Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিনামূল্যে বই পেল ২৬৬ কলেজ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৬৭জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাই ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেনীর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ২৬৬ জন শিক্ষার্থী নানা সংকটের কারণে বই কেনা সম্ভব হয়ে উঠছিল না। তাই তারা ক্লাশেও অনুপস্থিত থাকতো। আবার কেউবা সবগুলো বই কেনার সামর্থ্য না থাকায় কিছু বই কিনতে সক্ষম হয়, বাকি বই কিনতে পারছিল না। এমন শিক্ষার্থীদের মিরসরাই ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পরিচালনা পরিষদের সদস্য সাফাত ইশতিয়াকের উদ্যোগে বই বিতরণ করা হয়। এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ মিরসরাই কলেজে প্রথম। বই পেয়ে ক্লাশে ফেরার আনন্দে আতœহারা শিক্ষার্থীরা। এই উদ্যোগের জন্য সাফাত ইশতিয়াকের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কলেজ পরিচালনা পরিষদ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার সকালে মিরসরাই কলেজ হলরুমে বিনামূল্যেও এসব বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মিরসরাই ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য সাফাত ইশতিয়াক। মিরসরাই ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আফছারের সভাপতিত্বে এবং বাংলা বিভাগের প্রভাষক ইকবাল হোসেন ও ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক সাইদুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের ফাইন্যান্স ডিরেক্টর আজম খান, মিরসরাই কলেজের উপাধ্যক্ষ নাছির উদ্দিন, সাংবাদিক বিপুল দাশ।

বই পাওয়া একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী জয়ন্তী রানী দেবী বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে বই কিনতে না পারায় লেখাপড়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বই ছাড়াই কলেজে ক্লাস করতে হতো। বইগুলো পেয়ে সত্যিই খুশি হয়েছি। এখন নিয়মিত লেখাপড়ার মাধ্যমে আমরা কলেজকে ভালো ফলাফল এনে দিতে পারবো। জয়ন্তী রানী দেবীর মতো আকাশ নাথ, সাজেদা আক্তার, মমতাজ, জান্নাতুল ফেরদৌসসহ ২৬৬ জন গবীর শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেন কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য সাফাত ইশতিয়াক।

মিরসরাই ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য সাফাত ইশতিয়াক বলেন, মিরসরাই কলেজের ২৬৬ জন সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিতে পেরে আমি সত্যিই অত্যন্ত আনন্দিত। এসব সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা ২০২৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। আমি আশা করছি তারা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে কলেজের সুনাম বয়ে আনবে। ভবিষ্যতেও শিক্ষার মানোন্নয়নে আমি কাজ করে যাবো। আমার এই কাজে সমর্থন করার জন্য আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভিসি ডা. ইসমাইল খানের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

মিরসরাই ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আফছার জানান, বই ছাড়া অনেক শিক্ষার্থী ক্লাস করতে সমস্যা হচ্ছিল। কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য সাফাত ইশতিয়াক যেনে তাদের বই কিনে দেন। এমন মহৎ কাজের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধানের মৃত্যুতে শোক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ২০৩জন দেখেছেন

Image

 নাজমুল হাসানঃ 

শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় আইন ও দরকষাকষি বিষয়ক সম্পাদক, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।রবিবার (১৪ এপ্রিল) শোক বার্তায় কাজিম উদ্দিন প্রধানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ। তিনি বলেন,কাজিম উদ্দিন প্রধান আজীবন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করেছেন। বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।


রবিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির এপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আগামীকাল সোমবার সকাল নয়টার ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশে আসবে বলে জানিয়েছে তিতাসের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র।

এছাড়াও সিবিএ সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন।


তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভুক্ত। যার সরকারি নিবন্ধন নম্বর বি-১১৯৩। জনপ্রিয় এই নেতা টানা চারবার তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।








আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




৩ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:ভারতে ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে টানা তিন দিন বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সব-ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়েছে। সেই সাথে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে সবধরণের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ।

তিনি জানান,গত ১৯ এপ্রিল থেকে ভারতে লোকসভার নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ২৬ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। একারণে ভারতের ব্যবসায়ীরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে গেলো বুধবার থেকে ২৬ (শুক্রবার) এপ্রিল পর্যন্ত এই ৩ দিন সব ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেন। বিষয়টি তারা আমাদের পত্রের মাধ্যমে জানিয়ে ছিলেন। এর ফলে গেলো বুধবার সকাল থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। তবে শুধুমাত্র পাইপলাইনে থাকা পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বন্দরে প্রবেশ করেছে। আজ শনিবার সকাল ১১ টা থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সব-ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়েছে।

এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ওসি শেখ আশরাফুল ইসলাম জানান,এই তিন দিন শুধুমাত্র মেডিকেল ভিসা যাত্রী যাতায়াতে ও বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয়রা নিজ দেশে ফিরতে পারবেন বলে নির্দেশনা আসে। সেই নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে শুধু মাত্র মেডিকেল ভিসাধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল। অন্যান্য সকল ভিসাধারীরা পারাপার বন্ধ ছিল। আজ শনিবার সকাল থেকে সবধরণের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়েছে।


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




মিরপুরে গ্যাং রেপের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:মিরপুরে গ্যাং রেপের  ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। মিরপুর  মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুন্সি সাব্বির আহমেদ এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, আমরা ভোরবেলা ৯৯৯ মাধ্যমে জানতে পারি একটি ১২ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে গেছে। পরবর্তীতে আমরা রক্তাক্ত অবস্থায়  তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তার মুখ থেকে আমরা জানতে পারি তিনজন মিলে তাকে গ্যাং রেপ করেছে। তাদের মধ্যে সাজ্জাদ সায়েম ও আলহাজ্ব এই তিনজনের নাম উঠে আসে। পরবর্তীতে আমরা থানার সবাইকে এই মেসেজটি পাঠিয়ে দেয়। তারই পরিপেক্ষিতে আমরা সাজ্জাদ এবং আলহাজ্ব এই দুজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আর একজন যে আসামি রয়েছে তাকে গ্রেফতারের জন্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছি। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি তাকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।

আরও খবর



সরাইল সাংবাদিক পরিষদের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ২০৬জন দেখেছেন

Image

মোঃ রুবেল মিয়াঃ-

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে "সরাইল সাংবাদিক পরিষদ" এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।এ উপলক্ষ্যে বুধবার (৩ রা এপ্রিল) সন্ধ্যায় সরাইল জেলা পরিষদ ডাক বাংলোর সভা কক্ষে এ দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।সরাইল সাংবাদিক পরিষদ এর সভাপতি মীর মোহাম্মদ আলী সভাপতিত্বে।


সাধারন সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ এর সঞ্চালনায় ও যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. শওকত হোসেনের সার্বিক সহযোগিতার অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডাঃ মো. নোমান মিয়া, বিশিষ্ঠ ঠিকাদার ও সমাজসেবক শফিকুল ইসলাম সেলু, সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহামেদুল কামাল, আনন্দ মেডিকেল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর সত্ত্বাধিকারী আলাউদ্দিন জুরু মিয়া।


সংগঠনের উপদেষ্টা আ'লীগ নেতা আমজাদ হোসেন, উপদেষ্টা ও সম্রাট ফার্নিশার্সের সত্ত্বাধিকারী ফয়সাল আহমেদ মৃধা দুলাল, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর মমিন আলী,  সহ-সভাপতি কামাল পাঠান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, অর্থ ও প্রচার সম্পাদক মুরাদুল হাসান, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সরাইল বিএডিসি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মো. রাশেদ মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।সভা শেষে, দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মো. শামীম।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




নিটারিয়ানদের কেমন কেটেছে পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:বৈশাখ আর বাঙালি মিলেমিশে একাকার। তাই-তো পহেলা বৈশাখ নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই আপামর বাঙালির। নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে ভোরের নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই নানা এলাকায় নানান ধরনের আয়োজন হয়ে থাকে।

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ,  ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। এ দিনটির মধ্য দিয়েই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। এ দিনটিকে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (নিটার) এর শিক্ষার্থীরা কিভাবে দেখছেন, কিভাবে উপভোগ করেছেন বৈশাখি উৎসব তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                             ‘‘পহেলা বৈশাখ: বাঙালির এক সার্বজনীন উৎসব”
বাঙালির আদি সাংস্কৃতিক পরিচয় বহনকারী অসাম্প্রদায়িক উৎসব পহেলা বৈশাখ, যা বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সর্বজনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ-উৎসব। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ধর্মীয় কোনো অনুষঙ্গ নেই। সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে পরিচিত পহেলা বৈশাখের এই দিনটি এই শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা, বর্ষবরণ করে পালন করা হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল যুগ থেকে শুরু হয় এই উৎসবের চল যখন সম্রাট আকবর ফসল কাটার মরশুমের উপর ভিত্তি করে ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন, যা ছিল ইসলামি ও হিন্দু ক্যালেন্ডারের সমন্বয়। বাংলা ক্যালেন্ডারের সঙ্গে আর্থিক বছর মিলিয়ে দেওয়ায় আকবরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এইদিন পরবর্তীকালে উৎসবে পরিণত হয়। বর্তমান পহেলা বৈশাখের এই দিনে আমাদের দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়” গ্রামীণ জীবন এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এইদিনে বাঙালি ব্যবসায়ী, দোকানদার বছরের সমস্ত হিসাব-নিকাশ শেষ করে নতুন হিসাবের খাতা খোলেন। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের মধ্যে ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব এইদিন পালিত হয়। গ্রামগঞ্জে বৈশাখী মেলা বসে। কৃষিজ পণ্য, কুঠির শিল্প দ্রব্য, মৃৎ ও হস্তশিল্প দ্রব্য, আসবাবপত্র ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ধুম পড়ে সেসব মেলায়। যদিও তার প্রসার এখন কমে গিয়েছে। মেলার সময় নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তির আসর, এমনকি মেলায় ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, বলী খেলা ইত্যাদি বিনোদন ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান বসতো। তবে করোনার পরবর্তী বছর গুলোতে আয়োজিত অনুষ্ঠান গুলোয় ভাটা পড়লেও বাঙালির আনন্দ থেমে থাকেনি। সর্বজনীন এই উৎসবের এই দিনটি উদযাপন করার মাধ্যমে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ গাঁথা কষ্টকে বিদায় জানিয়ে নতুনত্ব কে সাদরে গ্রহণ করে পৃথিবীর সকল প্রান্তে থাকা সকল বাঙালি।
অপরাজিতা অর্পা, ডিপার্টমেন্ট ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                               ‘‘রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলোরে”
ঋতুরাজ বসন্তের রঙের আভা যেতে না যেতেই গ্রীষ্মের শুরু। গ্রীষ্মের শুরু বলতেই মাথায় আসে পহেলা বৈশাখ। বছর ঘুরে নতুন সূর্যোদয়ে পুরোনো বছরের, পুরোনো দিনের সকল গ্লানি, সকল জড়া ধুয়ে মুছে নতুন্যত্বর বরণ। সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকে ‘‘পহেলা বৈশাখ” উদযাপনের সূচনা। কালপরিক্রমায় যা একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের রূপ নেয়। নববর্ষের অন্যতম প্রধান রীতি ‘‘হালখাতা”। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পরে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়া ছাড়াও পুরনো একটি সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তি খেলা যার সবচেয়ে বড় আসরটি হয় চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে, যা ‘‘জব্বারের বলি খেলা” নামে পরিচিত। সোনারগাঁওয়ে ব্যতিক্রমী এক মেলা বসে যার নাম বউমেলা, এটি স্থানীয়ভাবে ‘‘বটতলার মেলা” নামেও পরিচিত।

রাজধানী ঢাকায় রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে সূর্যোদয়ের পর পর এ অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলিত কণ্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরের সূর্যকে আহ্বান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃতপক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখের উৎসবের মূল কেন্দ্র ‘‘ডিসি হিল পার্ক”। নগরীর অন্যান্য নিয়মিত আয়োজন শিশু প্রতিষ্ঠান ফুলকি’র তিনদিন ব্যাপী ‘‘ছোটদের বৈশাখী উৎসব” যার প্রারম্ভ হয় পহেলা বৈশাখের দুদিন আগে এবং শেষ হয় বৈশাখের প্রথম দিন সন্ধ্যায়।
অংকিতা পোদ্দার তিথি, ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                            ‘‘পহেলা বৈশাখ আসে আমাদের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যকে নিয়ে”
সৌর পঞ্জি অনুসারে বাংলা মাস পালিত হতো অনেক প্রাচীনকাল থেকেই। সম্রাট আকবর বেশি আলোচিত হলেও, বাংলা পঞ্জির উদ্ভাবক ধরা হয় আসলে ৭ম শতকের রাজা শশাঙ্ককে।  প্রধানত কৃষকদের খাজনাপাতি দেয়ার সুবিধার্থে এই সনের প্রবর্তন করা হয়। এ কারণে এই সনের আরেক নাম ‘‘ফসলি সন”। প্রথমে আকবরের পঞ্জিকার নাম ছিল “তারিখ-এ-এলাহী”। ধারণা করা হয় যে, বাংলা বারো মাসের নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে। যেমন: বিশাখা নক্ষত্র থেকে বৈশাখ, জায়ীস্থা থেকে জৈষ্ঠ্য, শার থেকে আষাঢ়, শ্রাবণী থেকে শ্রাবণ এমন করেই বাংলায় নক্ষত্রের নামে মাসের নামকরণ হয়। এইদিন আব্বু বাসায় অনেক বড় বড় মাছ আনে। আব্বুর মতে, বছরের শুরুটা ভালো খাবার দিয়ে শুরু করলে সারা বছর ভালো খাবার খাওয়া যায়। চারদিকে ‘এসো হে বৈশাখ’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘নোঙর ছাড়িয়া নায়ের দে রে মাঝি ভাই’ সহ বিভিন্ন গান শোনা যায়। নববর্ষের সময় মঙ্গল শোভাযাত্রা মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানায়। আমি ও আমার আম্মু লাল পাড় এর সাদা সাড়ি এবং আব্বু ও আমার ছোট ভাই পাঞ্জাবি পরে। এইদিন আমরা সকালে পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ ভাজা, হরেক রকম ভর্তা দিয়ে খাই। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য হল “শুভ নববর্ষ”। যেটা আমারা সবাই সবাইকে বলি। আগে নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোটাই অর্থনৈতিক এবং গ্রামে-গঞ্জে ব্যবসায়ীরা নতুন বছরের শুরুর দিনে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলেন। এই উপলক্ষ্যে তারা তাদের নতুন-পুরনো খদ্দেরদেরকে আমন্ত্রণ জানান মিষ্টি মুখ করাতে। এই আমন্ত্রণ গ্রহন করতে এসে অনেক খদ্দের তাদের পুরনো দেনার পুরোটা বা কিছু অংশ শোধ করে নতুন খাতায় হিসাব হালনাগাদ করে। আমরা পুরো পরিবার বিকেলে মেলাতে যাই মেলাতে বিভিন্ন ধরনের দোকান বসে, তার মধ্যে হাতের নাকশা করার দোকান আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি সেখানে সবসময় হাতে নকশা করাই। তাছাড়াও সেখানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায় যেমন মুড়ি-মুরকি, খাজা-গজা, চিনির তৈরি হাতি, ঘোড়া, মাছ, পাখি আকৃতির নানা রকম মিষ্টি, হরেক রকমের পিঠা। মেলায় মুল আকর্ষন থাকে নাগরদোলা। যেটায় প্রতিবার আমি উঠি। মেলায় রং বেরঙের খেলনা পাওয়া যায়। খেলনা গুলো এতো সুন্দর যে যেটা দেখি সেটাই কিনতে ইচ্ছা করে। মেলায় আঞ্চলিক ও লোকগানের আসর, যাএাপাল, পুতুল নাচ। বাঁশিবিক্রেতা বাঁশি বাজিয়ে মুখর করে তোলে মেলা প্রাঙ্গণ। এছাড়াও গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটক সহ সংস্কৃতিক আনুষ্ঠান হয়ে থাকে। বিকালে বিভিন্ন ধরনের খেলার ব্যবস্থা করা হয়। খেলা গুলোর মধ্যে নৌকাবাইচ, গরু-মোষের লড়াই, কাবাডি, মোরগ লড়াই থাকে। এভাবেই আমি পহেলা বৈশাখ উদযাপন করি। প্রায় সময় আমরা ভুলে যাই আমরা বাঙালি, আর আমাদের সংস্কৃতির কথা। তাই প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ এসে আমাদের ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয় ।
আফরোজা আলম তানি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                      ‘‘এসো হে বৈশাখ : ১৪৩১ বঙ্গাব্দ”
পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির সর্বজনীন একটি উৎসব। এই উৎসবে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি অংশ নিয়ে থাকে। এই উৎসবের সময় দেশ নতুন করে সাজে, দোকানপাট থেকে শুরু করে বাসা বাড়ি রঙিন করে সাজানো হয় নতুন বছর বরণ করার জন্য। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রা কে ইউনেস্কো ২০১৬ সালে ‘‘মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এছাড়াও, প্রতি বছর রমনা বটমূলে ঘটা করে মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে । সেখানে মাটির পুতুল, শাড়ি ও বিভিন্ন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার বিক্রি করা হয়। সবার কামনা থাকে, নতুন বছরটি যেন সুখময় ও শান্তির হয়। পহেলা বৈশাখের আয়োজন গুলোর মধ্যে অন্যতম ‘‘হালখাতা”। এদিনে গ্রাহকেরা দোকানিদের বাকি টাকা মিটিয়ে থাকে। তবে বর্তমানে বাংলা নববর্ষের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হল বৈশাখী মেলা। বিভিন্ন অঞ্চলে বৈশাখী মেলা আয়োজন করা হয়, গ্রামে গ্রামে আয়োজন করা হয় কবিগান, কীর্তন, গম্ভীরা গান, পুতুল-নাচের।
মো: লতিফুর রহমান লিহাদ, ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪