Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৩৫২জন দেখেছেন

Image

বাসস; রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’ তিনি শিক্ষকসহ যেকোনো নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়ার জোর তাগিদ দেন।

রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর আবদুল হামিদ আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন। 

রাষ্ট্রপতি হামিদ শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনা ও গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলুন....যাতে তাদের এ জন্য বিদেশে পাড়ি দিতে না হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষকদেরকে তরুণ গবেষকদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসারও আহবান জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি আশা করেন, উপাচার্যের নেতৃত্বে ও ছাত্র শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সমাজে শিক্ষকদের সম্মানের জায়গা ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে।’  তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক অসাধু লোকের কর্মকান্ডের জন্য গোটা শিক্ষক সমাজের মর্যাদা যেন ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, কতিপয় শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিকে ঐচ্ছিক দায়িত্ব মনে করেন। বৈকালিক কোর্স বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়াকেই তারা অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সবাই কৃতি ও সেরা ছাত্র ছিলেন। আমার বিশ্বাস আপনারা যে কোনো ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মঠ আর যোগ্য নেতৃত্বে কিছুদিনের মধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কিন্তু এই ডিজিটাল যুগেও প্রায়ই অভিযোগ শোনা যায় যে, ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে সার্টিফিকেট উত্তোলন পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে ছাত্র-ছাত্রীরা অবহেলা আর হয়রানির মুখোমুখি হন।’

রাষ্ট্রপ্রধান শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার, কাউন্সেলিং অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার এবং ক্যারিয়ার প্লানিং ইউনিট চালু করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি সেশনজট কমানোর উদ্যোগ হিসেবে লস রিকভারি প্লান, গবেষণা-প্রকাশনা মেলা আয়োজন এবং স্টুডেন্ট প্রমোশন অ্যান্ড সাপোর্ট ইউনিট চালু করায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

শুধুমাত্র উচ্চ শিক্ষার একটি প্রতিষ্ঠান নয়, দেশের নেতৃত্বের প্রতীক এবং ভাষা আন্দোলন, মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির প্রতিটি আন্দোলনের নিউক্লিয়াস হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অভিহিত করেন রাষ্ট্রপতি।

আবদুল হামিদ বলেন, এক সময়ের প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক, আর তা পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

রাষ্ট্রপতি মনে করিয়ে দেন  যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশকে নেতৃত্ব প্রদানকারী অনেক নেতাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায় আলোকিত হয়েছেন। তিনি স্নাতক ডিগ্রিধারীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, গ্রাজুয়েটবৃন্দ যেন সমাবর্তন আর সার্টিফিকেটেই সীমাবদ্ধ না থাকেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে। সত্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে  স্নাতক  ডিগ্রিধারীরা প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অধিকতর কার্যকর অবদান রাখবেন। ৎ

সমাবর্তন বক্তা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. জ্যাঁ টিহলকে স্বাগত জানিয়ে  রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আপনার উপস্থিতি তরুণ গ্র্যাজুয়েটদের, মানবজাতি ও সমাজের কল্যাণে কাজ করতে সমৃদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে।’

ভাষণের শুরুতে রাষ্ট্রপতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারিদের স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য  (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ  এবং  উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বক্তব্য দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধি, ঢাবির সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক, অতিথি এবং বিভিন্ন বিষয়ে ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ভূঁইয়া স্মৃতি ফাউন্ডেশন মেধা বৃত্তি পরীক্ষার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার,স্টাফ রিপোর্টারঃ সেনবাগ উপজেলার কানকিরহাট সিদীপ মর্ডান স্কুল কতৃক আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ভূঁইয়া স্মৃতি ফাউন্ডেশন মেধা বৃত্তি পরীক্ষার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান শুক্রবার সকালে কানকিরহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী -২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোরশেদ আলম এমপি।  মামুন আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যুগ্ন সচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা বাবু শৈলেন্দ্র কুমার অধিকারী, বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, এস এ গ্রুপের কো-অর্ডিনেটর,ঢাকাস্থ সেনবাগ পেশাজীবি পরিষদের সভাপতি হাসান মঞ্জুর, ঢাকার রয়েল ইউনিভার্সিটির প্রান্তন পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডঃ আবদুল কাশেম মজুমদার,সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাহার উল্যা,টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আবু তালেব,এজে আর গ্রুপের চেয়ারম্যান সামছু উদ্দিন আহমেদ রিয়াদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব, জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম বাবু ইমাম হোসেন, মহি উদ্দিন মজুমদার প্রমুখ।

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




গাজার ত্রাণ কেন্দ্রে হামলা ইসরায়েলি, জাতিসংঘের কর্মীসহ নিহত ৫

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইসরায়েল প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে,ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের একটি ত্রাণ কেন্দ্রে। এতে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার এক কর্মীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২২ জন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরে একটি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে এবং এতে তাদের একজন কর্মী নিহত এবং আরও ২২ জন আহত হয়েছেন।

ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের নির্লজ্জ অবহেলায় তাদের স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দাবি, তারা ‘সীমিত হামলা চালিয়ে’ হামাসের একজন কমান্ডারকে হত্যা করেছে। তারা বলেছে, ওই কমান্ডারের নাম মোহাম্মেদ আবু হাসনা। তিনি রাফাহ এলাকায় হামাসের সামরিক শাখায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনাকারী দলের একজন সদস্য।

ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র জুলিয়েট তোমা বিবিসিকে বলেছেন, হামলার সময় ৬০ জন লোক এই স্থাপনাটিতে কাজ করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া এই স্থাপনাটিকে খাদ্য এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামের গুদাম হিসাবেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি, ইসরায়েলি বাহিনী এই হামলার জন্য দায়ী। আমাদের দল ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং তারাই হতাহতদের সংখ্যা জানিয়েছে।’

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭২ হাজারের বেশি মানুষ।


আরও খবর

সেতু থেকে বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




বাংলাদেশসহ ৯ দেশ গাজায় ত্রাণ পাঠাল

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১২২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস নামক একটি প্রতিষ্ঠান রমজান মাস উপলক্ষে গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে । ত্রাণ সহায়তায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশসহ আরও ৯ দেশ।

পবিত্র রমজান উপলক্ষে এবার প্রায় ২ হাজার টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো।

এক বিবৃতিতে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস বলেছে, ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ত্রাণের যত চালান গেছে, সেসবের মধ্যে এই চালানটি বৃহত্তম। বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানির ত্রাণ এ চালানে যুক্ত হয়েছে।

আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটির মুখপাত্র আবদেল-আলীম কাশতা বলেছেন, ত্রাণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলো মিসরের উত্তর সিনাই থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে গাজায় প্রবেশ করবে।

৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে রমজান শুরুর আগ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার টন ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পণ্য পাঠিয়েছে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর

সেতু থেকে বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




কোটি টাকা আয় হলেও উন্নয়নের ছোয়া লাগে নাই পুঠিয়া পৌরসভায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

পুঠিয়া(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃবছরে কোটি টাকা আয় হলেও উন্নয়নের তেমন ছোয়া লাগে নাই রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভায়। পৌরসভা জুড়েই নানা অনিয়ম। সারা বছরই রয়েছে মশার উপদ্রব,রাস্তাগুলো যেন মরণফাঁদ,এরপরেও রহস্যজনক ভাবে দিন দিন বেড়েই চলেছে দেনার বোঝা।নানা করনে বন্ধ থাকে পৌরসভার কর্মকতা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা। প্রায় ২ যুগ পার হলেও স্থায়ী ভাবে হয় পৌরসভার কার্যালয়। ২০০২ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৭৫লক্ষ টাকা দিয়েছিল পৌরসভার ভবন নির্মানের জন্য তাও আজ পযর্ন্ত ভবন নির্মানত দুরের কথা ভবন নির্মানের স্থাননির্ধারণ করাই সম্ভব হয়নি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর সভার একাধিক কাউন্সিলর জানান, এই পৌরসভায় প্রতিবছর বিভিন্ন খাৎ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। তার পরেও আমাদেও বেতন ভাতা বাঁকি থাকে। এই টাকা যায় কোথায় আমরা জানিনা। এ জন্য তারা পৌর সভার সহকারী প্রকৌশলী এবং মেয়রকে দায়ী করেন। তারা বলেন,মেয়র আর প্রকৌশলী মিলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে ভুয়া ভাউচার তৈরী করে অর্থ আতœসাৎ করে আসছেন। এ বিষয়ে পুঠিয়া পৌরসভার প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব শহিদুল ইসলাম বলেন,অর্থ আতœসাতের কথা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়ার্ড । অর্থ সংকটের করনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেও বেতন ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না। কোথায় কি ভাবে অর্থ ব্যায় হচ্ছে তার সঠিক হিসেব আমার কাছে আছে। ২০০১ সালে পুঠিয়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে১৫ বছর চালিয়েছেন প্রশাসক। এর পর ২০১৬প্রথম মেয়র হন রবিউল ইসলাম রবি, ২০২০ সালে বর্তমান মেয়র আল মামুন ৯৪ লক্ষ দেনা নিয়ে দায়িত্ব গ্রহন করেন। বর্তমানে পুঠিয়া পৌরসভার দেনা প্রায় দেড় কোটি। অথচ এই তিন বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ কোটিও বেশি। পৌরসভার বাসিন্দা রুহুল হাওলাদার বলেন,জন্ম,মৃত্যু,নাগরিকত্বসহ যে কোন সনদ নিতে গেলে তাদেও বেধে দেওয়া ফির এর চেয়েও বেশি টাকা দিতে হয়।এই পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এলাকার কোন উন্নয়ন হয়নি।

এবিষয়ে পৌর মেয়র আল মামুন বলেন,আমি পৌরসভার দায়িত্ব নেবার পর থেকে এখানে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমার জানা মতে এখানে কোন অনয়িম হয়নি।ভবন নির্মানের জন্য ব্যাংকের রাখা অর্থ গায়েবের বেপাওে তিনি বলেন,এই টাকা আমার আগের মেয়র বলতে পারবে এব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি নিয়ে দেশের বাজারে ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:তরুণদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে বাংলাদেশের বাজারে নতুন স্মার্টফোন সিরিজ ‘নোট ৪০’ নিয়ে এসেছে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। এই সিরিজে থাকছে দুটি মডেল- ইনফিনিক্স নোট ৪০ এবং ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো। অত্যাধুনিক চার্জিং প্রযুক্তি, চমৎকার পারফরম্যান্স এবং সফটওয়্যার আপডেটের প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাজারে এসেছে শক্তিশালী এই ফোনগুলো।

ইনফিনিক্সের নতুন এই স্মার্টফোন সিরিজের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যুক্ত হয়েছে ম্যাগনেটিক চার্জিং। ম্যাগচার্জ নামক এই ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তিটি বাজারে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। অলরাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০ এর আওতায় এই প্রযুক্তি এনেছে ইনফিনিক্স। এর সাহায্যে যেকোনো পরিস্থিতিতে ও যেকোনো আবহাওয়ায় সহজেই ফোনে চার্জ দেওয়া সম্ভব হবে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ম্যাগনেটিক চার্জিং এর যাত্রা শুরু করার মাধ্যমে সুবিধাজনক চার্জিং প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ইনফিনিক্স।

নোট ৪০ সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ২০ ওয়াটের ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ এবং রিভার্স চার্জের সুবিধা। ঘরে ও বাইরে যেকোনো সময় স্মার্টফোন চার্জ করতে পারবে সুবিধাজনক, বহনযোগ্য ও শক্তিশালী এই ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি। নতুন এই স্মার্টফোন সিরিজের সাথে ক্রেতারা বিনামূল্যে পাবেন ম্যাগকেস নামক ম্যাগনেটিক ব্যাক কাভার। এছাড়াও নোট ৪০ এর সাথে উপহার হিসেবে থাকবে ম্যাগপ্যাড নামক ম্যাগনেটিক চার্জিং প্যাড এবং নোট ৪০ প্রো এর সাথে থাকবে ম্যাগপাওয়ার নামক ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংক।

ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজে আরও যুক্ত করা হয়েছে ইনফিনিক্সের নিজস্ব তৈরি পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ- চিতা এক্স১। ব্যাটারির ব্যবস্থাপনায় অসাধারণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এই চিপ। প্রচলিত চিপের চেয়ে চিতা এক্স১ এর সক্ষমতা ২০৪% বেশি। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ৬ ন্যানোমিটারের মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ আল্টিমেট প্রসেসর। ফলে এই ফোনগুলো গেমার ও হেভি ইউজারদের দেবে চমৎকার পারফরম্যান্স ও কার্যকারিতা। সারাদিন ধরে ব্যবহারের সুবিধার জন্য নোট ৪০ এবং নোট ৪০ প্রো উভয় ফোনেই আছে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের অল-রাউন্ড ফাস্ট-চার্জ ব্যাটারি।

৭০ ওয়াটের মাল্টি-স্পিড ফাস্ট চার্জিংয়ের মাধ্যমে স্মার্টফোন চার্জে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে নোট ৪০ প্রো। তিনটি ভিন্ন চার্জিং মোডে মাত্র ১৬ মিনিটেই শূন্য থেকে ৫০% পর্যন্ত চার্জ হবে এই ফোন। অন্যাদিকে, নোট ৪০-এর ৪৫ ওয়াট অল-রাউন্ড ফাস্ট চার্জ সব পরিস্থিতিতেই ফোনের ব্যবহারকে সহজ করে তুলবে।

ফোনের ডিসপ্লের ক্ষেত্রে এই সিরিজে নতুন কৌশল এনেছে ইনফিনিক্স। প্রাণবন্ত ভিজ্যুয়াল দিতে নোট ৪০ সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ৬.৭৮ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস অ্যামোলেড ডিসপ্লে। ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের রেসপন্সিভ টাচ স্ক্রিনে নিরাপত্তা জোরদারে দেওয়া হয়েছে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। আর ফোনের ডিজাইনে আভিজাত্যের ছোঁয়া দিতে নোট ৪০ প্রো-তে আছে বেজেল-বিহীন থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে।

ফটোগ্রাফিপ্রেমীদের জন্য এই সিরিজের ফোনে প্রধান ক্যামেরা হিসেবে আছে ওআইএস সাপোর্টসহ শক্তিশালী ১০৮ মেগাপিক্সেলের সুপার-জুম ক্যামেরা এবং ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। আধুনিক ইন-সেন্সর জুম প্রযুক্তির সাহায্যে নোট ৪০ সিরিজের ফোনে উন্নতমানের ইমেজ পাওয়া যাবে। ফোনটিতে ৩ গুণ জুমেও পরিষ্কার ছবি তোলা সম্ভব হবে।    

এবারের নোট ৪০ সিরিজের ফোনগুলোতে পাওয়া যাবে ২ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেটসহ ৩৬ মাসের সিকিউরিটি প্যাচ। এছাড়াও ফোনের পেছনের অংশ থেকে বিশেষ ধরনের লাইটিংয়ের জন্য এতে যুক্ত করা হয়েছে অ্যাকটিভ হেলো লাইটিংয়ের মতো এআই প্রযুক্তি। চমৎকার অডিওর জন্য নোট ৪০ সিরিজের ডুয়েল স্পিকারে আছে জেবিএল-এর প্রযুক্তির সমন্বয়।

৮ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ প্রো-এর বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০,৯৯৯ টাকা এবং ১২ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি সংস্করণটির বাজারমূল্য ৩৪,৯৯৯ টাকা। ভিন্টেজ গ্রিন ও টাইটান গোল্ড এই দুটি স্টাইলিশ রঙে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি। অন্যদিকে, ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ মডেলটির বাজারমূল্য ২৬,৯৯৯ টাকা। এই ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে টাইটান গোল্ড ও অবসিডিয়ান ব্ল্যাক এই দুটি রঙে।

১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে ইনফিনিক্সের অফিশিয়াল রিটেইলার এবং অনলাইনে পাওয়া যাবে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের স্মার্টফোনগুলো।


আরও খবর