃত সকল মনোনয়ন পত্র পুঙ্খানুপুঙ্ক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে বিকাল সাড়ে ৪টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান, জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার আরাউল হাছান মজুমদার।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, যশোর-১ শার্শা আসনে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এরা হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হাসান, সোহরাব হোসেন (স্বতন্ত্র) ও আক্তারুজ্জামান (জাতীয়পার্টি) । ফলে বর্তমানে এই আসনে ৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হচ্ছেন নৌকার প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবে পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন ও জাকের পার্টির সবুর খান।

যশোর-২ চৌগাছা ঝিকরগাছা নির্বাচনী আসনে ৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যাচাই বাছাই শেষে ২ জনের মেনানয়নপত্র বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। এরা হচ্ছেন চৌগাছা উপজেলা আওয়ামলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব (স্বতন্ত্র) ও বিএনএফ এর প্রার্থী শামছুল হক। বর্তমানে এই আসনে ৫জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নতুন মুখ ডাঃ তৌহিদুজ্জামান তুহিন , সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির (স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টির ফিরোজ শাহা, জাকের পার্টির মোঃ শাফারুজ্জামান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এ্যাড. আব্দুল আওয়াল।

যশোর -৩ সদর আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থী ১০ জন। যাছাই বাছাই শেষে গতকাল জেলা রিটার্নিং অফিসার ৬ জনের মনোনয়ন পত্রে নানা ত্রুটি খুজে পেয়ে তা বাতিল করেন। এরা হচ্ছেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন (স্বতন্ত্র) ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু মোহিত কুমার নাথ (স্বতন্ত্র), জাকের পার্টির মহিবুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মোঃ তৌহিদুজ্জামান, তৃনমুল বিএনপির মো: কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের শেখ নুরুজ্জামান । বর্তমানে এই আসনে ৪জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কাজী নাবিল আহমেদ এমপি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মারুফ হাসান কাজল, জাতীয় পার্টির এ্যাড. মাহাবুব আলম বাচ্চু, ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির এ্যাড. সুমন কুমার রায় ।

যশোর-৪ বাঘারপাড়া- অভয়নগর নির্বাচনী আসনে ৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাছাই বাছাই শেষে জেলা রিটার্নিং অফিসার নানা ত্রুটি খুজে পেয়ে সাবেক অতিরিক্ত সচিব সন্তোষ কুমার অধিকারীর মনোনয়নপত্রে বাতিল করেন। বর্তমানে এই আসনে ৭জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত এনামুল হক বাবুল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতা সুকৃতি কুমার মন্ডল, ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা ইউনুছ আলী, জাকের পার্টির লিটন মোল্যা, জাতীয় পার্টির এ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম জহির, তৃণমুল বিএনপির নেতা লেঃ কর্ণেল (অবঃ) এম শাব্বির আহমেদ, এবং বর্তমান এমপি ও বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু রনজিত কুমার রায়
(স্বতন্ত্র)।

যশোর-৫ মণিরামপুর নির্বাচনী আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৯ জন প্রার্থী। যাছাই বাছাই শেষে গতকাল জেলা রিটার্নিং অফিসার নানা ত্রুটি খুজে পেয়ে ৪ জনের মনোনয়নপত্রে বাতিল করেন। এরা হচ্ছেন কামরুল হাসান বারী (স্বতন্ত্র), জাকের পার্টির মোঃ হাবিবুর রহমান, হুমায়ুন সুলতান (স্বতন্ত্র) এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন লাভলু (স্বতন্ত্র)।

বর্তমানে এই আসনে ৫ জন প্রার্থী নির্বাচনী ময়দানে লড়াই করছেন। এরা হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী বাবু স্বপন ভট্টাচায্য চাঁদ এমপি, জেলা কৃষকলীগের সহ সভাপতি আলহাজ¦ এস এম ইয়াকুব আলী (স্বতন্ত্র),ন্যাশনাল পিপলস পার্টির নেতা বিথী মল্লিকা, ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা হফেজ মাওলানা নুরুল্লাহ আব্বাসী, তৃণমুল বিএনপির আবু নছর মোহাম্মদ মোস্তফা, ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এম এ হালিম।

যশোর-৬ কেশবপুর আসনে মনোনয়নপ্রত্র জমা দিয়েছিলেন ৬ জন প্রার্থী। যাছাই বাছাই শেষে জেলা রিটার্নিং অফিসার নানা ত্রুটি খুজে পেয়ে ২ জনের মনোনয়নপত্রে বাতিল করেন। এরা হচ্ছেন জেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগী সদস্য খন্দকার আজিজুল ইসলাম আজিজ (স্বতন্ত্র) ও হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম (স্বতন্ত্র) । বর্তমানে এই আসনে ৪জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শাহিন চাকলাদার এমপি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও কেশবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আমির হোসেন(স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টির জি এম হাসান ও জাকের পার্টির সাইদুজ্জামান সাঈদ ।


আরও খবর



স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওসি বদলিতে আরও তিনদিন সময় পেল

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পর্যায়ক্রমে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির প্রস্তাব দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আরও তিনদিন সময় দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ সময় দিয়েছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমানের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ০২নং ক্রমিকে বর্ণিত পত্রের অনুবৃত্তিক্রমে আদিষ্ট হয়ে জানাচ্ছি যে, সব থানার ওসিকে পর্যায়ক্রমে বদলির প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে ৫ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রেরণ নিশ্চিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ৩০ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। এরপরই ওসিদের বদলি সংক্রান্ত প্রস্তাবনা আসে।


আরও খবর